Logo
শিরোনাম

শ্রীনগরে নারীকে গুলির ঘটনার মূল আসামী রাসেল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে চাঁদা না পেয়ে বিদ্যুৎ বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে গুলির ঘটনার মূল আসামী রাসেলকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক করা হয়।  শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেলকে  বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে। 

গত ১১ অক্টোরব রাত ৭ টার দিকে বাঘড়া এলাকার রাসেল তার চাচা আশ্রাব আলীর বাড়িতে ঢুকে চাঁদা দাবী করে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির সময় রাসেল তার চাবী বিদ্যুৎ বেগমের তলপেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে উঠে। এই ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়। 

অপর একটি সূত্র জানায়, এর আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ রাসেলকে গুলি করেছিল। 

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। 


আরও খবর



বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বালুর ঢিবিটি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তৈরি করেছিল। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

আনাদোলুর খবর অনুযায়ী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৈরি একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরায়েলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা সিটি ও উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালুর ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা। উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় ৩৭টি এবং গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে ২৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক কবর এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ ইসরায়েলি অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিরা সে সময় মৃতদের রাস্তায়, স্কোয়ার ও পাবলিক পার্কে কবর দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স টিম এবং মেডিকেল সদস্য সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর ঢিবির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।


আরও খবর



দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রায় দুই বছর পর উঠিয়ে নেয়া হলো বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট দেবতাখুমে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। গতকাল সন্ধ্যার পর জারি করা বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর ফলে পর্যটকরা আগের নিয়মের তুলনায় আরো সহজে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭০ শতাংশ মানুষ এ খাতে সম্পৃক্ত রয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আবির্ভূত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তাণ্ডবে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত চার বছরে বিভিন্ন সময় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এ খাত স্থবির হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বাস্তবতায় নতুন বিনিয়োগকারী যেমন আসছে না, তেমনি আগের বিনিয়োগকারীরাও হতাশ। তবে আজ থেকে দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই দিন দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছিলেন, সদর উপজেলা, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপাতত কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

একই সঙ্গে প্রান্তিক লেক, মেঘলা, নীলাচল, বান্দরবান-থানচি সড়কের শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ও নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পারবে পর্যটকরা। তবে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সেখানে পর্যটক ভ্রমণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসের ১৬ তারিখ জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও চলতি মাসের ৪ তারিখ রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরিত পত্রের আলোকে আজ হতে উপজেলাটির দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত।

আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় দেবতাখুম পর্যটক কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ উন্মুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ সকালে ইউনিয়নের লিরাগাঁও বাজারে করা এক স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। আগের নিয়মে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের রোয়াংছড়ি থানায় গিয়ে পরিচয়পত্র দেখানোসহ রেজিস্ট্রেশন করা লাগত। এবার নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী পর্যটকরা সরাসরি লিরাগাঁও বাজারের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রে নিজেদের পরিচয়পত্র অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন।

এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় রয়েছে। ফলে পর্যটকরা কম সময়ে ও সহজে নৈসর্গিক দেবতাখুম ভ্রমণ ও উপভোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেবতাখুম থেকে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




আসলে জীবনটা কী? অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শামীমা নাছরিন, সিনিয়র সাংবাদিক :

ভেবে মনে হলো, জীবনটা আসলে যুদ্ধ। টিকে থাকার লড়াইয়ে হাজার রকমের প্রচেষ্টার সমন্বয়। একটা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আরেকটা যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে। যেন সিনেমার সিকোয়েন্স। 

অবশ্য, বাবা-মার সামর্থ্য থাকলে ছোটবেলায় লড়াইটা কম করতে হয়। কিন্তু জীবনে যখন একা চলার প্রয়োজন হয় বা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হয় তখনই যুদ্ধটা শুরু হয়। শুধুমাত্র সময়ের সঙ্গে এর ধরণটা বদলে যায়।

শিক্ষা জীবনে পড়ালেখায় ভালো করা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পরীক্ষায় কে কার চেয়ে ভালো ফল করতে পারবে এ নিয়েই মূলত যুদ্ধ। শিক্ষা জীবন শেষে চাকুরির জন্য যুদ্ধ। তবে, চাকুরির পাশাপাশি পরিবারের চাপে বিয়ে না করা ইস্যুতে যুদ্ধ করে মেয়েরা। যেসব মেয়েরা চাকুরি-সংসার দুটোই সামলান তারা জড়িয়ে পড়ে মহাযুদ্ধে। ঘর-বাহির করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হলেও  জিতে যায় বিবাহিত মেয়েরা। তবে, নতুন যুদ্ধ শুরু হয় মা হওয়ার পর। বাচ্চার দেখভাল করতে গিয়ে সংসার ও চাকরি নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধে নামে মায়েরা। এ সময় পরাজিত হয়ে চাকুরি ছেড়ে দেয় অনেকে। চাকরি ছাড়লেও যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয় না। কাঁধে দায়িত্ব চাপে সংসার ও সন্তানের। সন্তানের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে খারার তৈরি এবং স্কুল-কোচিং বা অন্যান্য শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে পড়ে মায়েরা। তিন বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তানকে আনা নেওয়ার জন্য সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা। এক সময় সন্তান বড় হয়ে গেলে যুদ্ধ হয় নিজের শরীরের সঙ্গেই। জীবন পরিক্রমায় শরীরটাই যেন যুদ্ধক্ষেত্র হয়। আজ এ রোগ তো কাল সে রোগ। এভাবেই যুদ্ধ করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে মৃত্যুর কাছে হেরে যায় মানুষ।

তাই দুইদিনের জীবনে এতো প্যারা নিয়ে লাভ নেই। আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই হবে। আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রাখতে পারি।


আরও খবর

নির্বাচন ও রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ

রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিডিয়ায় ৩০ বছর...

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মান পাবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, যারা কথায় কথায় আমাদের অন্য দেশে চলে যেতে বলত, তারাই এখন দেশের বাইরে। দেশ থেকে জুলুমকারী বিদায় হয়েছে, কিন্তু জুলুম বন্ধ হয়নি। দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ ময়দানে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতের আমির বলেন, দেশে প্রতিটি খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ঘুসের বিচার হতে হবে। না হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। যারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে এই দেশকে মুক্ত করেছেন, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আমরা তরুণদের হাতে দেশ তুলে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে তারা (ভারত) গোলাম বানাতে চেয়েছিল। আর শেখ হাসিনা তাদের এজেন্ট। তাই তারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা আমাদের ১১ শীর্ষ নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এই দিনাজপুরের একজন বিচারক বলতেন, তিনি না কি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। কিন্তু আমরা বলি তিনি শপথ ভঙ্গের বিচারপতি। তার বিরুদ্ধে এ কারণেই ফৌজদারি মামলা হতে পারে।

শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলে, শাপলা চত্বরে নাকি কোনো আলেমকে হত্যা করা হয়নি। সেখানে না কি আলেমরা রং ছিটিয়ে দিয়েছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে একজন প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলতে পারেন। তারা মনে করেছিল জামায়াতের কর্মীদের গুম-খুন করে মাটির নিচে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু আজ তারা কই? তারা দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাঁধা দিয়েছে। তারা নিজেরাও কিছু করেনি, আমাদেরও করতে দেয়নি।

হিন্দু ধর্মের লোকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে অন্য সম্প্রদায়ের দুজন মানুষ বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে আতঙ্ক থাকবে না। নির্বাচনের পর আর হামলা-মামলা হবে না। আমরা সনাতন ধর্মের মানুষ আতঙ্ক মুক্ত থাকতে পারব। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এমন একটি দল খুঁজেন যারা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে। একটু বিবেক দিয়ে খুঁজলেই পাবেন।

তিনি আরও বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে গরু চরি করে, জমি দখল করে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বললেন জামায়াত অগ্নিসংযোগ করেছে। কিন্তু দুদিন পরই জুলুমের স্বীকার হিন্দুরা বললেন, এখানে জামায়াতরা আসেনি।

জামায়াত আমির আরও বলেন, তারা বলে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আর বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কিন্তু আজ দেখেন, এই সমাবেশে এক পাশে পুরুষ, আরেক পাশে হাজার হাজার নারী। আমরা বলি, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আরও দুটি জিনিস নিয়ে চলাফেরা ও কর্ম করবে। আর তা হলো সম্মান ও নিরাপত্তা। যা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিল না।

জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রী কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রী কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান হেলাল ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মারা গেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কে এম শফিউল্লাহর সহকারী জিয়াউল হাসান মনির।

নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫