Logo
শিরোনাম

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতের কারণে স্থগিত ছিল আইপিএল। তবে এখন পরিস্থিতি সাধারণ হওয়ায় আগামী শনিবার (১৭ মে) থেকে পুরনায় শুরু হচ্ছে আইপিএল। ১২ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত শুক্রবার (৯ মে) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কারণ দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক উত্তেজনা চলছিল।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শের ভিত্তিতে বোর্ড মৌসুমের বাকি অংশ চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোট ১৭টি ম্যাচ ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে, যার শুরু ১৭ মে ২০২৫ থেকে এবং ফাইনাল ৩ জুন ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত সময়সূচিতে রবিবার (১৮ মে) দুটি ম্যাচ থাকবে।


আরও খবর



গরুর গায়ে বিষাক্ত স্প্রে ! খামারে প্রবেশ করায় গবাদিপশুর সাথে অমানবিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের তারুলী গ্রামে মাছ ও সবজির খামারে গরু প্রবেশ করায় পাঁচটি গরুর শরীরে বিষাক্ত ভিক্সল জাতীয় রাসায়নিক স্প্রে করে চামড়া ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কর্মচারীরা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গরুর মালিক আ. হালিম ও মাইনুল ইসলাম জানান, “আমরা গরিব মানুষ, কিছু বলতে ভয় লাগে। টাকা-পয়সার জোরে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেই আমরা চুপ থাকি। আল্লাহ ছাড়া বিচার চাওয়ার জায়গা নেই।

জানা গেছে, ঢাকার বনশ্রীতে বসবাসরত ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ তার নিজ গ্রাম পূর্ব তারুলীতে সুউচ্চ প্রাচীরঘেরা বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মাছ ও সবজির খামার পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি তার খামারে স্থানীয় কয়েকটি গরু প্রবেশ করলে খামারের কর্মচারী এতোয়ার ও রিমন গরুগুলোর গায়ে বিষাক্ত ভিক্সল স্প্রে করে। এতে গরুগুলোর শরীর থেকে চামড়া খসে পড়ে এবং তারা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে।

এতোয়ার ও রিমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “গরু ছেড়ে দিয়ে ঘাস খাওয়ানো নিষেধ করার পরও গরুগুলো ঘেরে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি। এতে গরুর চামড়া ছিলে গেছে। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।

খামারটির কেয়ারটেকার আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “অনেকবার নিষেধ করার পরও গরু খামারে ঢুকেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি।” তবে খামারের মালিক জাফর আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বাবু জানান, তিনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলেন না এবং সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, “নিরীহ পশুর উপর এমন অমানবিকতা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। গরুগুলোর বোবা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।

এলাকার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, “এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক ঘটনা। যারা এ কাজ করেছে, তারা বড় অপরাধ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন, “এ ধরণের অমানবিক আচরণকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে যেন ভুক্তভোগীরা সুবিচার পায়, সেই আহ্বান জানাই।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন জানান, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মনেপড়ে চরমোনাই এর পীর সাহেব (রহঃ) কে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

ফিলিস্তিনের মুসলমানদের যে অবস্হা, যেভাবে তাদের উপর  নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাতো গভীর উদ্বেগের বিষয়।  আমরাতো বাংলাদেশী। ছোট একটি দেশ  ।  অবশ্য আমাদের দেশের সরকার প্রধান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত  মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সুচিকিৎসা এবং বিভিন্ন ভাবে সহযেগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারকে। তবে  যারা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র, যারা অনেক শক্তিশালী,  যারা এ সমস্ত বিষয়গুলো ফায়সালা করতে পারেন, তারা কিন্তু নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ তাদের নেই।  যেভাবে নিরপরাধ মানুষগুলো মারা হল, কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই।

মানে যারা ভূত ছাড়াতে পারবেন, অলরেডি  তারা যেন ভূতের দ্বারা আক্রান্ত। কেউ মানবতার পক্ষে কথা বলছেন না। সবাই যেন তেলো মাথায় তেল দিচ্ছেন। অনেকেই ইসরাইলের পক্ষে।  তারা বিভিন্ন সময় অহেতুক কাজে তাদের  দ্বীল কেঁদে উঠলেও মুসলমান মারার সময় একটুও যেন তাদের মনটা কাঁদে না।

আমাদের জাতিসংঘ  এর ভুমিকা  থাকে একদম নিরব।   বিশেষ  করে মুসলমান মারার সময় তারা যেন ঘুমে বিভোর থাকেন।তাদের কাজ-কারবার  দেখে মনেহয়না বিশ্বে কিছু ঘটে যাচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।


এজন্য আমাদেরই একজন প্রাণপ্রিয় নেতা। যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার এবং রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, তিনি চরমোনাই এর মরহুম পীর সাহেব ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আপোষহীন সংগ্রামী নেতা সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি একবার বক্তৃতায়  বলেছিলেন, আমাদের মুসলিম জাতিসংঘের প্রয়োজন। যে সংঘটি  নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কথা বলতে পারে। মুসলিমদের সুবিধা- অসুবিধার কথা তুলে ধরতে পারে।

আজকের এই ক্রান্তিকালে সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ, এর কথা বড্ড স্মরণ হয়। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে ভাবে জুলুম চলে আসছে, তাতে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন সময়ের দাবী। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঐ সকল জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

সৈয়দ ফজলুল রহ, একজন মুখলিস পীর  এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি আমাদের দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বহু চিন্তা করেছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব  সেই সময়ে ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছিল।  তিনি যদিও আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর চিন্তা- চেতনা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনগুলো যেন অমর হয়ে রয়েছে। সত্যিকারার্থে  বর্তমান পরিস্হিতিতে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি মজলুমদের পক্ষে কথা বলে, তাহলে জালিমেরা  এত্ত সাহস পায় না। কিছুটা হলেও তারা নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভাবে কোন তীব্র প্রতিবাদ  না আসায় তাদের আস্ফালন বেড়েই চলেছে।

এজন্য মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ঐসকল জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নচেৎ মুসলমানদের উপর  থেকে নির্যাতনের খড়গ  নেমে যাবে না।

সাময়িক ভাবে হয়ত ইসরাইল পিছু হটেছে। যুদ্ধ বিরতী এখন। কিন্তু  ওদের তো ওয়াদা ঠিক থাকেনা। আবারও কখন ওরা মুসলিমদের উপর তেড়ে আসবে না এটার কোন গ্যারান্টি নেই। এজন্য বিশ্ব নেতাদের ঐকবদ্ধ হয়ে  একটা সুরাহা করা উচিত।

বিশ্ব মুসলিমের এই ক্রান্তিকালে তাইতো বড্ড স্মরণ হয় সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা। বারবার মনেপড়ে।  তাঁর চিন্তা- চেতনা ছিল আসলেই প্রশংসনীয়। তিনি মুসলিমদের কথা ভেবে ছিলেন নিঃস্বার্থ ভাবে।  এজন্য তিনি যেন আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছেন। 

সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, একজন আপোষহীন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনীতি ছিল যেন বে- মেছাল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এদেশে রাজনীতি করেছেন।  যার কারণে তাঁর সুনাম - সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ থেকে দেশান্তরে। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া  এক  নামে যিনি ছিলেন সবার প্রিয়। সেই মহান ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কথা ভেবেছেন। বিশ্ব মুসলিমের শান্তি- নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন সব সময়। 

তাঁর বড় এক   সুচিন্তা  ছিল মুসলিম জাতিসংঘ। মুসলিমগণ এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে  কোনদিন আর মুসলিমদের উপর এভাবে নির্যাতন নেমে আসবেনা।  বিশ্বে যত মুসলিম রাষ্ট্র আছে সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। মুসলমানেরা একতাবদ্ধ না হয়ে কখনো এই ধরনের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হবে না।

আল্লাহতায়ালা সেই মহান মনিষীকে ক্ষমা করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করেন। আমিন


আরও খবর



ক্রেতার চেয়ে পশু বেশি, লোকসানের মুখে খামারিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে আনন্দ উল্লাস। কোরবানির হাট জমে উঠেছে। প্রতিহাটে কোরবানির পশুর ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। গরুর দাম কম হওয়ায় খামারিরা বিপাকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই তাদের কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য ছুটে চলেছে বিভিন্ন হাট সহ খামারিদের বাড়ি বাড়ি।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কালিয়া কান্দাপাড়া, শালুয়াভিটা, রতনকান্দি, চান্দাইকোনা, তালগাছি, সোহাগপুর, পোড়াবাড়ি, সমেশপুর, কামারখন্দ, বলরামপুর, তাড়াশ ও কাজিপুরে প্রতিবছরের ন্যায় বসছে গরু ছাগলের হাট। তবে এবারের হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।

কোরবানি পশু, বিক্রেতা, ক্রেতাদের ভীরে হাট প্রঙ্গনে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এবারের কোরবানির পশুর মূল্য প্রথম দিকের চেয়ে অনেকটাই কম। কারণ হিসেবে বগুড়া থেকে কান্দাপাড়া হাটে বিক্রির জন্য ট্রাকে করে নিয়ে আসা গরুর মালিক জানায়, একদিকে বৈরি আবহাওয়া গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি সহ অনেক ক্রেতাই শেষ হাটের দিকে তাকিয়ে আছে।

অপর এক বিক্রেতা বাহাদুর আলী জানায়, দুর থেকে নিয়ে এসেছি গরু। দাম কম হওয়ায় গরু বিক্রি সম্ভব নয়। তাছাড়াও ফেরত নিতে পরিবহন খরচ, গো-খাদ্য খরচতো লেগেই আছে। তাই আমাদের মত বিক্রেতারা হতাশায় ভূগছে। যে পরিস্থিতি চলমান তাতে কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তালগাছি হাটে ১৮ টি গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আব্দুল হালিম জানায়, নিজেস্ব খামারে নয় বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসকল গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসলেও এবারে গরুর দাম কম হওয়ায় আমাদের হয়তো লোকসানে মুখে পড়তে হচ্ছে।

কোরবানীর পশু হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারাদার আকতার মন্ডল। অন্যান্য বাড়ের তুলনায় এবারের বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বিক্রয় অনেকটাই কম। তাছাড়াও বৈরি আবহাওয়া বাধসাজছে কেনা বেচায়।

কান্দাপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা হামিদুল ইসলাম জানান, গরু রক্ষণাবেক্ষণের অসুবিধার কারণ সহ ঈদের পূর্ব মুহুর্তে দাম অনেকটাই কম হয়। তাই গরু কিনতে দেরি করেছি। আমি গত হাটেও এসেছিলাম সে হাটের চেয়ে আজকের হাটে ওঠা গরু-ছাগলের দাম কিছুটা কম।

এলাকার সচেতন মহল জানান, বিক্রেতাদের এক হাট থেকে অন্য হাটে আনা নেয়ার খরচ, গো-খাদ্যে প্রদানের অসুবিধার কথা ভেবে অনেকেই রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের গরু ছাগল বিক্রি করতে শুরু করেছে। অপর দিকে অল্পদামে কেনার জন্য বসে থাকা ক্রেতাদের আশায় বালি পড়তে পারে। কারণ হিসেবে জানা যায়, গত কয়েক হাটের তুলনায় আজকের হাটে কোরবানি পশুর আমদানি কিছুটা কম।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ । পশুবাহী যানবাহন এবং হাট কেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ভারতে ফের যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশীর দিকে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মূলত কেদারনাথ থেকে যাত্রীদের নিয়ে গুপ্তকাশী যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। একপর্যায়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। রবিবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী ফেরার পথে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও ছয়জন তীর্থযাত্রী— যাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

আর্যন এভিয়েশন কোম্পানির এই হেলিকপ্টারটি মাত্র ১০ মিনিটের যাত্রাপথে, গৌরিকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মাঝখানে একটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।

এনডিটিভি বলছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

মূলত হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় কিছু লোক যারা গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন তারা দুর্ঘটনাস্থলে ধোঁয়া দেখে খবর দেন। পরে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ এর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই দুর্ঘটনার কথা এক্সে (পূর্বের টুইটার) জানিয়ে লেখেন, রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর পাওয়া গেছে। এসডিআরএফ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আমি সকল যাত্রীর নিরাপদ উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করছি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ মে হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলার পর গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে এটা হেলিকপ্টার সংক্রান্ত পঞ্চম দুর্ঘটনা। এর আগে গত ৭ জুন আরেকটি হেলিকপ্টার কেদারনাথের দিকে যাত্রাকালে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিলে একটি সড়কে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

অবতরণের সময় সেটির পেছনের রটার একটি পার্ক করা গাড়ির ওপর পড়ে যায়। সেই ঘটনায় যাত্রীরা অক্ষত থাকলেও পাইলট সামান্য আহত হন।

মূলত কেদারনাথ হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবা জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনায় এসব পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



সরকার জাতীয় সক্ষমতা না বাড়িয়ে বিকল্প খুঁজছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বর্তমান সরকারের দায়িত্ব বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো। কিন্তু সরকার জাতীয় সক্ষমতা না বাড়িয়ে বিকল্প খুঁজছে বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় আগামী অর্থবছরের বিভিন্ন খাতের বাজেট নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশেষজ্ঞ আলোচকরা।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বিকল্প হিসেবে বিদেশি কোম্পানিকে চট্টগ্রাম বন্দর না দিয়ে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাগুলো দূর করে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো যেতো। তাহলে এর প্রভাব ভবিষ্যতেও থাকতো।

তিনি বলেন, এই সরকার অস্থায়ী সরকার। যার স্থায়ী কোনো ম্যান্ডেট নেই। এই সরকার দীর্ঘদিন থাকবে না। সুতরাং তার পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু করণীয় সরকার খুব সহজেই করতে পারে। যেমন শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি। এটা বহু বছরের দাবি। আমরা চাই, সামনের বাজেটে যথাযথ কাজটি সরকার গ্রহণ করুক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশের যাত্রাটা অগ্রসর হোক।

অর্থবছর পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের অর্থবছর ব্রিটিশ আমলের মতো জুলাই-জুন থাকার কারণে দুর্নীতির একটি সুযোগ তৈরি হয়, অর্থেরও অপচয় হয়। এটাকে বাংলা বছর অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল অথবা ইংরেজি বছর অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর করা যেতে পারে।

শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য খাতে দুর্নীতি, অপচয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অপ্রয়োজনীয় বরাদ্দ, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ বন্ধ করার তাগিদ দেন আনু তিনি।

সভায় কৃষি বাজেট নিয়ে আলোচনায় শিক্ষক ও গবেষক মাহা মির্জা বলেন, কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ ক্রমাগত বাড়ছে। ফসল উৎপাদন করে কৃষক টিকতে পারছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসির বীজের সরবরাহ বাড়ানোসহ কৃষি খাতের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে পাঁচটি সুপারিশ করেন তিনি।

জ্বালানি বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেটে আমদানিতে ব্যয় বেশি এবং দেশীয় গ্যাস উৎপাদনকে অবহেলা করেছে। বর্তমান সরকারকে দেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনা করতে হবে।

চিকিৎসা বাজেট নিয়ে আলোচনায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের পথ প্রসঙ্গে চিকিৎসক ১৬টি করণীয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

গত দেড় দশকের বাজেটের প্রবণতা নিয়ে লেখক ও গবেষক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসন খাতের ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমলা ও সচিবদের বরাদ্দ ক্রমাগত বেড়েছে, যেটা কাম্য নয়।

বাজেটে বৈষম্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে লেখক এবং গবেষক কল্লোল মোস্তফা বলেন, এ দেশের কর ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক। সরকার ধনীদের কাছ থেকে কর আদায়ে জোর না দিয়ে জোর দেয় দরিদ্র-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছ থেকে পরোক্ষ কর আদায়ে। যা অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

শিক্ষা বাজেট নিয়ে আলোচনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিক বলেন, বাজেটে মোট জিডিপির ছয় ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখতে হবে। বাজেটে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং শিক্ষকদের যাবতীয় সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে।

সংস্কৃতি বাজেট নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা সজীব তানভীর বলেন, সংস্কৃতি খাতকে একটি অলাভজনক খাত হিসেবে চিন্তা করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। প্রশাসননির্ভর শিল্পচর্চা ব্যয় কমিয়ে সর্বসাধারণের কাছে সহজলভ্য করার প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

‘শ্রীলঙ্কা থেকে কী শিখলাম’ বিষয়ে আলোচনায় লেখক কৌশিক আহমেদ বলেন, শ্রীলঙ্কার এনপিপির মতো একটি নীতিনিষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক জোট তৈরি করে মানুষের অংশগ্রহণে ইশতেহার তৈরি করতে হবে। যেখানে থাকবে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার, ধর্মনিরপেক্ষতা, পরিবেশ সচেতনতা ও লিঙ্গ সমতার নিশ্চয়তা, সত্যিকার অন্তর্ভুক্তি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

জেন্ডার বাজেট নিয়ে অ্যাকটিভিস্ট মারজিয়া প্রভা বলেন, এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্র নারীর জন্য বিশেষায়িত বাজেট বরাদ্দকে জেন্ডার বাজেট হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন মন্ত্রণালয় কীভাবে তার প্রকল্পে নারীকে সুবিধাভোগীর জায়গায় রাখছে তা স্পষ্ট করতে হবে।


আরও খবর