Logo
শিরোনাম

সরকার একা পরিবর্তন আনতে পারবে না

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আমরা প্রায়ই অন্যের ওপর দোষ চাপাই, কিন্তু নিজেরা বদলাতে চাই না। সরকার একা পরিবর্তন আনতে পারবে না, আমাদের প্রত্যেককেই পরিবর্তনের অংশ হতে হবে। আমাদের অবস্থান থেকে সচেতন হলেই একটি সুন্দর ও টেকসই বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনাপ্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব স্কলারস-এর প্রথম সমাবর্তনে কনভোকেশন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশের সুরক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে প্রকৃতির ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। প্রকৃতিকে পরাজিত করা যায় না, বরং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন গড়ে তুলতে হয়। পরিবর্তিত বিশ্বে আমাদের জীবনযাত্রাকে টেকসই করতে হবে।

শব্দদূষণ, পলিথিন দূষণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ নয়, দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্বও নিতে হবে। শিক্ষার প্রকৃত মূল্যায়ন হয় তখনই, যখন তা সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলেই সমাজ বদলাবে না, বরং বাস্তব কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশ। তাই নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

সিস্টেমকে কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দায়িত্ব শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবা নয়, সমাজ ও দেশকে নিয়েও ভাবতে হবে। সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়। এখন সময় এসেছে দেশের জন্য কাজ করার, সমাজের জন্য অবদান রাখার। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম. আমিনুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল (অব.) ফরিদ হাবিব, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামুল বাসার এবং কনভোকেশন স্পিকার ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী।


আরও খবর



মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, দু'জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী) মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেনকে হত্যা মামলার প্রধান দু'জন আসামী নান্টু (২৮) ও খোকন মিয়া (২৮) কে মামলা দায়েরের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র‍্যাবের চৌকস অভিযানিক টিম। শনিবার ১৯ এপ্রিল পূর্বরাত সোয়া ৮টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার রামরায়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র‍্যাব। আটককৃত নান্টু রাজশাহীর তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে ও তার সহযোগী খোকন মিয়া একই এলাকার মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, আকরাম হোসেন (৫২) পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ঘটনার দিন বিকাল সারে ৪ টারদিকে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে উত্তক্ত করে। ঘটনাটি বাসায় গিয়ে সে তার বাবাকে জানালে ছাত্রীর বাবা মেয়েকে উত্তক্ত করার বিষয়টি নান্টুর বাবাকে জানায়। এতে নান্টু আরও ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় ছাত্রীর ভাই ইমাম হোসেন অনন্তকে

নান্টু ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে এলোপাথারী মারধর করতে থাকলে তার ডাক-চিৎকারে শুনে ঘটনাস্থলে ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করার এক পর্যায়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আকরাম হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের  করেন। এরপর র‌্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এর নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে তাদের দু'জনকে আটক করেন। র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।তাদেরকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবেশীদের মারপিটে এক কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মারপিটে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে। 

নিহত জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকন খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের মৃত জান বক্সের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকনের ছেলে চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো-বাইক যোগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজ বাড়ীর নিকটে অটো-বাইকটি রেখে চালক সহ মালপত্র নিয়ে তার বাড়িতে রাখতে যান। এ সময় প্রতিবেশী শাহীন শেখের ছেলে আপন শেখসহ বেশ কয়েকজন যুবক অটো-বাইক রাখাকে কেন্দ্রকরে বিরোধে লিপ্ত হোন এবং এক পর্যায়ে আপন শেখসহ প্রতিবেশী আরো বেশ কয়েকজন জহিরুল ইসলাম খোকন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামকে লাঠিদিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।


তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার পর জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে মৃতদেহ গ্রামে আনার পর থেকে মারপিটকারী পক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বসেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্বজনরা টাকা চাই না ন্যায় বিচার চাই দাবি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনার চৃস্টি হয় এবং ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসন অবগত করেন নিহতের স্বজনরা।   

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন রেজা বলেন, মারপিটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



উখিয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের বাড়ি দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি পরিকল্পিত, বর্বর ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতার প্রতীক জসিম আজাদ। ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তার রত্নাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়াস্থ বসতবাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত চাঁদাবাজ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজ উদ্দিন বাবু।


স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবু ও তার দলবল জসিম আজাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। জসিম আজাদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এমনকি জমি ও বসতঘর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় “জমি আমাদের, তুই এখানে থাকতে পারবি না” বলে চিৎকার করতে থাকে হামলাকারীরা।


জসিম আজাদ জানান, “বাবু নিজে এসে বলে, পাঁচ লাখ টাকা দিলে তোকে থাকতে দিব, না দিলে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে দেব। আমি অপারগতা জানালে ওরা আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।”


তিনি এ ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২৩ সালের ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’-এ মামলা দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে রত্নাপালংয়ের মৃত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে তাইমুন উদ্দিন (২৮), তাইফুর উদ্দিন (৩৬), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহাফুজ উদ্দিন বাবু (৪২), হলদিয়া পালংয়ের মৃত মীর কাশেম চৌধুরীর ছেলে আলা উদ্দিন চৌধুরী (৫৮) এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন সন্ত্রাসীকে।


অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বাবু নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকায় ছিলাম।” এটি একধরনের হাস্যকর, ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। একজন মানুষ বাড়ি দখল, চাঁদা দাবি এবং নারীর ওপর হামলার সময় “বিচারক” হয়ে উপস্থিত থাকে—এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং বাবুর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, সে পুরো ঘটনার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড।


স্থানীয়রা বলছে, উখিয়ায় বিএনপির একাংশ এখন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা। কেউ মুখ খুললেই তার উপর নেমে আসে হামলা, মিথ্যা মামলা কিংবা হত্যার হুমকি। এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, জসিম আজাদকে ঠাণ্ডা মাথায় টার্গেট করা হয়েছে, কারণ তিনি মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।


এটি শুধুমাত্র একজন সাংবাদিকের উপর হামলা নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা, সত্য প্রকাশ এবং জনস্বার্থে কাজ করা সকল মানুষের উপর সশস্ত্র আগ্রাসন। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে সাংবাদিক সমাজসহ সকল বিবেকবান নাগরিক।


তাদের প্রশ্ন, প্রশাসন কি নীরব দর্শক হয়ে থাকবে? নাকি এই ভূমিদস্যু-চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে প্রমাণ করবে যে রাষ্ট্র এখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে?


আরও খবর



সংস্কার সংস্কারের মতো, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীন সফর প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে চীন একতরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা। ’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে, সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে, সে-ই সংস্কার করবে’।

পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর