Logo
শিরোনাম

সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীয়ার ১৩তম ওরশ শরিফে লাখো ভক্ত-জনতার ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার বৈশ্বিক রূপদানকারী, ইমামে আহলে সুন্নাত, শাইখুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) এর ১৩তম ওরশ শরিফ হাজারো ভক্ত জনতার উচ্ছ¡াস উদ্দীপনায় মাইজভাণ্ডার  দরাবর শরিফে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫দিনব্যাপ ওরশ শরীফের ১৯ আগস্ট শেষ দিনে  অশান্ত সংঘাতমুখর পরস্থিতি থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর পরিত্রাণ কামনায় আখেরি মুনাজাতে সামিল হন হাজার হাজার আশেক,ভক্ত-জনতা। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে শত শত পরিবহনে ওরশ শরিফে যোগ দেন অসংখ্য মানুষ। ওরশ শরিফ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, ফ্রি চিকিৎসা, রক্তের গ্র“প নির্ণয়, মাদক ও যৌতুকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, মহান মুর্শিদ কেবলার (ক.) রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানো, জিয়ারত, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, হুজুর কেবলার জিবনী আলোচনা, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ওরশ শরীফ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে হুজুর কেবলার স্থলাভিষিক্ত খেলাফতপ্রাপ্ত আওলাদ, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান  হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.) বলেন,বিশ্বে আজ নিরপরাধ মানবতার চরম অপমান-নিগ্রহ চলছে। শান্তিকামী নিরীহ মানুষের ওপর শক্তিধর মানুষের প্রবল শোষণ নিপীড়ন আজ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। নিপীড়ন-শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি শান্তিময় পৃথিবী ও মানবিক সমাজ গড়তে আজীবন দিশারীর ভূমিকা রেখেছেন হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)। তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের জীবন দর্শনের কর্মসূচির মাধ্যমে নিষ্পেষিত মানবতার বিপন্ন অবস্থা থেকে নিস্কৃতি সম্ভব। দেশে শান্তি ও জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের শান্তিবাদী গণমুখী দর্শনের পূর্ণাঙ্গ অনুসৃতি প্রয়োজন বলে তিনি মতব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামের প্রদর্শিত ইসলামের শান্তি-দর্শন ও অহিংস নীতি ব্যক্তি, পরিবার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অনুসরণ করলে বর্তমান নিগৃহীত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে। খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাড.কাজী মহসিন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী। আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী, মাওলানা মুফতী বাকী বিল¬াহ্ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী,মাওলানা মুফতী এইচএম মাকসুদুর রহমান, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান, মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সুপার মাওলানা হাফেজ নাজের হুসাইন প্রমুখ। সালাত-ছালাম পরিবেশন শেষে অশান্ত নিগৃহীত অবস্থা থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর নাজাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন পীরে ত্বরীকত মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (ম.জি.আ.)।


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনা ভারতেই আছেন, জানালেন জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে গত দুই মাসে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। গুঞ্জন ওঠে, ভারতে নাকি স্থায়ী হবেন না তিনি।

এ অবস্থায় রোববার নতুন করে গুঞ্জন ছড়ায়ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশটির আজমান শহরে তিনি অবস্থান করছেন বলেও চাউর হতে থাকে।

তবে শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার রাতে দেশের বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ২৪-কে জয় জানান, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। তার মা এখনও ভারতেই আছেন।

তিনি বলেন, আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর চাউর হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।

গত ৩ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সময় জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে বলেন, আমার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কে জানে? আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সৈয়দা তুত তাহিরার জিপিএ-৫ অর্জন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলে এবার পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ পরীক্ষার্থী।

১১টি বোর্ডে পাসের হারে শীর্ষ মাদ্রাসা বোর্ড ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। সর্বনিম্ন পাসের হার ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি জিপিএ ফাইভ ঢাকা বোর্ডে ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন।‌ সবচেয়ে কম জিপিএ ফাইভ বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ১৬৭ জন।

পাসের হারে বরাবরের মতো এবারও বাজিমতা মেয়েদের। ছেলেদের পাসের হার যেখানে ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, সেখানে মেয়েদের ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ৮০ হাজার ৯৩৩ মেয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়ে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে।

জিপিএ-৫ পেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ও জামায়াত কর্মী মোহাম্মাদ মোখলেসুর রহমান মিয়াজির মেয়ে সৈয়দা তুত তাহিরা। তার এই সাফল্যে পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার।

মোখলেসুর রহমান মিয়াজি বলেন, আমার মেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলো। আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারনে পড়ালেখা ঠিকভাবে করতে পারেনি। আমরা পরিবারের সবাই খুব চিন্তিত ছিলাম। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করায় যেমন খুশি হয়েছিলাম এখন আমার মেয়ের সাফল্যেও তেমন খুশি হয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

সৈয়দা তুত তাহিরার ভাই কুষ্টিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুস সাইফ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা দুই ভাইবোন সক্রিয় ছিলাম। সেসময় তার পড়ালেখা নিয়ে আমিও চিন্তিত ছিলাম। আল্লাহর রহমতে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ তার সাফল্যে ভাই হিসাবে আমি গর্বিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি।



আরও খবর



সাবেক মন্ত্রীসহ ১২০ জনের অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ পর্যন্ত আলোচিত ১২০ জন সাবেক শীর্ষ আমলা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী, পুলিশের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। তাদের সম্পত্তি, নামে-বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে  টাকার পরিমাণ খোঁজ নিচ্ছে তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকের বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে

এমনকি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক। আবার অনেকে দুর্নীতির  জালে ধরা পড়ার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন। বিদেশে পালিয়েছেন অনেকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অনেকে ধরা পড়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে দুদক। 

ইতোমধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের একাধিক ল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা

 দুদকের সর্বশেষ অনুসন্ধানের আওতায় আসা এই ১২০ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ব্যাংক ঋণ ও  শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য,  টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও  বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে



তদন্ত  সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের ২০ মন্ত্রী, ৮ প্রতিমন্ত্রী, ৫২ এমপি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ৪ উপাচার্য, ২ মেয়র ও সচিব, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাবেক-বর্তমান অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা  দেওয়া হয়েছে

দুদক থেকে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ঘুষ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

গত বুধবার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীসহ সাবেক ১০ জন এমপিসহ ২০ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান  শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপাতত তাদের মামলা দায়েরের দিকে না গিয়ে অনুসন্ধানের তালিকা বড় করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তাদের অনেককেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, দুদকের এখন কৌশল হচ্ছে, সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তি মাধ্যমে বিগত সরকারের দায়িত্বশীল কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এলে এই গোয়েন্দা ইউনিট থেকে সেসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করবে। সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন একই সুরে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে কমিশন

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমে আরও রয়েছেন, দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম ও মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) হারুন-অর রশিদ বিশ্বাস। নিয়োগ-বাণিজ্য, জমি দখল, লুটপাট ও প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অবৈধ সেই সম্পদের পাহাড়ের সন্ধানে তাকে ও তার স্ত্রী ওয়াহিবা আক্তার এবং মেয়ে দোয়া বিনতে রশীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ৯৯টি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তা। চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা তলবি চিঠিতে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও শেয়ারসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে

দুদক  সূত্র জানায়,  রাজধানীর কল্যাণপুরে হারুন বিশ্বাসের নিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট ও ঢাকার সাগুফতায় রয়েছে ২০ কাঠা জমি। হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাস প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি এবং নিয়োগ-বাণিজ্য করে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মণ্টু বিশ্বাস দক্ষিণ কাজীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য করে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মুলাদী থানার ৭ নম্বর কাজীরচর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন

মণ্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের ও গরুর খামার আছে। এমনকি সরকারি খাল দখল করে ১৫ একর জমির ওপর গড়েছেন মাছের ঘের। এ ব্যাপারে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অভিযোগ রয়েছে আসাদুজ্জামান খান ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন। তৎকালীন মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। ঘুষের বিশাল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করে দিতেন। যাতে কেউ ঝুঁকিতে থাকতে না হয়। 

এ ছাড়া অনুসন্ধান শুরু হয়েছে আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ চার সাবেক এমপি, সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে। 

ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে

আর চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধানে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) করেছে দুদক

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) একাধিক প্রভাবশালীর সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব তথ্য পাওয়া গেলে আরও প্রভাবশালীর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে পারে দুদক। সূত্রগুলো জানায়, দুদকের তদন্ত দলকে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো চালায়

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিশাল এই সিন্ডিকেটটি

চক্রটি চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ॥ আওয়ামী লীগ আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, রেলমন্ত্রী মো. জিলুল হাকিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী  মন্নুজান সুফিয়ান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অন্যদিকে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, চট্টগ্রাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। 

অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা গত ১ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিদেশযাত্রায়ও আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক ১৭ মন্ত্রী ও ৯ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট সাবেক ৯ মন্ত্রী ও ৫ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যাগ ॥ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২ দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান

দুদক মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়, সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে  বৈঠকে

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছেন

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে ছাগল কাণ্ডে নাম আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া করোনা রিপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের নামে মামলা করেছে দুদক। মধ্য জুলাই থেকে দুদকের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি দেখা যায়। এ সময় কমিশনের মামলা, অভিযোগপত্র কিংবা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ছিল কম


আরও খবর



পীরগাছায় তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিনিধি:


রংপুরের পীরগাছায় স্বৈরাচারের দোসর নটাবাড়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার শশুরবাড়ীর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন দ্বারা এলাকার তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত নটাবাড়ী হাইস্কুল মাঠে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক রিনা পারভীন, সমাজসেবক জিয়াউর রহমান লিটন, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, ইমরান আলী, পল্লী চিকিৎসক 

শাহজাহান মিয়া, চাঁন মিয়া, শিক্ষার্থী মারুফ হাসান।

সহকারী শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার শশুরবাড়ীর কয়েকজন আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে এলাকার তরুণ সমাজ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মানহানিকর যেসব বক্তব্য গত ৯ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন এবং আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। 

ভূক্তভোগী নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলামের স্ত্রী মমেনা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, ৯ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা আরিফ আনজুম সাবুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন। তার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং আমার স্বামী নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলাম যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন তাকে চাকরিচ্যূত করেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার তার দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ধামাচাপা দিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে উপস্থিত বক্তারা জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  নাজমুল হক সুমন জানান, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকারকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় পল্লী চিকিৎসক কর্তৃক অপারেশন করার পর রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। তার অপারেশনের পর ক্ষতস্থানের মাংস পচে খুলে পরার পর সাহেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাহেদ আলী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা (ঘোলাগাড়ী) গ্রামের মৃত কাফির উদ্দিনের ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী তার কোমরে ফোঁড়া বের হওয়ার পর নওগাঁ জেলা সদর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২ অক্টোবর নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ট করা হয় সাহেদ আলীকে। রাজশাহী (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারের লোকজন সাহেদ আলীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনাটি তাদের পারিবারিক পল্লী (প্রাথমিক) চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলকে জানালে সে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া লাগবে না জানিয়ে রেফার্ট করার দিনই সাহেদ আলীর ফোঁড়া অপারেশন করেন। এরপর ৪দিন ধরে প্রতিদিন ড্রেসিং করে দেয়। এক পর্যায়ে অপারেশন করা স্থানের মাংস পচে খুলে পড়তে লাগলে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে গত মঙ্গলবার রোগীকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে নিহত সাহেদ আলীর ছেলে ফরিদ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার বাবা গেরস্তের বাড়িতে দিন মজুরী কাজ করতেন, আমিও পেটের দায়ে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালায়। আমার বাবা ফোঁড়া জনিত কারনে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আমার বাবাকে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। বাবাকে রাজশাহীতে নেওয়ার পস্তুতিও চলছিল। সেই ফাঁকে আমাদের পরিবারের গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে বাবাকে তার চেম্বারে (সরস্বতীপুর কদমতলীর মোড়ে) নিলে গ্রাম্য ডাক্তার আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তিনি চিকিৎসার নামে আমার বাবাকে সেখানে অপারেশন করেন। গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে-ই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মুঠোফেনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডল চিকিৎসার কথা শিকার করে বলেন, আমি ত কোন সিজার বা বড়ো কোন অপারেশান করিনি। এসময় নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে রেফার্ট করা রোগী সাহেদ আলীকে ফোঁড়া'র স্থানে অপারেশান করা হয়েছে, যা আপনি করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন এবং চিকিৎসার কাগজ-পত্র ও আমরা হাতে পেয়েছি প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক এক পর্যায়ে বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি এছাড়া 

তাকে রেফার্ট করা হয়েছিল সেটিও জানতাম না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন গ্রাম্য চিকিৎসক-ই রেফার্ড করা কোন রোগীকে চিকিৎসাই করতে পারেন না। যদি এটা করা হয়ে থাকে নি:সন্ধেহে তিনি এটা অন্যায় করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলী বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4