Logo
শিরোনাম

সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি ’৯৪ সাল থেকে বাম-প্রগতিশীল দলগুলোর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃতীয় দফা সংলাপকে কেন্দ্র করে আবারও সামনে এসেছে সংসদে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা’র বিষয়টি। সম্প্রতি কয়েকটি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করায় রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ‘নব্বই দশক থেকে, বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের পর তৎকালীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আলোচনায় জাতীয় সংসদে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের কথা আছে। তখন থেকেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বামজোট আনুপাতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরি তুলে ধরি।’ বলছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল সিপিবির এই সাধারণ সম্পাদক আরও উল্লেখ করেন, ‘২০০৭ সালে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আলোচনার সময় আমরা তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির আলোচনা লিখিতভাবে তুলে ধরি। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বইয়ে এটি লিপিবদ্ধ করা আছে।’

২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ সিপিবির নেতারা নির্বাচনে কমিশনে প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবেও ছিল, ‘যতদিন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, ততদিন আরও তিনটি ব্যবস্থা’ রাখার সুপারিশ করে দলটি। সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত ও সরাসরি ভোট; নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ওই প্রতিনিধিকে প্রত্যাহারের বিধান; না ভোটের বিধান যুক্ত করা।

বামজোটের নেতারা জানান, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও দাবি তুলেছিল বাম, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দল এবং জোটগুলো। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ টাকার খেলা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, প্রশাসনিক কারসাজিনির্ভর বিদ্যমান গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি করেছিলো তারা।

‘প্রয়োজনে দেড়শ আসনেও হতে পারে’

সিপিবি সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে দক্ষ ও শক্তিশালী করা এবং সংবিধানের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী তাদের ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে আনুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানটাও জরুরি হয়ে পড়েছে।’

এক্ষেত্রে প্রিন্সের পরামর্শ, ‘আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি একবারে আমরা পুরো ৩০০ আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নাও করতে পারি— ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে এখন দেড়শ আসনে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও বাকি আসনে প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন হতে পারে।’

রুহিন হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশিত পুস্তিকায়ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির কথা সিপিবি প্রচার করেছে। সারাদেশে এ বিষয়ে দলটির ব্যাপক প্রচার অব্যাহত রয়েছে।


উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে সংসদে দুই কক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দলটি গণভোট ফেরানো এবং পর-পর দুই বার একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকেও ১০ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে ‘প্রাণীর মূর্তিনির্ভর ভাস্কর্য নির্মাণ না করে দেশীয় প্রকৃতি, ঐতিহ্যকে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন-ভাস্কর্যে তুলে আনা’, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালু, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করা, ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল, ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিলসহ নানা প্রস্তাব


আরও খবর



ফুলবাড়িতে,সুইয়ের ফোঁড়ে স্বাবলম্বী নারী রাজিয়া সুলতানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী :

জীবন জীবিকার তাগিদে নিজের ইচ্ছে শক্তি আর সুঁই-সুতার বুননের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখন স্বাবলম্বী নারী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর হাতেখড়ি নিয়ে নিজে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি তার হস্ত শিল্প পণ্য এখন এলাকার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে।


এই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক নারী বর্ধন মুলক এ কাজ করে সংসারে এনেছেন ‌স্বচ্ছলতা রাজিয়া সুলতানা এখন উপজেলার প্রথম সারির নারী উদ্যোক্তা। যিনি নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ এলাকা সহ-দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত লাভ করেছেন।


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের অজপাড়া গাঁয়ে সরে জমিনে গিয়ে জানাযায়,২০২৩ সালে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর এক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি, হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন রাজিয়া সুলতানা। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে যান সাফল্য তার নিজের সফলতার পর এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ৫০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।


রাজিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুঁচের ফোঁড়ে ফোঁড়ে নকশিকাঁথার উপর ফুটিয়ে তুলছেন নানা রংয়ের ফুল,পাখি, লতাপাতা সহ-বিভিন্ন কারুকাজ,আবার কেউ কেউ করছে রংয়ের কাজ এতে যা মজুরি পাচ্ছে তা দিয়ে তাদের সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দোকান থেকে কাপড়, রং ও মেডিসিন ক্রয় করে তারা তৈরি করছেন থ্রিপিচ,চাদর, বেডশিট, পাঞ্জাবি ,শাড়িসহ অনেক কিছু। তৈরিকৃত প্রতিটি থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পাঞ্জাবি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে।


রাজিয়া সুলতানার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী সাথী আক্তার,লুনা,শাহনাজ পারভীন,হ্যাপি বেগম বলেন,আমাদের মতো সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের আইডল হলো রাজিয়া আপা।ওনার অনুপ্রেরণায় আমরা কাজ শুরু করেছি তাতে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছি।এবং আমাদের মতো অনেকেই আপাকে দেখে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।


রাজিয়া সুলতানার স্বামী মোঃ রাজীব মিয়া বলেন দৃঢ় মনোবল এবং আত্নবিশ্বাস থাকলে যথোপযুক্ত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সংসার করার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হত্তয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন আশাকরি আত্ম তৃপ্তির পাশাপাশি এটি আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথকে আরও মসৃণ করবে।


নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন,আমি জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমার নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি,হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজে সফলতা অর্জন করার পর আমার গ্রামের বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করি এখন আমার বাড়িতে ৫০ জন বেকার নারী কাজ করে তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।এখান থেকে প্রতি বছরে আমার প্রায় এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে তিনি আরও জানান শুধু আমার গ্রামেই নয় আমার ইচ্ছে আছে আমি পুরো উপজেলার বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।


এব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান,যব উন্নয়ন থেকে রাজিয়া সুলতানা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এক জন সফল উদ্যোক্তা হয়ে বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন সেই তিনি বছরে এক লাখের ও বেশি টাকা আয় করছেন। আমি নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানার সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



মাওলানা সাদ দেশে এলে অন্তর্বর্তী সরকারকে পালাতে হবে

ইজতেমা কেন্দ্র করে সরকারকে কঠোর হুশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিশ্ব ইজতেমায় ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনা হলে এবং ইজতেমা কেন্দ্রিক তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম-ওলামারা।

তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সমন্বয়কদের আশপাশে সাদপন্থিদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের মিডিয়া সেলের প্রধান মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী।

তিনি বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পরিষ্কার বলে দিতে চাই, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেওয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সবসময়ের জন্যই ওলামা বিদ্বেষী সাদপন্থি মুক্ত রাখতে হবে।

আগে এক মঞ্চ থেকে একবারই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হতো। কিন্তু দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়লে ২০১৯ সালে দুই দফায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।

মাঝে কোভিড মহামারীর কারণে ইজতেমা দুই বছর বন্ধও রাখা হয়। পরে ২০২২ সাল থেকে ফের ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বের আয়োজনে।

কিছুদিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সরকারের ‘মধ্যস্থতায়' সাদপন্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। এরপর দুই পক্ষকে নিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভার উদ্যোগ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে সাদপন্থিরা এলেও অন্য পক্ষ আসেনি। পরে বৈঠকে এবারও দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম ওলামাদের এক সমাবেশ থেকে সাদপন্থীদের নিষেধাজ্ঞার দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, প্রায় ৬০ জনের অধিক আলেম-ওলামাসহ দুই হাজারের অধিক শহীদের রক্তের বিনিময়ে নব স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের আস্থার প্রতীক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরাও এই প্রয়াসের গর্বিত শরিক।

তিনি বলেন, দেশ এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে, দেশবাসী আলোর মুখ দেখার প্রহর গুনছে। সরকার দেশবাসীকে একটি শান্তির দেশ উপহার দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ঢাকা অচল হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

সাদপন্থীদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের মিডিয়া সেলের প্রধান বলেন, আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করুক। দয়া করে আপনারাও (সাদের অনুসারী) ফিরে আসুন। আপনাদের জন্য সমাধানের একটি পথ খোলা আছে। আপনারা তওবা করুন, আপনাদের আমিরকে তওবা করান। দ্বীনের সহিহ পথে ফিরে আসুন, সংঘাত নয় শান্তির পথে চলতে শিখুন।


আরও খবর



জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

এর আগে, জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ের দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত বাংলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রায়ে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে এবং জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্লোগানটি উচ্চারণের জন্য পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়। ২০১৭ সালে ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।


আরও খবর

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




ঠাকুরগাঁওয়ে খজুরের গুড়, গাছিরা ব্যস্ত রস সংগ্রহে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতে অন্যতম উপদেয় খাবার খেজুরের গুড়। দেশের উত্তরের জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে, আগেভাগেই শীত নামে সেখানে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। ওই রস থেকে তৈরি হচ্ছে উপাদেয় খেজুরের গুড়। রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৌসুমী গাছিরা। গাছ থেকে মোশারি মোড়ানো হাঁড়িতে ফোটায় ফোটায় পরছে রস, শীতের হালকা কুয়াশার মধ্যে এমনি মনমুদ্ধকর দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার খেজুর বাগান থেকে গাছিরা রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছন। প্রতিবারের মতো এবারো ওই গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের গুড় উৎপাদন।

সুগার মিলের মোহন ইক্ষু খামার খেজুর বাগানে এবারে ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ৭ শতাধিক গাছ বাৎসরিক নির্দিষ্ট পরিমানের টাকায় লিজ নিয়ে গুড় তৈরি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.সেলিম। তার এই বাগানে কাজ করছেন নাটর লালপুর থেকে আসা ৬ জন চাষি। প্রায় ১৩ একর জমিতে গড়ে উঠেছে এই খেজুরের বাগান। সারারাত গাছের আগায় লাগানো হাঁড়িতে সারারাত ফোটা ফোটায় রস পড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সূযোদয়ে ওঠার আগেই গাছ থেকে নামিয়ে টিনের পাত্রে জ্বাল দিয়ে চাষিরা তৈরি করছেন পাঠালি গুড়। ভোরে গুড় তৈরির এমন মন-মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রকৃতীপ্রেমীরা আসছেন দূরদরান্ত থেখে।

যানা যায়, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন গাছিরা। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে সিমিত পরিষরে গুড় বানারো কাজ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে গুড় তৈরীতে এখন নিয়মিত এখানে কাজ করছেন শুমিকেরা। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজির বেশি গুড় উৎপাদন করেন গাছিরা। সেই সাথে ১শ টাকা লিটারে খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় প্রতি বিক্রি করছেন ৩শ’ টাকা কেজি করে।

খেজুর বাগানে রস খেতে এসেছেন প্রকৃতীপ্রেমী রাসেল ইসলাম, মাসুদ রানা সহ বেশ কয়েকজন বলেন, অনেক ভোরে এসেছি এই বাগানে। সরাসরি রস সংগ্রহ ও রস দিয়ে কিভাবে গুড়টি তৈরী হচ্ছে তা দেখলাম। গ্রামীন ঐতিহ্য এটি, দেখে অনেক ভালো লাগলো। রস কিনেছি ১শ টাকা লিটারে আর গুড় কিনেছি ৩শ টাকা কেজি দরে। অনেক ভালো লাগলো এখানকার পরিবেশটি। আরেক প্রকৃতীপ্রেমী সারমিন আক্তার ও আরফিনা বলেন, বান্ধবীরা মিলে এসেছি এই বাগানে। এইবারেই প্রথম আসা। পরিবেশটি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে কুয়াশার সকালে খেজুর গাছের দৃশ্যটি অসাধারণ লাগে। আর গুড় বানানো এই প্রথম দেখলাম। খেলাম বেশ মজাদার ছিলো।

এ বিষয়ে বাগানের বর্তমান মালিক মো সেলিম মিয়া বলেন, আমরা অক্টোবর মাস থেকেই গাছের পরিচর্যা শুরু করি। নভেম্বরের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ করছি। সেই সাথে অল্প পরিষরে গুড় বানানোর কাজ চলছে। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসছেন। তবে শীত এখনো সেভাবে পড়েনি। রস উৎপাদন তেমন হচ্ছেনা। আমরা প্রতিটি হাঁড়ি মশারি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে করে কোন পাখি মুখ দিতে না পারে। আশা করছি শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের উৎপাদনও বাড়বে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




শ্লীলতা হানির অভিযোগ সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটনের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে বালিকা বিদ্যা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও  জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন ।

এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বেও ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতান কে জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতা হানি ঘটায়।  পরে প্রতিষ্ঠানটির আয়া কাঁদতে কাঁদতে  বিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে স্থানীয়দের ঘটনা খুলে বলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, লিটন চন্দ্র দেবনাথ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফরিদা ইয়াসমিনকে বিভিন্ন ধরনের কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাকে স্বাক্ষর না দিয়ে অনুপস্থিতি  দেখান। গত ১৯ নভেম্বর তিনি শ্রেণি কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার পরেও তাকে অনুপস্থিত দেখিয়েছেন। 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদুল আলম বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ে সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া তার এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত হাতে স্টাম ও চেকের কাগজপত্র নিয়ে তিন থেকে ৫ লাখ টাকা সুদের টাকা গ্রহনে গৃহিতাদের বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ভিড় করতে দেখা যায়। লেনদেন নিয়ে গৃহীতাদের সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুনা যায়। এতে শিক্ষার্থীদের  লেখা-পড়ার বিঘ্নঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। 

এছাড়া  আরো অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির  সাবেক সভাপতিকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এ সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। 

তার অসদাচণে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মীচারীরা রয়েছেন চরম অতিষ্ট। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের নামাজের ঘরে তালাদিয়ে নামাজ পড়তে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান,সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ বিদ্যালয়ের বিরতির সময়ে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন এবং তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্নসময়ে খারাপ আচারণ করেন। 

সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বাধাঁ ও প্রতিবাদ করায় তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনকে বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করার চেষ্ঠা করেন। তিনি কু্যঁ করে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের নামাজ ঘরে একা নামাজ পড়ছিলেন। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার গায়ে হাতদেয় এবং তার অনৈতিক কাজের উদ্ধেশ্যে ধস্তাধস্তি করেন। তিনি বিদ্যালয়ে চাকুরী করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছেন। এ সব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে জানানোর পর তাকে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিষয়টি সমাধানে রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে খোলা সময়ে বিদ্যালয় এসে কথা জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান,শিক্ষক ও কর্মচারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয় তদন্তকরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) সম্রাট খীসা বলেন,এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর