Logo
শিরোনাম

সরকার নিরুপায় হয়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার ঃ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনা সরকার নিরুপায় হয়ে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। 

তিনি বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য-হ্রাস পেলে সরকার আবারও জ্বালানি মূল্য সমন্বয় করবে।

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন যার ফলে ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে, এতে বিপিসি কে লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

মন্ত্রী বলেন পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে ফেব্রুয়ারী ২২ হতে জুলাই ২২ পর্যন্ত বিপিসি'র লোকসান ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা, এ প্রেক্ষাপটেই সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে বলেন মিয়ানমারে ডিজেলের লিটার প্রতি মূল্য ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা,ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা,আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা,নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকং-এ ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা।

তিনি বলেন সরকার এর আগেও ৪ নভেম্বর ২০২১ সালে মূল্য সমন্বয় করে, তার আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল।  ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন এ কথা সত্য, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে।সরকার এ বিষয়টি সক্রিয়  বিবেচনায় রেখে নেতিবাচক প্রভাব নিম্নপর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট। 

স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান, কৃষি উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির বিবেচনায় নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে শীঘ্রই জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, সেটা আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে।

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া সমন্বয়ে গতকাল বিআরটিএ'তে পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনসহ অংশিজনদের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআরটিএ'র চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে,- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশা করে বলেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত দাবী করবে না।

মন্ত্রী সতর্ক করে বলেন কোন পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকার নাকি দানবে পরিণত হয়েছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন আসলে এদেশে মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা এবং জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপিই মূর্তিমান দানবে রূপ নিয়েছে। 

যারা হত্যার রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে রাজনীতি শুরু করে তারাই দানব, তারা দানবের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন যাদের দুর্নীতির দুর্গন্ধে ভূত পালায় তারাই সরকারের সব কাজে দুর্নীতির দুর্গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে)।

সোমবার ( ২৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১৪ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

 


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




উখিয়ায় নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাটি পাচারকারীদের ট্রাকের চাপায় নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রবিবার রাত ৯টায় গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে তার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি  ভিটিকান্দি তার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে, সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে ঐ এলাকার বাতাস। সাজ্জাদুজ্জামান'কে একনজর দেখতে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী ভিড় করেন।

এদিকে ছেলে'কে হারিয়ে দিশাহারা পুরো পরিবার। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা শাহজাহান মাস্টার মা ওম্মে কুলসুম। শোকে স্তব্ধতায় পুরো গ্রাম। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে আসছে গ্রামের বাসিন্দারা। 

নিহতের বাবা শাহজাহান মাস্টার বলেন, শনিবার গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে  মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলে সাজ্জাদ ঘটনাস্থলে গেলে মাটি পাচারকারীরা ট্রাক চাপা দিয়ে আমার ছেলে'কে হত্যা করে। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের কর্মস্থল উখিয়ায়

প্রথম জানাজার পর আমার ছেলের মরদেহ গ্রামে পৌঁছায়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানান শেষে তাকে ভবেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ভুক্ত উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




র‌্যাংকিং এ শান্ত-লিটনের বিরাট অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত বুধবার শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আশিতা ফার্নান্ডো এবং বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) আইসিসি র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যাচ্ছেতাই ছিলেন লিটন কুমার দাস। নতুন বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে সিরিজের মাঝপথেই বাদ পড়েন। তবে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দলের প্রয়োজনে হাল ধরার চেয়ে অপ্রয়োজনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলের বিপদটাই বাড়ান লিটন।

টেস্ট সিরিজে একই অবস্থা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষেত্রেও। তবে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। টেস্টে বাংলাদেশও ভুগেছে নিজেদের নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারের অফফর্মের কারণে। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে রেকর্ড হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে।

এমন হারের পর আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৮ম স্থানে। এদিকে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে ক্রিকেটারদের। যেখানে অবনমন দেখেছেন শান্ত এবং লিটন। আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে ৫ ধাপ নেমে ৬২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে লিটন এখন আছেন ২৯ নম্বরে। আর শান্ত ৮ ধাপ নেমে ৪৮৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ৬১তম স্থানে।

এদিকে টেস্টে খারাপের জেরে ক্রিকেটারদের যেমন অবনমন হয়েছে তেমনি উন্নতিও হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনধাপ উপরে উঠেছেন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করা এই ব্যাটার তিন ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৭৫তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ রান করা মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে। আর চার ধাপ এগিয়ে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছেন মুমিনুল হক।

এদিকে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেছেন দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ছয় উইকেট নিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন হাসান। ওই টেস্টে ৩ উইকেট নেয়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৩ নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান


আরও খবর



দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪