

রবিবার ২০ মার্চ ২০22
রবিবার ২০ মার্চ ২০22
অভিনেতা শাকিব খানের ‘গলুই’-এর ট্রেলার প্রকাশ হয়েছে। ঈদের ছবি হিসেবে বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেলারটি ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশের পর প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে! শাকিবের এক্সপ্রেশন, অভিনয় ও উপস্থিতি নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। তারা বলছেন, যেহেতু শাকিব আছেন তাই ‘গলুই’ ঈদে বাজিমাৎ করবে!
পূজা চেরীও ট্রেলারে শাকিব খানের সঙ্গে নজর কেড়েছেন। যেখানে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯০ সালের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে প্রেম ও রহস্যময় এক গল্প।
নির্মাতা এস এ হক অলিক আগেই জানিয়েছেন, গলুই সম্পূর্ণ মৌলিক গল্পের ছবি। এটি হতে পারে শাকিব খানের ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা গল্পনির্ভর ছবি।
গলুই দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে শাকিব খান আগেই জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে যেন তার ভক্তরা হলে গিয়ে ছবিটি উপভোগ করেন। জনপ্রিয় এই নায়কের আহ্বানে সাড়া দিতে প্রস্তুত হয়ে আছেন তার ভক্তরা।
‘গলুই’ নিয়ে শাকিবের দেয়া ওইসব পোস্টে হাজার হাজার ইতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়েছে। তারা বলছেন, গলুই এর জন্য মুখিয়ে আছেন। কেউ কেউ লিখছেন, যত দূরের হলে গলুই মুক্তি পাক না কেন তারা ঈদে শাকিব খানের এই ছবি মিস করবেন না।
সরকারি অনুদান ও খোরশেদ আলম খসরুর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত গলুই ছবিতে শাকিব খান ও পূজা চেরি ছাড়াও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, সুচরিতা, আলী রাজ, সমু চৌধুরী প্রমুখ।
শনিবার ১৪ মে ২০২২
শুক্রবার ১৩ মে ২০২২
ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি। দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চোখে পড়ার মত ছিলো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পন্টুনে সাথে ফেরি ভিড়ার সাথেই অঘোষিত প্রতিযোগিতা নিয়ে ফেরি থেকে নামছে শত শত ঢাকা ফেরত মানুষ।
বিশেষ করে এই গরমে শিশুসহ নারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে গণপরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা ফেরত যাত্রী সবুজ মিয়া বলেন, ঢাকায় আমি একটি হোটেল কাজ করি। কাল রাতে আমাদের ছুটি হয়েছে সেই জন্য আমি ভোর রাতে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছি। যাতে করে রোদের গরমে পড়তে না হয়। তার পরও পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য আগে ভাগেই চলে যাচ্ছি। পরিবারের সাথে ঈদ করার মজাই অন্যরকম। যদিও গাড়ি ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে গাড়ি চালকরা।
ঢাকা ফেরত আরেক যাত্রী রহিমা বলেন, আমরা পরিবারসহ ঢাকায় থাকি, পরিবারের সবার সাথে ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়ি মাগুরায় যাচ্ছি। যদিও এই গরমে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর তারপর যেতে হচ্ছে ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য।
বিআইডাব্লিউটিসির ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, এই ঈদে যানজট মুক্ত রাখতে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ফেরি বাড়ানো হয়েছে। এই নৌরুটে ছোট বড় ২১ টি ফেরি চলাচল করছে।
সোমবার ১৬ মে ২০২২
রবিবার ১৫ মে ২০২২
শামীম রেজাঃ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আগত। ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে উপজেলা ১০ হাজার গরীব ও দুস্থ নারীর মাঝে ঈদ উপহার স্বরুপ একটি করে শাড়ি বিতরণ করলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
প্রতি বছর তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শাড়ি বিতরণ করে থাকেন। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই খুশি গরীব-দুঃখী সবাই যেন সমান ভাবে উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ঈদের আগে শাড়ি বিতরণ করে থাকেন তিনি।
শনিবার সকাল ৮ টায় শাড়ি বিতরণ শুরু হলেও ভোর থেকেই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার নারীরা এসে জড়ো হতে থাকেন উপজেলার শিকদারীস্থ সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ প্রাঙ্গণে। শাড়ি বিতরণের আগেই লোকে লোকারন্ন হয়ে যায় সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরেজের প্রাঙ্গণ সহ আশপাশের এলাকা। এটি যেন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দের আগেই আরো একটি আনন্দ।
এমপি এনামুল হকের ঈদ উপহার পেয়ে অনেকেই হয়তো ভালো ভাবে ঈদ করতে পারবেন। ঈদে কষ্ট করে হলেও একটা নতুন শাড়ি কেনার সামর্থও নেই অনেকের। গরীব-দুঃখী আর অসহায়দের কথা চিন্তা করে উপজেলার সর্বস্তরের নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেন।
শাড়ি বিতরণের উদ্বোধন কালে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিনে কেউ যেন আনন্দ থেকে বাদ না পড়ে সে জন্যই সর্বস্তরের নারীর মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। এটা শুধু একটা শাড়ি নয় এর মাধ্যমে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া।
এ সময় উপস্থিত থেকে শাড়ি বিতরণ করেন সাংসদের পতœী তহুরা হক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল, ম্যানেজার একাউন্ট সোহরাব হোসেন, রেজাউল করিম, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
রবিবার ১৫ মে ২০২২
মোঃআবু কাওছার মিঠু ঃ
দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কয়েদিদের উপর অমানষিক ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত থেকে বন্দিদের জেলখানায় প্রেরণ করা পর থেকেই তাদের পড়তে হয় নানা অনিয়মে। বিনামূল্যের খাবার দেওয়া হয় না। তাও আবার নিম্নমানের খাবার। টাকা ছাড়া কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে থাকতে দেওয়া হয় না। টাকা ছাড়া ঘুমানোর জন্য সিট দেওয়া হয় না। স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে হয় অতিরিক্ত টাকা খরচ করে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে এসকল অনিয়মই যেন এখন নিয়ম।
শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান নারায়ণগঞ্জ জেলে আসার পর থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসী আরমান নারায়ণগঞ্জ জেলার ও জেলসুপারের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে কারাগারের সকল অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কারা কেন্টিনের ব্যবসা, সিট বাণিজ্য, ওয়ার্ড বাণিজ্য ও মোবাইল ফোন বাণিজ্যে তারা মেতে উঠেছে। তাদের সহযোগিতা করছে কয়েদি পিচ্ছি সুজন, জহিরুল ইসলাম, ছোট সাহাবাজ, সেলিম, সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত খোকন হত্যা মামলার আসমি হালিম ও রমজান নিয়ন্ত্রণ করে দুটি ওয়ার্ড। কারাগার কেন্টিনে খাদ্য দ্রব্যের দাম বেশি আদায় করা হচ্ছে। এসকল অতিরিক্ত টাকার জোগান দিতে কয়েদিদের পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবারো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
কয়েদি ,,,,,,,বলেন, কয়েদিদের সপ্তাহে ১দিন ১০টাকার বিনিময়ে ১০ মিনিট মোবাইল ফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। তবে যেকোন সময় ৩ মিনিট ১০০ টাকা হারে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চক্রটি কয়েদিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারে নতুন বন্দি প্রবেশ করলে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে থাকার কথা। কিন্তু টাকা আদায় করে তাদেরকে ওয়ার্ডে বদলি করা হচ্ছে। আবার ২/৩ হাজার টাকা আদায় করে নতুন বন্দিদের দ্বিতীয় দিনেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে বদলি করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসী আরমানের ইশারায় চলছে এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার। প্রতিবাদ করলেই হামলা কিংবা অন্য কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্ভিগ্নে আরমান ঘুরে বেড়ান জেলা কারাগার। আদায়কৃত টাকা রাতে ভাগ বাটোয়ারা হয়। অবৈধভাবে তার সঙ্গে সব সময় থাকে মোবাইল ফোন।
কারা বিধি অনুযায়ী জেলের নিরাপত্বার বিঘ্ন ঘটে এরকম হাজতীদের ২৪ ঘণ্টা বন্দি থাকার কথা। কিন্তু সন্ত্রাসী আরমান রাত ৮টা পর্যন্ত পুরো কারাগার চষে বেড়ায়। প্রত্যেক বন্দিকে দৈনিক ১৪৫ গ্রাম ডাল দেয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ৪০ গ্রাম। এছাড়াও সকল খাদ্যদ্রব্যই চড়া দামে কিনতে হয়।
বন্দিদের জামিন হলেই নারায়ণগঞ্জ ডেপুটি জেলার সোহরাবকে দিতে হয় ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। টাকা না দিলেই তার উপর চালানো শারিরীক নির্যাতন। তিনি ব্যক্তিগত দামি গাড়ি ব্যবহার করেন।
নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মাসুদ মিয়া বলেন, কারাগারের ভিতরে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। টাকা না দিলেই কয়েদিদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাবারের মান নিন্ম মানের দাম বেশি।
এব্যাপারে নারায়ণণগঞ্জ কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমান বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ কারাগার সরকারি সঠিক নিয়মে পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম নেই।
বুধবার ০৪ মে ২০২২
মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২
শনিবার ১৪ মে ২০২২
শুক্রবার ১৩ মে ২০২২