Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

শ্রীপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

      গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমুহের উদ্যোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষে   ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে আজ (২৪ শে এপ্রিল) জনাকীর্ণ এ ইফতার মাহফিল,দোয়া ও আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মোশাররফ হোসেন দীপুর সঞ্চালণায় ও মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ইফতার, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড সামসুল আলম প্রধান, শিক্ষা কমিটির সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হুমায়ূন কবির হিমু,উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও শিক্ষা কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মাসুদ আলম ভাংগী,উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ, সহকারি শিক্ষা অফিসার  হারুন অর রশিদ,পারুল খানম,মনিরা খাতুন,এসএম হারুন,আকরাম হোসেন।

এছাড়া শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আসমা আফরোজ,দুলাল মিয়া,আবু নাঈম ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আজকের উক্ত ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩ শতাধিক প্রধান ও সহকারি শিক্ষকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক এবং সভাশেষে প্রয়াত ও অসুস্থ শিক্ষকদের জন্য দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর



ভাড়া বাড়ছে যাত্রীবাহী ট্রেনের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভাড়া বাড়তে যাচ্ছে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের। মূলত ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে এ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছ থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়ে গেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের জন্য টিকিট ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত বেসরকারি অপারেটর সহজকে (জেভি) এরই মধ্যে স্টেশন টু স্টেশন বাণিজ্যিক দূরত্বের হিসাবও হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও (ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া) ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই নতুন এ ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সড়ক ও নৌপথের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রেলের যাত্রী বাড়লেও রাজস্ব আয় সেভাবে বাড়েনি। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়া সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর রেলের জ্বালানি-যন্ত্রাংশ এবং কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পরিচালন ব্যয় বাড়লেও সংস্থাটির ভাড়া বাবদ আয় তেমন বাড়েনি। কয়েক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্যকর হয়নি। যদিও আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যে লোকসান থেকে বের হতে পারেনি রেলওয়ে।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে। সংস্থাটি এর আগে নিট লাভে ছিল শুধু ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। ওই সময়ে সংস্থাটির নিট লাভ ছিল ১৮ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এরপর প্রায় আড়াই দশক ধরে টানা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় পরিচালন আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে রুট বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনেও। 

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭-৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত অতিরিক্ত কোচে শ্রেণীভেদে বাড়তি ভাড়া (রিজার্ভেশন চার্জ) যুক্ত করা হচ্ছে। রেলসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

এ বিষয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার এরই মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারের কিছুটা দোটানা রয়েছে। যদিও প্রতি বছর রেলের লোকসান বেড়েই চলেছে। এজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুবিধা প্রত্যাহার করে ভাড়া বাবদ আয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই সময় রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেলরুট ছাড়া (ঢাকা-কক্সবাজার) সারা দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের নন-এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। যদিও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনের একই সুবিধার আসনে ভাড়া ৩৪৫ টাকা। এছাড়া লোকাল, মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এতে রেলযাত্রায় বাড়তি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি হলেও প্রাপ্য রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে। গত অক্টোবরে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে রেলপথে প্রকৃত দূরত্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়ে রেলের আয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। 

আবার যাত্রী চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রুপ টিকিটের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ট্রেনে প্রায়ই নির্ধারিতের অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হচ্ছে। গমন ও ফেরত (আপ অ্যান্ড ডাউন)দুই ক্ষেত্রেই এ অতিরিক্ত কোচের চাহিদা থাকলে রেলের কিছু বাড়তি আয় হয়। কিন্তু চাহিদা একমুখী হলে (শুধু গমন) ফিরতি যাত্রায় টিকিট অবিক্রীত থেকে যায়। এজন্য অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণীতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে। 

এজন্য গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সারসংক্ষেপ আকারে উত্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এতে সই করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর । এরপর ২ মার্চ প্রস্তাবে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ৭ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের জন্য চিঠি দেন।  

রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘‌বাংলাদেশ রেলওয়ের মান ও সেবা অনুযায়ী ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চেয়ে অনেক কম। জনগণ এর সুবিধা পেলেও রেলওয়ে লোকসানে থাকে। রেলকে আরো গতিশীল করতে ভাড়া বাড়িয়ে সড়ক যানবাহনের সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি। কিন্তু আপাতত মূল ভাড়া না বাড়িয়ে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধাগুলো প্রত্যাহারের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। রেলের বিভিন্ন আধুনিকায়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পর ধারাবাহিকভাবে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লোকসানও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 


আরও খবর



মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটে মাদক সেবনরত অবস্থায় আদিতমারি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। 

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে লালমনিরহাট শহরের কোর্ট বিল্ডিংয়ের দক্ষিন পার্শ্বে মডেল মসজিদ সংলগ্ন রেলের পরিত্যাক্ত ভবন থেকে মাদক সেবনরত অবস্থা তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আদিতমারি উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাসেল মাহফুজ ওরফে ডেন্টিস্ট (৩৮)। তালুক খুটামারা এলাকার মৃত অপুর আলীর ছেলে নুর ইসলাম (৩৬)। মডেল মসজিদ এলাকার মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৫২)। মদিনাপাড়া এলাকার মৃত ফজলার রহমানের ছেলে নুরে হাসান সিদ্দিক (৩২)। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, আসামীদের  পুলিশ আইনের ৩৪ (৬) ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা সরাইগাছি-শিশা সড়কের চকগোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাকের চাপায় কুলসুম (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার ভরত চন্দ্র রায় (৫৪) কে আটক সহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত কুলছুম চকগোপাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী ও চকগোপাল গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।

আটককৃত ট্রাক চালক ভরত চন্দ্র রায় নওগাঁর পত্নীতলা থানার বাদরাম গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি হলে সে রাস্তা পার হওয়ার সময় সরাইগাছির দিক থেকে মহাদেবপুরের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক কুলছুমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এসময় স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট- ১৮-৪৫৯৯) সহ তার চালককে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ট্রাক চালকসহ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে সাপাহার থানা ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় ট্রাকটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং ওই ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবারে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সকল সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ সেক্টরটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার কারা হয়েছে। অনেক কাগজ-ডকুমেন্ট থাকার পরও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে। স্বাধীন দেশে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সময় বেধে দিতে হয় কিন্তু বিনা নোটিশে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এই প্রথম আমরা রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ বিষয়টি শুনেছি। রাজউক যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ সেক্টরটি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা কোনো রকমের সহায়তা আমরা পাইনি। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীকভাবে এই সেক্টরটি পিছিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে ঘুরে দাড়াতে চাচ্ছে এই সেক্টরটি কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার ভয়াবহ সঙ্কটে এই সেক্টর। রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি। এছাড়া নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার প্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে। রাতারাতি এই সেক্টর গড়ে উঠেনি। নানা ধরনের লাইসেন্স বা অনুমতি নিয়ে এবং সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে এই সেক্টর গড়ে উঠেছে।

প্রায় ১২টি সংস্থা রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ এর আদলে রেস্তোরা সেক্টরকে যুগোপোযুগী ও কর্মমুখী করে এগিয়ে নিতে চাই। এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁয় হয়রানি বন্ধ করে খুলে দেওয়ার। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করবে? আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার ও জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট উত্তরণের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না। ফায়ার সেফটি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এসওপি প্রদান করা যেতে পারে।

সঙ্কট সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ সঙ্কট উত্তোরণের রাস্তা বের করতে হবে। মাথা ব্যথা হয়েছে বলে মাথা কাটা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা একই ব্যবসার জন্য একাধিক সংস্থার নিকট যেতে চাই না, এতে আমাদের খরচ ও হয়রানি দুটাই বৃদ্ধি পায়।

একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশার কথাও বলেন তারা।

এর আগে গত ৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানীতে কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ৪০টির মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে সংগঠনটি চিঠি পাঠিয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন।

 


আরও খবর



রাজাপুরে কানুদাশকাঠি মাদ্রাসায় নিয়োগ ১৪ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি :

ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার ৩টি পদের নিয়োগে ৩ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকার ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তুতি চুড়ান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে নিয়োগ প্রত্যাশী ৫ প্রার্থী রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে কানুদাশকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ফরাজির ছেলে ওই মাদ্রাসার গবেষণাগার পদে নিয়োগ প্রত্যাশী মোঃ সজিবুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার গবেষণাগার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। আবেদনের পর গত ২ মার্চ শনিবার সকালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে জানতে পারি গবেষণাগার পদে ৭ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে গালুয়া দুর্গাপুর গ্রামের সজীব নামে এক জনকে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৪ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কাঠালিয়ার মিরাজ মুন্সি ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ৩ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কানুদাশকাঠির সোলায়মান বায়জীদ নামে একজনের নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। কানুদাশকাঠি গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে পরিচ্ছন্নতাকমী পদে চাকুরি প্রত্যাশী ইমরান হোসেনের অভিযোগ, তার কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ইমরান দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জোগার করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে কাঠালিয়ার মিরাজ মুন্সিকে নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসায় নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ইমরানের দোকান থেকে ৩ বছর ধরে ২০ হাজারেরও বেশি টাকার চা-নাস্তা খেয়েছে। ঘুষের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগের এ প্রক্রিয়া বাতিল করে সচ্ছতার মাধ্যমে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাগার পদের প্রার্থী সজীব, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের প্রার্থী ইমরান ও বশিরুল ইসলাম ও নিরাপত্তাকর্মী পদের প্রার্থী বাদশা এবং শাহিন উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে মুঠোফোনে কানুদাশকাঠী মাওলানা আঃ রব কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আঃ রাজ্জাক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। কানুদাশকাঠি মাদ্রাসার এমন কোন রিপোর্ট নাই, যে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। বরং কালকে যে নিয়োগ হইছে, সেই নিয়োগ খরচও সভাপতি নিজের পকেট থেকে খরচ করেছেন। কোন প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগ খরচা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। কেহ ঘুষ নিয়ে থাকলে সেটা বের করার দাবি জানান তিনি। মুঠোফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, নিয়োগের বিষয়টি তার জানা নেই। কেহ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর