Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

সুখবর দিলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ছোট পর্দার প্রিয় মুখ শবনম ফারিয়া। ঈদ-পার্বণ-পূজাসহ যেকোনো উৎসবে তার নাটকের অপেক্ষায় থাকেন দর্শক। এবারের দুটি ঈদে দর্শক তাকে প্রচণ্ড মিস করেছে। তবে তার দর্শক-ভক্তদের জন্য সুখবর বয়ে আনলেন শবনম ফারিয়া।  

দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফিরেছেন তিনি। ‘দাফন’ শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু করছেন এই সদুর্শনী।

এটি পরিচালনা করেছেন কৌশিক শংকর। সিরিজের একটি অংশের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে। এখন রাজধানীর মিরপুরে চলছে কাজ। 

সিরিজটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ফারিয়া।  ‘নিজের পড়াশোনা ও কিছুটা অসুস্থতার কারণে একটা গ্যাপ হয়ে গেলো। আবারও কাজে ফিরলাম। ঢাকায় শুটিং হচ্ছে। আশা করি দাফন দর্শকদের ভালো লাগবে।’ 

শবনম ফারিয়া ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষার কারণেও ব্যস্ত সময় কেটেছে তার।


আরও খবর

সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪




দুর্গাপুরে অবৈধ ৩৪০ বস্তা চিনিসহ একজন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image
  1. নেত্রকোনা প্রতিনিধি: 

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে একটি কাভার্ডভ্যান সহ ভারতীয় অবৈধ ৩৪০ বস্তা চিনিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। 

 উপজেলার মধ্য বাজারে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। মালামাল জব্দসহ ও জুবায়েদ(১৬) নামের একজনকে আটকের বিষয়টি সোমবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ। 

আটককৃত ব্যক্তি জুবায়েদ হোসেন কাভার্ডভ্যানের হেল্পার। কাভার্ডভ্যান হেল্পার জুবায়েদ নোয়াখালী জেলার কামাল উদ্দিনের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১১ টার দিকে একটি কাভার্ডভ্যান দুর্গাপুর থেকে ভারতীয় অবৈধ চিনি নিয়ে যাচ্ছিল। দুর্গাপুর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৩৪০ বস্তা চিনি পায়। পরে পুলিশ সব মালামাল গাড়িসহ জব্দ করে। এ সময় কাভার্ডভ্যানের সাথে থাকা হেল্পার জুবায়েদ কে আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে যায়।

দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি মো. মাহফুজ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ গোপন কাভার্ডভ্যান সহ ৩৪০ বস্তা অবৈধ চিনি জব্দ করে। এসময় ভ্যানের একজন হেল্পার কে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরও খবর



ধানমন্ডির কেয়ারি ক্রিসেন্ট সিলগালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রাজউকের অভিযানে ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১৪টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দেয়া হচ্ছে। এবার ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনটিও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল ভবনটিতে অভিযান চালানোর পর তা সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। অভিযান চালিয়ে ভবনটি থেকে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে।

এরআগে এই ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটির সব রেস্টুরেন্ট। ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। সেখানে লেখা সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকিবে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে অভিযান শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযান শেষেই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে সব রেস্টুরেন্টে তালা লাগানো। নেই কোনো মানুষজন। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। পরে বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে অভিযানিক দল। পরে সবগুলো রেস্টুরেন্ট বন্ধ পাওয়া যায়।


আরও খবর



দেশে ৪.৫ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ এখনও নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী দূষণের কারণে দেশে পানির সঙ্কট আরও বাড়ছে নদীর পানি ব্যবহৃত না হওয়ায় প্রতি বছর মাটির নিচ থেকে ৮৬ ভাগ পানি তুলতে হচ্ছে তারা জানান, উন্নত দেশ হতে হলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপও কমাতে হবে আবার শতভাগ মানুষের পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

জীবন ধারণের জন্য যে পানি প্রয়োজন, তা ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। পানির অপর নাম জীবন। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমাদের দেশে সুপেয় পানি পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। সুপেয় পানি ছাড়া জীবন রক্ষা নয়, তাই পানিই মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠছে।


পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয় তা সকলের জানা। ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে। তবে পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ মিস্টি পানি আর ৯৭ ভাগ লবনাক্ত পানি। পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকে। যদি পানির একটি ট্যাপ থেকে প্রতি সেকেণ্ডে এক ফোটা করে পানি পড়ে তবে বছরে তিন হাজার গ্যালন পানি অপচয় হবে। এক গ্যালন পানির ওজন ৮.৩৪ পাউণ্ড। মাত্র ৫ মিনিটে একটি শাওয়ার থেকে ১০ থেকে ২৫ গ্যালন পানি ব্যবহার করা যায়। আর গোসল করতে প্রায় ৭০ গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়।


বিশ্বজুড়েই নিরাপদ পানির সমস্যা রয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৪ জন মানুষের একজন নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা পায় না ৬১ শতাংশ মানুষ। সারাবিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে রয়েছেন। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৭৭ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ির আশপাশে নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।


পানি একটি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পৃথিবীর মধ্যে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয়, কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় উৎস। ভূগর্ভস্থ পানি পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। এদিকে, মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। পৃথিবীর পানির মাত্র ৩ ভাগ স্বাদু পানি। আর বিশ্বব্যাপী স্বাদু পানির ৭২ শতাংশই ব্যবহৃত হয় কৃষি কাজে।

বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কাজে ব্যাপকভাবে পানি ব্যবহারের কারণে কৃষিকাজে পানির প্রাপ্যতা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজগুলো মূলত ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নিরাপদ পানীয় জল নাগালের বাইরে চলে যাবে। দেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।


দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলা প্রলয়ের পর এই সংকট আরো তীব্র হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি। দেশের উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে লবণাক্ত পানিতে সয়লাব হচ্ছে জনপদ। এতে পরিবেশ ও বসতি ধ্বংসের পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। উপকূলের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির উৎস। লবণাক্ততার এই আগ্রাসন শুধু ভূ-উপরিস্থ পানি নয়, ভূগর্ভস্থ উৎসেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নানা রোগ-ব্যাধি এ অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলছে। উপকূলে বিশুদ্ধ পানির কষ্ট প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার নলকূপের পানি লবণাক্ত ও আর্সেনিক। নিত্যব্যবহার্য কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। পেটের পীড়া, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু থেকে বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হচ্ছে দূরদূরান্তে।


বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর প্রভাবে বিশুদ্ধ পানির উৎসগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বনজঙ্গল ধ্বংস করার ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। গত অর্ধ শতাব্দী জুড়ে পৃথিবী থেকে কার্বনের উৎক্ষেপন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ, বেড়েছে উষ্ণতা। সেই সাথে শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য দূষণ সৃষ্টি করছে নদী এবং সাগরে। বিশ্বের সকল দেশেই বিশুদ্ধ পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টি ও অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে দেশের দক্ষিণ উপকূল খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনে চরম সংকটে পড়েছে। তাছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে লবণাক্ততার মাত্রা আরও বাড়ছে। অনাবৃষ্টি আর খরায় দেশের প্রাণীকুল, ফসলের ক্ষেতে পড়ছে বিরুপ প্রভাব।


জীবজগতে পানির প্রভাব অপরিসীম। পানি ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতো না। একজন মানুষ পানি ছাড়া গড়ে মাত্র তিন দিন বেচে থাকতে পারে। মানুষের অপরিহার্য প্রয়োজনীয় পদার্থ হল পানি। তাই পানির আরেক নাম জীবন। তবে পানি হলেই হবে না, সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। বিশুদ্ধ পানির প্রধান উৎস ভূগর্ভস্থ নলকূপের পানিতে  আর্সেনিকের উপস্থিতি বাড়ছে। দেশের ৬১ জেলার নলকূপের পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। আর্সেনিক আক্রান্ত পানি ব্যবহার করলে মানবদেহে মারাত্মক রোগ হতে পারে।


ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হচ্ছে দিন দিন। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। শুধু তাই নয়, ভূগর্ভস্থ পানির উৎসও দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে। এছাড়া, শুষ্ক মওসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে না। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, হাওর-বাওর, খাল-বিল শুকিয়ে যায়।

 গত চার দশকে দেশের জলাভূমি কমেছে কমপক্ষে ৬৫ লাখ হেক্টর। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশের ৭০ ভাগ জলাভূমি কমেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে নদ নদীও। সারাদেশে কমপক্ষে আট হাজার কিলোমিটার নদীপথ ইতোমধ্যেই হারিয়ে গেছে। এককালের খরস্রোত নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ।


বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও কৃষি নির্ভর। দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের জীবন রক্ষায় সকলের জন্য অঙ্গীকার হওয়া উচিত বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তায় নদ নদী, হাওর,খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর-ডোবা  ভরাট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পানি যাতে দূষিত না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখতে হবে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের পানি গৃহস্থালীসহ অন্যান্য কাজে যাতে সর্বাধিক ব্যবহার করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সমুদ্র ও নদ-নদীকেও দূষণের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। শিল্প ও রাসায়নিক বর্জ্য যাতে নদী এবং সাগরে না ফেলা হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।পানির অপচয় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। যেন সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্তি সহজলভ্য হয়।


আরও খবর



দেশে ভোটার বেড়েছে ২৭ লাখ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশে এক বছরে ভোটার বেড়েছে প্রায় ২৭ লাখ। আর আনুপাতিক হারে ভোটার বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন আর হিজড়া ভোটার ৯৩২ জন।

গত বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন, হিজড়া ৮৩৭ জন।

গত বছরের চেয়ে এবার ভোটার বেড়েছে ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭২০ জন। গতবারের চেয়ে এবার পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জন। এবার নারী ভোটার বেড়েছে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬২ জন। আর হিজড়া ভোটার বেড়েছে ৯৫ জন।


আরও খবর



সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদের আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর