Logo
শিরোনাম

সত্যের জয় হবেই : হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অসদারচণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরিচ্যুত করে। ৪৮ ঘণ্টার শোকজ নোটিশ দিলেও মূলত ওইদিনই লঙ্কান কোচকে অব্যাহতি দিয়ে দেয় বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুসিংহের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি জানিয়েছে। শোকজ নোটিশে সাবেক কোচ কী জবাব দিয়েছিলেন, সেটি জানার আগ্রহ ছিল সবার। কিন্তু বিসিবি সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি। হাথুরুসিংহে নিজেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।

দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে হাথুরুসিংহে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই চাকরি হারালেন। প্রথম অভিযোগ বাংলাদেশের ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা। ভারতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে নাসুমের গায়ে হাত তোলেন হাথুরুসিংহে। ওই বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন। ম্যাচে বিরতির সময় একাদশের বাইরে থাকা নাসুমকে পানি নিয়ে মাঠে যেতে বলেন কোচ হাথুরুসিংহে। সবকিছু গুছিয়ে পানি নিয়ে মাঠে যেতে নাসুমের ৩০ সেকেন্ড দেরি হয়। যে কারণে সেদিন তাকে চড় মারেন হাথুরুসিংহে। হাথুরুসিংহের এমন ব্যবহারে সেদিন নাসুম কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। প্রধান কোচের এমন ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দলের ট্রেইনার এবং বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররাও ঘটনাটি জানতে পারেন

শুধু অসদাচরণই নয়। হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো ছুটি কাটানোর অভিযোগও আছে। তার জন্য বছরে ছুটি বরাদ্দ ছিল ৪৫ দিনের। তবে গত বছর তিনি কাটিয়েছেন ৬৭ দিন ছুটি। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ। অতিরিক্ত ছুটির জন্য বিসিবির কাছে থেকে অনুমতিও নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এটাকে আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে দেখছে বিসিবি

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের অবস্থান জানিয়ে এক লম্বা চিঠি গণমাধ্যমের কাছে পাঠিয়েছে হাথুরুসিংহে, ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে একজন খেলোয়াড়ের উপর কথিত হামলা এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে আমার সততা এবং পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা সাম্প্রতিক অভিযোগের ব্যাপারে আমি এই চিঠি লিখছি। এই ব্যাপারে চুপ থেকে আমি এই ধরনের অনুমানভিত্তিক বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ না করে থাকতে পারবো না। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা দরকার। আমি আমার কথাগুলো বলতে চাই।

নাসুমকে চড় মারার অভিযোগ নিয়ে লঙ্কান কোচ বললন, প্রথমত, অভিযুক্ত ঘটনাটি খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিং রুমে ঘটেছিল, যে জায়গায় বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকে। ৪০ থেকে ৫০টিরও বেশি ক্যামেরা খেলার প্রতিটি মুহূর্ত সঙ্গে সঙ্গে ধারণ করে। আমি অভিযোগকারীকে যাচাই করার সুযোগ পাইনি বা কোনও সাক্ষীও পাইনি, আদৌ যদি থেকে থাকে।

অভিযোগ দেরিতে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, আরেকটি বিষয় হলো, ঘটনাটি যতটা গুরুতর হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার যে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ইভেন্টের পরে অবিলম্বে টিম ম্যানেজার বা কোনও কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায়নি। যদি অভিযোগ করাও হয়, আমি বিস্মিত যে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়নি কিংবা আমার কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন এটি কয়েক মাস পরে ইউটিউবে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?

অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বললেন, ছুটি নেওয়ার দাবির বিষয়ে, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনও সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। বরং আমি যতবারই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি তা মঞ্জুর করেছে। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।

তিনি আরও যোগ করেছেন. নতুন বোর্ড সদস্যরা অভিযোগ করলো যে আমি অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছি। আমার ছুটির মধ্যে পড়া সরকারি ছুটির হিসাব করেনি, যেমন ঈদের দিন, শুক্রবার। আমি যখন সরকারি ছুটির সময আমি ছুটি নেইনি, তখন তারা বাহবা দেয়নি। আমি এটা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, আমি শুক্রবারে করা কাজের জন্য পরে সেই ছুটি পাওয়ার দাবি রাখি। একজন বিসিবি চাকরিজীবী হিসাবে, আমি শুক্রবার ও বৃহস্পতিবারের অর্ধেক দিন মিলিয়ে দেড় দিনের ছুটি পাই। আরেকটি ব্যাপার মনে করাতে হবে যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সময় বিদেশি কোচদের ছুটি নেওয়াটা একটা সাধারণ রীতি। এটি আমার কাছে ব্যতিক্রম কিছু নয় বরং আমার মেয়াদের আগে অনেক বিদেশি কোচের জন্য এটি স্বীকৃত ব্যাপার।

এসব অভিযোগকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করলেন তিনি, আমার মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত। নতুন সভাপতির মেয়াদের প্রথম দিনে, তিনি প্রধান কোচকে অপসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়েছিলেন। আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শোকজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

সবকিছু এত দ্রুত হওয়া হাথুরুসিংহে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আমার নিরাপত্তা শঙ্কায় আমাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ, দ্রুত নতুন প্রধান কোচের নিয়োগ এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব নতুন ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য এবং বিসিবির ভেতরের কর্মীদের আচরণের ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করছে।

নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, আমি আমার সম্মান রক্ষা করতে সংকল্পবদ্ধ এবং এই বিষয়ে যে কোনও তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে, এবং আমি আমার ভালোবাসার খেলাতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারবো


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




ভারতের চারটি যুদ্ধবিমান ধাওয়া করার দাবি পাকিস্তানের

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) টহলরত ভারতের চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) তাদের যুদ্ধবিমান ওড়ালে কাশ্মীরের ওপর টহলরত ভারতীয় যুদ্ধবিমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি রাফাল জেট ভারতীয় ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে থাকা অবস্থায় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর টহল দেয়। পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর বিমানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোকে শনাক্ত করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় রাফায়েল বিমানগুলো আতঙ্কে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী সর্বদা ভারতীয় যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীয় হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এমনিতেই উত্তেজনা চলছিল, এই ঘটনা তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


আরও খবর



এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ সেলিনা হায়াত আইভী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জ.ই. মামুন, সিনিয়র সাংবাদিক :

এদেশে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির (Clean image) রাজনীতিবিদ দলমত নির্বিশেষে হাতে গোনা কয়েক জন। তাদের মধ‍্যে সেলিনা হায়াত আইভী অন‍্যতম। তিনি নিজের দলের ভেতরের দানবদের সাথে যেমন লড়াই করেছেন তেমনি কাজ করেছেন সব দল মতের ভালো মানুষদের সাথে নিয়ে। দীর্ঘকাল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরেও তার সম্পর্কে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির জোরালো অভিযোগ কখনো শুনিনি। সত‍্যি কথা বলতে এবং সঠিক কাজ করতে তাঁকে কখনো ভয় পেতে দেখিনি। তাঁর গ্রেপ্তারের খবর সুস্থ ধারার রাজনীতির জন‍্য অশণি সংকেত। এই যদি ভালো কাজের পরিণতি হয় তাহলে আগামীতে কেউ ভালো কাজ কেন করবেন! 

মানুষের মঙ্গলের জন‍্য কাজ করা, সততা স্বচ্ছতা এবং দেশপ্রেম বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করা এমন একজন মানুষকে মিথ‍্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। তবে আগের মতোই নারায়ণগঞ্জের নারী পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ কাল রাত থেকে তাঁর প্রতি যে সমর্থন ও ভালোবাসা দেখিয়েছে তাও অভূতপূর্ব। তাঁর বাড়ির সামনে কাল রাতে যত মানুষ জড়ো হয়েছিলো, টিভি টক শোতে গলা ফাঁটানো অনেক নেতার তথাকথিত অনকে রাজনৈতিক দল টাকা দিয়ে বা বিরিয়ানি খাইয়েও দেশের কোথাও এত লোকের একটা সমাবেশ করতে পারবে না। যে কোনো রাজনীতিবিদ আইভী আপাকে ঈর্ষা করতে পারেন। প্রতিকুল পরিবেশেও তাঁকে পালাতে হয় না, সরকার বা তার দোসরদের সাথে আঁতাত করতে হয় না, তিনি বীরের মতো বাঁচেন, জেলে গেলেও বীরের মতো যান।

সাংবাদিক হিসেবে আমি দীর্ঘদিন ধরে আইভী আপাকে দেখেছি, তাঁর কাজ দেখেছি, নারায়নগঞ্জের মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ দেখেছি। সব সময় আমার গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা ও সহানুভূতি তাঁর জন‍্য। 


আরও খবর



পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্সের বৈশিষ্ট্য

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ব্র্যান্ডগুলো স্মার্টফোনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে। টেকসই ও স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিতে যুক্ত করা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। একইসঙ্গে লুকিং বাড়ানোর জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে ফোনের রং ও অন্যান্য বাহ্যিক ডিজাইনও। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এমন একটি স্মার্টফোন হলো রিয়েলমি সি৭৫এক্স। আর্মরশেল প্রোটেশন-যুক্ত ড্যামেজ-প্রুফ ফিচার ফোন এটি। মধ্যম বাজেটের ফোনটি দিয়ে করা যাবে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফিও। চলুন এক নজরে দেখা যাক কী আছে নতুন এই স্মার্টফোনটিতে।

আইপি ৬৯ রেটিং

রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোনটি পানি, ধুলো ও দুর্ঘটনাজনিত পতনেও ফোনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কারণ এই স্মার্টফোনটি আইপি৬৯, আইপি৬৮, আইপি৬৬ রেটিং সম্বলিত এবং মিলিটারি গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স সার্টিফাইড। আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচেএবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে।

এ সার্টিফিকেশন অনুযায়ী, ফোনটি ০.৫ মিটার পানির নিচে ১০ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে। এ ছাড়া ২.৫ মিটারে ১২ ঘণ্টা, ২ মিটারে ১ ঘণ্টা এবং ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকাসহ উচ্চচাপের পানি স্প্রে, এমনকি ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানির স্প্রেতেও কার্যক্ষম থাকে। এ জন্য দুর্ঘটনাবশত পানিতে পড়ে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের মতো পরিস্থিতিতে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ।

ক্যামেরা

রিয়েলমি সি৭৫এক্স-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি রিয়ার ক্যামেরা। এছাড়া পেছনের প্যানেলে একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। যেটিকে অক্সিলারি লেন্সও বলা হয়। ফ্লিকার বা অক্সিলারি এই লেন্সের প্রধান কাজ হলো আলোর ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করা, যা ছবি তোলার সময় গ্লেয়ার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পেছনের প্যানেলে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আরো একটি বাম্প রাখা হয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ রাখা এই বাম্পটি সেন্সর এরিয়া হিসেবেও কাজ করে। বাম্পটিতে দুইবার টাচ করলে কিউআর কোড স্ক্যান করা যাবে। এছাড়া ফোনটিতে রয়েছে একটি ৮-মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ব্যাটারি সক্ষমতা

রিয়েলমি সি৭৫এক্স এ রয়েছে- ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতার ৫৬০০এমএএইচ ব্যাটারি। ৫ মিনিটের চার্জেই ফোনে কথা বলা যায় ৩ ঘণ্টা। আর একবার পুরোপুরি চার্জ সম্পূর্ণ হলে ৭ ঘণ্টা টানা গেমিং, ১৩.২ ঘণ্টা ধারাবাহিক ইউটিউব ভিডিও প্লে এবং ২৪ ঘণ্টার স্ট্যান্ডবাই সম্ভব স্মার্টফোনটি দিয়ে।

এসব বৈশিষ্ট্য ছাড়াও রিয়েলমি সি৭৫এক্স গ্রাহকদের দেবে এই সেগমেন্টের বেস্ট এআই এক্সপেরিয়েন্স। ডিভাইসটিতে আছে- গুগল জেমিনি চ্যাটবট এবং এটি ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর, দ্রুততম সময়ে কোনো কিছু অনুসন্ধান, অ্যাপগুলোর মধ্যে নির্বিঘ্ন এআই স্মার্ট লুপ, এআই ইমেজ এডিটিং অর্থাৎ ব্লারি বা ঘোলা ছবিকে স্পষ্ট করা ইত্যাদি ফিচার আছে। ৬/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের রিয়েলমিসি৭৫এক্সস্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ১৭,৯৯৯ টাকায়। ফলে মধ্যম বাজেটের এই স্মার্টফোনটি হতে পারে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য একটি দারুণ ডিভাইস।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ মে ২০২৫ |

Image

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-১-এর আওতাধীন ঠুলঠুলিয়া, ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একটি ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে ০৩টি শিল্প কারখানায় ও ২০টি আবাসিক বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে ৪০০ ফুট পাইপ, ২০টি রেগুলেটর, ২টি কম্প্রেসার ও ২০টি লক উইং কর্ক অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ০৪ হাজার ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে শ্রাবণ ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে আশি হাজার টাকা ও ব্রাদার্স ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষসহ মোট ১,৮০,০০০/-(এক লক্ষ আশি হাজার)টাকা অর্থদণ্ড প্রদান-পূর্বক তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে গাজীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ- এর নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, জোবিঅ-আশুলিয়া-এর আওতাধীন সুলতান মার্কেট, কাজী মার্কেট, হাজী আ: কাইয়ুম মার্কেট (মনি ফ্যাশন গেট সংলগ্ন), সারদাগঞ্জ, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২(দুই) কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইনের ১,০০০ টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ মিটার পাইপ অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২৫,৬৮,৯০২ টাকার অবৈধভাবে মাসিক গ্যাস চুরি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে ০১টি মামলায় সর্বমোট ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, অনন্ত পেপার মিল (মিঠাবো, রূপগঞ্জ) এর পূর্বে ঢাকা লুব ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিতে ১২" বিতরণ লাইন হতে অবৈধ ১" সার্ভিস লাইন এর সংযোগ পাওয়ায় প্রায় ২০ফুট ১" পাইপ অপসারণ সহ উৎস পয়েন্টে কিলিং করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা ভালুকা, রাজস্ব উপ-শাখা কিশোরগঞ্জ এর নেতৃত্বে ০৩ টি আবাসিকের ০৫টি ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ ৭৬০০০/-(ছিয়াত্তর হাজার) টাকার বকেয়া বিল তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪১টি শিল্প, ১৬০টি বাণিজ্যিক ও ৩০,৩৩৬টি আবাসিকসহ মোট ৩০,৭৩৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৯,২৮৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ছুটির দিনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হয়ে গেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও।২৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অধিকাংশটির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল ও শজনের দাম আকাশছোঁয়া। সবজি দুটি মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। আর তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে, যেগুলোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এছাড়া, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি এবং বাড়তি পরিবহন খরচই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া। আমাদের কেনা দাম বেশি হলে আমরা কম লাভে বিক্রি করতে পারি না। তাছাড়া, শীতের পর আগের মতো এখন আর সহজে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে মাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এখন যে সবজিগুলো বাজারে আসছে, সেগুলোর চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেজন্য দামও বেশি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আড়তে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই।

এমন অবস্থায় বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ছুটির দিনে কিছুটা সাশ্রয়ে বাজার করার আশায় এসেও তাদের পকেটে টান পড়ছে।

আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।

তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।


আরও খবর