সদরুল আইন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে যুব লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নারী উদ্যোক্তা প্রথম স্ত্রী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা।
সাহিদা আক্তার স্বর্ণা টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে আজ (৫ মে) ধর্ষক শাহিনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাহিদা আক্তার স্বর্ণা গাজীপুর জেলার একটি পরিচিত মুখ। তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা এবং নারীর অধিকার আন্দোলন ও সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন।যে কারনে তিনি এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অতি পরিচিত মুখ।
সাহিদা আক্তার স্বর্ণা তার অভিযোগপত্রে বলেছেন, তিনি ফুড আইটেম ও কসমেটিকসের ব্যবসা করেন।যে কারনে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি যান এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রগ্রামে সমাজকর্মি হিসেবে অংশগ্রহন করেন।
গত ৮/৭/২১ ই তারিখে শ্রীপুর থানার নগর হাওলা জৈনাবাজার এলাকার ওয়াহিদ মিলিটারির ছেলে যুব লীগ কর্মি শাহিন আলমের সাথে তার ফেসবুকে কথা হয়।
তিনি পণ্য বিক্রি ও এ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে ব্যবসায় অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে তার সাথে জৈনাবাজারে তার অফিস কক্ষে দেখা করতে অনুরোধ জানান।
নারী উদ্যোক্তা সাহিদা আক্তার স্বর্ণা তার সাথে পণ্যসহ দেখা করতে জৈনা বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংক সংলগ্ন তার অফিসকক্ষে যান এবং পণ্য দেখার এক পর্যায়ে শাহিন তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে।সে সময় সাহিদা আক্তার স্বর্ণা তাকে তাৎক্ষণিক বিয়ের জন্য চাপ দেন এবং কাঁন্নাকাটি করতে থাকেন।
এসময় শাহিন তাকে বসিয়ে রেখে ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ এনে তাকে খাওয়ান যাতে বাচ্চা কনসেপ্ট না করে এবং কাঁন্নাকাটি করে লোক জড়ো করতে নিষেধ করে বিয়ের আশ্বাস দেন।
এর কিছুক্ষণ পর শাহীন লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় রাত ১০/১১ টার দিকে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা উপায় না দেখে ধর্ষণের ঘটনাটি তার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা যখন আইনগত পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হন তখন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া,রাজিব,শাহাবুদ্দিন, সোহেল,ফয়সাল,বাপ্পী, এরশাদ ও নজরুল ইসলাম ও মামুনের সহযোগিতায় দুই পরিবার একত্রিত হয়ে মামলা না করার শর্তে বিবাদির রাজনৈতিক পদ পদবি পাওয়ার স্বার্থে ঘরোয়াভাবে শরীয়াত মোতাবেক কাবিন রেজিস্ট্রি আপাতত ব্যতিরেখে বিয়ে করেন।
এরপর শাহিন তাকে স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেত এবং শারীরিকভাবে মেলামেশা করত।শাহিন ও তার বন্ধুদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল সাহিদা আক্তার স্বর্ণার মাওনা এলাকায় অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এসময় শাহিন নানা অজুহাতে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সাহিদা আক্তার স্বর্ণা।
বর্তমানে শাহিন, স্ত্রী সাহিদা আক্তার স্বর্ণার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নিয়ে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্যত্র বিয়ে করায় নারী উদ্যোক্তা সাহিদা আক্তার স্বর্ণা থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষক ও প্রতারক শাহিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।