Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর পর থেকে রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি কমতে শুরু করেছে। হাসপাতাল পরিচালক বলছেন, জরুরি রোগীর সেবায় ল্যাব সাপোর্ট, আলট্রাসনোগ্রাম, পোর্টেবল এক্সরেসহ প্রায় সব ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেবা চলমান রাখতে চিকিৎসক, সেবিকা ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন।

সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর পর থেকে জরুরী রোগীদের ভীড় বেড়েই চলেছে ।

প্রথমে একজন রোগী এলেই শুরু হয় ডাটা এন্ট্রি।এরপর রোগের উপসর্গ ভেদে শুরু হয় চিকিৎসা।সামান্য রোগ নিয়ে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী ফেরত পাঠানো হয় ।আর, রোগী জটিল হলে শুরু হয় চুড়ান্ত চিকিৎসা।সহজে সেবা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুস

সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, যে কোনও রোগী দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা নিতে পারবেন। জরুরি রোগীর সেবায় অত্যাধুনিক ল্যাব সাপোর্ট, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, পোর্টেবল এক্সরেসহ প্রায় সব ধরনের ডায়াগনস্টিক সুবিধা রয়েছে এই সার্ভিসে। প্রয়োজনে জরুরি অপারেশনের সুবিধাও মিলবে। আছে আইসিইউ সাপোর্টও।

পরিচালক বলছেন, এই মুহুর্তে জরুরী ভাবে হাসপাতালে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী আরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। সেই চাহিদা পত্র নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে

 


আরও খবর



ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোডে নিহত ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দুজনের মরদেহ এখনো পড়ে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। ডিএনএ টেস্ট করে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, দুজনের লাশ এখনো মর্গে আছে। ডিএনএ টেস্টের মধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ৪০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে থাকা সাংবাদিক অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির লাশ আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নিশ্চত হয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন (৩৫), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী (২৪) এবং তাদের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলার (৪) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে। ভবনটির অধিকাংশ ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

এরমধ্যে আগুনে হতাহতের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে দ্বিতীয় তলার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। এ রেস্টুরেন্ট থেকে কমপক্ষে ১৫টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ভবনটির নিচতলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচতলায় চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করেছিল।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, গ্রিন কোজি কোটেজ নামে ভবনটির ডেভেলপার আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনটির সব ফ্লোর ব্যবহার হচ্ছিল বাণিজ্যিকভাবে। তবে রেস্টুরেন্টের জন্য ব্যবহারের কোনো অনুমতি ছিল না এ ভবনের।


আরও খবর



আমানতের টাকা ফেরত চাওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গ্রাহকদের রাখা আমানতের টাকা ফেরত চাওয়ায় সিরাজুল ইসলাম বকুল (৪৫) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান। নিহত সিরাজুল ইসলাম বকুল নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব গ্রামের ইয়াদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে বেসরকারি একটি সংস্থার মান্দার পলাশবাড়ি শাখায় ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, দু' সপ্তাহ আগে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে আমানত কারীদের জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও হোন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমানতকারীদের চাপের মুখে গতকাল শুক্রবার বিকেলে টাকা ফেরত দেওয়ার দিন ছিলো। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্যাস বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার্ড করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর মারা যান শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল। এতে দিশোহারা হয়ে পড়েছেন ৮৮ থেকে ৯০ জন আমানতকারী। সংস্থায় জমা করা অন্তত ৬ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু'বছর আগে কশব ইউনিয়ন এর পলাশবাড়ি বাজারে সুরমা মাল্টি পারপাস এর একটি শাখা খোলা হয়। এরপর দৈনিক কিস্তিতে এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি। অল্প দিনেই এরা ব্যবসায়ী সহ এলাকার লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সংস্থার ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীরা। পলাশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, সুরমা মাল্টিপারপাস পলাশবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বকুল এলাকার বাসিন্দা। ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আমানত সংগ্রহের জন্য তৎপরতা শুরু করেন তিনি। এক লাখ টাকায় প্রতিমাসে দু হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ম্যানেজার বকুলের প্রলোভনে পা দিয়ে ঐ সংস্থায় আমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। চুক্তি অনুযায়ী কয়েক মাস ঠিকভাবে মুনাফার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে টালবাহানা শুরু করে। দু' সপ্তাহ আগে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে তারা পালিয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। রাজশাহী হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।

পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রায়পুরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়াকে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার (১০ মার্চ) সকালে পৌর শহরের প্রধান সড়ক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিঠু (৬০), যুবদল নেতা নুরে হেলাল মামুন (৪৮), মো: শাহ আলম (৪২) ও মো: রিপন (৩০)।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, অন্যায় ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের থানা পুলিশ আাটক করেছে। পুলিশের দায়েরকৃত যে মামলায় আমাদের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রায়পুরের একাধিক বারের সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়াকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ওই মামলায় অন্য সকল আসামী জামিন পেয়েছেন।


আরও খবর