Logo
শিরোনাম

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সুফী একটি আত্মা বিষয়ক অধ্যায় । আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফিবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হল, আপন নফসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া। জীবাত্মাকে পরমাত্মার অধীন করা। আল্লাহ পাক যে শয়তানটিকে
আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হয়ে এ জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার


এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর মতে, আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহঃ


সুফীবাদ এক প্রকার রহস্যময় হৃদয়ভিত্তিক ও আত্মোপলব্ধিমূলক মতবাদ। একে রুহানী প্রশিক্ষণও বলা হয়। ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরম সত্তার সন্ধানই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সুফীগণ কতগুলো মূলনীতি ও স্তর তৈরি করেছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো

মূলনীতি সমুহঃ-


১. তাওবা : অন্যায় ও পাপের ওপর আন্তরিক অনুশোচনা, অন্যায়ের স্বীকৃতি ও বিষ্যতে এ কাজ না করার দীপ্ত শপথ। তাওবা হচ্ছে সুফী মতবাদের প্রথম মূলনীতি


২. তাওয়াক্কুল : সর্বাবস্থায় দয়াময় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল


৩. পরিবর্জন: এ প্রসঙ্গে নিজামুদ্দীন আওলীয়া বলেন : স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার

 মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।


৪. সবর : যে কোন অবস্থায় অস্থির না হয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নেয়াই সবরের একমাত্র দাবী


৫. আত্মসমর্পণ : গুরুও কাছে নিজ আত্মাকে সোপর্দ করে দিতে হবে


৬. ইখলাস : নিছক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সব কাজ করতে হবে


৭. আল্লাহর প্রেম : অন্তরে পার্থিব জগতের কোনকিছুর প্রেম ও মোহ থাকতে পারে না। সর্বক্ষণ আল্লাহকে পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে


৮. আল্লাহর যিকর : আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ও অন্তরকে পরিশুদ্ধি করার জন্য সর্বদা আল্লাহর যিকর


৯: শুকুর : আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান ও আনুগত্যকরণ শুকর বলা হয়

স্তরসমুহঃ 
১. ফানাফিস শায়েখ : এই স্তরে সাধক তার মোরশেদের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে তার মোরশেদ চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে মোরশেদ তাকে রাসুল (দ:) এর কাছে পৌছে দেন

২. ফানাফির রাসূল : এই স্তরে সাধক গন রাসুল (দ:) এর সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে রাসুল (দ:) চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে রাসুল (দ:) তাকে এর মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে পৌছে দেন

৩. ফানাফিল্লাহ ও বাকাবিল্লাহ :


ফানা ফিল্লাহ এবং বাকাবিল্লাহ হচ্ছে সুফী সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। এ স্তরে পৌঁছলে সুফী নিজের ব্যক্তিগত চেতনাকে মুছে দিয়ে ঐশী চেতনায় উন্নীত হন। ব্যক্তিগত চৈতন্য খোদার ধ্যান ও প্রেমে সমাহিত হয়। তাই আত্মচেতনার অবলুপ্তিকেই বলা হয় ফানা


ফানার শেষ পর্যায়ে শুরু হয় বাকার প্রাথমিক পর্যায়। এ স্তরে সুফী সাধক আল্লাহর চিরন্তন সত্তার অবস্থান করেন

প্রাপ্তি কাশফ : সুফীগণ যখন আধ্যাত্মিক সাধনার চরম পর্যায়ে উপনীত হন তখন তার অন্তদৃষ্টি খুলে যায় এবং তার সামনে গোপনীয় সকল রহস্যদ্বার খুলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর অসীমতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন

 


আরও খবর



কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে । এতে খরচ বাড়লো মোবাইলফোনে কথা বলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ সেবা, ইন্টারনেট সেবা, কোমলপানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায়।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।

এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এর আগে ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলেন করপোরেট কর বাড়ানোর পর শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

যেসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে

আগে মোবাইলফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে। ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যে কোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, রং, মদের বিল, পটেটো ফ্লেক্স, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এছাড়া ভ্রমণকরও বাড়ানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজের আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশের জন্য এই শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশে (সার্কভুক্ত দেশ বাদে) ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে। আর এসবের বাইরে অন্যান্য দেশে ৩০০০ টাকার আবগারি শুল্ক ৪০০০ টাকা করা হয়েছে।

নিম্ন, মধ্য, উচ্চ ও অতিউচ্চ সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৬০, ৬৫.৫, ৬৫.৫ ও ৬৫.৫ শতাংশ।

স্থানীয় ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ওষুধ ব্যবসার ক্ষেত্রে এ হার ২.৪ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক (প্রেক্ষাগৃহ), চলচ্চিত্র পরিবেশক, মেরামত ও সার্ভিসং, স্বয়ংক্রিয় ও যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলার আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা, খেলাধুলার ক্লাব, বোর্ড সভায় যোগদানকারী, মোটর গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইলেকট্রিক পোলের ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

নন-এসি হোটেলে, কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জোগানদার, সানগ্ল্যাস (প্লাস্টিক, মেটাল ফ্রেম) ফ্যাশন হাউজের ভ্যাট ৭.৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ, ইভেন্টিং সংস্থার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ট্র‍্যান্সফরমার, নারকেল ছোবড়ার ম্যাট্রেস, চশমার ফ্রেম ও রিডিং গ্লাস (প্ল্যাস্টিক ও মেটাল), আম, আনারস, কলা, পেয়ারা ও তেঁতুলের পেস্ট বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা লেমেনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাটনি কেচাপ, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, আচারের ভ্যাট হার একইভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বার ও বারযুক্ত হোটেল মোটেলে সেবায় ভ্যাট হার ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এলপি গ্যাসে ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা (আইএসপি) তে ১০ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

ফলের রসে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কার্বোনেটেড ও নন কার্বোনেটেড পানীয়তে যথাক্রমে ৩০ ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ফল ও বাদামে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

ডিটারজেন্ট ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ, সাবানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ, পেইন্টস ও ভার্নিসে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ফটিকছড়িতে সুন্নী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী... 

উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শে বিশ্বাসী সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ ও সুফিবাদে বিশ্বাসীরা শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিত ভূমিকা থাকলেও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এবং এদেশের অন্যান্য সুফি দরবারগুলো স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। সুফিরা সব সময় সকল প্রকারের জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। তাই ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে এদেশের সুফি পীর মাশায়েখরা অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন। 

তিনি বলেন, ৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মাজার, খানকা, দরগাহ্, দরবার, মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে কথিত মব জাস্টিসের নামে  ধ্বংসযজ্ঞের উৎসবে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর চিহ্নিত ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীরা গত ১২ ই রবিউল আউয়াল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এদের হাতে একজন নবী প্রেমিক শহীদ হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলাম অনতিবিলম্বে এই উগ্রবাদীদের লাগাম টেনে ধরা না হলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শী সবাইকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। কিন্তু সরকার আমাদের আল্টিমেটামকে মোটেই কর্ণপাত করেছে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করেই এরা কান্ত হননি দরবারের সকল গাছগাছালি পশু পাখিকে পর্যন্ত অত্যাচার করেছে। বিএসপি চেয়ারম্যান উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, ইসলামের নাম দিয়ে করলেই তাদের সকল কাজ কি হালাল হয়ে যায়? সরকার অদৃশ্য কোন এক শক্তির ইশারায় এইসব অন্যায় অপরাধ অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। 


দেশের আপামর সুফিবাদি জনগণের উদ্দেশ্যে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই, শান্তি প্রিয় সুন্নিদের  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সুফিবাদের অস্তিত্বের ওপরে আঘাত এসেছে। সুন্নি সুফি মতাদর্শী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের গন্তব্য আমাদেরকে ঠিক করতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিতে হবে। যে কোন সময় বড় ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানিয়ে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) সাকেরা আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে আয়োজিত এক সুন্নি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 


এতে উদ্বোধক ছিলেন মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের বাইতুল ইতকান শাখার সাজ্জাদানশীন শাহজাদা এ্যাডভোকেট সৈয়দ মিফতাহুন নূর মাইজভাণ্ডারী। মাইজভান্ডার শাহী জামে মসজিদের সাবেক খতিব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম ফুরকানীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন, ছিপাতলী গাউছিয়া মইনীয়া বহুমুখী কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মুফতি মাওলানা ফখরুদ্দিন চাঁদপুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন, মাওলানা ওমর ফারুক নঈমী, মাওলানা জামাল উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।

মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।


আরও খবর



নওগাঁয় নতুন বই হাতে পেলো কিছু শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের ন্যায় বিনামূল্যের সরকারি নতুন পাঠ্যবই পাওয়া শুরু করেছে নওগাঁর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে নওগাঁ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু নতুন বই পৌচেছে। হাতে নতুন বই নিয়ে উল্লাসিত শিক্ষার্থীরা। নতুন বই নিতে সকাল থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে হাজির হোন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয়গুলো। নওগাঁয় এ বছর মাধ্যমিকের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১শ' ৯৮টি এবং প্রাথমিকে চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। নওগাঁ শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে মোট ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ' ২৫টি তারমধ্যে মোট বই এসেছে ২২ হাজার ৪শ' টি, মহাদেবপুরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭শ' ৫০টি তারমধ্যে এসেছে মোট ১২ হাজার ৪শ' ৫০টি, আত্রাই উপজেলা মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৩৪ হাজার ৯শ' ৫০টি, পোরশা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৯৭টি তারমধ্যে এসেছে ৩ হাজার ৩শ' টি, মান্দা উপজেলায় মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ১শ' ২১টি তারমধ্যে এসেছে ২১ হাজার ৯শ' টি, ধামইরহাটে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২শ' ৪৬টি, তারমধ্যে এসেছে ৮ হাজার ২শ' ৫০টি, পত্নীতলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮শ' ২০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৬ হাজার ৪শ' টি, সাপাহারে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭শ' টি তারমধ্যে এসেছে ১২হাজারটি, নিয়ামতপুরে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ১২হাজার ৬শ' টি, রাণীনগরে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮শ' ৫০টি, তারমধ্যে এসেছে ৮হাজার ৭শ' টি, বদলগাছীতে মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩শ' ৪০টি, তারমধ্যে এসেছে ২৪ হাজার ৭শ' ৪৩টি। এছাড়াও কারিগরি শাখায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ২৬৯টি, এ শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন বই আসেনি।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ হাজার ৩৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বছর মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ১শ ৬৯ জন। সেইসব শিক্ষার্থীর জন্য এ বছর বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩শ' ৫২টি। এরমধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মোট বই এসেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩টি। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া চাহিদা মোতাবেক সব বই আসেনি, যা এসেছিল তা আজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলার সব স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ৩টি নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে আজ। তবে চাহিদা অনুযায়ী সব বই এখনও জেলায় পৌঁছায়নি। আশা করছি খুব দ্রুতই বই পৌঁছে যাবে। বই হাতে এলেই আমরা তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবো।


আরও খবর



নির্বাচনে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বললেন, কাজ করতে গিয়ে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করবে না।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। এসময় ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অসচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে, মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে তা এবার কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




মোদির পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেসবুকের পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা। উনি (নরেন্দ্র মোদি) তার মতো করে একটা জিনিস বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে বলবো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মিয়ানমারের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেখানে মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি, সেখানে সংগঠিত অপরাধ এবং দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরাপদে এবং অধিকারের সঙ্গে ফেরত নিতে হবে। আজকের বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না। সেখানে একটি যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য, যখন মিয়ানমার শান্ত হবে, তখন যাতে ফেরত পাঠানো যায়। এ লক্ষ্যেই কাজ করবে বাংলাদেশ।

ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন। ডি-৮ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দেশ এর সদস্য। সম্মেলনের সাইড লাইনে কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ।

কোন কোন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে– জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। তবে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অবশ্যই হবে।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫