Logo
শিরোনাম

শুল্ক কমল চাল, তেল, চিনি ও খেজুরের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক-কর ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোতে শুল্ক-কর ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা পৃথক চারটি আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর মিলিয়ে ৪৭.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। বিদ্যমান শুল্ক-কর ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫.২৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্কই কমানো হয়েছে ২০ শতাংশ। যা বয়েল ও নন-বয়েল চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে রেয়াতি হারে চাল আমদানির পূর্বে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। আর এই সুবিধা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

অন্যদিকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের ওপর প্রযোজ্য কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

চিনির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে প্রতি মেট্রিক টনে এক হাজার টাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই সুবিধা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর রাখা হয়েছে এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে।

এছাড়া খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর ৫৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এটি আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ককর ছাড় দিতে এনবিআরে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ভেনিসে বাংলা স্কুলের আয়োজনে ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিবেদক:

ইতালির জলকন্যা ভেনিসে রোববার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়- ১৯তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। 

সকাল সাড়ে দশটায় কামপালতো মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি- প্রবাসী খেলাপ্রেমীদের অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, সৈয়দ কামরুল সরওয়ার। এছাড়া বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা বেল্লাল হোসেন, সোহেলা আক্তার বিপ্লবী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দিলরুবা জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই মুখরিত হয় কামপালতো মাঠ। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্মিলনে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। শিশু-কিশোরদের কোলাহল, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী ও দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাঠজুড়ে তৈরি হয় এক প্রাণবন্ত দৃশ্যপট।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এ আয়োজন শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি হয়ে ওঠে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক। প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এ প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়।

ভেনিস বাংলা স্কুলের উপদেষ্টা পলাশ রহমান বলেন, গোটা বিশ্ব অস্থির যুদ্ধ বিগ্রহ নিয়ে। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। আমাদের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে চাই। জাতিগোষ্ঠীর ভেদাভেদ ভুলে- আমরা সুস্থ খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রীতির বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই।

বাংলা স্কুলের এমন একটি উদ্যোগ শুধু খেলাধুলার উন্নয়ন নয়, বরং সমগ্র কমিউনিটির মধ্যে সামাজিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। আশা করা যায়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই এই উদ্দীপনা বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন আরও বিস্তৃত আকারে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



গরুর গায়ে বিষাক্ত স্প্রে ! খামারে প্রবেশ করায় গবাদিপশুর সাথে অমানবিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের তারুলী গ্রামে মাছ ও সবজির খামারে গরু প্রবেশ করায় পাঁচটি গরুর শরীরে বিষাক্ত ভিক্সল জাতীয় রাসায়নিক স্প্রে করে চামড়া ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কর্মচারীরা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গরুর মালিক আ. হালিম ও মাইনুল ইসলাম জানান, “আমরা গরিব মানুষ, কিছু বলতে ভয় লাগে। টাকা-পয়সার জোরে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেই আমরা চুপ থাকি। আল্লাহ ছাড়া বিচার চাওয়ার জায়গা নেই।

জানা গেছে, ঢাকার বনশ্রীতে বসবাসরত ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ তার নিজ গ্রাম পূর্ব তারুলীতে সুউচ্চ প্রাচীরঘেরা বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মাছ ও সবজির খামার পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি তার খামারে স্থানীয় কয়েকটি গরু প্রবেশ করলে খামারের কর্মচারী এতোয়ার ও রিমন গরুগুলোর গায়ে বিষাক্ত ভিক্সল স্প্রে করে। এতে গরুগুলোর শরীর থেকে চামড়া খসে পড়ে এবং তারা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে।

এতোয়ার ও রিমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “গরু ছেড়ে দিয়ে ঘাস খাওয়ানো নিষেধ করার পরও গরুগুলো ঘেরে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি। এতে গরুর চামড়া ছিলে গেছে। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।

খামারটির কেয়ারটেকার আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “অনেকবার নিষেধ করার পরও গরু খামারে ঢুকেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি।” তবে খামারের মালিক জাফর আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বাবু জানান, তিনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলেন না এবং সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, “নিরীহ পশুর উপর এমন অমানবিকতা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। গরুগুলোর বোবা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।

এলাকার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, “এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক ঘটনা। যারা এ কাজ করেছে, তারা বড় অপরাধ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন, “এ ধরণের অমানবিক আচরণকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে যেন ভুক্তভোগীরা সুবিচার পায়, সেই আহ্বান জানাই।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন জানান, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইসরায়েল ও ইরান সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর আল-জাজিরার। তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি একপর্যায়ে চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে ছয় ঘণ্টার মধ্যে, যখন ইসরায়েল ও ইরান তাদের চলমান অভিযান শেষ করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে।

তিনি আরো জানান, ১২ ঘণ্টা পার হলে ইসরায়েল তাদের যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে ‘১২ দিনের যুদ্ধে’র আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সারা বিশ্বের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাবে। যুদ্ধবিরতির প্রতিটি ধাপে দুই পক্ষ শান্তিপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল আচরণ করবে।

‘সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলবে, এমনটা ধরে নিয়ে আমি ইসরায়েল ও ইরান, দুই দেশকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কারণ তারা ধৈর্য, সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে এই যুদ্ধের ইতি টেনেছে। এই যুদ্ধের নাম হওয়া উচিত ১২ দিনের যুদ্ধ।’

ট্রাম্প বলেন, এটি এমন এক যুদ্ধ ছিল, যা বছরের পর বছর চলতে পারত এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, আর কখনো হবেও না।

গত ১৩ জুন প্রথমে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জবাব দেয়। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল।

এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। সর্বশেষ কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।


আরও খবর



বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চারজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ১৭ রোগী সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

আবওয়াবিদরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর এবার সময়ের আগেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। গত ২৫ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে এ বায়ু প্রবেশ করে। আর এ বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই এখন বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ু সাধারণত পয়লা জুন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করে। পরে উত্তরের বাতাস শুরু হলে মৌসুমি বায়ু চলে যায়। এর আগে‌ সর্বশেষ ২০০৯ সালে জুনের আগে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশে।

মৌসুমি বায়ু প্রবেশের ফলে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘‌সাধারণ ২ বা ৩ জুন দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। এবার সেটি আগেই প্রবেশ করেছে, যা ১৬ বছর পর। এটি মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে; যা দেশের কৃষি ও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক। এ সময়ে স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত বেশি হয়।

তিনি অবশ্য এও বলেন, ‘‌আগেভাগে মৌসুমি বায়ু চলে আসার কারণে একটি নেতিবাচক দিকও আছে। যখন বৃষ্টি দরকার হবে তখন বৃষ্টিহীন হয়ে পড়তে পারে দেশ।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রাতা বেড়েছে। আর এটি এডিস মশার প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য সহায়ক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‌শীতকালের তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতার বাইরে থাকায় মশার প্রজননক্ষমতা কমে যায়। ফলে বংশবৃদ্ধিও কমে। অতি তাপমাত্রায়ও একই থাকে। তবে বৃষ্টি হলে, বাতাস ভেজা থাকলে মশার প্রজননক্ষমতা বাড়ে। বৃষ্টিপাতের সময়ে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে, যা মশার প্রজননের জন্য খুবই সহায়ক। এ সময়ে মশা সর্বোচ্চ বংশবৃদ্ধি করে। আর ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। তাই মশা যত বাড়বে ডেঙ্গুর প্রবণতা তত বাড়বে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৬ জন।

মৌসুমি বায়ুর শুরু থেকে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।  তিনি বলেন, ‘‌বৃষ্টির জমে থাকা পানি, অনুকূল তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতায় মশার প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীও বেড়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাসায়নিক ও জৈব উপায়ে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিবেশগতভাবেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য সরকারকে নিতে হবে যুগপৎ উদ্যোগ। জনগণকে নিয়ে মশা নিধন কর্মসূচি নিতে হবে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের নেতৃত্বে নাইম - বাগচী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

‎টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাভাবিপ্রবি থিয়েটার সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি হিসাবে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল-নাইম ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অনির্বাণ বাগচী নির্বাচিত হয়েছেন।

‎মঙ্গলবার (২৭ মে) মাভাবিপ্রবি সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের সাবেক সভাপতি ছাব্বির মাহমুদ ফয়সাল এক বিবৃতিতে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

‎কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাপন, মোঃ ইমরান কায়েস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথিলা ফারজানা, সেলিম হোসেন শিশির, সাংগাঠনিক সম্পাদক সাদিব হাসান সঞ্জিত, মোঃ রাকিব হাসান, দপ্তর সম্পাদক, শুভ্রা পাল, দিয়া বিশ্বাস, উপদপ্তর সম্পাদক সাকিব আলভী, প্রচার সম্পাদক সাহেদ বিন সুলতান, কাহেনী ও সংলাপ বিষয়ক সম্পাদক মেহেবুবা মাহরিন নোভা, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র বিষয়ক সম্পাদক আসাফ উদ্দিন নাবিল, রূপসজ্জা বিষয়ক সম্পাদক লামিয়া সানজানা অরিন, অনন্দিতা শাহা উপমা, আলোকসজ্জা বিষয়ক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রাকিব, স্টেজ সেটিংস সম্পাদক মোঃ আল-আমিন, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া আসাদুজ্জামান শুভ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মেহেদি হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব নাফিয়ান, কোষাদক্ষ মোঃ হাবিবুর রাহমান, কার্যকারী সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, শ্রেয়া শাহা, তাবাসুম জান্নাত মেঘলা, জেরিন তাসনিম, মিনহাজ আহমেদ ইশান, মিথুন হাসান, মোঃ সাফিয়ান আল বারি, জান্নাত আক্তার। উপদেষ্টা মণ্ডলীতে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক শাহীন মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক দীপ্তি ভৌমিক এবং সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

‎নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-নাঈম বলেন, "‎নাটক শুধু বিনোদন নয় — এটি প্রতিবাদের ভাষা, মানবিকতার ভাষা, আত্মঅন্বেষণের এক অসাধারণ মাধ্যম। আমরা যারা এই নাট্য ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত, তারা সবাই বিশ্বাস করি—নাটক সমাজ বদলের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। আজ আমাদের সেন্ট্রাল ড্রামা ক্লাব (সিডিসি) শুধুমাত্র একটি সাংগঠনিক নাম নয়, এটি একটি আবেগ, একটি পরিবার, একটি যাত্রা—যেখানে আমরা প্রতিদিন শিখি, গড়ি, ভাঙি, আবার নতুন করে গড়ি।"

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ বাগচী বলেন, " ‎আজ আমাদের সেন্ট্রাল ড্রামা ক্লাব (সিডিসি) একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ক্লাব শুধু একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবারের মতো—যেখানে আমরা সবাই একসাথে স্বপ্ন দেখি, পরিশ্রম করি এবং মঞ্চের আলোয় নিজেদের প্রকাশ করি। ‎আমরা বিশ্বাস করি, নাটক কেবল বিনোদন নয়—এটি সমাজ পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা চাই, আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে, নতুন প্রজন্মকে সাহসী, সৃজনশীল ও মানবিক করে তুলতে।

‎পাশাপাশি ক্লাবের উন্নয়নের জন্য  কয়েকটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে-

‎‎১. নিয়মিত নাট্য কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন

‎২. নবীন সদস্যদের জন্য প্রযোজনাভিত্তিক অভিনয় শেখানো

‎৩. বিনোদনমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল নাটক তৈরি ও মঞ্চায়ন

‎৪. সমাজ সচেতনতামূলক নাটক মঞ্চায়ন


আরও খবর