Logo
শিরোনাম

সৌদি যাচ্ছেন বাইডেনের উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি সৌদি নেতাদের পাশাপাশি ভারতীয় ও আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সপ্তাহের শেষে সৌদি আরব সফর করবেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে দেওয়া বক্তৃতায় জ্যাক সুলিভান বলেন, এ সপ্তাহের শেষদিকে আমি সৌদি আরবের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করব।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া সুলিভানের সফরটি এসেছে যখন ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাইডেনের সৌদি আরব সফরের পর থেকে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যদিও দুটি দেশ সম্প্রতি সুদানের সংকটসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।

সুলিভান বলেন, আমার প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা বৈঠকের জন্য সৌদি আরবে আসবেন, যাতে আমরা নয়াদিল্লি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, যা ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গত বছর স্বাক্ষরিত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জোরালো হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের কিছু অত্যন্ত বাস্তব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। আমরা মনে করি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এ অঞ্চলে যা দেখেছি তার থেকে এটি ভিন্ন হবে।

মার্কিন কৌশলের বক্তৃতায় সুলিভান বলেছেন, সপ্তাহান্তে আলোচনার সময় ইয়েমেনের সংঘাত একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হবে। অন্তত যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি রোডম্যাপে কাজ করার জন্য তারা সৌদি উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে বাইডেনের শীর্ষ সহযোগী সুলিভান মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং তিনি এ অঞ্চলের প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, এ কৌশল পাঁচটি মৌলিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে, এগুলো হচ্ছে অংশীদারিত্ব, প্রতিরোধ, কূটনীতি এবং সংঘাত নিরসন, একীকরণ এবং মূল্যবোধ গড়ে তোলা।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

অবশেষে ১০০০ কোটির মাইলফলকে পৌঁছল শাহরুখ খান অভিনীত জওয়ান সিনেমা। আর এ রেকর্ড গড়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সেরা ইতিহাস গড়লেন বলিউড বাদশাহ।

রোমান্টিক অ্যাকশন সিনেমা জওয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলে। সেই ঝড় এখনো থামেনি। ভাঙছে পুরোনো সব রেকর্ড। রেকর্ড ভাঙার দৌঁড়ে মাত্র কয়েক দিন আগেই নিজের অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহরুখ। রাজকীয় কায়দায় আবারও নিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কিং খান।

মুক্তির মাত্র ১৭ দিনেই ভারতীয় বাজারে পাঠান সিনেমাকে হারিয়ে দিয়ে শীর্ষের তালিকায় এগিয়ে যায় জওয়ান সিনেমা। ওই রেকর্ড ভাঙার পর আবারও নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার দৌঁড়ে সাফল্য পেয়েছেন অভিনেতা। বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি জওয়ান সিনেমা ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, মুক্তির মাত্র ১৮ দিনেই দর্শকদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারায় পাঠান সিনেমার আরেকটি রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে জওয়ান সিনেমাটি।

সমীক্ষা বলছে, পাঠান সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ২৭ দিনে হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। অন্যদিকে জওয়ান সিনেমা তা মাত্র ১৮ দিনেই করে দেখিয়েছে। ১৮ দিন শেষে সিনেমাটির কালেকশন ১ হাজার ৪ কোটি রুপি। তাই সবচেয়ে কম সময়ে ১ হাজার কোটি কালেকশন করা হিন্দি সিনেমার তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান করছে জওয়ান


আরও খবর

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন অধ্যায়ে পরীর প্রথম নায়ক কে?

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচন চায় না, উল্লেখ করে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়-তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?

তিনি বলেন, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



রাণীনগরে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে নওগাঁর রাণীনগরে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার উন্নয়নে-উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার“ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার বিকেলে উপজেলা চত্বরে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়।

রাণীনগর উপজেলার প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান। ফিতা কেটে এবং ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু। এসময় খট্রেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দনা শারমিন রুমকি,উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন,পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহাবুবুর হোসেন,ম’স্য কর্মকর্তা শিল্পী রায়,উপজেলার আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা,কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক সেন্টু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ঘোষণা করা হয় ১৬৯ টাকা। তবে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দেয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও বাজারে কার্যকর হয়নি সরকার নির্ধারিত দাম। এটি কার্যকর করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপও দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান ও অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় কয়েকটি কোল্ডস্টোরেজ মালিককে জরিমানা করে দায় সেরেছে ভোক্তা অধিদফতর।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর কোনো সঙ্কট নেই। সরবরাহ ভালো হওয়ায় কেনাও যাচ্ছে চাহিদামতো। তবে স্বস্তি মিলছে না দামে। ৩৬ টাকার আলু খুচরা বাজারে কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। একই চিত্র পেঁয়াজের বাজারেও। দেশী পেঁয়াজের কেজি ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে ২০ টাকা বেশি। আর ডিমের দাম স্থির হয়ে আছে ১৫০ টাকায়। যদিও সরকার ঠিক করে দিয়েছে ১৪৪ টাকা।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজি দরে, আর আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই সাথে ডিম প্রতি হালি সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যেই পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকায়। সেই হিসেবে এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।


একইভাবে যে আলু বর্তমানে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গত বছর এই সময় সেই আলু বিক্রি হয়েছে ২৩ থেকে ৩০ টাকায়। ফলে এক বছরে আলুর দাম বেড়েছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি ডিমের দাম এক বছরে বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

বাজারের এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছে, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আমরা এসব আলু, ডিম, পেঁয়াজ এখনও বাড়তি দামেই কিনছি। বাজার মনিটরিং যদি না থাকে তাহলে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কি লাভ হলো? দাম নির্ধারণের আগেও যে দামে কিনেছি এখনো সেই বাড়তি দামেই কিনছি।
বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া পেঁয়াজ, আলু ও ডিম এই তিন পণ্যের মধ্যে একটির দামও পাইকারি বাজারে কমেনি। তাই আমরা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি না। দেশী পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ডিমের হালি ৫০ টাকা।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম বেশ কিছু শীতকালীন সবজি এরই মধ্যে চলে এসেছে বাজারে। তবে এর মধ্যে হাতেগোনা কিছু সবজির দামই নাগালের মধ্যে, বাকি সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি পিস জালি কুমড়া (চাল কুমড়া) ৬০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা আর দেশী মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির গোশত প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি লাল শাক, মুলাশাক ও কলমি শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, লাউশাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দুই-আড়াই কেজি ওজনের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আর তিন কেজির বেশি ওজনের হলে দাম হাঁকা হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। মাঝারি ও বড় সাইজের কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪৬০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ভাড়া কমিয়েও যাত্রী মিলছে না লঞ্চে । ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে লঞ্চযাত্রীর সংখ্যা কমার পেছনে চারটি প্রধান কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছেপদ্মা সেতুর কারণে রাজধানী ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, মহানগরীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে দুঃসহ যানজট, প্রয়োজনীয় খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণের অভাবে বিভিন্ন নৌপথে তীব্র নাব্যসংকট এবং টার্মিনালসহ এর আশেপাশে ইজারাদারের লোকজন ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য। নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনা, নৌযান ও বাসমালিক, নৌ ও বাসশ্রমিক, সাধারণ যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে জাতীয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন নৌপথে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে। এর মধ্যে গত এক বছরেই কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এই মন্দার কারণে নৌযান মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এবং লঞ্চ চলাচল কমে আসছে। ফলে অনেক নৌযান- শ্রমিকও দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছেন।

জাতীয় কমিটি জানায়, ঢাকা থেকে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার যাত্রী। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা শহরের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগের ২১ জেলার অত্যাধুনিক সড়ক যোগাযোগ হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত করতে পারছে। ফলে বরিশালগামী যাত্রীদের একটি বড় অংশ আর লঞ্চে চড়ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীদের সদরঘাট পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু গুলিস্তান, দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু (বাবুবাজার ব্রিজ) ও শ্যামপুর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে সারা বছর তীব্র যানজট থাকে। এতে মানুষের দীর্ঘ সময় নষ্ট ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে অনেক মানুষ লঞ্চে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।

নাব্যসংকটের কারণেও নৌপথে যাত্রী কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নাব্যসংকট নিরসনে পর্যাপ্ত অর্থ দিলেও নদীগুলো যথাযথভাবে খনন করা হচ্ছে না। অনেক নৌপথে নিয়মিত পলি অপসারণের জন্য সংরক্ষণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ফলে মালিকরা ঢাকা থেকে নাব্যহীন নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিকে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়া সদরঘাট টার্মিনালসহ আশেপাশের ঘাটগুলোতে হয়রানির কারণেও লঞ্চযাত্রী কমছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামালের টোল বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। কুলি-মজুররাও মালামাল নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে এবং বাড়তি মজুরি নেয়। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ লঞ্চযাত্রী কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতীয় কমিটি সংকট নিরসনে সাতটি সুপারিশ হলো :

১. শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ার (জিপিও মোড়) থেকে সদরঘাট পর্যন্ত অবিলম্বে উড়াল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ সেতু সদরঘাট থেকে একদিকে বাবুবাজার ব্রিজ, অপরদিকে শ্যামপুর পর্যন্ত সংযুক্তকরণ।

২. উড়াল সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত উল্লিখিত সড়কগুলোকে যানজটমুক্ত রাখতে দুপাশের হকারসহ সব ধরনের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার।

৩. প্রয়োজনীয় খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে সব নৌপথে সারা বছর নাব্য সংরক্ষণ।

৪. টার্মিনাল ও আশপাশের ঘাটগুলোতে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইজারাদার ও কুলি-মজুরের দৌরাত্ম্য বন্ধ। ৫. লঞ্চে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ও নৌ দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬. টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন, যাত্রীদের বিনামূলে টয়লেট ব্যবহার, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

৭. লঞ্চমালিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান। 


আরও খবর