Logo
শিরোনাম

শ্রীনগরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা সভাপতি লাঞ্চিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

 শ্রীনগর সংবাদদাতাঃ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এসময় কলেজের গেটে তালা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশী পাহারায় তিনি স্থান ত্যাগ করেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সম্মেলনের একাধিক কাউন্সিলর জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলনের প্রধান অতিথী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বিশেষ অতিথী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান কাউন্সিলরদেরকে হাঁসাড়া কালী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে সভাপতি পদে পূর্বের কমিটির সভাপতি আহসান হাবীবের সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব খান ও আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন মুকুল প্রতিদ্বন্দিতা করলেও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জসিম উদ্দিন মুকুলকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন। এসময় উত্তেজনা শুরু হয় এবং কাউন্সিলরদের একাংশ ভোট দাবী করে স্লোগান দিতে শুরু করে। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এসময় দুটি প্যানেলের কথা উল্লেখ করে বলেন এক প্যানেল থেকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে তাই অপর প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হল। আপনারা যেহেতু এই সিদ্ধান্ত মানছেন না তাই সম্মেলন স্থগিত করা হলো এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই বক্তব্য শেষ করে তিনি নেতা-কর্মীদের সহায়তায় দোতলা থেকে নীচে নেমে আসেন। গাড়ীতে উঠার আগে তাকে কয়েকজন মিলে লাঞ্চিত করে এবং কলেজের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।  এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং গেটের তালা ভেঙ্গে তাকে বহনকারী গাড়িটি পার করে দেয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং হাঁসাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, হাঁসাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ (২২ মার্চ) থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট শুরু হয়েছে। রাজধানী বিভিন্ন কাউন্টার থেকে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই আন্তঃজেলা সব বাস কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব বাস মালিকদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাস কোম্পানিগুলোর অনলাইনে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাসবিডি ডটকম ডট বিডি এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট আজ (২২ মার্চ) থেকে অনলাইনে মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

ই-টিকিট কেনা যাত্রীদেরকে জানানো হয়েছে, রাস্তায় সৃষ্ট জ্যামের কারণে ও গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে যাত্রার সময় পরিবর্তন হতে পারে। বিষয়টি জেনে টিকিট ক্রয় করতে। আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা সঠিক সময়ে যাত্রীদের যাত্রা নিশ্চিত করা।


আরও খবর

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বন্ধুত্বের বাঁধনে এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা দুই তারকাই নিজেদের কাজের জন্য জনপ্রিয়। একসময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটিও ছিলেন তারা। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় এই দুই তারকা। তারপর কেটে গেছে ১১ বছর। একসঙ্গে জুটি বেধে অভিনয়ও করেছেন। আমার গল্পে তুমি, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম, মধুরেন সমাপয়েত নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন। মূলত এসব কারণে বিয়ের পর তরুণদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেনতারা। তবে বিয়ের ১১ বছর পর ভক্তদের মন ভেঙ্গে যায়। কারণ, ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাহসান এবং মিথিলার।

তারপর দুজন দুদিকে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে মিথিলা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বিয়ে করে সংসার করছেন কলকাতায়। অন্যদিকে তাহসান বিয়ে না করলেও ব্যস্ত আছেন তার গান এবং অভিনয় নিয়ে। অবশ্য তাহসান এবং মিথিলা একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। বিচ্ছেদের পরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জন্য তারা প্রশংসিত। তবে এর পর দুজনকে আর কখনোই একসঙ্গে দেখা যায়নি। এবার তাহসান এবং মিথিলা তাদের ভক্তদের জন্য দিলেন নতুন সুখবর। ফের এক হতে যাচ্ছেন এই দুই তারকা। আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে।

একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। সাত পর্বের এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। তবে এখনো এ নিয়ে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী কেউই মুখ খোলেননি।

অন্যদিকে গত ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে সিনেমা ও অভাগী। এটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কলকাতার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সিনেমাটিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন মিথিলা।


আরও খবর



নওগাঁয় যৌন উত্তেজক সিরাপ বিক্রির অপরাধে ৪ জন ব্যবসায়ীর জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং অনুমোদহীন যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সিরাপ বিক্রি ও মজুদ এর অপরাধে ৪ জন ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের মন্ডল মোড় নামক এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন।


অভিযানে আজম আলীর গোডাউন ঘর থেকে ৮শ' ৫০ বোতল, শাহাজান হোসেনের বাড়ীর খাটের নিচ থেকে ৮শ' ৬৪ বোতল, রুবেল স্টোর থেকে ৪৫ বোতল এবং রহমত স্টোর থেকে ১২ বোতল অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ জব্দ করা হয়। এসময় রুবেল স্টোরের মালিক রুবেলকে ১০ হাজার, রহমত স্টোরের মানিক গোলাম রাব্বানীকে ১০হাজার, আজম ভ্যারাটি স্টোরের মালিক আজম আলীকে ৩০ হাজার এবং শারমিন স্টোরের মালিককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। পরে জব্দ করা বোতল গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও একই দিন সকালে উপজেলার আরিফ ডিজিটাল সেন্টারকে অনুমোদন ছাড়াই মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

মোবাইল কোর্ট অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শওকত আলী ও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সবুজ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে লুট ও ম্যানাজারকে অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ করা হয়েছে ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। জানা যায়, ৬০-৭০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময় ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মচারীরা নামাজে ব্যস্ত ছিল। ঠিক এই সময়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকে হানা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে কত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সেই সাথে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে গেছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ওই ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা ছিল।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসী দল ব্যাংকে হামলা করে টাকা এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কত টাকা লুট করা হয়েছে এবং কোন সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে তিনি এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এবং সেই সাথে ওই সময়ে নামাজে ব্যস্ত ছিল ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এবং কর্মচারীরা। ঠিক এই সময়ে উপজেলা সদরের ব্যাথেল পাড়া এলাকা থেকে ৬০-৭০ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় যারা ছিল তাদেরকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। রুমা উপজেলা বাজার থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স এবং সোনালী ব্যাংকটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সন্ত্রাসীরা এই সুযোগটি নিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ঘটনাটি কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এর আগে এই সংগঠনটি ব্যাংক ডাকাতি করবে বলে এরকম একটি কথা রটিয়ে পড়েছিল এলাকায়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর