Logo
শিরোনাম

স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। আর দেশীয় এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী একটি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলো স্টারলিংকের সাথে সহযোগিতার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ।

স্টারলিংক দলের এই সফর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান জানতে সাহায্য করছে। কিছু স্থানে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে। আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের সম্পত্তি বিবেচনা করছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

তৈয়ব আশা প্রকাশ করেছেন যে, স্টারলিংক লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ-গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চ-মানের পরিসেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সাথে একটি যুক্তিসঙ্গত মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিসেবা চালু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

তিনি চিঠিতে মাস্ককে জানান, বাংলাদেশ সফর মাস্ককে তরুণ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেবে, যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য বলেন, যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে মাস্কের সাথে ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার জন্য আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা করেন।


আরও খবর



মিয়ানমারে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মৃতদেহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শতাব্দীর ভয়ংকর ভূমিকম্পে সাগাইং এখন মৃত্যুপুরী! মিয়ানমারে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ‘সাগাইং শহরটি যেন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃতদেহের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে।

যেদিকে চোখ যায় ধ্বংসাবশেষ। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে লাশ। মরদেহ বা চাপা পড়ে থাকা জীবিতদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোনো প্রচেষ্টা নেই জান্তা সরকারের।

উলটো রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির মাধ্যমে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সিএনএনকে দেওয়া ধসে পড়া সাগাইং শহরের ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় বাসিন্দা কো জেয়ার বলেন, আমরা নিজেরাই যতটুকু পাড়ছি গৃহস্থালি সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সবাই মিলে গণকবরে ব্যবস্থা করছি।

সাগাইংয়ের প্রায় ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের গ্রামীণ শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মান্দালয় থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের এ শহরটিতে আসতে এখন সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

গত ২৯ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় বড় বড় ফাটল-গর্ত, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্টগুলো সব ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো কত লাশ চাপা পড়ে আছে তার হিসাব নেই। যার বেঁচে আছেন তারাও আতঙ্কে দিন পার করছেন। ভূমিকম্পের ৭ দিন পরও থেকে থেকেই আফটারশক হচ্ছে।

ভয়ে স্থানীয়রা কেউ ঘরে ঘুমাচ্ছেন না। প্রায় পুরো শহরটির মানুষ এখন- রাস্তা, প্ল্যাটফর্ম, ফুটবল মাঠে ঘুমান। আমি নিজেও ঘরের ভেতরে ঘুমাই না। দরজায় ঘুমাই। যেন সহজেই দৌড়াতে পারি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেকটি আফটারশক আঘাত হানার পর ফোনে সিএনএনকে এ কথা বলেন জেয়ার। আফটারশকগুলো অঞ্চলটিকে কাঁপিয়ে তুলছে।

আরেক স্বেচ্ছাসেবক কিয়াও মিন বলেন, সাগাইংয়ের যেদিকেই তাকান- ঘরবাড়ি, স্কুল, মন্দির, মসজিদ এবং দোকান ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা উদ্ধারকারীরা খালি হাতে বা ন্যূনতম সরঞ্জাম দিয়ে জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপ খনন করে চলছি। আমরা আমাদের কাছে থাকা সামান্য সরঞ্জাম দিয়ে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে পেরেছি।

আমরা অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, যার মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও রয়েছেন... মাথা, হাত বা পা ছাড়া মৃতদেহ ... আমরা এত ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আগে কখনো হইনি।

একই মন্তব্য জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক ইয়াংহি লির। তিনি বলেন, আমরা কেবল বেসামরিক লোকদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খনন করতে দেখছি। কেন মিন অং হ্লাইং তার সব সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য পাঠাননি?


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের দিন থাকবে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের দিন সরাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদের দিন সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা আছে। সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে।

ঈদের দিন কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত ঘূর্ণিঝড় বা কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ঈদের দুই-এক জায়গাতে হতে পারে; তাও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঈদের দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে অস্থায়ীভাবে দেশের দুই এক-জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষীপুর ও ফেনী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী রোববার (৩০ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



এআই কি মানবজাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে?

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial General Intelligence বা এজিআই) তৈরি হতে পারে। আর তা মানবজাতির জন্য চূড়ান্ত হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে গুগল ডিপমাইন্ড।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে গুগল ডিপমাইন্ড জানিয়েছে, এজিআই-র অপব্যবহার কিংবা ভুল পথে বিকাশ মানব সভ্যতার ‘স্থায়ী ধ্বংস’ ডেকে আনতে পারে। তবে গবেষকরা নির্দিষ্ট করে বলেননি, কীভাবে এটি ঘটতে পারে। বরং, এই ঝুঁকি এড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে এজিআই-এর ঝুঁকিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে—অপব্যবহার, ভুল সিদ্ধান্ত, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও কাঠামোগত সমস্যা। ডিপমাইন্ডের ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অপব্যবহার ঠেকানোর ওপর।

ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস এর আগে বলেছেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই এজিআই আসতে পারে। এ উন্নয়ন যেন নিরাপদ হয়, সে জন্য তিনি জাতিসংঘের মতো একটি বৈশ্বিক তদারকি সংস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, এটা যেন সিইআরএন বা আইএইএ’র মতো গবেষণা ও নজরদারি সংস্থা হয়, যেখানে বিভিন্ন দেশ মিলে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নির্ধারণ করবে।

এজিআই আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি রূপ যা শুধু নির্দিষ্ট কাজ নয়—মানুষের মতো করে নানা ধরনের কাজ শেখা, বোঝা ও প্রয়োগ করতে পারবে। এটিই এজিআইকে প্রচলিত এআই থেকে আলা


আরও খবর



বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নানা কারণে আলোচিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যেমন— দলে নিজের কর্তৃত্ব, সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলা।

ড্রেসিংরুমে কড়া হেডমাস্টার হাথুরুসিংহের সঙ্গে জটিলতায় জড়িয়েছিলেন অনেকেই। তবে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠে ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপে। ভারতে ব্যর্থতায় ভরা বিশ্বকাপেই উঠেছিল শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ।

২০২৩-এর শেষ সময়ে এসে আলোচনার তুঙ্গে ছিল নাসুম আহমেদ ইস্যু। টুর্নামেন্ট চলাকালীন টাইগার এই ক্রিকেটারকে শারিরীক হেনস্থার অভিযোগ উঠে খোদ হেড কোচের বিরুদ্ধে। বলা হয়, মেজাজ হারিয়ে ড্রেসিংরুমেই এই ক্রিকেটারকে চড় দিয়েছিলেন টাইগার হেডকোচ।

গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন লঙ্কান এই কোচ। যদিও পরে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। লঙ্কান এই কোচ ছাঁটাই হন ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিসিবির দায়িত্বে আসা ফারুক আহমেদের বোর্ডে। সেসময় বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে আপনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। সে কারণে যে শাস্তি পেতে হয়, সেটাই হচ্ছে (ছাঁটাই)। এটা আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। এখন হয়েছে, আমি খুশি।’

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কোড স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানান, এমন কিছুই হয়নি সেই বিশ্বকাপে। ব্যাটারদের গ্লাভস নিয়ে যেতে নাসুমের পিঠে আলতো হাতে ইশারা করার কথা প্রকাশ্যে এলেও অভিযোগগুলো পুরোপুরি উড়িয়ে দেন লঙ্কান এই কোচ। তাতে সায় দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিক পোথাস।

হাথুরুসিংহের ভাষ্য, আমি কখনোই কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। নিজের আবেগ কখনো খেলোয়াড়দের সামনে প্রকাশ করিনি। হতাশা থেকে হয়তো আমি ডাস্টবিন ছুঁড়ে ফেলেছি– যেকোনো কোচের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু যা হয়েছে, তার থেকে এটা একেবারেই আলাদা। এটা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের প্রতি অভিযোগও করেছেন হাথুরুসিংহে, জানি না অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমি কত সুযোগ মিস করেছি। তারা শুধু আমার চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা করেছে। এটা নতুন সভাপতির (ফারুক আহমেদ) পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত ছিল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নিজের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগও করেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বলেন, ক্রিকেট আমার সবকিছু। কারণ এটাই আমার ক্যারিয়ার। তারা আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে উল্টো অভিযোগ এনে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।


আরও খবর



যে যাই বলুক, ২৬'জুনের পরে নির্বাচন যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যে যাই বলুক, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৬শে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

বৈঠকের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক।

এরপর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার শুরু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। বিচার শুরুর জন্য একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।


আরও খবর