Logo
শিরোনাম

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



বিডি টুডে রিপোর্ট:


চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। 


গত মঙ্গলবার (১১ জুন) সৌদির পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়। খবর আল অ্যারাবিয়ার।


অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার (১০ জুন) পর্যন্ত আকাশ, স্থল ও সমুদ্র বন্দর দিয়ে সৌদি আরবে আসা হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।


এ বছর ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২ জন হজযাত্রী বিভিন্ন ফ্লাইটে, ৫৯ হাজার ২৭৩ জন হজযাত্রী স্থলবন্দর দিয়ে এবং ৪ হাজার ৭১০ জন হজযাত্রী সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।


সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজযাত্রীদের প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সব ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে।


গত বছর হজ করতে ১৫০টিরও বেশি দেশ থেকে ১৮ লাখের বেশি মানুষ সৌদি আরবে জড়ো হন। এবার তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।



হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। সক্ষম যেকোনো মুসলমানের ওপর অন্তত একবার হলেও হজ করা ফরজ। এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন)।


সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, এবারের হজ মৌসুমে উচ্চ তাপমাত্রা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় কমেছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজার ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে দেশে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৮২৬ জন।

আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের রোজার ঈদের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ২১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং আহত কমেছে ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের বছরের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত ধাপে ধাপে ও স্বস্তিদায়ক হওয়ার কারণে গেলবারের তুলনায় এবার সড়কে হতাহতের সংখ্যা কমে এসেছে বলে তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে এই সংগঠন। তাই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার একগুচ্ছ সুপারিশে তারা ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ বুধবার ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার দিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের দুর্ঘটনার তথ্য এসেছে এ প্রতিবেদনে। বরাবরের মতোই সংবাদমাধ্যমে আসা দুর্ঘটনার খবর সঙ্কলিত করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর



সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এ দৃশ্যমান হতে হবে; আর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার- এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

আজ শনিবার লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু এটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো কিছু কু-রাজনীতক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। এ সময় জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

দেশবাসীর উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলেছে এই কথাগুলো বলে বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলব। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাত কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য জীবন দেব, তবুও দেশের সার্বভৌমত্ব দেব না। কারও লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাব না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে বন্দী হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা কী আপনারা সবাই চান যেদিন এই দেশে ইনসাফ ন্যায়বিচার কায়েম হবে। আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আপনাদের ভালবাসা দরকার, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই, ইতিবাচক সমালোচনাও চাই।আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগুতে চাই।

এর আগে জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসে উপস্থিত হন।জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে মহিলাদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সময় জনসভায় বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



সবজিতে স্বস্তি, লাগামছাড়া মুরগি-চালের বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

সবজির বাজারে ক্রেতার স্বস্তি থাকলেও দুঃসংবাদ রয়েছে মুরগির বাজারে। গত এক সপ্তাহে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দর বেড়েছে মুরগির। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বাড়ার কারণে দর বাড়ছে। একই সঙ্গে আগের মতোই চড়া দর দেখা গেছে চালের বাজারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, কলমিলতা বাজার ও তেজকুনিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ টাকার মতো। সে হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সোনালি জাতের মুরগি কেনা গেছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।

দর বাড়ার কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউসের বিক্রয়কর্মী মো. নবী বলেন, প্রতি বছর রোজার শেষদিকে মুরগির দর বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য দাম বাড়তি। তিনি বলেন, প্রতিদিনই একটু একটু করে দর বাড়ছে মুরগির। এ ছাড়া গরুর মাংসের কেজি কেনা যাবে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। তবে ডিমের দাম কমতির দিকে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। মাসখানেক ধরেই এ দরের আশপাশে রয়েছে ডিম।

সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। উচ্ছে এবং ঢ্যাঁড়শের মতো দু-তিনটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দর কম। মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। ঢ্যাঁড়শ ও উচ্ছের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দর এখন তলানিতে। প্রতি কেজি আলু কেনা যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।

পেঁয়াজের দরও কমছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দর দেখা গেছে এলাচের। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি করছেন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে।

এদিকে চালের বাজারে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। গত সপ্তাহের মতোই সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫, মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের বাজারে বোতলের আকাল এখনও আছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দুই-তিন মাস ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ ঘাটতি নিয়েই চলছে বাজার।


আরও খবর



আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আধুনিক ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর হাত ধরে একটু বিবর্তিত হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরে দুটি নতুন নিয়ম যুক্ত করার পাশাপাশি পুরোনো একটি নিয়মও ফিরিয়েছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইতে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে আইপিএলের ১৮তম আসরের ‘ক্যাপ্টেনস মিট’ হয়। সেখানে ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়মের বদলগুলো অবহিত করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতীয় কন্ডিশনে রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব থাকে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে মনে করছে আয়োজকরা। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর যেকোনো সময় আরেকটি বল নিতে পারবে ফিল্ডিং দল।

তবে বল পরিবর্তনের আগে আম্পায়ার পরীক্ষা করে নেবেন আগের বলটি শিশিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।

আরেকটি নিয়মে এবার থেকে উচ্চতা এবং অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বলে ডিআরএস নেওয়া হলে হক-আই এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে আইসিসি এখনো বলে থুতু বা লালার ব্যবহার শিথিল না করলেও করোনার সময় আরোপিত এই নিয়ম এবার থাকছে না আইপিএলে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫