Logo
শিরোনাম

সরিষাবাড়ীতে আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনের তিন বগিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেনি কেউ। ঘটনার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিআরপি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনটি রাত সোয়া ১টার দিকে সরিষাবাড়ী স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছাড়ার সাথেসাথেই তিনটি বগিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি থেমে যায়।

উল্লেখ্য, যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান ট্রেনে আগুনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী::



রাজশাহীতে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জে এ কর্মসূচি পালিত হয়। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) এ আয়োজন করে। কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।


আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় তাতে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আহমেদ সফিউদ্দিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপন ও নির্বাহী সদস্য বদরুল হাসান লিটন; আরইউজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান ও মামুন-অর-রশিদ; সহসভাপতি তৈয়বুর রহমান, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৌরভ হাবিব, বুলবুল হাবিব প্রমুখ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে নতুন প্রেক্ষাপট এসেছে। এই সময়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী লুটপাটে মেতে উঠেছে। তারাই দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। সাংবাদিকেরা যেন প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে না পারে, সে জন্য প্রথমেই তাদের টার্গেট করা হয়েছে। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চব্বিশের বিপ্লবের ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা, তা মাটিচাপা পড়ে যাবে।


মানববন্ধন থেকে রাজশাহীর সাংবাদিক রাশেদ রিপন, রফিকুল ইসলাম, রোজিনা সুলতানা ও আসগর আলী সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করা বিএনপি নেতার মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শ দেন সাংবাদিক নেতারা। তা না হলে কলমের মাধ্যমে তাঁর ‘প্রকৃত চেহারা’ উন্মোচন করার ঘোষণা দেন তাঁরা। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন ও বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের বাড়িতে হামলার নিন্দা জানানো হয়। নুরুজ্জামানকে যে দুটি মামলায় জড়ানো হয়েছে, তা থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবদুর রউফ, মাহমুদুল হাসান নয়নসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক রিমন রহমান, কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য আজাহার উদ্দিন, সদস্য হাবিবুর রহমান পাপ্পু, মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজ রকি, আলী এহেসান তুহিন, মিলন শেখ, আযম খান, রোজিনা সুলতানা রোজি, আফরোজা খান, জহিরুল ইসলাম, বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।

আরও খবর



১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা চাঁদা নেন এনায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা ও এর উপকণ্ঠের সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ১৫ হাজার বাস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোর করে সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। এরপর টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক ছিল তার দখলে। পরিচিত ছিলেন সড়কের একচ্ছত্র সম্রাট হিসেবে। তার অনুমতি ছাড়া সড়কে নতুন কোনো বাস নামতে পারত না


পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন বাস নামানোর অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুধু সড়কে চাঁদাবাজি করেই তিনি হাজার কোটি টাকার বেশি কামিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকায় নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে জমান বড় অঙ্কের টাকা। বিদেশেও তার রয়েছে বিপুল সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের উপপরিচালক নূরুল হুদা অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকা শহর ও শহরতলিতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে সমিতির নামে প্রতিদিন ২০, টার্মিনাল সমিতির ৩০ এবং কমিউনিটি পুলিশের জন্য ১০ টাকাসহ মোট ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। এর বেশি নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের লোকজন নির্দিষ্ট এই পরিমাণের চেয়ে বাসপ্রতি দিনে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করত। তার আমলে প্রভাব খাটিয়ে কত টাকা করে আদায় করা হয়েছে এবং সেসব টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র

সমিতির কয়েকজন নেতা বলেছেন, ঢাকার চারটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। এর মধ্যে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ১ হাজার ৮০০, সায়েদাবাদ থেকে ১ হাজার ৫০০, মহাখালী থেকে এক হাজার এবং গাবতলী থেকে তিন-চার হাজার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকার আরও কয়েকটি জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকশ বাস চলাচল করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, এসব বাস থেকে দিনে ৬০ টাকা করে ১৫ বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করেছে এনায়েত উল্লাহ সিন্ডিকেট

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, রাজধানী ও এর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করত এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। সে হিসেবে দিনে গড়ে ১ কোটি টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে

সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এর পরপরই এনায়েত উল্লাহ পরিবহন খাত দখল নেন। ওই সময়ে তিনি বিএনপির একজন সাবেক মন্ত্রীসহ কয়েকজন পরিবহন নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে অনেকের গাড়ি রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করেন। কেউ নির্দেশ অমান্য করে বাস সড়কে নামালে তার পেটুয়া বাহিনী লাঠি হাতে সেই বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যেত। ঢাকার চারটি টার্মিনাল থেকে অনেক পরিবহন নেতার বাস বের হতো। একসময় তারা সেসব বাস বিক্রি করে দিতে অথবা রঙ ও নাম পরিবর্তন করে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে দিতে বাধ্য হন।

এ প্রসঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, এনায়েত উল্লাহ সড়কে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নামে নানা সময়ে সরকার থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের কল্যাণে কখনো কাজ করেননি। তার জন্য পরিবহন শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাননি। তার কাছে পুরো পরিবহন সেক্টর জিম্মি

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি জমা পড়ে কমিশনে। ওই অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। তিনি নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে বড় অঙ্কের টাকা জমিয়েছেন। এ ছাড়া, দেশের বাইরে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




টাঙ্গাইলে চাচা- ভাতিজা খুন, গণপিটুনিতে হত্যাকারী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ হাসান আলী - টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি::


টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ধুপুরিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক নয়টার দিকে তর্কের জেরে চাচা- ভাতিজাকে কুঁপিয়ে হত্যা করে তালেব নামে এক ব্যক্তি। বিক্ষুব্ধ জনতার গনধোলাইয়ের শিকার হয়ে হত্যাকারী তালেবও নিহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের তালেব (৩৫) নামের এক যুবকের সাথে সাত্তারের (৫০) তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটা কাটি শুরু হয়। এসময় তালেব ক্রমশ উত্তেজিত হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তালেবের হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়া সাত্তার মিয়াকে এলোপাথাড়ি ভাবে কোঁপাতে থাকে। সাত্তারের চিৎকারে তার ভাতিজা আসাদুল (২৮) এগিয়ে আসলে তালেব তাকেও এলোপাতাড়ি ভাবে কোঁপাতে থাকে। এদের চিৎকারে এলাকার লোক হাজির হলে গুরুতর আহত অবস্থায় সাত্তার ও আসাদুলকে উদ্ধার করে  নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাদেরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

পরে উত্তেজিত জনতা খুনি তালেবকে গণপিটুনি দেয়, এতে তালেব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মৃত সাত্তার ও তার ভাতিজা আসাদুলের লাশ হাসপাতালের মর্গে এবং খুনি তালেবের লাশ ঘটনাস্থলেই রয়েছে।

তবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তালেবের লাশ থানায় আনার জন্য এবং পরবর্তী ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য। এ ঘটনায় আজমুল নামের আরও এক যুবক তালেবের হাতে আহত হয়, তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একই সাথে তিনটা মৃত্যর ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।



আরও খবর



ইমরানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

কারাগারে বন্দী থাকা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক--ইনসাফ (পিটিআই) রবিবার ( সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদে বিক্ষোভের আয়োজন করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর এবার বড় কোনো বিক্ষোভ করেছেন পিটিআই নেতারা। খবর: আল জাজিরা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়া ছবি ভিডিওতে দেখা যায়, পিটিআইয়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে রাজধানীর দিকে জড়ো হচ্ছেন। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাম্মাদ আজহার বলেছেন, তার (ইমরান খান) মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোনো বিশ্রাম নেই।

লাহোরের পিটিআই নেতা প্রখ্যাত আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা বলেছেন, দুর্নীতিবাজ অপরিপক্ব রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দেশকে বাঁচাতে পারেন একমাত্র ইমরান খান।

এদিকে ইমরান খানের দলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসলামাবাদ প্রশাসন আগেথেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল। বিক্ষোভ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জাহাজের কন্টেইনার দিয়ে ব্যারিকেড তেরি করে। তবে পিটিআই নেতারা তা সরিয়ে শহরে ঢুকে পড়েন।

পিটিআইয়ের একজন সমর্থক রবিনা গফর আল-জাজিরাকে বলেন, মিছিল নিয়ে পৌঁছানো আমাদের জন্য সহজ ছিল না। সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু আমরা ছিলাম প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারণ, ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে, আর আমরা আসবো না এটা হতে পারে না। শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে নানাভাবে চেষ্টা করেছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল সামা নিউজের ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে।

ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় অনেকে আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়েছেন।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি জেলে রয়েছেন।