Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সৌদিতে কুমিল্লার তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার,পরিবার বলছে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ,কু‌মিল্লা

সৌদি আরবের মক্কায় রাস্তার পাশ থেকে এক বাংলাদেশি তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন তার খালুশ্বশুর। নিহত বাংলাদেশির নাম হাসিবুল হাসান মুন্সী। তিনি ওই হাসপাতালে কাজ করতেন।

হাসিবুলের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ গ্রামে। তিনি আবদুল হান্নান মুন্সীর জ্যেষ্ঠ ছেলে। দেশে হাসিবুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। 

সোমবার (৯মে) হাসিবুলের মা নাসিমা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরদিন শুক্রবার ভোরে হাসিবুল তার স্ত্রীর সাঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিন দিন পর তার খালুশ্বশুর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। 

হাসিবুলের পরিবার মনে করছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়িচাপায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করছে ওই হাসপাতালের মালিকপক্ষ। হাসিবুলের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আহাজারি করছেন বাবা-মা। 

পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে এক আত্মীয়র মাধ্যমে চাকরির জন্য হাসিবুল সৌদি যান। তিন মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। কিছুদিন আগে আবারও উপার্জনের তাগিদে তিনি সৌদিতে কর্মস্থলে ফিরে যান। অনলাই‌নের জন‌্য


আরও খবর

রোজার আগে পেঁয়াজ-চিনি আমদানি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




হট্টগোলের মাঝেই পাকিস্তানে নতুন সরকারের শপথ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিন পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মাঝে শপথ নিয়েছেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। দিন দুয়েকের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন হয়ে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে বেশ উদ্বেগজনক খবরই পেয়েছে দেশটি। পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন। একই চিঠি তারা লিখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকেও। শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে লেখা একটি চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

পাকিস্তানের ভোটাররা গত মাসে নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি ভোট ঘনিয়ে আসার আগে গ্রেপ্তার এবং সহিংসতার বৃদ্ধি; এবং অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারণে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে নির্বাচনী অনিয়ম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তদন্তের আহ্বান জানায়।

রয়টার্স বলছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। যদিও কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন লাভ করেছেন।

ইমরান খান-সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন জিতেছেন, কিন্তু এরপরও সরকার গঠনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। পরে তিনি এবং তার দল ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।

এই পরিস্থিতিতে ৭৯ আসন পাওয়া পিএমএল-এন এবং ৫৪ টি আসনে জয় পাওয়া পিপিপির জোটবদ্ধ একত্রিত সংখ্যা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে এবং সরকার গঠনের জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। যদিও জোটের মধ্যে ছোট কিছু দলও রয়েছে।

বুধবার লেখা ওই চিঠিটিতে নির্বাচনী অনিয়ম ও হস্তক্ষেপের অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে অনুরোধ করেছেন আইনপ্রণেতারা।

একইসঙ্গে রাজনৈতিক বক্তৃতা বা কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের এই ধরনের মামলার তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে একটি কথা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আর তা হচ্ছে, যদি প্রাসঙ্গিক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে ওয়াশিংটন তার সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা স্থগিতের মতো পদক্ষেপকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।

রয়টার্স বলছে, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিনিধি গ্রেগ ক্যাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রতিনিধি প্রমিলা জয়পাল, রাশিদা তালাইব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লির মতো আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পরে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। যদিও সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কথা বরাবরই অস্বীকার করে থাকে।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতেছিল। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মাধ্যমে ইমরানকে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং তাকে দীর্ঘ কারাবাসের শাস্তিও দেওয়া হয়।

যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।


আরও খবর



মাধবদীতে মিষ্টির কারিগর খুন মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যাকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর মাধবদীতে নিজের বসতঘরে নির্মল দেবনাথ (৪৫) নামে এক মিষ্টির কারিগর খুনের ঘটনার প্রায় ৪ মাস পর রহস্য উদঘাটন করেছে নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। খুনের সময় নির্মল দেবনাথের খোয়া যাওয়া বাটন মোবাইলটি চারজনের হাতবদল হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে সচল হয়। এক এক করে সর্বশেষ ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতেই বেরিয়ে আসে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

নিহত নির্মল দেবনাথ মাধবদী পৌর শহরের জলখাবার মিষ্টি দোকানের কারিগর ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের সরারচর কোতালিয়া এলাকার রঞ্জিত দেবনাথের ছেলে। তিনি দক্ষিণ বিরামপুরে নিজ মালিকানাধীন একটি একতলা বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ভাই ফোটা উপলক্ষে সন্তানদের নিয়ে শিবপুরের শাষপুর এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান নির্মল দেবনাথ এর স্ত্রী মনি দেবনাথ। ঐ রাতে তারা বাড়ি না ফেরায় নির্মল দেবনাথ নিজ বাড়িতে একাই ছিলেন। পরীক্ষা থাকায় তাঁর ছেলে স্কুলছাত্র অর্থ দেবনাথ পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে সে ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পায় এবং খাটে পিতা নির্মল দেবনাথের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া যায়।

কে বা কারা নির্মল দেবনাথকে খুন করে তার ব্যবহৃত সিম্ফোনি বাটন মোবাইলটি নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে দুর্জয় দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ‘মামলাটির তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভুক্তভোগী নির্মল দেবনাথের মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করা হয়। একপর্যায়ে জানা যায় মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা এলাকায় সচল রয়েছে। গত ১ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে লাইলী খাতুন নামে একজনকে ওই মোবাইলসহ আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইলের বিষয়ে লাইলী জানায় মাধবদী এলাকায় চাকরি করার সময় শাকিল নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। শাকিল তাঁকে মোবাইলটি দিয়েছিল। পরে শাকিলকে নরসিংদী থেকে আটক করা হলে সে জানায়, রবিন নামে একজনের কাছ থেকে ২৫০ টাকায় মোবাইলটি কিনেছিল সে। একপর্যায়ে রবিনকে আটক করলে সে জানায়, প্রায় তিন মাস আগে মোবাইলটি তার ফুফাতো ভাই মাসুম বিল্লা তাকে বিক্রির জন্য দেয়। পরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গত ৬ মার্চ মাধবদী থেকে মাসুম বিল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুম বিল্লা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে।’

মাসুম বিল্লার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘গত ১৪ নভেম্বর রাত তিনটার দিকে চুরির উদ্দেশ্যে বাড়ির ছাদে উঠে গেট দিয়ে নির্মল দেবনাথের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘুমন্ত নির্মলের মোবাইল ও মানিব্যাগটি নিয়ে নেয় সে। একপর্যায়ে ঘুম ভেঙে গেলে নির্মল বটি নিয়ে চোরকে ধাওয়া করে। ধারালো বটি হাতে মাসুম বিল্লার দিকে এগিয়ে গেলে, সে তার হাত ধরে ফেলে। এরপর তাদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মাসুম বিল্লা নির্মলের হাতে থাকা বটি কেড়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।


আরও খবর



বাংলাদেশী নাবিকদের হত্যার হুমকি জলদস্যুদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুরা মঙ্গলবার দুপুরের বাংলাদেশের জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল করে ২৩ জন নাবিককে বন্দী করেছে।

জলদস্যুদের হাতে বন্দী জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে অডিও মেসেজ পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।

ওই জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে এবং ২০০ টন খাবার পানি আছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০ জনের মতো জলদস্যু জাহাজে আছে।

জাহাজটি মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল। বাংলাদেশের সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়া জলদস্যুরা জাহাজে উঠে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশী। জাহাজটির মালিক হলো চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেড।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। জলদস্যুরা একটি বড় ও একটি ছোট নৌযানে করে আসে। তারা ওই এলাকায় চলাচলকারী অন্য জাহাজগুলোতে সতর্ক করে দিয়েছে।

এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, জাহাজ পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের ২৩ জন নাবিক ও ক্রু জাহাজে আছেন। জলদস্যুরা তাদের বন্দী করেছে। তাদের জাহাজের কেবিনে রেখেছে। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

অপর একটি গণমাধ্যমে চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের মা শাহনূর বেগমের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন তারা ইফতার করছিলেন, তখন ফোন করেন আতিক। সে বলেছে, চিন্তা না করার জন্য। চারদিকে বন্দুক নিয়ে জলদস্যুরা পাহারা দিচ্ছে। জাহাজের কর্মীদের কেবিনে রাখা হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



আইজিবি পদক পেলেন মাধবদী থানার ওসি কামরুজ্জামান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :

পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২৩ ইন্সপেক্টর জেনারেল ম্যাডেল (আইজিপি) পদক পেলেন মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণরে মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদান রাখা এবং অসামান্য সেবামূলক কাজের জন্য আইজিপি পদক পেয়েছেন নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সারাদেশ তিনিসহ ৪৮৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবছর আইজিপি পদক পেয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে আইজিপি পদক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম(বার), পিপিএম অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২৩ সম্মাননা প্রদান ও ব্যজ পরিয়ে দেন মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে। এসময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আইজিপি পদক প্রাপ্তির পর মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ হাওলাদারের নেতৃত্বে থানার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ ব্যাপার মাধবদী থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান এটা আমার জন্য বড় পাওয়া আমার কর্ম জীবনের শুরু থেকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা ভক্তি সহকারে আমি আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছি এ সম্মান আমাকে আরো দায়িত্ববান করে তুলবে দেশ ও জাতির সেবায় সব সময় নিয়োজিত থাকবো।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম, স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। 

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,প্রমুখ। 

উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন  বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আবারও মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানযার ইমামতি করেন মাওলানা শায়খ বাহাউদ্দীন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর