Logo
শিরোনাম

সংস্কারের নামে বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহালের আয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

এনামুল হক:

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বইছে সংস্কারের হাওয়া। সংস্কার প্রস্তাব থেকে বাইরে নয় বন অধিদপ্তরও। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবের পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে স্বয়ং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। জানা যায় গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই গোপনে বৈঠক করে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটা দফায় বলা হয়েছে, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদটি 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদে পদনাম পরিবর্তন, প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন এবং পর্যাপ্ত পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিতকরণসহ অর্গানোগ্রামের মূল ধারার সাথে সমন্বয়করণ। 


বন অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদের কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করে। এই প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকতার্র পদসহ ৭৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হলেও ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ৫৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে তাদের পদায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 


'স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন' নামক আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জন 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা'। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়।


বিভিন্ন নথিসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র ২ কর্মদিবস আগে তড়িঘড়ি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়মিতকরণের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখন একই সাথে দ্রুতগতিতে উক্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ এবং পদনাম পরিবর্তন করে 'সহকারী বন সংরক্ষক' এ পরিবর্তনের কাজ এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য যে, 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদটি বন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদ যাতে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এবং ফরেস্ট রেঞ্জার পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পদনাম ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা জানান, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেও আসেন নি। এখন তাদের পদনাম ক্যাডার পদনামে পরিবর্তন করলে আমরা পদোন্নতিবঞ্চিত হবে, পদোন্নতি স্থবির হবে অন্যান্য পদগুলোতেও। এমনিতেই ক্যাডার-এনক্যাডার, প্রকল্প এরকম বহুমুখী মামলায় বহু বছর বনবিভাগের কার্যক্রম স্থবির। এসব জট কাটিয়ে গতিশীল হতে শুরু করা মাত্রই এমন সংস্কার প্রস্তাবকে আমরা দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহাল রাখার চোখেই দেখি।'

তিনি আরও জানান, 'প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা মূলত বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক লবিং এ আসা। এখন তাদেরকে ক্যাডার পদে পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের চিহ্ন বহাল ও শক্তিশালী করার নামান্তর। আমরা বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া এবং ভুতাপেক্ষভাবে রাজস্বে স্থানান্তরের বিষয়গুলো বর্তমান সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।'

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা যোগদানের পর থেকে বনবিভাগের নানা অসংগতি দেখি৷ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে বনবিভাগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু যখন দেখি অবৈধ টাকার প্রবাহে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডার পদে আসার চেষ্টা করে এবং তাতে স্বয়ং জড়িত থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তখন আমরা কাজ করার নৈতিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়ি।'


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ইনস্যুরেন্স কর্মকর্তার জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর (ঝালকাঠি) 

ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা তুহিন হাওলাদারের নেতৃত্বে দক্ষিন তারাবুনিয়া খুপড়িঘর তুলে শামিম আহসান নামে এক ইনস্যুরেন্স কর্মকর্তার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দক্ষিন তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত আঃ গনি হাওলাদারের ছেলে ভুক্তভোগী মোঃ শামীম আহসান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শামিম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর পিরোজপুর জোনাল অফিসের (আইসিটি ও ইউডাবিøউ) সিনিয়র নির্বাহি কর্মকর্তা পদে কর্মরত। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শামিম আহসানের মোট সাড়ে ৩১ শতাংশ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু জমি ক্রয়কৃত। ওই জমি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে বিবাদী হালিম হাওলাদার, আবুল বাসার, আলিম হাওলাদার, তুহিন হাওলাদার, ইমরান, শাহিনসহ প্রতিপক্ষরা গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে টিন ও কাঠ দিয়ে একটি খুপড়ি ঘর উত্তোলন করে। ওই জমিতে পাঁচ বছর আগে লাগানো বিভিন্ন গাছ বিবাদী জোরপূর্বক বিক্রি করে এবং কেটে নষ্ট করে ফেলে। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। শামীম আহসান অভিযোগ করেন, তুহিন হাওলাদার নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। তার নেতৃত্বেই জমি দখল। এ কারনে এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। কয়েকবার এ নিয়ে শালিল বৈঠক হয় এবং শালিশদাররা রোয়েদাদ দিলেও প্রতিপক্ষরা তা মানেনি। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা তুহিন হাওলাদার জানান, তারা তার দাদার জমিতে ঘর তুলেছেন, কারও জমি দখল করেনি। বিগত দিনে তাদের জমিই জোর করে ভোগ করেছে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাজাপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট নামক এলাকায় অজ্ঞাত ট্রাক চাপায় দুটি মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মোট ৩ জন বন্ধু যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। গত বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্পটেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছানোর পরও সে সময় প্রথমে নিহতের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে নিহত ৩ বন্ধু যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ। নিহত ৩জন বন্ধু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে কাউসার আলী (১৯), দক্ষিণ চকবালু গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে কাউসার হোসেন (২০) ও আশরাফ আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন (১৯)। নিহত ৩জন বন্ধু ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জানান, নিহত ৩ জন বন্ধু গত বুধবার সন্ধার পর দুটি মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী থেকে নিজ বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলাতে ফেরার পথে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় পৌছালে সে সময় অজ্ঞাত একটি ট্রাক তাদেরকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৩ জন বন্ধুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পৌছার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। পরে আইনানুগ পক্রিয়া শেষে নিহত ৩ জন বন্ধু যুবকের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসাহয় এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলার দক্ষিণ চকবালু গ্রামে কাউসার হোসেন ও সাহাদৎ হোসেন এর এবং বেলা ১১টায় কাউসার আলীর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পূর্ন করা হয়। একই সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জন বন্ধু (যুবকের) মৃত্যুতে তাদের পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসী সহ এলাকাজুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ২০ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি (১১-২২ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে সব বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ১৯ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ১৭৫ মিলিমিটার এবং বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোয় ৭৫ থেকে ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব আল হাসানকে বরখাস্ত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানিয়েছে, বোলিং অ্যাকশনে পাস না করা পর্যন্ত ইসিবির আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে বল হাতে নিতে পারবেন না সাকিব।

গেল সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে এক ম্যাচে খেলার সময় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। এরপর নিজেকে প্রমাণ করার জন্য সাকিবকে দিতে হয় পরীক্ষা।

চলতি মাসের শুরুতে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নেয় লাফবরো ইউনিভার্সিটি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক যে, বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি।

বোলিংয়ের অধিকার ফিরে পেতে সাকিবকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুসারে, বোলিংয়ের সময় স্পিনাররা তাদের কনুই সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রিতে ভাঙতে পারেন। সাকিবকেও প্রমাণ করতে হবে, তিনিও কনুই ১৪ ডিগ্রির কম ভেঙে বোলিং করতে পারেন।

সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গেল ১০ ডিসেম্বর থেকে। কারণ, ওইদিনই পরীক্ষার ফল জানিয়েছিল লাফবরো ইউনিভার্সিটি।

২০১০-২০১১ সালের পর গেল সেপ্টেম্বরে প্রথম কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে যান সাকিব। টন্টনে সারের হয়ে চারদিনের একটি ম্যাচ খেলেন টাইগার অলরান্ডার। দুই ইনিংস মিলিয়ে শিকার করেন মোট ৯ উইকেট। যদিও ব্যাট হাতে তেমন ভালো করতে পারেননি।

কাউন্টি ক্রিকেট শেষ করে ভারত সফরে থাকা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেন। তখন সারেতে সাকিবের বোলিংয়ের দারুণ সমীহ হয়েছিল সতীর্থ ও ভক্ত-সমর্থকদের কাছে। কিন্তু এখন দেখা গেল, কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে যাওয়াই কাল হয়েছে সাকিবের।


আরও খবর



নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের শরীরে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

চলতি বছরের শীত মৌসুমে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীতের দাপট। শীত মৌসুমে নওগাঁর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কখনো মৃদু শৈত প্রবাহ আবার কখনও তীব্র শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের সেই তীব্রতাকে যেনো আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেঁকে বসছে কনকনে শীত। এমতাবস্থায় হাড় কাপানো শীতের তীব্রতায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে শীতার্ত অসহায়, দু:স্থ, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে-খাওয়া নানা শ্রেণি-পেশার নিম্ম আয়ের মানুষরা। এছাড়া বিভিন্ন শিশু সদনের শিক্ষার্থীরাও তীব্র শীতে কাঁপছে, শীতের তীব্রতার দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে শিশুরা।

শীতের এই তীব্রতা থেকে নওগাঁর শীতার্ত মানুষদের রক্ষা করতে সরকারের পক্ষ থেকে গরম কাপড় হিসেবে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিনিয়তই জেলার কোন না কোন স্থানে শীতার্তদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র পৌছে দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে জেলার ১১টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজেরাই গাড়িতে শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্তদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চক রামচন্দ্র উত্তরপাড়া হামিদুর রহমান বেসরকারি শিশু সদন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম দপ্তরীপাড়া মাদ্রাসা, দুবলহাটি কাওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এবং জাবালে নূর হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে প্রায় ৭শ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম রবিন শীষ, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, চলতি শীত মৌসুমে জেলার দুঃস্থ, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ১৫ হাজার কম্বল ইতি মধ্যেই বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার জন্য ৬৭লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যে অর্থ দিয়ে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগন শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ক্রয় করে ওই সব উপজেলার শীতার্ত অসহায়, দুঃস্থ, গরীব, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও শিশু সদনের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আরো ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই শীতবস্ত্রগুলো পাওয়া মাত্রই বিতরণ করা হবে এবং মন্ত্রণালয় বরাবর আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আমি আশাবাদি জেলার কোন শীতার্ত মানুষকেই গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট করতে হবে না। যতদিন শীতের এই প্রকোপ অব্যাহত থাকবে ততদিন শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর