Logo
শিরোনাম

শরণখোলায় প্রবাসীর কণ্যা তিন দিন ধরে নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু - শরনখোলা, বাগেরহাট  প্রতিনিধি ::


বাগেরহাটের শরণখোলায় সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের কন্যা ও রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত জাহান মীম গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে তার মা রোজিনা বেগম অভিযোগ করেছেন। গত ১০ আগস্ট বিকাল সাড়ে তিনটায় শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারের হাসপাতালের সামনে সালাম হাওলাদারের পাঁচতলা বিল্ডিং এর চতুর্থ তলার বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। 


মীমের মা রোজিনা বেগম জানায়, গত ১০ আগস্ট বিকাল সাড়ে তিনটায় রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে মীম বক্তব্য রাখবে এমন কথা বলে বাসা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটায় বের হয় এবং যাবার সময় বলে যায় অনুষ্ঠান শেষ করে সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরবে। কিন্তু সন্ধ্যার পর না আসায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তার বান্ধবীদের কাছে খোঁজ খবর নেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ১২ ই আগস্ট পর্যন্ত তার মেয়েকে খুঁজে পান নাই তিনি। 


তিনি আরো জানান, রায়েন্দা বাজার এলাকায় বসবাসকারী কিছু ব্যাক্তি তাদের ছেলেদের জন্য তার মেয়েকে পছন্দ করে এবং তাদের সাথে আত্মীয়তা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে আমার পরিবার রাজি না হওয়ায় তার ধারণা ওই পরিবার গুলির কেউ তার মেয়েকে অপহরণ করতে পারে বা আটকে রাখতে পারে। 


বিষয়টি শরণখোলা থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য একটি অভিযোগ পত্র থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বরাবরের প্রস্তুত করেছেন। থানা কার্যক্রম শুরু হইতে দেরি হওয়ায় তিনি অভিযোগ করতে পারেননি। 


তবে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এইচএম কামরুজ্জামান খান এর সাথে বিষয়টি তার আত্মীয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন।


শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুনেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন বলে পরিবারটিকে আস্বস্থ করেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
কুমারখালী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি::


কুষ্টিয়ার খোকসায় জেলা পরিষদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে  অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান এর বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর পূর্বের লিজ বাতিল করে সদর উদ্দিন তার ম্যানেজারের নামে উল্লেখিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে দোকান নির্মাণ করেন। 

শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে সমসপুর যাবার প্রধান সড়কের বুজরুক মির্জাপুর এলাকায় ৩০ বছরের বন্দোবস্ত বাতিল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২০ টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন সদরউদ্দিন খান। জানা যায়  ৫/৬ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে  একেকটি দোকানের পজেশন। 


ভুক্তভোগী রজব আলীর ছেলে বাবুল হোসেন জানান, ৩০ বছর যাবত  খোকসার  বুজরুক মির্জাপুর মৌজার আর এস ৬১৮ ও ৬১৯ নং দাগের ২৭০ ফুট সম্পত্তি তার বাবার নামে  কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত ছিলো। জেলা পরিষদের বন্দোবস্তের বাৎসরিক  খাজনা নিয়মিত  পরিশোধ করলেও কোন নোটিশ ছাড়া ২০২৩ সালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে বালু ভরাট কাজ করেন। এসময় তারা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন  তার ম্যানেজার গনেশ চন্দ্রের নামে উল্লেখিত ২৭০ ফুট সম্পত্তির মধ্যে ১৯৬ ফুট সম্পত্তি  বন্দোবস্ত নিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে সদরউদ্দিন খানের কাছে গেলে হেলথ ইনষ্টিটিউটে তাদের পরিবারের  একজনকে চাকরি ও উল্লেখিত সম্পত্তিতে নির্মিত মার্কেটের সম্মুখভাগে  দুইটা দোকান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সদরউদ্দিন তাদের সাথে কোন কথা রাখেননি এবং বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান। আওয়ামীলীগ সরকারের মদদপুষ্ট সদরউদ্দিন খান অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কোথাও অভিযোগ দেবার সাহস পাননি তারা। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে সদরউদ্দিন খান গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের বন্দোবস্তকৃত  সম্পত্তি সদরউদ্দিন খানের নিকট থেকে ফিরে পাবার জন্য তিনি ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বরাবর  দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান। 

বিষয়টি জানতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জয়নাল আবেদীনের নিকট মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ক্যাপশন : অবৈধভাবে নির্মিত মার্কেট, ভুক্তভোগী বাবুল হোসেন। সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান। 

আরও খবর



নওগাঁর সাপাহারে আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির অনুদান বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধমীয় প্রতিষ্ঠান, অসহায় দুস্থ্য ও এতিম শিশুদের মাঝে অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর অফিস ঘরে এ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাপাহার উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক সাপাহার শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ রাশেদুল হক, এনআরবিসি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক, আম আড়ৎ সমিতির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ  সম্পাদক ইমাম হোসেন রিফাত প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় সমিতির সকল সদস্য ও উপকার ভোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ও অসহায়, দুস্থ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে অতিথিদ্বয় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, কবর স্থান, মহাশ্মসান, এতিমখানা, সহ অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে ৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। ইতোপূর্বে উক্ত সমিতির পক্ষথেকে সাপাহার, বাজার জামে মসজিদ, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে বলে সমিতির সভাপতি, সম্পাদক জানিয়েছেন।


আরও খবর



রাজশাহীর পবায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::

রাজশাহী পবা উপজেলার শাহ মখদুম থানার অন্তর্গত ৫নং হড়গ্রাম ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ড খিরশিন ফুদকি পাড়া এলাকায় এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়। শিশুটি এলাকার আলামিনের পুত্র আব্দুল্লাহ সানি বয়স ৫ বাচ্চাটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত।

ঘটনাস্থলে গেয়ে জানা যায়, শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫ টার সময় ছোট্ট শিশু আব্দুল্লাহ সানি (৫) বাড়ির পাশে আম বাগানে বল নিয়ে একাই খেলা করে। খেলা করার সময় বলটি পুকুরে পড়ে যায় বলটি তুলতে শিশুটি পুকুরে নামলে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়। প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাচ্চাটির মা তাকে খোঁজাখুঁজি করে । খোঁজ করতে করতে বাড়ির পেছনের দিকে গেলে পুকুরে বাচ্চাটির স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে । তারপরে এলাকাবাসী সেই পুকুরে বাচ্চাটিকে খুঁজতে থাকে পরে বাচ্চাটিকে এলাকাবাসী সেই পুকুর থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য জনাব অ্যাডভোকেট মোঃ জয়নাল আবেদীন (জুয়েল ) থানায় সংবাদ দিলে শাহ মখদুম থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুনুর রশিদ শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার কারণে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

আরও খবর



কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা প্রতিনিধি এ.কে পলাশ :


কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে লালমাই কাপাসতলা এলাকায় ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ‍্যানে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।


শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত  রাতে লালমাই উপজেলার কাপাসতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহত আনিসুর রহমান কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়াইলের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা।


ঘটনা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আনিসুর গ্রামের পক্ষ থেকে এবং চুয়েটের একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সঙ্গে ট্রাক্টরে করে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিতে মনোহরগঞ্জে আসেন। সেখানে বড়কেশতলা ও লাল চাঁদপুর গ্রামে অন্তত দুই হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেন। রাতে  মনোহরগঞ্জ থেকে ফেরার পথে লালমাই উপজেলার কাপাসতলা এলাকায় পৌছলে আনিসুরের বহন করা ট্রাক্টরের সঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাক্টরটি উল্টে গেলে গুরুতর আহত হন ট্রাক্টরের থাকা পাঁচ আরোহী। এর মধ্যে আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।


নিহত আনিসুর পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আনিসুর সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়াইলে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য তার নিজ এলাকায় বারবার খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় তিনি এসে এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে সমন্বয় করে মনোহরগঞ্জে যান। কিন্তু ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।



ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক শেখ মো: ফজলে রাব্বি জানান , তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।



আরও খবর



রাজশাহী (মোহনপুর) ধুরোইল ডি এস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

 রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষক  অবিভাবক ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

 শনিবার (২৪ আগষ্ট) দুপুর ২ টার সময় মোহনপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দুরুল হোদার নানা অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ।

লিখিত ঐ বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, এই দুরুল হোদা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ। চাকরি করতেন একটি মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই হয়ে গেছেন অধ্যক্ষ, করেছেন দুর্নীতি, গড়েছেন অবৈধ সম্পদ। পূর্বেই তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে কোনই ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে তারাই হয়রানির শিকার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি অভিভাবক সদস্য মুকলেসুর রহমান বর্তমান অধ্যক্ষ ও পূর্বের উপাধ্যক্ষ দুরুল হোদার অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি, এমপিওভুক্তি/এমপিও সংশোধন বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছিলেন। তাতেও কোন কাজ হয়নি। দুরুল হুদা মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে অসংখ্য অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যার তথ্য প্রমান দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের।

এছাড়াও অধ্যক্ষ দুরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মোঃ শফিকুল ইসলাম পিতা হবির মোল্লা বলেন আমাকে পিয়ন পোস্টে চাকরি দিবে বলে আমার কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছে। এই নিয়ে আমি রাজশাহী কোর্টে মামলা করেছি। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী  মোঃ সাইফুল ইসলাম পিতা দারেস আলী অত্র মাদ্রাসায় সহকারি  লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি করছিল। তার বেতন স্কেলে বাধা এবং মিথ্যা অপবাদ দেয় যে তিনি রাজাকার, জঙ্গির সাথে জড়িত বলে তার বেতন স্কেল বন্ধ করে দেয়। মোঃ সাইফুল ইসলামের একজন সহজ সরল মানুষ সে কোন জঙ্গি বা রাজাকারের সাথে জড়িত নয় । সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন মাদ্রাসার কমিটির সদস্য ওয়াজেদ আলী, মহাসিন এবং অধ্যক্ষ দূরুল হুদা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগপত্র দিয়ে আমার বেতন বন্ধ করে দেয়।

লিখিত বক্তব্যে সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ আরো বলেন, দুরুল হোদা নিজের দুর্নীতিকে ঢাঁকতে ২০১৭ সালের পর আওয়ামীলীগের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার জোরে উপাধ্যক্ষ দুরুল হুদা রাতের আধারে পছন্দের লোক নিয়ে গভর্নিং বডি তৈরী করে নিজের ইচ্ছেমত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। উপাধ্যক্ষ পদে প্রায় ২৮ বছর চাকুরীর পর নিজের শিক্ষা সনদে তৃতীয় শ্রেনী থাকা সত্বেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি, মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে  ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে অধ্যক্ষ দুরুল হুদা ৬ আগষ্ট হতে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র পদত্যাগ দাবি করা হয়।


উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, অবিভাবক আ: মানিক,  মোঃ হামিদ, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ রাজু,মোঃ মুরাদ মোল্লা, মোঃ মিনারুল,সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সিরাজুল মোল্লা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের মোঃ মামুনুর রশীদ,  রাজশাহী কলেজ,  মোঃ জুয়েল রানা, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট , মোঃ রাফি খান, মোঃ সৌরভ, মোহনপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসকল অভিযোগের ব্যাপারে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ দুরুল হুদার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই মিথ্যা। আমার চাকরি প্রায় শেষের দিকে। আমি এতদিনে রাজশাহী শহরে একটি জমি কিনেছি। যা কিছু করেছি, নিয়মের মধ্যে করেছি। আপনি দয়া করে আমার অফিসে আসেন। আমি সব বিষয় খুলে বলবো। মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির ব্যাপারে বললে তিনি বলেন, আমি ইউএনও স্যারের থেকে ছুটি নিয়েছিলাম।


পরে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, অধ্যক্ষ ছুটি নিয়েছেন কি না জানা নাই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর