Logo
শিরোনাম

শুধু চিকিৎসার জন্য জনপ্রতি ব্যয় আয়ের ৭৩ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর ৬১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়, যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। কেননা কম সরকারি বরাদ্দ এবং যা বরাদ্দ হয় সেটিরও কার্যকর ব্যয় না হওয়ায় মানুষের পকেট থেকে চলে যাচ্ছে বছরে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ অর্থ। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতে গিয়ে ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে ডায়াগনস্টিকের জন্য ২৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, কন্সালটেশনের জন্য ১০ দশমিক ৩১ এবং পরিবহণের জন্য খরচ হয় ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ অর্থ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করব, কেননা এটা আমরা জন্য চ্যালেঞ্জ। এই আইনের মাধ্যমে রোগী ও চিকিৎসক সব পক্ষকে সুরক্ষা দেওয়াটা আমার দায়িত্ব। সেই সঙ্গে হেলথ ইন্স্যুরেন্সের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের তুলনায় বাংলাদেশে রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভার বেশি। মালদ্বীপে স্বাস্থ্যসেবার মাত্র ১৪ শতাংশ রোগীকে বহন করতে হয়। অথচ বাংলাদেশে একজন রোগীকে মোট ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ বহন করতে হয়। এই ব্যয়ভার মেটাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা হিমশিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিচ্ছে। যদিও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) ২০৩২ সালের মধ্যে ব্যয়ের এই হার ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয়েছে। চিকিৎসায় রোগীর ব্যয় বৃদ্ধির জন্য সরকারের অদূরদর্শিতা ও অবহেলাকে দায়ী করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাদের মতে, স্বাস্থ্য খাতকে এখনো অবহেলার চোখে দেখা হয়। বাজেট বরাদ্দে স্বাস্থ্য খাত সবসময় পিছিয়ে থাকে। সামান্য যা বরাদ্দ হয় সেই অর্থও যথাযথভাবে ব্যয় করা হয় না। ফলে রোগীকে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। রোগীর খরচের এই লাগাম টানতে না পারলে এসডিজি অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ জন্য বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী বা লোকবল বৃদ্ধি, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা এবং

প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের এবং রোগীর ব্যয়ের একটি পরিসংখ্যান গত ১৫ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম বাজেট বরাদ্দ হয় বাংলাদেশে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের ১৭ কোটি ১২ লাখ মানুষের বিপরীতে টাকার অঙ্কে সরকার ব্যয় করবে গড়ে ৩ হাজার ৪২ টাকা (২৬ ডলার)। ২০০০ সালে বাংলাদেশে রোগীর চিকিৎসার জন্য সরকার ব্যয় করত গড়ে ৮ ডলার। ২০২১ সালে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৯ ডলার।

রোগীর ঘাড়ে বোঝার ভার: দুই দশক আগেও সরকার চিকিৎসা ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ বহন করত। এখন রোগীর ব্যয়ভার ৭৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, দেশে এখন আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার ৭৩ শতাংশের বেশি। কারণ, ২০২১ সালে আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার ছিল ৭৩ শতাংশ। কভিড-পরবর্তী সময়ে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধসহ অন্যান্য ব্যয় কয়েক ধাপে বেড়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো জরিপ হয়নি। ২০২০ সালে এই হার ছিল ৭৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৭১ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৭০ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৭১ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭৩ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭১ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৭০ শতাংশ, ২০১২ সালে ৬৮ শতাংশ, ২০১১ সালে ৬৮ শতাংশ, ২০১০ সালে ৬৮ শতাংশ, ২০০৯ সালে ৬৮ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৬৬ শতাংশ, ২০০৭ সালে ৬৬ শতাংশ, ২০০৬ সালে ৬৬ শতাংশ, ২০০৫ সালে ৬৫ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৬৩ শতাংশ, ২০০৩ সালে ৬৩ শতাংশ, ২০০২ সালে ৬৩ শতাংশ, ২০০১ সালে ৬৬ শতাংশ, ২০০০ সালে ৬২ শতাংশ।

রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভারের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ৭৯ শতাংশ ব্যয়ের ভার নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে আর্মেনিয়া ও তুর্কিস্তান। এই সূচকে ৭৭ শতাংশ রোগীকে ব্যয় করতে হয় যৌথভাবে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি এবং আফগানিস্তানে। নাইজেরিয়ার নাগরিকদের চিকিৎসা ব্যয়ের ৭৬ শতাংশ নিজেকেই বহন করতে হয়। এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশে নাগরিকদের ব্যয় করতে হয় ৭৩ শতাংশ। প্রতিবেশী মিয়ানমারে রোগীর ঘাড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয়ের বোঝা। টোগোতে ৬৯ শতাংশ, ক্যামেরুনে ৬৭ শতাংশ। এ তালিকায় সবচেয়ে কম ৬৬ শতাংশ বহন করতে হয় আজারবাইজানের নাগরিকদের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের নাগরিকদের চেয়ে বাংলাদেশে একজন রোগীকে বেশি ব্যয় করতে হয়। মালদ্বীপের নাগরিকরা চিকিৎসা ব্যয়ের মাত্র ১৪ শতাংশ নিজেরা বহন করে। ভুটানের এই ব্যয়ের হার ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, ভারতে ৫০ শতাংশ, নেপালে ৫১ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৭ শতাংশ ব্যয় রোগীরা বহন করে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় রোগীর ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাজেট বরাদ্দের স্বল্পতাকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে ভালো রাখতে বাজেটের অন্তত ১২ থেকে ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রয়োজন। সেখানে বরাদ্দ ৫ শতাংশে আটকে আছে। এ বছর প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ। মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য এই অর্থ অপর্যাপ্ত। এর পরও সমস্যা হলো, স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের অর্থ চিকিৎসাসেবায় ব্যয় করা সম্ভব হয় না। সীমিত অর্থের বিরাট অংশ কাজে লাগাতে পারে না মন্ত্রণালয়। সেগুলো ফেরত যায়। এতে সরকারি সেবার পরিধি ছোট হচ্ছে। রোগীকে অর্থ খরচ করে বেসরকারিতে সেবা নিতে হচ্ছে। এজন্য দেশের জিডিপির বড় অংশ স্বাস্থ্যে বরাদ্দ দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বিনামূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যেও এই বিশেষজ্ঞের বক্তব্যের প্রমাণ মিলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়। সবশেষ বাজেটে বাংলাদেশে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ২৬ ডলার। প্রতিবেশী মিয়ানমারে এই ব্যয়ের পরিমাণ ৪৮ ডলার। পাকিস্তানে ৪৯ ডলার, নেপালে ৭৬ ডলার, ভারতে ৮১ ডলার। শ্রীলঙ্কায় সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ বেশ ভালো। সেখানে ব্যয় করা হয় গড়ে ২৮৩ ডলার। মালদ্বীপ তার নাগরিকদের জন্য বছরে ব্যয় করে প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ ডলার। বৈশ্বিক সূচকেও স্বাস্থ্য ব্যয়ের হিসেবে তলানিতে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যভুক্ত ১১২টি দেশের স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম সরকারি ব্যয়ের ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম। এই তালিকায় আফগানিস্তান ছাড়া বাকি ১৮টি দেশ আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্রতম দেশ।

কম ব্যয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ সুদান। সেখানে সরকার গড়ে ব্যয় করে ৫ দশমিক ৪ ডলার। এরপর কঙ্গোতে ৭ দশমিক ৬ ডলার। মাদাগাস্কারে সরকার ব্যয় করে ১১ দশমিক ৯ ডলার, সেন্ট্রাল আফ্রিকায় ১১ দশমিক ৯ ডলার, বেনিনে ১২ ডলার, আফগানিস্তানে ১২ ডলার, টগোতে ১২ দশমিক ৯ ডলার, হাইতিতে ১৩ দশমিক ৪ ডলার, শাদে ১৪ দশমিক ১ ডলার, ইরত্রিয়ায় ১৬ দশমিক ৯ ডলার, লাইবেরিয়ায় ব্যয় ১৭ ডলার, বুরুন্ডিতে ১৭ দশমিক ৩ ডলার, ক্যামেরুনে ১৯ দশমিক ৭ ডলার, গিনিতে ২০ ডলার, জিম্বাবুয়েতে ২০ দশমিক ৭ ডলার, মালাউইয়ে ২১ দশমিক ৯ ডলার, গিনি বিসাউয়ে ২৪ দশমিক ১ ডলার, ইথিওপিয়ায় ২৪ দশমিক ৯ ডলার, বাংলাদেশে ২৫ দশমিক ৯ ডলার এবং সবশেষ তানজানিয়ায় জনপ্রতি সরকার ব্যয় করে ২৬ দশমিক ১ ডলার।

জিডিপির হিসাবেও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমেছে: দেশের উন্নয়নের প্রধান সূচক হলো জিডিপি। মোট দেশজ উন্নয়নের মাত্র দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থ সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে। ২০০০ সালে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল দশমিক ৫১ শতাংশ। ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপালের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির হিসাবে বরাদ্দের পরিমাণ নিম্নগামী। বাংলাদেশের তুলনায় ভুটান প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে। শ্রীলঙ্কায়ও প্রায় চারগুণের বেশি অর্থ ব্যয় করে। মিয়ানমার, নেপাল স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হিসেবে প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। পাকিস্তান ছাড়া এ তালিকায় সবাই উন্নতি করেছে।

জিডিপির হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে কম স্বাস্থ্য ব্যয়ের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে বেনিন। সেখানে দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যয় করা হয়। এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশে এখন দশমিক ৪০ শতাংশ ব্যয় করা হয়। সূচকে দশমিক ৪৩ শতাংশ ব্যয়ের হিসাবে বাংলাদেশের পর হাইতির অবস্থান। ক্যামেরুন ব্যয় করে দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া নাইজেরিয়া দশমিক ৫৪ শতাংশ, টেগো দশমিক ৫৫ শতাংশ, কঙ্গোতে দশমিক ৬৩ শতাংশ, ইকুয়েডর দশমিক ৬৮ শতাংশ, গিনি দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং লাওসে দশমিক ৭২ শতাংশ ব্যয় করা হয়।

জিডিপির হিসাবে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে কিউবা। সেখানে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ব্যয় করা হয় স্বাস্থ্য খাতে। এরপর নাউরু ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কিরিবাতি ১১ দশমিক ১২ শতাংশ, ব্রিটেন ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জার্মানি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, টুভালু ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, সুইডেন ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ফ্রান্স ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন ফোরামের কনভেনার ডা. সৈয়দ রুবায়েত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম ব্যয় করে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ একজন মানুষের পেছনে গড়ে ২৬ ডলার ব্যয় করেছে। এ সময়ে প্রতিবেশী মিয়ানমার ৪৮ ডলার ব্যয় করেছে। পাকিস্তান নানা সংকটের মধ্যেও ৪৯ ডলার ব্যয় করেছে। নেপালে ৭৬ ডলার, ভারতে ৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২৮৩ ডলার জনপ্রতি ব্যয় করেছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে মালদ্বীপ। তারা ওই বছর জনপ্রতি গড়ে ১ হাজার ৪৭৯ ডলার ব্যয় করেছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন চিকিৎসা ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ রোগীকে বহন করতে হয়। ২০০০ সালে মোট ব্যয়ের ৬২ শতাংশ রোগীকে বহন করতে হতো। এরপর প্রতিনিয়ত শুধু বাড়ছেই সূচক। রোগীর চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন বা ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। ২০৩২ সালের মধ্যে রোগীর ব্যয় কমিয়ে ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। ফলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে যাবে। তাই স্বাস্থ্যে বাজেটের পরিমাণ বাড়াতে হবে। রোগীদের ঘাড় থেকে চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা কমাতে হবে


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০২২ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩০ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আগের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ও পরে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বলছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর আজ আর শুধু চিকিৎসাবিদ্যার সংকট নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ।

অস্ট্রেলিয়ার মুরডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ক্লিনটন হেলথ অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভের যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুরা এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা একে বলছেন, শিশুদের জন্য চুপিসারে এগিয়ে আসা এক বৈশ্বিক বিপর্যয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস জার্নালে।

এএমআর বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই তৈরি হয়, যখন সংক্রমণ সৃষ্টি করা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব এতটা ভয়াবহ হবে, তা এতদিন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯-২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়াচ অ্যান্টিবায়োটিকস-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ আর আফ্রিকায় ১২৬ শতাংশ। এগুলো এমন ওষুধ, যেগুলো সাধারণত গুরুতর সংক্রমণের জন্য রাখা হয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়।

আরো ভয়াবহ হলো রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকস, যেগুলো একেবারে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার ৪৫ শতাংশ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আফ্রিকায় বেড়েছে ১২৫ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, এ প্রবণতা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই বহু সংক্রমণের আর কোনো কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি থাকবে না। তারা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহার এ পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে। ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলেও বহু ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহার হয়েছে প্রতিষেধক হিসেবে।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর হার্ব হারওয়েল বলেন, ‘‌এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, যা সবাইকে প্রভাবিত করছে। এককভাবে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু চিকিৎসায় নয়খাদ্য, পরিবেশ এমনকি পশু পালনেও ব্যবহার হয়, ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যায়।

কিংস কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজির জ্যেষ্ঠ লেকচারার ডা. লিন্ডসে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‌এ গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে শিশুস্বাস্থ্যে গত কয়েক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এ সংকট মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা টিকাদান, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

খবর বিবিসি।


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৩৬০০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মিয়ানমারে গত ২৮ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পে দিন দিন বাড়ছে লাশের মিছিল। রাজ্য প্রশাসন পরিষদের তথ্য দল সোমবার জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া হতাহতদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি (এএ) তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থাটি বলছে, সিনহুয়া নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ হাজার ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং এখনও আরও ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটিতে এক শতাব্দির বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত বছরের প্রাচীন গির্জা ও আধুনিক ভবনও ধসে যায়।

ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।

সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এর প্রতিবেদনে সাগাইং-এর একজন বাসিন্দার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, উদ্ধার অভিযান কেবল কায়িক শ্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কারণ ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের জন্য ব্যাকহোর মতো কোনও ভারী যন্ত্রপাতি নেই। ফলস্বরূপ, অনেক মানুষ অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রাণ হারিয়েছেন।


আরও খবর



বাড়ছে তাপমাত্রা, চলতি মাসে ফের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশে সর্বশেষ তাপপ্রবাহ ছিল গত ২০ মার্চ। এরপর থেকে বিগত কয়েক দিনের ঝড়বৃষ্টির কারণে দেশে আরামদায়ক আবহাওয়া ছিল। তবে গতকাল রবিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাসের শেষ দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এ সময় মৃদু তাপপ্রবাহ হতে পারে।

সোমবার (২৪ মার্চ) আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন পর্যন্ত এই মাসের বাকি দিনগুলোতে, এমনকি ঈদের দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। বৃষ্টি হলেও দু-একটি জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হবে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে করে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তিন দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজারহাটে, ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় জেলেদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলে ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময় তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালনে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস উইং আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ অনুভূতি জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে.টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।

প্রেস কনফারেন্সে এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর