Logo
শিরোনাম

সরকার দাবি মেনে নিলে শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাবো অন্যথায় নয়- সম্পাদক বশির

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মোঃ ছিপু মোল্যা - বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি::

সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে ফিরবেন নাকি ফিরবেন না। সরকার যদি এই সপ্তাহে আমাদের দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখেন তাহলে হয়তো আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাব। আর যদি সরকার গুরুত্ব না দেন তাহলে আমাদের চলমান কর্মবিরতি অব্যহত থাকবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে  এমনটাই বলেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বশির উদ্দীন। 

রবিবার(১৪জুলাই) সর্বাত্মক কর্মবিরতির দশম দিন পালন করেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মবিরতি শেষে দৈনিক BD Today's এর সাথে কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বশির উদ্দীন। 

শিক্ষকদের কর্মবিরতি আর কতদিন নাগাদ চলতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে BD Today's  কে তিনি বলেন, সরকার পক্ষের সাথে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আলোচনা করেছে। তাদের কাছে তিন দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দাবির বিষয়ে আশানুরূপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। সেজন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেয় তবে আমরা শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাব।অন্যথায় শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব না। হয়তো এই সপ্তাহে দাবি মেনে নিলে পরের সপ্তাহে আমরা শ্রেণীকক্ষে ফিরে যেতে পারি। অথবা দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্বের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকবে।

ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাদের শিক্ষার্থীদেরকে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবেন এই মর্মে আদালত আশা করে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বশির বলেন, ওনারা বললেইতো আর হবেনা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি অনুযায়ী আসলে শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাওয়ার মত পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১জুলাই থেকে তিন দফা দাবি নিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে নেমেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তিন দফা দাবি পূরন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে ফিরবেনা। এমনটাই দাবি করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে সর্বাত্মা কর্মবিরতিতে নেমেছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি ও।


আরও খবর



অতি তাপমাত্রায় ভুগছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত এক বছরে বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত এক মাস তীব্র গরম সহ্য করেছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি অব্যাহতভাবে পোড়ানোর ফলে প্রতিটি মহাদেশেই মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে উন্নয়নশীল দেশে এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ও গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ফ্রিডেরিকে ওটো বলেছেন, ‘প্রতি ব্যারেল তেল পোড়ানো ও প্রতি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণে তাপমাত্রা একটু একটু বাড়বে ফলে তাপপ্রবাহে আরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে।’

২ জুন ‘বিশ্ব তাপ মোকাবিলা দিবস’-এর আগে বিশ্ব আবহাওয়া নিরীক্ষণ সংস্থা, ক্লাইমেট সেন্ট্রাল ও রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট ক্লাইমেট সেন্টারের বিজ্ঞানীরা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। এই বছর দিবসটি অতিরিক্ত গরমে দুর্বলতা ও হিটস্ট্রেক ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব মূল্যায়ন করতে গবেষকরা ২০২৪ সালের ১ মে থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়কে বিশ্লেষণ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘চরম গরম দিন’ সংজ্ঞায়িত করা হয় সেসব দিনকে যা ১৯৯১-২০২০ সালের মধ্যে কোনো স্থানের তাপমাত্রার ৯০ শতাংশ দিনের চেয়ে বেশি গরম ছিল।

বিজ্ঞানীরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মডেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছেন, মানবসৃষ্ট উষ্ণায়ন না থাকলে এমন চরম গরম দিনের সংখ্যা কত হতো।

ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ যা মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ, তারা গত এক বছরে অন্তত ৩০ দিন বেশি চরম গরম দিনের সম্মুখীন হয়েছে, যা মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন না হলে হতো না।

গবেষক দলটি পুরো বছরের মধ্যে ৬৭টি চরম গরমের ঘটনা চিহ্নিত করেছে এবং প্রতিটির পেছনেই জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব খুঁজে পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যারিবীয় দ্বীপ আরুবা। সেখানে ১৮৭ দিন চরম গরম রেকর্ড হয়। যা পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতায় থাকলে ৪৫ দিন কম হতো।

এই গবেষণাটি এমন এক বছরের কথা বলে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার দিক থেকে নজিরবিহীন। ২০২৪ সাল ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছর, যা ২০২৩ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গরম জানুয়ারি।

গত পাঁচ বছরের গড় হিসেব করলে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন শিল্প বিপ্লবের পূর্বের সময়ের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শুধু ২০২৪ সালেই তাপমাত্রা বেড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার বাইরে।

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, গরমজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

২০২২ সালের গরমে ইউরোপে তাপজনিত রোগে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে অন্য দেশে এমন তথ্য খুবই কম। অনেক মৃত্যুর আসল কারণ হলো তাপের প্রভাব, কিন্তু তা হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যার সঙ্গে ভুলবশত জড়ানো হয়।

গবেষকরা তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে আগাম সতর্কবার্তা, শহরভিত্তিক পরিকল্পনা ও জনসচেতনতামূলক উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

তারা বলেন, ভবন নির্মাণে ছায়া ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। গরমের সময় কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে।

তবে তাদের মতে, শুধু পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই যথেষ্ট নয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্রুত বন্ধ না করলে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়। সূত্র: বাসস


আরও খবর



ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে নাগরিকদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে। দেশের জনগণ কিন্তু সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে এবং তাদের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কিন্তু কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের ১৮ বছরে যাত্রার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ, সরকার গঠিত হলে অবশ্যই সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়। দেশে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত থাকলে সরকারের পক্ষ ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করা সহজ হয় না। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সরকারের চরিত্র যাই হোক, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়তো নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




খুশির ঈদ যাত্রায় উচ্ছ্বসিত ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার আজ (শনিবার) প্রথম দিন। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে।

সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই হাজারো যাত্রী স্টেশনে আসছেন। ঈদ উদ্‌যাপন করতে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে মুখিয়ে থাকা মানুষের পদচারণায় স্টেশন চত্বর মুখরিত।

যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিটবিহীন কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশই শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্য, যারা ঈদের ছুটি কাটাতে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী দীনি ইসলাম বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে আমি বাড়ি যাচ্ছি। গতকাল থেকে ছুটি শুরু হলেও গতকালের টিকিট পাইনি, ফলে আজ বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, ঈদে ঠিক কাছাকাছি সময়ে রংপুর যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। ফলে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছার জন্য পরিবারের সদস্যদের আজই বাড়ি পাঠাচ্ছি। আগে থেকে টিকিট কাটা হয়েছিল। আমার ঈদের ছুটি শুরু হতে আরও ৫ দিন লাগবে।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আফসানা বেগম বলেন, ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আর তাই অনেক কষ্ট করেও টিকিট সংগ্রহ করেছি। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় চেকিংয়ে টিটিইরা টিকিট চেক করেছে। কিছুটা ভিড় থাকলেও সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে, এটা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকল চেষ্টাই আমরা করেছি। প্রত্যেকটি ট্রেন ঢাকায় আনা হয়েছে গত রাতের মধ্যে। এখন ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোট প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুন রাতে জেলা প্রশাসন থেকে জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের বহনকারী হাউসবোট চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাওরের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর একটি পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা। গত ২০ বছরে এখানকার ৭০ শতাংশ জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেয়েছে। তিনি পর্যটন নিয়ন্ত্রণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণার দাবি জানান।


আরও খবর



আমেরিকা যে আক্রমণটা করেছে, সেটা হচ্ছে "লিমিটেড স্ট্রাইক

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইয়েস, বি-টু বম্বারে করে নিয়ে আসা বোমা, একেকটার ওজন ১৩.৬ টন করে, সেগুলো ড্রপ করা হয়েছে ইরানের নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিতে - তারপরেও লিমিটেড স্ট্রাইক। 

কারণ আমেরিকা ইরানকে গোপনে বার্তা পাঠিয়েছে, তারা যে হামলা করেছে, ওটুকুই। ইরানের সাথে ফুল স্কেল ওয়ারে যেতে তারা আগ্রহী না।

ইরানের সাথে এবারের যুদ্ধটা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের গ্রিন সিগন্যালেই। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের উপর হামলা করার জন্য আমেরিকাকে চাপ দিয়ে আসছিল। কেউ রাজি হয়নি। 

ইভেন ২০০৩ সালেও ইসরায়েল আমেরিকাকে রিকোয়েস্ট করেছিল, ইরাক পরে, আগে ইরানকে ধরো। কিন্তু বুশ ফ্যামিলি এবং তার নিও কন মন্ত্রিসভার সাথে সাদ্দামের অতীত হিস্টরি, তেল বিষয়ক হিসাব-নিকাশ সবকিছুর কারণে আমেরিকা ইরাকেই আক্রমণ করে। 

এরপরেও ইসরায়েল পুশ করে গেছে। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা কেউ রাজি হয়নি অনেকগুলো কারণে। এমনিতেই ইরাক-আফগান যুদ্ধে তারা ফেঁসে গিয়েছিল। তার উপর ইরানের প্রক্সিরা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।

এবারের ইকুয়েশনটা ভিন্ন ছিল এই কারণে যে এবার ইরানের প্রক্সিরা সবাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এবারই ছিল ইসরায়েলের জন্য সর্বশেষ সুযোগ আমেরিকাকে এই যুদ্ধে টেনে আনার। তারা সেই চেষ্টাই করতে থাকে।


এমনিতে ট্রাম্পের নীতি হচ্ছে আমেরিকা ফার্স্ট নীতি। সে সরাসরি কোনো দেশে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের বিপক্ষে। কিন্তু সৈন্য মোতায়েন না করেই বোমা মেরে সব তামা তামা করে দেওয়ায় তার কোনো আপত্তি নেই। বিশেষ করে সে যদি মনে করে, বোমা মেরে শত্রুর সক্ষমতা হ্রাস করে তার সাথে "ডিল" করা যাবে। 

সুতরাং ট্রাম্প সেই কাজটাই করে। সে ইরানকে ৬০ দিন সময় দেয় তার সাথে ডিল করতে। সেই ডিলের শর্ত প্রথমদিকে একরকম থাকলেও ইসরায়েলের চাপে মাঝপথে গিয়ে সে শর্ত আরও কঠিন করে ফেলে। জিরো এনরিচমেন্টের শর্তে অনড় হয়ে বসে থাকে। ইরান যখন সেটাতে আপত্তি জানায়, তখন ৬১-তম দিনে সে ইসরায়েলকে অনুমতি দেয় - যাও, আক্রমণ করো।


ট্রাম্পের হয়তো আশা ছিল, ইসরায়েলের আক্রমণে ইরানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে, এবং আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইরান তার কাছে এসে ক্ষমাটমা চেয়ে তার শর্ত অনুযায়ী চুক্তি করতে বসে পড়বে। কিন্তু ইরান যখন সামলে নিয়ে পাল্টা আঘাত করতে শুরু করে, তখন সেই হিসাব পাল্টে যায়। ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকার এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। 


এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের যে মনোভাব, ট্রাম্পের সাপোর্ট বেজের মধ্যেই যুদ্ধের ব্যাপারে যে মনোভাব, তাতে ট্রাম্প সরাসরি সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধে যোগ দিবে - এই সম্ভাবনা একেবারেই কম। কিন্তু বি-টু বম্বার এবং বাঙ্কার ব্লাস্টার পাঠিয়ে ট্রাম্প যে নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করে দিবে, এটা গত তিন-চার দিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।


বিশেষ করে লিজেন্ডারি ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সাইমুর হার্শ পরিষ্কার জানিয়েছিল, তার সোর্স তাকে জানিয়েছে, ট্রাম্প অলরেডি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়ে দিয়েছে। ফলে মাঝখানে ট্রাম্প যে দুই সপ্তাহের কথা বলেছিল, মোস্ট প্রবাবলি ওটা ছিল ব্লাফ।


বিমান হামলা করলেও এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী না। সেজন্যই সে ইরানকে সরাসরি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু ইরান কি এই হামলার পাল্টা জবাব দিবে? বলা মুশকিল।


ইরানের পক্ষে পাল্টা জবাব দেওয়া কঠিন। কারণ আমেরিকা এই হামলায় মিডল ইস্টের কোনো বেজ ব্যবহার করেনি। তারা সরাসরি আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছে। ফলে ইরানের পক্ষে গালফ কান্ট্রিগুলোর বেজে আক্রমণ করা সম্ভব হবে না। ওটা করতে গেলে গালফ কান্ট্রিগুলো সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে।


ইরানের পক্ষে আমেরিকান জাহাজগুলোর উপর আক্রমণ করাও সম্ভব না। সফল হবে কি না, সেই প্রশ্ন যদি বাদও দেই - সফল হলেও ওরকম হামলায় আমেরিকার কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হলেই আমেরিকা ইরানকে গাযার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। 


ফলে ইরানের হাতে অপশন আছে দুইটা। এক, ইসরায়েলে হামলা আরও তীব্র করা। সেটা তারা অলরেডি শুরু করে দিয়েছে। তেল আবিবের চমত্‍কার কিছু ভিডিও আসা শুরু হয়েছে। 

আর দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে, আরও কিছুদিন পরে, ইরাকে বা সিরিয়ায় আমেরিকান ঘাঁটিতে আক্রমণ করা। এর আগে কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পরেও তারা ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সেটা তারা আমেরিকাকে জানিয়েই করেছিল, যেন ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মেলে, কিন্তু আমেরিকান প্রাণহানি না ঘটে। 

এবারও সেরকম হামলা করবে কি না, বা করার আগে জানিয়ে করবে কি না, সেটা আসলে নির্ভর করবে আমেরিকার আজকের হামলায় তাদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার উপর।

অ্যানিওয়ে, আপাতত যা মনে হচ্ছে, আমেরিকা এখনও গ্রাউন্ড ইনভেশনে যাচ্ছে না, আপাতত আর বেশি হামলা করারও পরিকল্পনা তাদের নাই। কিন্তু ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা এখনও শেষ হয়নি। 

ইসরায়েল আজকের হামলার জবাব দিলে ইরানও পাল্টা জবাব দিবে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা এবং ফলাফলও আমেরিকার সমীকরণ আবার পাল্টে দিতে পারে। আর ইসরায়েল যদি আমেরিকার এই "মিশন সাকসেকফুল"-কে নিজেরও মিশন সাকসেফুল দাবি করে থেমে যায়, তাহলে এটা একটা এক্সিট স্ট্র্যাটেজি হতে পারে।


আরও খবর