Logo
শিরোনাম

সড়ক পরিবহন উপদেষ্ঠার সাথে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অতীতের বৈষম্য দুর করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহে গণপরিবহনের আইন ও বিধি-বিধান তৈরি, ভাড়া নির্ধারণ, গণপরিবহনের যাত্রীসাধারণের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণসহ যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পাশাপাশি অংশীজন হিসেবে রাখার দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ ০৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে রেলপথ মন্ত্রনালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে  অর্ন্তবর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের  উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রেরিত এক স্মারকলিপিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার ১. যাত্রী বা জনগণ ২. বাস মালিক সমিতি ৩. শ্রমিক সংগঠন ৪. সরকার। জনসাধারনের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করা বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। এই কাজের একমাত্র রাজস্ব যোগানদাতা যাত্রী তথা দেশের জনগণ। অথচ সরকার যাত্রীসেবার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহন, নতুন নতুন ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামত,  বাসের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক নিরাপত্তায় নানান পদক্ষেপ গ্রহণসহ যাত্রীস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিগত সরকারের সময়ে বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকার মিলেমিশে করা হয়েছে। এতে করে পরিবহন খাতে নির্লজ্জ দলীয়করণ, চাদাঁবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা চরম আকার ধারণ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী সংগঠন তথা জনসাধারনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানান যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত এই সংগঠনের নেতারা।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, মালিক-শ্রমিকদের তোষামোদীর প্রতিবাদ করায়, যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় সোচ্চার থাকায় বিগত সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিরাগভাজন হওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নানাবিদ প্রকল্পে নানান সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত সরকারের এমন নির্লজ্জ দলীয়করণ ও এধরনের বিভিন্ন বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের গণবিষ্ফোরন ঘঠিয়ে এ দেশের নিরস্ত্র বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা অস্ত্রের বিরুদ্ধে এক অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই যুদ্ধে প্রায় ২,০০০ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। ৪০,০০০ এর বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ২ লক্ষাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়ে এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এর মাধ্যমে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারের বিদায়ের পরও নতুন সরকারের সময়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর আওতাধীন সহযোগী সংস্থা- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ), ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (এমআরটি-৬) মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) তে যাত্রী তথা জনগণের প্রতিনিধিত্ব এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

তিনি অনতিবিলম্বে, অতীতের বৈষম্য দুর করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহে যাত্রীস্বার্থ তথা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পাশাপাশি অংশীজন হিসেবে রাখার অনুরোধ জানান।  

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির ধৈর্য্য সহকারে সকলের বক্তব্য শুনেন। এ সময়  তিনি বলেন, এখন থেকে মন্ত্রনালয়ে সকল বৈষম্য দুর করা হবে। যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।  

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক আবদুল হক,  যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।


আরও খবর



পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় দেশে ও সৌদিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (০২ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সেদেশের পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা ও তাদেরকে হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশ সুগম করা, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সৌদি সরকার। এ বিধিমালা অনুসারে সেদেশের পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতিপত্র, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা) ও সরকারিভাবে ইস্যু করা হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে।

আসন্ন হজ মৌসুমে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে-হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। এ কাজে সহায়তা করলেও রয়েছে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান।

শুধু জরিমানাই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে এরূপ সহায়তাকারীর নিজস্ব যানবাহনও আদালতের রায় অনুসারে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

সৌদি সরকার আরও জানিয়েছে, যদি কোন বিদেশি নাগরিক নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। পরে ১০ বছর তাকে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়া পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে কেউ প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাদের ওপর নজরদারি থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় আইন-কানুনের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হজের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকার ঘোষিত আইন-কানুন ও বিধিনিষেধ অনুসরণ করা আবশ্যক। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় জড়িত আছে। প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে কর্মরত। এদেশ থেকেই আসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠু ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি অননুমোদিত হজ পালন থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ প্রসঙ্গে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, হজ একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা এবং টিম ওয়ার্ক। সৌদি আরব এবং মুসলিম দেশ সমূহের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় হজ পরিচালিত হয়। তবে হজ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সুপরিকল্পিত কর্মসূচি, আইন-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ ও অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সুষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজযাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সৌদি সরকারের প্রচলিত আইন কানুন ও বিধি বিধান অনুসরণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকারের সকল পদক্ষেপকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাগত জানায়।

তিনি আরও বলেন, হজের পবিত্রতা রক্ষা এবং সব হজযাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সফল হজ আয়োজন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকায় পরপর তিন দিনে তিন বড় সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় তিনটি দল ও সংগঠন পৃথকভাবে জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে ছুটির এই সময়ে শহরে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় পরিসরে শ্রমিক সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এই সমাবেশ আয়োজন করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সমাবেশে রাজধানী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

এর পরের দিন শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দলটির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতি হতে পারেন।

ছুটির তৃতীয় দিন শনিবার (৩ মে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক মাস ধরে এ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি।

মহাসমাবেশে হেফাজতের প্রধান দাবি হলো— তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় নিহতদের হত্যাকাণ্ডের বিচার, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনসহ ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ থাকবে আলোচনায়।


আরও খবর



১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গুজরাটে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কে এই মাসুদ আজহার? ভারতের কেন এত ভয়?

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চার সহযোগী। একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান। প্রশ্ন উঠেছে কেন ভারত এই মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে হামলা চালালো। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার ও সহচরদের হত্যা করা। তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

কে এই মাসুদ আজহার? 

ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পর বারবারই উঠে আসে মাওলানা মাসুদ আজহারের নাম। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বেড়ে ওঠা মাসুদ আজহারের ভয় গত ৩৫ বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতকে। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে মুক্ত করতে ভারতীয় বিমান ছিনতাই করেন অনুসারীরা। যা সেসময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে দায়ী করে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। যদিও পাকিস্তান তা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে দিল্লির পাল্টা দাবি, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্য জনসভা করে বেড়ান আজহার। কিন্তু কীভাবে জইশ প্রধান হয়ে উঠলেন মাসুদ আজহার?

মাওলানা মাসুদের বেড়ে ওঠা

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ১৯৬৮ সালে জন্ম তার। বাবা আল্লা বক্স সাবির ছিলেন সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। বাড়ির প্রত্যেকে যুক্ত ছিলেন ডেইরি ও পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে। ছোটবেলার স্কুল ছেড়ে জামিয়া উলুম-ই-ইসলামি স্কুলে ভর্তি হন মাসুদ। তখন থেকেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য মন কাঁদত তার। ভারতের নিপীড়নের ব্যাপারে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। পড়াশোনায় মেধাবী মাসুদ আজহার কুরআনের হাফেজ। পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েও।

নিজে স্কুলে পড়াতেন মাসুদ আর বাড়ির ব্যবসাও দেখতে। জিহাদ বিষয়ে লিখেছেন অসংখ্য বইও। পত্রিকার সম্পাদনা করার সূত্রেই অল্পবয়সীদের মধ্যে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ভারতে গ্রেপ্তার ও বিমান ছিনতাইয়ে আলোচিত ঘটনা

১৯৯৪ সালে হরকত উল মুজাহিদিন নামে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভারতে গ্রেফতার হন মাসুদ। পরে তাকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা ছক কষেন অনুসারীরা। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান আইসি ৮১৪ কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসছিল। বিমানটিকে ভারতের আকাশ থেকে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যান মাওলানা মাসুদের অনুসারীরা। ১৫৪ জন যাত্রীর প্রাণের বিনিময়ে মাসুদ আজহার, মুস্তাক আহমেদ ‌জ়ারগর ও আহমেদ উমর সঈদ শেখের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ভারতের অটলবিহারী সরকার, যাদের জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

জইশ-ই-মহম্মদ গঠন

মুক্তি পাওয়ার পর ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তোলা শুরু করেন মাসুদ। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় করা থেকে সংসদে হামলা, সবকিছুতেই প্রধান মাথা ছিলেন মাসুদ। ২০০২ সালে গৃহবন্দি দশা থেকে মাসুদকে পাকিস্তান মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তালিবান ও লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মাসুদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থার গোয়েন্দারা।

২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে শেখ আহমেদ সইদ ওমর নামে মাসউদ আজহার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেই। এর পরই আমেরিকা মাসুদ আজহারের নাগাল পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে এও জানায়, কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় এক মার্কিন নাগরিকও সেই বিমানে ছিলেন। যদিও পাকিস্তান বলে আজহার হাইজ্যাকার নন।

এর পরই ভারতের গোয়েন্দাদের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্ট’-এ চলে আসে মাসুদ আজহারের নাম। জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম উঠেছে তার। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলি করে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনায় আবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাসুদ আজহার। এই হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ভারতের অভিযোগ। এর প্রতিশোধ নিতেই ‍বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। হামলায় পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ নিজেই।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলেছে, ভারত পাকিস্তানের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদ। এই মসজিদ ও সংশ্লিষ মাদ্রাসায় হামলায় মাওলানা মাসুদের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু। হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মৌলভি আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’

তিনি বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান।


আরও খবর