Logo
শিরোনাম

শরীর ও আত্মার খাদ্য

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মানুষের জীবনের দু’টি দিক। একটি হলো- মানুষের শরীর বা অবয়ব। অন্যটি হলো- আত্মা বা রূহ। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে একে কম্পিউটার যন্ত্রের সাথে তুলনা করা যায়। কম্পিউটারের যেমন দু’টি দিক রয়েছে- এক. হার্ডওয়্যার তথা বডি; দুই. সফটওয়্যার তথা বডিতে ধারণকৃত প্রোগ্রাম। তেমনি মানুষের শরীর হলো একটা হার্ডওয়্যার এবং এই হার্ডওয়্যারে ধারণকৃত সফটওয়্যারটি নাম হলো, রূহ বা আত্মা। একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের জন্য মানুষকে এই দু’টিরই সমান ও যথাযথ গুরুত্ব দিতে হয় এবং দু’টির জন্যই তার সুষম ও পৃষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। অন্যথায় এর একটি অসুস্থ হলে অন্যটি স্ব^য়ংক্রিয়ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সবাই আমাদের হার্ডওয়্যার তথা শরীরের খাদ্য সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখি এবং এই খাদ্য সংগ্রহের জন্য রাত-দিন মাড়িয়ে যাই সর্বদা। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের সফটওয়্যার তথা রূহ বা আত্মার খাদ্যের চেষ্টা অনেকটা কদাচিৎ ও নগণ্য। ফলে বাইরে থেকে একজনকে সুঠাম ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মনে হলেও তার মধ্যে বাস করে একটি মৃত বা অসুস্থ আত্মা। ফলে তার দেহখানি একখান অসাড় কলাগাছ। যার মধ্যে কোনো পরিপুষ্টতা নেই, নেই কোনো উপকারী পদার্থ।
মানুষের শরীরকে মাটি থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাই আমাদের খাদ্য সব মাটি। অর্থাৎ মাটি থেকে উৎপন্ন খাদ্য আমাদের শরীরকে পরিপুষ্ট করে রাখে। আবার আমার মাটিতেই চলে যাব। মাটি থেকে আবার বের করে আনা হবে। আল্লাহর এই সাইকেল অনন্তকাল ধরে চলছে, চলবে। এই প্রবন্ধে আপাতত বডি তথা শরীরকে বাদ দিয়ে আত্মার সুষম খাদ্যের একটি তালিকা দেয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই তো সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্র থেকে। তারপর রক্তের পিণ্ড থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুর আকৃতিতে বের করে আনেন। এরপর তিনি তোমাদের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ শক্তিতে উপনীত হতে পারো। তারপর আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হও। তোমাদের কাউকে আগেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। এসব কাজ করা হয় এ জন্য যাতে তোমরা তোমাদের নির্ধারিত সময়ের সীমায় পৌঁছতে পারো এবং যাতে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারো।’ (সূরা আল মুমিন-৬৭)
আয়াতে জীবনের এসব পর্যায়ের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে অতিক্রম করানোর কারণ এ নয় যে, আমরা পশুর মতো জীবনযাপন করব এবং পশুর মতো মরব। বরং এসব পর্যায় অতিক্রম করানো হয় এ জন্য যে, আল্লাহ আমাদেরকে যে জ্ঞান দিয়েছেন তা কাজে লাগাব।
আত্মা। আত্মা হলো রবের আমর বা হুকুমমাত্র। কাজেই আত্মার খাদ্য আসে রবের ইবাদতের মাধ্যমে রবের কাছ থেকে। তাই আত্মাকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য আমাদের দৈনন্দিন নিম্নের কাজগুলো আঞ্জাম দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আত্মার খাদ্য গ্রহণের জন্য বৈরাগ্য বা সন্ন্যাসী হওয়া যাবে না। বরং সমাজ সংসারের বিশাল চারণভূমিতে জীবনের পদচারণায়, শয়নে-স্বপনে, প্রকাশ্যে-নির্জনে, দিনে ও রাতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি কার্য সম্পাদনে বা কোনো বক্তব্য পেশকালে আল্লাহর হুকুমকে পর্যালোচনা করা হলেই আত্মার খাদ্য গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য কোন পথে তা তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করা সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে অবলোকন করা। যিনি তার ভেতর ও বাইরে কোন কোন জিনিস সাফল্যের পথে বাধার সৃষ্টি করে তা প্রথমে চিহ্নিত করেন এরপর যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণ বা বাগে আনার চেষ্টা চালান। আর এর জন্য কোনো বিরানভূমি বা গভীর অরণ্যে নয় বরং সমাজ সংসারই হলো এর উপযুক্ত ক্ষেত্র। সমাজ-সংসারের অসংখ্য ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আল্লাহর পথে টিকে থাকার পরীক্ষাই যার হলো না, তিনি আবার আত্মশুদ্ধি করেন কিভাবে? তাছাড়া যিনি এ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে আধ্যাত্মিকতা হাসিল করবেন তিনি অবশ্যই এমন ব্যক্তি হবেন যিনি সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও মানুষের অধিকারকে আল্লাহরই ভয়ে সংরক্ষণ করবেন। যার হৃদয় বিশ্ব মানবতার দুরবস্থা দেখে কেঁদে উঠবে। বিশ্বের যেকোনো নিভৃত কোণে কোনো একজন মুসলিমের গায়ে আঘাত লাগার সাথে সাথে তার গায়ে সে আঘাত অনুভূত হবে এবং এ দুরবস্থা থেকে মানবতাকে মুক্তিদানের চিন্তা-চেতনা তার অন্তরকে অস্থির করে তুলবে। এটিই হলো সুস্থ সবল আত্মার পরিচয়। আত্মার খাদ্যের জন্য নিম্নের কাজগুলো নিয়মিত করা উচিত।
কুরআন ও সুন্নাহর অধ্যয়ন : বেশি বেশি কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করা এবং এই অধ্যয়ন বুঝে অর্থ অনুধাবন করে পড়তে হবে। জ্ঞান হলো আত্মার খোরাক। কারণ জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃতি লাভ করবে, আল্লাহর ভয় তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর সেই জ্ঞান হলো- তাওহিদ, আল্লাহর ক্ষমতা, আল্লাহর গুণাবলি, রিসালাত ও আখিরাতের জ্ঞান। যে ব্যক্তি আল্লাহর গুণাবলির ব্যাপারে যত বেশি অজ্ঞ হবে সে তার ব্যাপারে তত বেশি নির্ভীক হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর শক্তিমত্তা, জ্ঞান প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞানময়তা, ক্রোধ, পরাক্রম সার্বভৌম কর্তৃত্ব ক্ষমতা ও অন্যান্য গুণাবলি সম্পর্কে যে ব্যক্তি যত বেশি জানবে সে তত বেশি তার নাফরমানি করতে ভয় পাবে।
মানবতার কল্যাণ করা : আল্লাহর রহমত, বরকত ও আত্মার আনন্দের জন্য মানুষের প্রতি কল্যাণ ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেয়া। মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, সেবা করা, বিপদে পড়লে উদ্ধার করা, মাজলুমকে সাহায্য করা, কাফন-দাফনে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করলে আত্মার প্রশান্তি বেড়ে যায়।
হিংসামুক্ত কল্যাণ কামনা করা : হৃদয়কে বিদ্বেষ, হিংসা ও অন্যের অকল্যাণ কামনা থেকে মুক্ত রাখা। হিংসামুক্ত আত্মা পরোপকারী ও অন্যের কল্যাণকামী হয়। মুসনাদে আহমাদে রাসূলুল্লাহ সা: এ ধরনের ব্যক্তিকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। অন্য হাদিসে আনাস রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: আমাকে বলেন, ‘বেটা! যদি পারো তবে এমনভাবে সকাল-সন্ধা পার করো যে, তোমার হৃদয়ে কারো প্রতি কোনো বিদ্বেষ বা অকল্যাণের ইচ্ছা নেই। সম্ভব হলে এরূপ চলবে, কারণ এরূপ চলা আমার সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। আর যে আমার সুন্নতকে জীবিত করল, সে আমাকে ভালোবাসল। আর যে আমাকে ভালোবাসবে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।’ ইমাম তিরমিজি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।
আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্যধারণ করা : ধৈর্য মুমিন জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও ঈমানের অন্যতম অংশ। ধৈর্য বলতে নিষ্ক্রিয় নির্জীবতা বুঝানো হয় না। বরং সক্রিয় আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বোঝায়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা অন্যের আচরণ দ্বারা নিজের আচরণ প্রভাবিত না করে নিজের স্থির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নিজেকে পরিচালিত করার ক্ষমতা। ইসলামী দৃষ্টিতে ধৈর্য তিন প্রকার- এক. বিপদ-আপদ ও কষ্টে ধৈর্য; দুই, পাপ ও লোভ থেকে ধৈর্য এবং তিন. ক্রোধের মধ্যে ধৈর্য। ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ থাকেন।
হতাশা বর্জন ও আল্লাহর ওপর ভরসা করা : আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ্যই হতাশা ও উৎকণ্ঠার মূল কারণ। এটি পাপ। এ জন্য হাদিসে বারবার এগুলো থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হতে নিষেধ করা হয়েছে। মানুষের মনে আল্লাহর ওপর আস্থা যত গভীর হয় আত্মা বা মানসিক শক্তি ও স্থিরতা ততই বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত আল্লাহর ইবাদত, কুরআন-সুন্নাহ অধ্যয়ন ও আল্লাহর স্মরণ হতাশা ও নৈরাশ্য দূরীভূত করে।
কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি : আমাদের জীবনে অগণিত নিয়ামত রয়েছে। আবার কষ্টও রয়েছে। আমাদের একটি বড় দুর্বলতা হলো- আনন্দের কথা তাড়াতাড়ি ভুলে যাই আর কষ্ট বেদনাকে জিইয়ে রাখি। আত্মার পরিপুষ্টতার জন্য এই দুর্বলতা কাটাতে হবে। সর্বদা ইতিবাচক হতে হবে। আত্মতুষ্টির জন্য রাসূলুল্লাহ সা:-এর নিচের হাদিসটি মনে রাখতে হবে। ‘সম্পদে, শক্তিতে তোমাদের চেয়ে উত্তম কারো দিকে যখন তোমাদের দৃষ্টি পড়বে, তখন সে যেন তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় নিমজ্জিত ব্যক্তির দিকে দৃষ্টি দেয়।’ (বুখারি, কিতাবুর রিকাক)
নির্লোভ : সচ্ছলতা, অসচ্ছলতা, সম্মান ও অসম্মান সর্বাবস্থায় স্থিতিশীল রাখা। আল্লাহ যখন যে অবস্থায় রাখবেন তখন সে অবস্থায় বান্দা তার দায়িত্ব পালন করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তি থাকলে তা দিয়ে আখিরাতের ঘর তৈরি করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তি না থাকলে তাতেই বান্দা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। সম্পদ বা প্রতিপত্তির লোভ যেন কাউকে অন্ধ না করে।
সুন্দর আচরণ : উত্তম আচরণ প্রকৃত মুসলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সবার সাথে উত্তম ও শোভনীয় আচরণ করা আল্লাহর প্রিয় ইবাদাতগুলোর অন্যতম। কিয়ামতের দিন কর্মবিচারের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী ও মূল্যবান কর্ম হবে সুন্দর আচরণ।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সা: ভালোবাসা : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-কে অন্য সব কিছু এবং নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসা। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ক্রমাগত জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। এই ভালোবাসা দ্বারা আত্মার খোরাক সৃষ্টি হয়, আত্মা সর্বদা পুষ্ট ও সতেজ থাকে।
আল্লাহর জিকির : জেনে বুঝে মনের আবেগ মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ছাড়াও সার্বক্ষণিক আল্লাহর জিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করা। এটি আত্মার বিশাল খাদ্যভাণ্ডার। আত্মা সুস্থ ও সবল রাখার জন্য রাসূলুল্লাহ সা:-এর সুন্নাহ মোতাবেক নিজেকে আল্লাহর জিকিরে রত রাখতে হবে।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লীতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে একটি অসম চুক্তি হয়েছে। তাছাড়া মহিষাশন (ভারত)-কুলাউড়া (বাংলাদেশ) আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো না। সেখানে সীমান্তের সন্নিকটে কাস্টমস-সহ একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি নেয়া প্রয়োজন৷ আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে৷

ভারতের সাথে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দিবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় ফেন্সিডিল-সহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। যদিও তারা বলে ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে তৈরি করছে। আসলে এটা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার।

৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধ; ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এরূপ চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন; বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীসমূহের পানির সুষম বণ্টন, নদী হতে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ; বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য 'কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন; দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণ হলে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, কেউ বিদেশে ঘুষ গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। 

লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে মাইজভান্ডারী দর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভান্ডারী তারিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী, গাউছুল আজম হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার বাংলা ১০ই মাঘ (২৪ জানুয়ারি) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলির ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারীর ইমামতিত্বে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমা পরবর্তী আগত লাখো ভক্ত জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি বলেন, ১৯ শতকে হযরত গাউসুল আযম শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' এর প্রবর্তন করেন, যা বাংলার ভূখণ্ডে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা। আজ এ তরিকা পৃথিবীজুড়ে একটি সমাদৃত তরিকায় পরিণত হয়েছে, যার কোটি কোটি অনুসারী রয়েছেন। মানবপ্রেম, সাম্য, মানবতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা এ তরিকার মূলমন্ত্র। এ তরিকা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে গ্রহণ করতে পারে। মানব অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবি (দ.)'র প্রকৃত আদর্শের অনুসরণে সুফিবাদের মূলধারা এ দরবার শরীফের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে এ দেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে এ দরবার শরীফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবদান রেখে আসছে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুযুর গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা  মাইজভাণ্ডার শরীফ দিয়ে আসছে, তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ওরশে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) জীবনী, শান–মান সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ আলম অভি, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ওদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন,  ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভান্ডারী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



প্রিয়নবী (দ.)'র পবিত্র মে'রাজ যাত্রা সৃষ্টিকুলের জন্য আনন্দ ও গৌরবের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান, সাজ্জাদানশীন-এ দরবারে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী বলেছেন, ‘পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ এমনই এক মহিমান্বিত রজনী, যে রজনীতে মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা তার প্রিয়তম হাবিব (দ.) কে আরশে আজিমে পরম সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাদর আমন্ত্রণ করে অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বীয় সাক্ষাতে ধন্য করেছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.) মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার এমন নিকটবর্তী হলেন যে, তাদের মাঝে কোন পর্দা বা পার্থক্যই ছিল না। মহান আল্লাহ্, হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.)'র নিকট সৃষ্টিকুলের সকল রহস্য উম্মোচন করেন। যাত্রাপথে তিনি সম্মানিত নবী-রাসুল (আঃ)গণের সাথেও সাক্ষাত করেন।’ বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পবিত্র শব-ই-মিরাজেই মহানবী (দ) উম্মতের জন্য উপহার হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন। তিনি প্রায় ২৭ বছর সফর করলেন, অথচ পৃথিবীর হিসেবে তা কয়েক সেকেন্ড মাত্র।’ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ‘আধুনিক বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা সূত্রও এ অলৌকিক যাত্রাকে বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র শব-ই-মিরাজ থেকে আমাদের কাছে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মহামহিম, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা'য়ালার মর্যাদার পরেই সর্বোচ্চ সম্মানে যিনি সম্মানিত, যার মর্যাদা বর্ণনার অসাধ্য তিনি হলেন দোজাহানের বাদশাহ্, আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.)।’ মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (দ)'র এ মহিমান্বিত সাক্ষাৎ মু'মিনদের জন্য মহা আনন্দের জানিয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরদিকে পবিত্র কুরআন হাদীসে এ রাত্রির উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হওয়ার পরেও একশ্রেণীর মুনাফিকরা এ তাৎপর্যময় রজনীর মহত্ত্বকে খর্ব করার বৃথা চেষ্টা করছে। তিনি মুনাফিক চক্রের অপতৎপরতাকে উপেক্ষা করে এ বরকতময় রজনীতে কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, তাহাজ্জুদ আদায়, দরুদ-সালাম পাঠ, দান সাদকাহ্, পরদিন নফল রোজা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য মুসলিম উম্মাহর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।’

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া পূর্ব খুরুশিয়া হাজী আহমদ মিয়া জামে মসজিদ ময়দানে খুরুশিয়া হিলফুল ফুযুল পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ৮তম বার্ষিক হুসাইনি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গুনিয়া রাহাতিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ ওবায়দুল মোস্তফা নঈমী, চট্টগ্রাম টপ স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবছার হোসেন তালুকদার। মাওলানা আব্দুল হালিম আল কাদেরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুল হামিদ নঈমীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন নূরী। এ ছাড়াও আরও বহু ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



‘প্রিয় মালতী’ নজর কেড়েছেন দর্শকদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট নাটক। শুধু তাই নয়, ওয়েব ফিল্মেও নিজের অভিনয় গুণে নজর কেড়েছেন দর্শকদের। গত বছর ‘প্রিয় মালতী’ ছবিটি দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে এই অভিনেত্রীর।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘প্রিয় মালতী’। এবার সিনেমাটি নিয়ে আরও এক সুখবর দিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিল সিনেমাটি।

নিজের ফেসবুকে পুরস্কারপ্রাপ্তির ছবি ভাগ করে নিয়েছেন মেহজাবীন। সেইসঙ্গে উচ্ছ্বসিত এ তারকা লিখেছেন, ‘প্রিয় মালতী’ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে।

এ সময় মেহজাবীন নিজের ছবির সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানান। সুখবরটি নাড়া দিয়েছে মেহজাবীনের অনুসারীদেরও। মন্তব্যের ঘরে তারা জানিয়েছেন অভিনন্দন।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘প্রিয় মালতী’ মুক্তি পায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। এর আগে, মিশর ও ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হয়েছে। শাঁখারীবাজারের একটি পরিবারের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘প্রিয় মালতী’।

সিনেমার গল্পে মেহজাবীনকে দেখা গেছে মালতী রানী দাশ নামের নিম্ন মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে। যিনি পলাশ কুমার দাশ নামের এক তরুণের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন।

যে জীবনে বিবাহবার্ষিকীতে নৌকায় ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় ঘোরাঘুরি, একে অন্যকে উপহার দেওয়া নেওয়া, স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি, মান-অভিমান সবকিছুই চলছিল।

প্রসঙ্গত, ‘প্রিয় মালতী’-তে মেহজাবীন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, আনিসুল হক বরুণ, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজু। এটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫