সিয়াম সাধনার মাস রমজান আসতে এখনো বাকি এক সপ্তাহ। কিন্তু রোজা শুরুর আগেই ইফতার সামগ্রীর অন্যতম উপাদান লেবুর দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, আরও বাড়ার শঙ্কা।
বাজারে ঘুরে দেখা যায় বড়ো সাইজের এলাচি লেবু ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের সিলেটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
জানা গেছে, এক মাস আগেও যেই লেবু বিক্রি করা হয়েছে ৩০ টাকা দরে; তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে লেবুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমেছে।
বিক্রেতারা জানান, যেখান থেকে তারা লেবু কিনে আনেন সেখানেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি শুনে অনেক ক্রেতা লেবু না কিনে চলে যায়। এক মাস আগেও এই লেবু তারা ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, পাইকারিতে হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম কমলে খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করব। এক মাস আগে এই লেবুর দাম ছিলো ৩০ টাকা বলেন তিনি।
আরেক সবজি বিক্রেতা মো. রাব্বি বলেন, রমজান মাসে সব সময় লেবুর দাম বৃদ্ধি থাকে। এবার রোজার আগেই লেবুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন লেবুর সিজন না হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। রমজান মাসে লেবুর দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান এই বিক্রেতা।
আজকে বাজারে টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা দরে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশী মোরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।