Logo
শিরোনাম

সউদী আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সউদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) খোবার এলাকার আবু হাদরিয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বাবুল মিয়ার ছেলে আশ্রাব আলী, আব্দুল হালিমের ছেলে রাজু মিয়া এবং নূর আলমের ছেলে নয়ন সর্দার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তারা সৌদি আরবের মেসার্স ইয়ামামা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

সৌদির বাংলাদেশ দ্রুতাবাসের লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফয়ছল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই শ্রমিকরা হাইওয়ের পাশে ফার্মে কাজ করতেছিল। এ সময় বেপরোয়া গতির গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ওপরে উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। তাদের লাশ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



দুই দশকে প্রোস্টেট ক্যান্সার হবে দ্বিগুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 বিশ্বব্যাপী নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা আগামী দুই দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। কারণ দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বার্ধক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, আমাদের অনুসন্ধানগুলো বলেছে যে বার্ষিক নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ সালে ১৪ লাখ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ২৯ লাখে দাঁড়াবে।

সমীক্ষার পেছনে গবেষকরা বলেছেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি সারাবিশ্বে বর্ধিত আয়ু এবং বয়সের পিরামিডের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।

গবেষকরা বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক। আক্রান্ত প্রায় ১৫ শতাংশ। এটি বেশিভাগই ৫০ বছর বয়সের পর আবির্ভূত হয় এবং পুরুষদের বয়স হিসাবে এর আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

তারা জোর দিয়েছিলেন, জনস্বাস্থ্য নীতিগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

গবেষকরা আরো বলেছেন, কার্যকর চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগে স্ক্রীনিংয়ে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই রোগটি প্রায়শই খুব দেরিতে নির্ণয় করা হয়।


সূত্র : বাসস


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের   সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  (২৭ মার্চ ) নানা আয়োজনে সালামের রান্নাঘর জমজম টাওয়ার  ঢাকা উত্তরায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন  সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি আল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক  সম্পাদক মাহবুব আলম তাছাড়া এই সময় বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, শিক্ষক এবং টেক্সটাইল ক্লাব, সমন্বয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এগিয়ে যাবে,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের  পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেক্সটাইল  অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল রহমান রাকেশ বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এবং সামনের দিনগুলোর চ্যালেন্জ মোকাবেলা করবার জন্য “সংঘবদ্ধতা থাকা ” জরুরী এবং আবশ্যক ! আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ব্যক্তিগত সাফল্যের ঊর্ধ্বে সামষ্টিক তথা সংঘবদ্ধ  সাফল্যই পারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সুনাম উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করতে ! সেই সূত্রে গ্রন্থিবদ্ধ হয়ে  বিভাগের শিক্ষকমহোদয়গণ, এলামনাই এসোসিয়েশন এবং নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবসহ সকলকে একত্রে কাজ করবার অনুরোধ জানাই !

এসময় টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। এমনকি

সরকারী স্থাপনার ক্ষতি করেই সরকারী প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। ফলে এক দিকে যেমন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সরকারী স্থাপনা দূর্বল হচ্ছে অপরদিকে চরম দূর্দশার সম্মুখিন হচ্ছেন সর্ব-সাধারণ।প্রকল্পও হচ্ছে দূর্বল বা হালকা। সংশ্লিষ্টরা সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়ার নাম করে আইন ভেঙ্গে সে মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও আইন ভেঙ্গে মাটি কাটায় উৎসাহিত হচ্ছেন। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলে আসলেও এর সমাধানে এগিয়ে আসছে না কেউ। প্রশাসন বলছেন সরকারি প্রকল্পের স্বার্থে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।

সরকারি প্রকল্পের নাম করে উপজেলার ৩ ফসলী জমি কেটে, মজা-পুকুরের গলামাটি তুলে, সরকারি পাকা রাস্তা ঘেঁষে, এমনকি সদ্য নির্মিত সরকারী ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে এবং সরকারী নদী ও খাড়ি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাঁটায় বিক্রি করছেন একটি চিহ্নিত চক্র। দিন-রাত মাটিবাহী ট্রাক্টর ও ট্রাক চলাচল করায় পাকা রাস্তাগুলোর উপর ঘন ধূলার স্তর পরে গেছে। একটু পানি পড়লেই কাদা-মাটিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। এছাড়া প্রকল্পে কাদা-মাটি দেয়ায় জনসাধারণের চলাচল ও দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন দূরুহ হয়ে পড়ছে।

গত ১ মার্চ বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন এর সুলতানপুর গ্রামের একটি মজা-পুকুর থেকে গলা মাটি ভ্যেকু মেশিন দিয়ে তুলে খোলা ট্রাক্টরে করে পরিবহণ করছিলেন কালু ও তার সঙ্গীরা। তারা জানান, উপজেলা সদরের গরু হাটিতে মাটি ভরাটের সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়া হচ্ছে। ঐসময় স্থানিয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক কে জানালে তিনি ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর মালিক ও ভ্যেকু মালিকের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে এবং ৪ জন ট্রাক্টর মালিকের প্রত্যেকের ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু পরে ঐ প্রকল্পের পুরোটাই কাদামাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, এখন বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া খরচ বেশি হওয়ায় বালুর পরিবর্তে মাটি দেয়া হচ্ছে।

৭ মার্চ এই চক্র উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের দোহালী-চকজোথহরি পাকা সড়কের চকশিবরামপুরে চকদোরাই সরকারি খাড়ির উপর সদ্য নির্মিত ৪৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে ও ব্রিজের গা ঘেঁষে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে ৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে অসংখ্য ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করে নিয়ে যায়। তারা ওই খাড়ির উঁচু পাড় কেটে ফেলে। কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে এই খাড়ির মাটি কেটে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। জানতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী কালু জানায়, গরু হাটির সরকারী প্রকল্পে এই মাটি দেয়া হচ্ছে। এখানে মাটি ভরাটের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও সরকারী খাড়ি থেকে কেনো মাটি চুরি করতে দেয়া হবে, অথবা কেনো বালির পরিবর্তে কাদামাটি দেয়া হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের চাঁন্দাশ গ্রামে সরকারী পাকা সড়ক সংলগ্ন একটি পুকুরের বিশাল পাড়ের গাছপালা কেটে ফেলে পুকুর সম্প্রসারণ করে মাটি কেটে ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করছিলেন এই এলাকার নান্নু নামে এক মাটি ব্যবসায়ী। এই পুকুরের কাদামাটি তুলে পুকুর পূণ:খনন করে সেগুলো দিনরাত পরিবহণ করায় মহাদেবপুর-ছাতড়া-রহনপুর আঞ্চলিক পাকা সড়ক কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় সরকারী পাকা রাস্তা রক্ষার জন্য ইতিপূর্বে সরকারী টাকা ব্যয় করে পাকা গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু পূণ:খনন করায় সে গাইড ওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফত আরাকে জানানো হলে তিনি সেখানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে পাঠান। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানান, ঐ মাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকল্পের নাম করে এখান থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাঁটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় দু'শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে আত্রাই নদী ড্রেজিং ও বাঁধ পূণ:নির্মানের কাজ করছে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার অন্যস্থান থেকে মাটি এনে বাঁধ পূণ:নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন প্রচলিত আইন না মেনে বা আইন অমান্য করে একের পর এক স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রকল্পের কাজ করছেন। এর আগে এই প্রকল্পের জন্য মহিষবাথানে পাকা সড়ক সংলগ্ন, দেবীপুর, আদ্যাবাড়ি, পন্ডিতপুর প্রভৃতি স্থানে ৩ ফসলী জমি গভীর করে কেটে ও পুকুর খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমন কি নদীর ড্রেজিং করা লাল কাদামাটি তুলেও এই বাঁধে দেয়া হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো বাঁধ কাদায় কাদাময় হয়ে থাকে। ফলে বাঁধের উপর দিয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পাড়ের আশে-পাশের এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারেন না। বর্ষার সময় তারা এক রকম গৃহবন্দী অবস্থায় দিন যাপন করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারী প্রকল্পে ঠিকাদার বৈধভাবে মাটি দিতে বাধ্য। এজন্য তিনি উপযুক্ত দাম পাবেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আইনগত ভাবে মাটি কাটার অনুমতিও নিতে পারেন। কিন্তু তা না করে বে-আইনীভাবে সরকারী প্রকল্প কেন পরিচালিত হবে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কেউ। এনিয়ে জনমনে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী প্রকল্পে সরকারী আইন ভেঙ্গে কাজ হওয়াকে সরকারী যন্ত্রের চরম ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর