সড়কে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল ৫টি পেট্রোল বোমা
ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
ট্রাম্পকে আবারও হত্যাচেষ্টা, সন্দেহভাজন আটক
দুই মাসের মাথায় আবারও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় অবস্থিত একটি গলফ ক্লাবে নিজের মালিকানাধীন মাঠে গলফ খেলার সময় তার ওপর হামলা হয়। ঘটনার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার প্রচারণা দল।
জানা যায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের গলফ
কোর্সে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ সন্দেহভাজন একজনকে আটক
করা হয়েছে।
একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প গলফ খেলার সময় ঘটনাস্থলে একাধিক গুলির শব্দ
শোনা গেছে। ওই সময় তার সঙ্গে সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা দল ছিল। তারা
বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এফবিআই বলেছে, আপাতদৃষ্টিতে এটি ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা বলেই মনে
হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভয় পাবেন না। আমি ভালো আছি এবং
কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। তবে দুনিয়ায় এমন মানুষ আছে যারা আমাদের
থামাতে যেকোনো কিছু করতে পারে। আমি আপনাদের জন্য লড়াই থামাবো না। আমি কখনো
আত্মসমর্পণ করবো না। আমাকে সমর্থনের জন্য আপনাদের সবসময় ভালোবাসবো। আমাদের একতার
মাধ্যমেই আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব।
এফবিআই, সিক্রেট সার্ভিস এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গলফ কোর্সে ট্রাম্পের কাছাকাছি ছিলেন একজন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট।
তিনি রিসোর্টের সীমানার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে দেখতে পান এবং তাকে
লক্ষ্য করে গুলি চালান।
পরে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রায়ান ওয়েসলি রুথ নামে
পঞ্চাশোর্ধ্ব একজনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাস্থল থেকে থেকে ‘একে-৪৭’ সদৃশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও
জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আটক রুথের সম্পর্কে বিস্তারিত খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি
ইউক্রেনের পক্ষে বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহের কাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন বলে
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
ট্রাম্পকে পুনরায় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট অক্ষত রয়েছেন জেনে আমি স্বস্তি
পেয়েছি।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলেও জানান তিনি।
একই কথা বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে
ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী কমালা হ্যারিসও। সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, আমি খুশি যে তিনি (ট্রাম্প)
নিরাপদে আছেন। আমেরিকায় সহিংসতার কোনোও জায়গা নেই।’
গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা
শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
ফুলবাড়িতে,গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে
উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রায় কৃষকের বাড়িতে দুই একটি গরুর মধ্যে এ রোগ আক্রান্ত সহ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্রমান্বয়ে এ রোগটি ছড়িয়ে পরার আতংকে রয়েছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রান্তিক গবাদি পশুর মালিকরা সহ খামারিরা। তবে খামারিরা আগে থেকেই প্রতিশোধক নেওয়ায় খামারের গরুর আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তূ দেশি গরু ও বাচুরের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি।
জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরের খামার গ্রামে ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগ দেখা দিয়েছে। গরুর অসুস্থতায় বোঝা যায় প্রথমে জ্বর পরে কাপুনির সৃষ্টি হয় পরক্ষণেই মুখ দিয়ে লালা আসে। এ রোগের জন্য গবাদি পশু মালিকরা গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা চালালেও শেষ রক্ষা পায়নি তাঁরা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পরেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের মধ্যে বজরের খামার চন্দ্র খানা গ্রামের মোছাঃ নাজমা বেগমের ১টি বিদেশি ও ১টি দেশি গাভী,একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ১টি ষাড় মারা গেছে। কুমার পাড়া গ্রামের রতন কাজির ১টি, আশরাফুলের ১টি গাভী,পাশের গ্রামের বাবুলর ১টি,ও আব্দুস সামাদের ১টি ষাড় ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এদিকে পানি মাছ কুটি এলাকার ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেওয়ার পর ও আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা দামের একটি ষাঁড় বাঁচানো সম্ভব হয়নি, সাথে থাকা বাকি গরু গুলোর অবস্থা ভালো নেই। ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি এলাকার গরুর খামারি মোঃ জাহিদুল হাসান জানান,যে ভাবে এই রোগ বিস্তার করছে আমি গরু নিয়া খুব দুশ্চিন্তায় আছি আল্লাহ ভরসা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক জানান,আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বজরের খামার এলাকায় খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪/৫টি গেছে। মুলত ওই গ্রামের একজন কৃষক কোন এক বাজার থেকে একটি গরু কিনে নিয়ে আসায় এই রোগটি দেখা দেয়।যার কারণে ভাইরাস জনিত খুরা রোগটি ছড়িয়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে।রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরামর্শ দেন।
ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক মন্ত্রীসহ ১২০ জনের অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ পর্যন্ত আলোচিত ১২০ জন সাবেক শীর্ষ আমলা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী, পুলিশের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। তাদের সম্পত্তি, নামে-বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ খোঁজ নিচ্ছে তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকের বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এমনকি
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক। আবার অনেকে
দুর্নীতির জালে ধরা পড়ার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন। বিদেশে পালিয়েছেন অনেকে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অনেকে ধরা পড়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন
শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে দুদক।
ইতোমধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), সাবেক নৌ
পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী
লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের
সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০
আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের একাধিক ল গঠন
করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
দুদকের সর্বশেষ অনুসন্ধানের আওতায় আসা এই ১২০ জনের বিরুদ্ধে
ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ব্যাংক ঋণ ও শেয়ারবাজার
কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য,
টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ
নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এ
পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের ২০ মন্ত্রী, ৮ প্রতিমন্ত্রী,
৫২ এমপি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য,
পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ৪ উপাচার্য, ২ মেয়র ও সচিব, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ
সাবেক-বর্তমান অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দেওয়া হয়েছে
দুদক থেকে জানা
যায়, গত ১৫ আগস্ট সাবেক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ঘুষ, নিয়োগ
ও বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের
অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে
অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান
শুরু হয়েছে।
গত বুধবার
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম
চৌধুরীসহ সাবেক ১০ জন এমপিসহ ২০ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপাতত তাদের মামলা দায়েরের দিকে না গিয়ে অনুসন্ধানের
তালিকা বড় করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তাদের অনেককেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার
করেছে।
দুদকের তদন্ত
সংশ্লিষ্টরা জানান, দুদকের এখন কৌশল হচ্ছে, সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তি
মাধ্যমে বিগত সরকারের দায়িত্বশীল কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ
অর্জনের অভিযোগ এলে এই গোয়েন্দা ইউনিট থেকে সেসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া
গেলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করবে। সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন একই সুরে
বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যে
প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে কমিশন।
দুদকের তদন্ত
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার
পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাদের
বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি
অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমে আরও রয়েছেন, দুদকের
উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম
আজাদ, মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম ও মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন।
সাবেক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) হারুন-অর রশিদ
বিশ্বাস। নিয়োগ-বাণিজ্য, জমি দখল, লুটপাট ও প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে
গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অবৈধ সেই সম্পদের পাহাড়ের সন্ধানে তাকে ও তার
স্ত্রী ওয়াহিবা আক্তার এবং মেয়ে দোয়া বিনতে রশীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য
দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ৯৯টি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে চিঠি
দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তা। চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন
সময়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা তলবি
চিঠিতে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও শেয়ারসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা
হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক
সূত্র জানায়, রাজধানীর কল্যাণপুরে হারুন বিশ্বাসের নিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট ও ঢাকার
সাগুফতায় রয়েছে ২০ কাঠা জমি। হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাস প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি এবং নিয়োগ-বাণিজ্য করে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ
করেছেন। মণ্টু বিশ্বাস দক্ষিণ কাজীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য করে এক
কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মুলাদী থানার ৭
নম্বর কাজীরচর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন।
মণ্টু বিশ্বাসের
মাছের ঘের ও গরুর খামার আছে। এমনকি সরকারি খাল দখল করে ১৫ একর জমির ওপর গড়েছেন
মাছের ঘের। এ ব্যাপারে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম
জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে
আসাদুজ্জামান খান ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ
দিতেন। তৎকালীন মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের
নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই
মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা
ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।
ঘুষের বিশাল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করে দিতেন। যাতে কেউ ঝুঁকিতে থাকতে না হয়।
এ ছাড়া
অনুসন্ধান শুরু হয়েছে আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ
ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী
লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ চার সাবেক এমপি, সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস
আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগ
করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা
ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান, যুবলীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে।
ব্যবসায়ী সাইফুল
আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের
বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস
আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন
সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আর চৌধুরী নাফিজ
সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী
কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে
দুদক। সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধানে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট’ (এমএলএআর) করেছে দুদক।
দুদক সূত্র
জানায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) একাধিক প্রভাবশালীর সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে এসব তথ্য পাওয়া গেলে আরও প্রভাবশালীর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান
শুরু করতে পারে দুদক। সূত্রগুলো জানায়, দুদকের তদন্ত দলকে
সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ
অনুসন্ধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো চালায়।
তদন্ত
সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০
হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার
পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য
বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার
নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিশাল এই
সিন্ডিকেটটি।
চক্রটি চাকরির
ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এর সঙ্গে
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন
অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে
দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
যাদের বিরুদ্ধে
অনুসন্ধান শুরু ॥ আওয়ামী লীগ আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), নৌ
পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর
গাজী, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন,
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, রেলমন্ত্রী
মো. জিলুল হাকিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এ ছাড়া আওয়ামী
লীগ আমলের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ
পলক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বেসামরিক
বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে
বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক
উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, চট্টগ্রাম বিশবিদ্যালয়ের
সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
অনিয়ম-দুর্নীতিতে
জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা গত ১ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও
স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিদেশযাত্রায়ও আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। গত ২
সেপ্টেম্বর সাবেক ১৭ মন্ত্রী ও ৯ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন
আদালত। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট সাবেক ৯ মন্ত্রী ও ৫ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় আদালত
নিষেধাজ্ঞা দেন।
বিদেশে পাচার
হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যাগ ॥ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন
পর্যন্ত ১২ দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর)
পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে
সংস্থাটি। মঙ্গলবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের
একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার
হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক মহাপরিচালক
জানান, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা,
কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়,
সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক
৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে
সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
এর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড
ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট
ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে সভা করেছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে ‘ছাগল কাণ্ডে’ নাম আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া করোনা রিপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের নামে মামলা করেছে দুদক। মধ্য জুলাই থেকে দুদকের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি দেখা যায়। এ সময় কমিশনের মামলা, অভিযোগপত্র কিংবা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ছিল কম।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর
বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজশাহীতে সাবেক এমপি ডা. মনসুর সহ ৭৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪
চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের
দুই লাখ টন চাল ও ৪ লাখ টন গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনীতি বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি , বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, খাদ্য ও সারের কোন ঘাটতি নেই,
আগামীতে যাতে সংকট না হয় এজন্য আমদানি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে যে চাল ও গম আমদানির নীতিগত
অনুমোদন দিয়েছেন, সেখানে নিদিষ্ট কোনো দাম উল্লেখ করা হয়েছে
কিনা- জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশ্যই মূল্য
আছে। মূল্য না থাকলে কীভাবে হবে। তবে প্রত্যাশিত চাহিদা দিলে তারা জিটুজি বা
সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির সময়সীমা ১৫ দিন
নির্ধারণ করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন।
অর্থাৎ দরপত্রের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে চাল বা গম সরবরাহ
করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সেই সময় কমিয়ে ১৫ দিন করা হলো।
২০২৪-২৫
অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সাড়ে তিন লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ দশমিক
২৩ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১০ হাজার টন গম
সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বাজেটের খাদ্য হিসাবের সংক্ষিপ্তসার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল ও ৭ লাখ টন গম অর্থাৎ
সাড়ে ১০ লাখ টন চাল-গম আমদানির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। এ
অর্থবছরে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ লাখ মেট্রিক টন, এতে মোট
ব্যয় হয়েছিল চার হাজার ২১৫ কোটি টাকা।
আমদানির বিপরীতে চলতি অর্থবছরে
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ লাখ ২৩ হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এর পাশাপাশি গম
সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। অভ্যন্তরীণ এ
সংগ্রহে সরকারের খরচ হবে ৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে
ছিল ৯ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
দুই সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ২৬ কোটি ডলার
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম
শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
এবার ভিন্নভাবে প্রকাশিত হবে এইচএসসির ফল
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান
পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। বেলা ১১টায় স্ব স্ব বোর্ড এই ফল প্রকাশ করবে। তবে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে ফল প্রকাশ করা হবে না।
সোমবার
সন্ধ্যায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত
করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,
প্রধান উপদেষ্টা বা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল উদ্বোধন করবেন না। স্ব স্ব
বোর্ড এইচএসসির ফল প্রকাশ করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এগুলো সমন্বয় করে
গণমাধ্যমে জানাবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে তার এসএসসি বা সমমানের
পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং) এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফল
নির্ধারণ করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর
পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো
নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে
ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ
করা হবে।
বোর্ড চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার জানান, আমাদের করোনাকালীন ফল
প্রকাশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি, টেবুলেশন ও মাঝপথে
পরীক্ষা বাতিল হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা মেনেই বোর্ড
ফল প্রকাশ করবে। তিনি আরও বলেন, এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী
বিজ্ঞানে পড়ত। পরে যদি আটর্সে পড়ে তার ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা হবে না। উদাহরণ দিয়ে
তিনি জানান, সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের পদার্থ বিদ্যায় সে যে
নম্বর পেয়েছে কলেজ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে পদার্থ বিজ্ঞানের বদলে পৌরনীতি নিয়েছে।
আমরা পদার্থ বিজ্ঞানের নম্বরটাই সমন্বয় করবো।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল বাশার জানান, সামাজিক
মাধ্যমসহ নানা জায়গায় ফল প্রকাশের বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সবাইকে এ বিষয়ে
সতর্ক থাকার আহবান জানাই। তিনি বলেন বোর্ডের কর্মকর্তারা ফল প্রস্তুতিতে দিন-রাত
সবাই কাজ করছেন। আশাকরি আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ফল সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এবার ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও
সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০
জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর
লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর
থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি
পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
মাভাবিপ্রবির নবনিযুক্ত পরিবহন পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল বাশার
শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪