Logo
শিরোনাম

শরণখোলায় নার্সের চিকিৎসার অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু - শরনখোলা প্রতিনিধি::


শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রহিমন (৩৫) নামে এক মহিলা রোগির মৃত্যু হয়েছে কর্তব্যরত নার্সের চিকিৎসার অবহেলায় । এই অভিযোগ করছেন চিকিৎসা নিতে এসে মারা যাওয়া রহিমনের আত্মীয়-স্বজনরা ।

রায়েন্দা বাজার পূর্ব মাথায় বসবাসকারি আঃ রহিমের স্ত্রী  রহিমন অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ বুধবার বেলা ১১:৩০ মিনিটে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসা দিয়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়।

এরপর রহিমনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রহিমনের স্বামি আঃ রহিম কর্তব্য সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালাকে ডাকলে তিনি অবহেলা ও খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন রহিমনের স্বামী আঃ রহিম ও রহিমনের মামাতো ভাই মোঃ কামরুল।

কিছুক্ষণ পরই রহিমন মারা যায়। রহিমনের মারা যাওয়ার সাথে সাথেই রহিমনের স্বামী ছেলে ও আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন ও সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। রহিমনের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ ও শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুবলীগ নেতা বাদশা আলম।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ ও শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাদশা আলম বলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালার অবহেলার কারণে রহিমনের মৃত্যু হয়েছে।

তারা আরো বলেন শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সদের ব্যবহারে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে বাগেরহাট ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগকে জানানো হবে। তদন্তের মাধ্যমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালার খারাপ ব্যবহার ও অবহেলার কারণে রোগী রহিমার মৃত্যুর বিষয়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশফাক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মৃতঃ রহিমার আত্মীয়-স্বজন  লিখিত অভিযোগ করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিকিৎসার অবহেলার কারণে রহিমার মৃত্যু ও খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স কবিতা রানী বালা বলেন আমি যথাযথ নিয়মে ঠিকমতো চিকিৎসা দিয়েছি ও আমি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

আরও খবর



ভিজিট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে যেভাবে সেটেল হবেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অনেকেই আমাকে এই প্রশ্ন করেছেন কিভাবে ভিজিট ভিসায়  আমেরিকা গিয়ে সেটেল হওয়া যাবে ।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ভিসা হয় আমেরিকার ভিজিট ভিসা । আমেরিকা প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে  কমপক্ষে ২০০০০ থেকে ৩৫ হাজার ভিজিট ভিসা দিয়ে থাকে। 

এই মাল্টিপল ভিজিট ভিসা পাঁচ বছরের জন্য প্রদান করে,   অর্থাৎ আপনি পাঁচ বছর আমেরিকাতে যাওয়া আসা করতে পারবেন, কিন্তু একটানা ছয় মাসের বেশি থাকতে পারবেন না। 

কিন্তু বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো অবলম্বন করলে, পার্মানেন্টলি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং গ্রীন কার্ড পাবেন । 

বেশ কয়েকটি উপায়ে আমেরিকাতে গিয়ে সেটেল হওয়ার সুযোগ রয়েছে । আজকের এই পোস্টে বেশ কয়েকটি উপায় আলোচনা করব । 

১। আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি যদি একটি জব ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে EB3 গ্রীন কার্ড ক্যাটাগরিতে আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করতে পারবেন । অনেক এজেন্সি আছে যারা জব ম্যানেজ করে দেয় ।

 EB3 এর আনিস্কিলড ক্যাটাগরিতে যে কেউ আবেদন করতে পারে উদাহরণস্বরূপ ওয়েটার, ফ্রুটপিকার, ডেলিভারি ম্যান, সেলসম্যান, রেস্টুরেন্টের কিচেন সহকারি, কেয়ার গিভার, বাগানের মালি এক কথায় যেকোনো আন স্কিল জব । 

তবে, আপনি যেহেতু টানা ছয় মাসে বেশি থাকতে পারবেন না, সুতরাং ছয় মাসের মধ্যে আপনি একটা জব ম্যানেজ করে আপনার লয়ারের সাথে কথাবার্তা বলে বাংলাদেশে চলে আসবেন । 

 আপনার lawyer আপনার জন্য Perm lebour certificate, I - 140 অ্যাপ্রুভ করে রাখবে এবং আপনার স্ট্যাটাস চেঞ্জ করবে । যাইহোক, পরবর্তী পদক্ষেপ বাংলাদেশ থেকে নিতে পারবেন  এবং EB3 হয়ে গেলে পরিবারসহ গ্রীন কার্ড নিয়ে চলে যেতে পারবেন । ( EB3 নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও আকারে আসবে ) 

২। ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স এ  অথবা অন্য  যেকোনো বিষয়ে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারেন এতে করে আপনি ভিজিট ভিসার ক্যাটাগরি  F1 ক্যাটাগরিতে পরিবর্তিত হবে এবং আপনি আমেরিকাতে থাকতে পারবেন । 

৩। আপনার যদি বাংলাদেশে থাকা নিরাপত্তা জনিত কারণে কঠিন হয় তাহলে, আমেরিকাতে ভিজিট ভিসায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারেন, আপনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলেই বৈধভাবে আমেরিকাতে থাকতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন ।

 যে কেউ এই আবেদন করতে পারে এবং সহজ প্রসেস ।

আপনার পিটিশন সঠিক কিনা সেটা রায় আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে । ১০ বছর পরে আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন আপনি সঠিক ছিলেন  তখন আপনাকে তারা পার্মানেন্টলি থাকার পারমিশন দেবে , আপনার পিটিশন ক্যানসেল হলে বাংলাদেশে ব্যাক করতে হবে । 

৪। আমেরিকার নাগরিক এমন করো নারী / পুরুষকে বিয়ে করতে পারেন । 

আরো অসংখ্য উপায় রয়েছে যেখানে বৈধভাবে থাকা যাবে, আমেরিকাতে গিয়ে নরমালি কেউ ফেরত আসে না । 

মাত্র ১৮৫ ডলার/  ২২ হাজার টাকা এম্বাসি ফি দিয়ে কিভাবে আমেরিকার ভিজিট ভিসা করবেন এই বিষয়ে ষ্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত ভিডিও কোর্স তৈরি করা হচ্ছে । যেখানে আমি সরাসরি কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন করে দেখাবো । 


আরও খবর



তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে, তাই আপনারা প্রভাবটা সেভাবে টের পাচ্ছেন না। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করা হয়েছে টিসিবিকে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘প্রাইজ গিভিং সিরিমনি অব ইআরএফ-প্রাণ ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গত সরকার প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। পাচারের জন্য নিয়ামক হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) একটি। টিসিবির সারাদেশের অফিস ১৬টি, যেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মাত্র ১৪২ জন। এ ১৪২ জনের জন্য বরাদ্দ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দেয় চার হাজার কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে ক্ষতিটা আমাদের হয়েছে তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটা আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শ্বেতপত্রের তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটি দেড় বছরের জাতীয় আয়কে একত্রিত করলে তার সমান হয়।’

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছেন। এটা অবশ্যই নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য অসম্ভব চিন্তার বিষয়। এ ধরনের সাগর চুরি করতে গিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাম মীরধার সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্যরা, অ্যাওয়ার্ডের বিচারক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে পাঁচজন, অনলাইনে দুইজন এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরি থেকে তিনজন পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম ও সময়ের আলো'র বিজনেস এডিটর আলমগীর হোসেন। এ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের দুই বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন হারুন ও এফএইচএম হুমায়ূন কবির। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন জাগোনিউজ২৪.কম এর চিফ রিপোর্টার ইব্রাহিম হোসেন অভি এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদ হোসেন পাপন এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে একুশে টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হরিপদ সাহা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




লন্ডনে সর্বদলীয় উলামা সমাবেশে আমীরে জামায়াত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আলেমদের মধ্যে শুধু ঠোঁটের ঐক্য নয়, রূহানী ঐক্য প্রয়োজন। রূহানী ঐক্য হলে আমরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবারিত বারাকা লাভ করব। আমরা ঐক্য চাই, আবার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বসে থাকি। একজন শর্ত দিলে তো অন্যজনও শর্ত দেবেন। এভাবে শর্তের বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দেশে আলেম উলামার মধ্যে ছোট খাটো বিষয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। সবার চিন্তা ও কর্মপরিধি একই ধরণের নয়। কিন্তু যারা জীবনের পাথেয় হিসেবে কোরআনকে কবুল করেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স) এর নেতৃত্বকে অকুন্ঠচিত্তে গ্রহণ ও স্বীকৃতি দেন এবং সাহাবায়েকেরাম (রা) কে আল্লাহ ও রাসূল (স) এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাস্তব মডেল মনে করেন, এই তিন জায়গা ঠিক থাকলে আমাদের মধ্যে ঐক্য হওয়া সম্ভব। এখানে আর কোন কিছু বাধা দিতে পারবে না।” 

তিনি ১১ নভেম্বর’২৪ পূর্ব লন্ডনের মায়েদা গ্রিল হলে অনুষ্ঠিত বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন “বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকে” কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশী উলামা-মাশায়েখ ইউকে’র সভাপতি মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক-ও মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল ফর মস্ক এর ও ইশায়াতুল ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, খেলাফত  মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি শাহ সদরদ্দীন, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের আমীর শায়খ আব্দুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ডক্টর শুয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীন কেবল একা জামায়াতে ইসলামীর নয়, এটি সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সবাইকে ভাই এবং বন্ধু মনে করে বুকে জড়িয়ে ধরে সামনে আগানোর চেষ্টা করব আমরা। 

মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত উলামা মাশায়েখদেরকে Four Dimensional Way তে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য যত ইসলামী সংগঠন ও মারকায রয়েছে, আপনারা আমাদের মধ্যে কোন ভুল দেখলে আমাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা এভাবে সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বীনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনাদের ও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক দোয়া, ভালবাসা ও সহযোগিতা থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা কাউকে দালাল মনে করে ইনভেলাপে ঢুকিয়ে দেবনা, বরং ভুল করলে শুধরে দেয়ার নীতি অনুসরণ করব।” 

তিনি বৃটেনকে A hub for intellectual excellence হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বৃটেনকে বিশ্বের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি পরিবেশে আপনারা আছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা এখানে আপনারা ভোগ করছেন। এখানে আপনাদের মেধার বিকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয় না। যেমনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। এখানে মেধার চর্চা বেশি হওয়ার কারণে আপনাদের উপর আমাদের হকও বেশি। আপনারা সে হক আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।”


আরও খবর



নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে। 

ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক এক নাগরিক ভাবনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরে জেলা বিএনপির আয়োজনে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যশোরের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

আধা ঘন্টা বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবেধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৭শ’ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন, পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে নেতা-কর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেনি, ধানক্ষেতে, গাছের ওপরে ঘুমিয়েছে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে গোলটা ভালোভাবে করতে পেরেছে ছাত্ররা। সেজন্য তিনি ছাত্রদের স্যালুট জানান। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে। 


আরও খবর



বন অধিদপ্তরে প্রজেক্ট থেকেই ক্যাডার!! বঞ্চিত মেধাবী চাকরীপ্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক ফারুক, সংবাদকর্মী :

কোন সরকারী চাকরীর পরীক্ষা ব্যতীত সাবেক ক্ষমতাসীন দল, প্রভাবশালী আমলা ও অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সিনিয়র অফিসিয়ালদের প্রত্যক্ষ মদদে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় কর্মচারীকে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ক্যাডারভূক্তির জন্য নয়-ছয় চলছে বন অধিদপ্তরে।

বিগত সরকারের আমলে "স্ট্রেংদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন" শীর্ষক প্রকল্পে ১ম শ্রেণিতে ১২ জন- এর মধ্যে ১ জন পশু-চিকিৎসা কর্মকর্তা, ১ জন বাস্তসংস্থানবিদ, ১ জন মহামারী বিশেষজ্ঞ, ১ জন সর্পবিদ, ১ জন মৎস বিশেষজ্ঞ, ১ জন স্তন্যপায়ী প্রাণিবিদ, ১ জন পাখিবিদ ও ৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং ২য় শ্রেণিতে ৭ জন- এর মধ্যে ১ জন উর্ধ্বতন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ৬ জন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নেওয়া হয়। ২০১১ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্প শেষে তাদের শর্তানুযায়ী চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কোন এক অদৃশ্য জাদুকরী শক্তির প্রভাবে তারা ২০১৭ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়।

বিগত সরকারের আমলের আরেকটি প্রকল্পের নাম "জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন"। এই প্রকল্পের কর্মচারীরাও (মোট ৫৭ জন) নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে ঐ একই শক্তির প্রভাবে ২০১৬ সালে রাজস্বে স্থানান্তরিত হয়। ২৫ জন ১ম শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে ২৩ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা, ১ জন বন্যপ্রাণী ও গবেষণা কর্মকর্তা এবং ১ জন গণ-সংযোগ কর্মকর্তা বন অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছে।


জুলাই বিপ্লব যখন তুঙ্গে, যখন ক্ষণে ক্ষণে রাজপথে ঝরে যাচ্ছিল একটা একটা করে তাজা প্রাণ, ঠিক তখনই সবার অলখ্যে ০১ আগস্ট ২০২৪ পিএসসির আলোচনাসভায় উঠে আসে উপযুক্ত প্রকল্প হতে রাজস্বে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের সরকারী চাকরীতে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের বিষয়টি। সরকার পতনের আভাস পেয়ে ঐদিনই এটা পাস হয়। বিজয় পরবর্তী সময়ে যখন নতুন সরকার বিভিন্ন দাবী দাওয়া আর ভাঙ্গা আইন ব্যবস্থা পুনর্গঠণে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তাদের চাকরী নিয়মিতকরণ হয়। এই কাজটি এতোটাই গোপনীয়তার সাথে করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে আবার তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ফাইল বন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির গন্ডি পার হয়ে এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করছে। এই ফাইল যেন চন্দ্র-সূর্যের চেয়েও গতিশীল। কোন বিপ্লব বা সরকার পতন- কিছুই এর গতি রোধ করতে পারেনি।

সম্প্রতি নেওয়া "বন অধিদপ্তর সংস্কার পরিকল্পনা" পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে এর ১৮ নম্বর প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে ২০ জন ক্যাডার বহির্ভূত সহকারী বন সংরক্ষকগণের বিসিএস বন ক্যাডারভূক্তি করতে হবে এবং ১৯ নম্বরে বলা হয়েছে যে সকল বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তাকে পদনাম পরিবর্তন করে বিসিএস বন ক্যাডারভূক্ত সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে পদয়ায়ন করতে হবে। উল্লেখ্য যে, সহকারী বন সংরক্ষক পদটি সরাসরি বিসিএস বন ক্যাডার দ্বারা ৬৭% ও পদোন্নতির মাধ্যমে ফরেস্ট রেঞ্জার হতে ৩৩% পূর্ণ করার বিধান আছে। অন্য কোনভাবে এই পদে ক্যাডারভূক্তি সম্পূর্ণ বেআইনি।

জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে বৈষম্য দূরীকরণের চেতনা। সেখানে নতুন বিসিএস এর মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ না দিয়ে ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট প্রকল্প কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ ও ক্যাডারভূক্তি কি সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে যাওয়া পুরনো ভুতের অস্তিত্ব জানান দেয় না?কেন সত্যিকারের মেধাবীদের বঞ্চিত করে চাটুকারিতা ও মেধাহীন জাতি প্রাধান্য পাবে ?


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪