Logo
শিরোনাম

স্পেনের বার্সেলোনায় শাকিবের 'তুফান' দেখল একজন দর্শক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image



বিনোদন ডেস্ক:


দেশে দারুণ সাফল্যের পরে বিশ্বের ১৫টি দেশে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের নতুন ছবি ‘তুফান’। তবে রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমাটি বিভিন্ন দেশে সিনেমাটি দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেললেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেল স্পেন-এর বার্সেলোনার একটি থিয়েটারে। 



বার্সেলোনার একটি থিয়েটারে শতাধিক আসনের থিয়েটারে মাত্র একজন দর্শক এই সিনেমা দেখেছেন। শনিবার বিকেলে ফারিয়া আক্তার আনিতা নামের এক তরুণীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এমন একটি চিত্রের দেখা মিলেছে।



ভিডিওতে ওই তরুণীকে বলতে শোনা যায়, আমি শাকিব খানের বড় একজন ভক্ত। এই মুহূর্তে তার ‘তুফান’ দেখছি বার্সেলোনা। আই লাভ মুভি। আমি ‘তুফান-২’-এর অপেক্ষায় আছি। পুরো থিয়েটারে আমি একাই কিন্তু, আমি কিছু মনে করছি না (হাহাহা)।


ভিডিওতে, আনিতা বাদে কাউকে থিয়েটারে দেখা যায়নি। তবে তিনি বেশ উপভোগ করেছেন সিনেমাটি সেটাও জানিয়েছেন।



আনিতা আরও লেখেন, ‘এটা সত্যিই ভালো মুভি, মানুষের দেখা উচিত। এই মুহূর্তে শাকিবের অভিনয় দক্ষতা এখন বলিউড অভিনেতাদের চেয়েও ভালো।’




আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আবুধাবি, বাহরাইন, কাতার, ওমানের শতাধিক থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’।


আরও খবর



আরেফিন স্যারের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শরিফুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক উপাচার্য যিনি প্রায় পাঁচ দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন, অধ্যাপনা করেছেন আজকে তাঁর জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়, এক ধরনের ফ্যাসিজম। যে কারণেই হোক যাদের কারণেই হোক এই যে স্যারকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হলো না তাতে স্যারের কিছু যায় আসে না কারণ স্যার সবকিছুর উর্ধ্বে। এই ঘটনায় ছোট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছোট হয়েছে। 

আরেফিন স্যারের পরিবার বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহকর্মীরা চাইলে মর্যাদার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। যাদের কারণে যাদের ব্যর্থতায় যাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বাধায় সেটি হলো না এবং একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি হলো আল্লাহ তাদের বোধ দিক! 

যারা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধা ছিল না তাদের কাছে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন পরিবারকে বললো না আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। এখনো দাফন হয়নি। তারা বলুক আরেকটা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক। অন্তত দাফনের আগে দায়িত্ব নিয়ে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে সম্মান দিক! কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাবেক উপাচার্যের জন্য তা করছে না? 

সাংবাদিকরা যখন বর্তমান উপাচার্যকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন কেন তিনি উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন? আমি নিশ্চিত করে বলছি গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবার সাথে কথা হয়েছে। কেউ দায়িত্ব নেননি বরং নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।

যাই হোক, এসব কথা বলে লাভ নেই। স্যারের পরিবার ভীষণ বিনয়ী। আরেফিন স্যরের জানাজার নামাজ বাদ জু'মা ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে ( সড়ক ৬/এ) হবে। এখানেই বিভাগ, অ্যালামনাই, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভাগের ব্যাচগুলোর পক্ষ থেকে স্যরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর আগে স্যরের পারিবারিক বাড়ির (১, নর্থ রোড) কাছে, ভুতের গলি বাইতুল আকসা মসজিদে  সকাল এগারোটায় আরেকটি জানাজার কর্মসূচি হয়েছে।

আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ব্যক্তি আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকালে সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কিংবা মনিরুজ্জামান মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা পড়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ভিন্নমতের মানুষসহ সবার প্রতি তিনি অমায়িক ছিলেন। সবার পাশে থাকতেন। 

এই দেশে এমন মানুষ পাওয়া বিরল যিনি বলতে পারবেন আরেফিন স্যার কারো সাথে কোনদিন কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি তো বলবো শুধুমাত্র অমায়িক ব্যবহার বা ভালো আখলাকের কারণে আরেফিন স্যার আল্লাহর রহমতে জান্নাতবাসী হবেন। 

আবারো বলি, গত ২৪ বছর ধরে স্যারকে দেখেছি। এমন বিনয়ী শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য শিক্ষক এই দেশে খুব বেশি আছে বলে দেখিনি। দিন রাত সবসময় একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল হোক তিনি যেই আদর্শের। এমন কোন মানুষ নেই যার সংকটে তিনি পাশে থাকেননি। 

স্যারকে প্রথম দেখি ২০০১ সালের মার্চে। এরপর গত ২৪ বছরে কখনো স্যারের সরাসরি ছাত্র, কখনো সাংবাদিক, কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, কখনো অভিভাবক হিসেবে স্যারকে পেয়েছি‌।‌ স্যারের সেই সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে শুরু করে টিচার্স ক্লাব, উপাচার্য কার্যালয়, উপাচার্য বাংলো, টিএসসি নানা জায়গায় নানা পরিচয়ে স্যারকে দেখেছি‌। সবসময় সবাইকে তিনি মানুষ হবার কথা বলতেন!

দেখেন এক জীবনে তো কম মানুষ দেখলাম না। উপাচার্য বলেন, শিক্ষক বলেন, মানুষ বলেন, অভিভাবক বলেন  এই যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন অন্তঃপ্রাণ শিক্ষক বিরল! সত্যি বলতে তাঁর ব্যক্তিগত কোন জীবন ছিলো না। বলতে গেলে পুরো জীবনটা অন্যের জন্য কাটিয়েছেন।‌ যে কেউ যে কোন সংকট নিয়ে গেলে তিনি শুনতেন।‌ সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। 

স্যারের ছাত্র ছাত্রী কিংবা স্যারকে সামনাসামনি দেখেছে এমন মানুষদের জিজ্ঞেস করলেই জানবেন কতোটা শিক্ষার্থী অন্তঃপ্রাণ তিনি ছিলেন। আমার সাথে স্যারের সম্পর্কটা সবসময় দারুণ ছিলো কারণ সম্পর্কটা নিঃস্বার্থ ছিলো।‌ আমি বলবো, এই দেশে তাঁর চেয়ে ভালো একাডেমিসিয়ান থাকতে পারেন কিন্তু শিক্ষার্থী বান্ধব এমন শিক্ষক এমন অভিভাবক এমন উপাচার্য বিরল! আমি অন্তত পাইনি। 

আমাদের সেই স্যার গতরাতে চলে গেলেন। আজকে বাদ জুমা জানাজার নামাজ শেষে স্যরের মরদেহ রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরে দাফন করা হবে। আল্লাহ আমাদের স্যারকে জান্নাতবাসী করুন। অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যার আপনার জন্য! আপনি বেঁচে থাকবেন হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




চাকরি যাবে জানলে ট্রাম্পকে ভোট দিতাম না

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক মার্কিনরা মনে করেছিলেন ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। সেই আশায় তারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তারা চাকরি হারাবেন। ট্রাম্পকে বড় আশা করে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড। তার ধারণা ছিল ট্রাম্প ক্ষমতায় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই গ্রগনার্ড বুঝে ফেলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে কত বড় ভুল করেছেন। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে হাজার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে, গ্রগনার্ডও তাদের মধ্যে রয়েছেন। মার্কিন কৃষি বিভাগে একজন আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।

সিএনএনকে এই রিপাবলিকান ভোটার বলেন, ‘চাকরি হারিয়ে আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটি ছিল আমার কাছে স্বপ্নের চাকরি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে এই সেদিনই জায়গা পাল্টে আরকানসাসের লিটল রক এলাকায় এসেছেন। বলেন, ‘আশা করছিলাম, চাকরিটা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।’

তার মতোই চাকরি হারানো অনেক ফেডারেল কর্মীও ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছিলেন। সাবেক এই কর্মীদের কয়েকজন সিএনএনকে বলেন, তারা ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের নীতি তাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং এ নীতি তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু এখন চাকরিই চলে গেছে। কাজ খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চাকরি হারানো আরেকজন হলেন জেমস ডায়াজ। তিনি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগে (আইআরএস) কাজ করতেন। ডায়াজ সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি ঠিক, কিন্তু তার প্রশাসন যেভাবে গণহারে কর্মীদের চাকরি খাচ্ছে, তার সঙ্গে একমত নই।’

চাকরি হারানো কিছু ফেডারেল কর্মী এখন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছেন। সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেসের সাবেক একজন নারী কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন চাকরি শুরু করার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল ট্রাম্প নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও মূল্যস্ফীতি কমানোর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবেন। কিন্তু তিনি এমনটা করবেন জানলে তাকে কখনোই ভোট দিতাম না।’

ফেডারেল কর্মীদের এমন গণ-চাকরিচ্যুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর পরিকল্পনারই অংশ।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে এসেছে রেকর্ড রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সদ্য গত হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)।

এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারিতে এত পরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি। এছাড়া এবারের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স তার আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৯ কো‌টি ডলার বা ১ হাজার ১১০ কো‌টি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি মার্কিন ডলার; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দা‌য়িত্ব নেয়ার পর টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর

ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫




কার স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন দেরিতে হলে কাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কুমিল্লা বিএনপি আয়োজিত কাউন্সিলে অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে? কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে? এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

‘বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করতে পারি, গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে এই দেশকে আর এই দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।’-যোগ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশে নির্বাচন চাইবে, নির্বাচনের জন্য তাগাদা দেবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।

বিএনপির নির্বাচনের দাবিকে কিছু মানুষ ও সংগঠন কেন অস্বাভাবিক বলতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি তা খুঁজে দেখতে হবে।

জেলার টাউন হল মাঠে কাউন্সিলের আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি। কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন করা হয়।


আরও খবর