Logo
শিরোনাম

সোনারগাঁয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নানি নাতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় নানী আনোয়ারা বেগম (৬৫) ও নাতি জাওয়াদ (৬) নিহত হয়েছেন। 

নিহতরা হলেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় টেঙ্গারচর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম (৬৫)। সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. জাওয়াদ (৬) ।

শনিবার দুপুরে আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে জাওয়াদ তার নানীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দড়িকান্দি এলাকায় সড়ক পারাপারের সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী তিশা পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু জাওয়াদের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি নবীর হোসেন  বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

  

তরুণদের বলবো, যত বড় বড় মানুষ হোকনা কেন, তুমি তাদের কথাকে নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা | কাউকে ১০০% বিশ্বাস করতে গিয়ে তোমাকে যাতে সারাজীবন কাঁদতে না হয়, ঝড়ের ভিতরে পড়তে না হয় | বড় বড় মানুষ হলেই বড় বড় সত্যের উম্মেষ ঘটবে এমনটা নয় | মানুষ বড় হলে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন তার মিষ্টি কথায় কে পুড়ে মরলো, কে বেঁচে উঠলো সেটি কখনো সে চিন্তাও করেনা | কারণ এমন মানুষ সব সময় নিজেকে সামনের দিকেই টানতে থাকে, পিছনের ফেলে আসা সময় আর মানুষ তখন তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় |

মানুষ বড় হয়ে উঠলে তার অভিনয়টাও বেড়ে যায়, লোভের নেশায় ক্রমাগত আক্রান্ত হয় | এই মানুষেরাই তাদের নিচে পড়ে থাকা মানুষদের নিয়ে খেলতে ভালোবাসে অথচ তাদের উপরের মানুষদের মিথ্যে আনুগত্য ও পরম বিশ্বাস দেখিয়ে আরও বড় থেকে বড় হবার পথ খুঁজে | পুরো জীবনটাই তাদের এমন অভিনয়ে কেটে যায় | হয়তো অভিনয়ে নিজেকে নায়ক-মহানায়ক হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে সবাইকে জোকার হিসেবে দেখার মজা থাকে কিন্তু সুখ থাকেনা | যেখানে সুখ থাকেনা, সেখানে সত্য থাকেনা |

সবাই পৃথিবীতে বড় হবার স্বপ্ন দেখে, প্রতিযোগিতায় নামে | সে নগ্ন প্রতিযোগিতায় সত্যের চেয়ে মিথ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে | খুব কম মানুষই আছে, যারা স্বপ্ন হয়তো দেখে কিন্তু সত্যকে বিসর্জন দিয়ে স্বপ্ন সফল হোক এটা তারা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনা | তারা সারাজীবন পিছনে পড়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সুখ থাকে, বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে প্রমান করার মতো সাহস থাকে |

তরুণদের বলবো, অন্ধ ভালোবাসায় গা ভাসিওনা, অন্যের বিশ্বাসের স্রোতে ভেসে গিয়ে নিজের বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলনা | তুমি নিজে যাচাই করতে শেখো, সেটা একদিন, দুইদিনে নয়, আরও অনেকটা সময় নাও, তারপর যেদিন তোমার মন সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটন করতে পারবে সেদিনই তুমি বিশ্বাস করতে শেখো | তাহলে তুমি কখনো ঠকবেনা | বিশ্বাস একটা আয়নার মতো, সেটা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায়না |

তুমি তোমার বিশ্বাসের পরীক্ষা নাও, সেখানে খাতা, কলম নিয়ে বসো, তারপর মা-বাবার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চোখের চশমাটা তার উপর রাখো | সে চশমাটা তোমাকে বুঝিয়ে দিবে তোমার বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে জয় করতে গিয়ে তোমার মা-বাবাকে চোখে চশমা পড়তে হয়েছে | সবার চশমায় বিশ্বাসকে দেখা যায়না, কারণ সবাই চশমার দোষ দিয়ে নিজের চোখের মিথ্যা বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে | বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক হলে সে বিশ্বাসের উপর যত বড় মানুষই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন তার পায়ের নিচে যে মাটি নেই সেটা হয়তো তার পক্ষে যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষন বুঝে উঠাটা খুব কঠিন |

তরুণদের তাই আবারও বলবো, তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও, মুখ থুবড়ে মাটিতে বার বার পড়ে গেলেও একসময় তোমার বিশ্বাসেরই জয় হবে | ভাড়া করা বিশ্বাস অনেক সময় ভঙ্গুর হয়


আরও খবর

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রবিবার দুপুরে  উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও এলাকার ভূঁইয়া বাড়িতে  বসতঘর হতে মরদেহ টি উদ্বার করা হয়। 

এলাকার সূত্র জানা যায় ঘরে আড়ালে  সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তরিকুল ইসলাম নাহিন (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। একই এলাকার আসাদুর জামান বাবুর পুত্র। 

নাহিনের দাদী আলেয়া বেগম জানান রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরে। সকাল ৯টার দিকে নাহিনের কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা খুলার চেষ্টা করি। পরে ঘরের পিছনের দিকের দরজার ফাক দিয়ে দেখতে পাই নাহিন ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। 

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর  জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের একটি ফ্লাটে আগুনে দগ্ধ, র‌্যাব সদস্যসহ এক নারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে একটি ফ্লাটে আগুনলেগে এক র‌্যাব সদস্যসহ এক নারী আগুনে ঝলসে গেছে । বৃহস্প্রতিবার ভোর তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ  র‌্যাব সদস্য অভিজিৎ  সিং ও নারী টুম্পা রানীকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।  অভিজিৎ সিংয়ের ৯০ শতাংশ এবং টুম্পা রানীর ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। 

পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকার ফজলুল হকের বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া টুম্পা রানী। ওই নারী অভিজিৎ সিংয়ের নিকট আত্বীয় । সেই সুবাদে অভিজিত  টুম্পা রানীর বাসায় যায়। রাতে ওই বাসায় আগুন লেগে দুজন দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে র‌্যাব তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, টুম্পা রানীর সাথে তার স্বামী হরি কমলের সম্পর্ক খুব বেশী ভালো নয়। দুই ছেলের জননী টুম্পানী রানীর সঙ্গে র‌্যাবের এই সদস্যের অনৈতিক কোন সম্পর্ক ছিলো।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, আগুনের খবর পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে কি ভাবে আগুন লেগেছে তা বুঝা যাচ্ছে না।  বিষয়টি থতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

র‌্যাব ১১ সিও লে কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে অভিজিতকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। র‌্যাব সদস্য  অভিজিৎ সিং ছুটিতে ছিলো। নৌ বাহিনী থেকে তাকে র‌্যাবে বদলী করা হয়েছে।  অভিজিৎ সিং ৯০ শতাংশ এবং টুম্পা রানী ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারা দুজনই কেউ কথা বলার পর্যায়ে নেই। তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক বা,কি কারণে আগুন লেগেছে তদন্তের পর বলা যাবে।


আরও খবর



রাণীনগরে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত : পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধের দুইটি এবং আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীর একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে দুই উপজেলার ৮/১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। এছাড়া পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে আমন ধান,ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বুধবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই বাঁধগুলো ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।দ্রুতই পানিবন্দি পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।

রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন,গত দুই/তিন থেকে হঠা’ করেই ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার গভীর রাতে নান্দাইবাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে পানির তোরে মাদ্রাসার একটি কক্ষের ইটের দেয়ালও ভেঙ্গে যায়।এছাড়া আধা কিলোমিটার দুরেই দক্ষিন নান্দাই বাড়ীর বেরিবাধ ভেঙ্গে যায়।এতে ওই এলাকার কিষ্টপুর,মালঞ্চি,নান্দাইবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে পরে। এতে প্রায় ৪/৫শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। এছাড়া ওই এলাকার পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জমির ধান,সবজি পানিতে তলে গেছে।

রাণীগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দেড়/দুইশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন,বন্যার পানিতে ওই এলাকার প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। ডুবে গেছ সবজি ক্ষেত। ম’স্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় জানান,২৩টি পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২৬লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

আত্রাউ উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন,বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আত্রাই নদীর নন্দনালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়কের নন্দনালী সরদারপাড়া তালতলা এলাকায় পাকা সড়ক পানির তোরে ভেঙ্গে গেছে।

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন,বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে প্রায় একহাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ১০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,সকাল থেকেই আমরা দূর্গত এলাকায় রয়েছি এবং ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া দূর্গতদের জন্য খাদ্যসহায়তা থেকে সার্বিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। আসা করছি খুব দ্রæতই আমরা সহযোগিতা করতে পারবো।


আরও খবর



শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শপথ নিয়েছেন নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।

এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবা মরহুম ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস কনফারেন্সে অংশ নেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে একই সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ইত্যাদি।

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।


আরও খবর