Logo
শিরোনাম

সুপার ফোর নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতেছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে চোখ রাখতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং আর দ্বিতীয় ম্যাচের বড় জয়, এই দুয়ের কারণে নেট রানরেটের সুবিধা পাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সমীকরণ যাইই হোক, সুপারফোরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় থাকছে না। 

সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এক্ষেত্রে। কারণ খেলাটা হবে তাদেরই হোম গ্রাউন্ড লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আফগানদের হারানোর পর তাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করবে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র‍্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ কোয়ালিফাই না করলে সেক্ষেত্রে যাবে আফগানিস্তান। যেহেতু, বাংলাদেশ এরইমাঝে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাই বি-২ হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত। 

অন্যদিকে গ্রুপ 'এ' থেকে পাকিস্তান খেলবে এ-১ দল হিসেবে। ভারত যাবে এ-২ দল হয়ে। নেপাল যদি অঘটন ঘটিয়েই ফেলে, তবে ভারতের এ-২ স্থানটি দখল করবে তারা।   

সূচি অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এ-১ হিসেবে পাকিস্তান এরইমাঝে ফিরে এসেছে নিজ দেশে। আর গতকালের ম্যাচশেষে বাংলাদেশ থাকছে লাহোরেই।


আরও খবর



রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামী'র মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
সিহাবুল আলম সম্রাট - রাজশাহী::


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রাজশাহী মহানগরী'র আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে ভয়াবহ বন্যা ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়।

৩১ আগস্ট শনিবার ২০২৪ ইং সকাল ১১ ঘটিকায় রাজশাহী নগরীর কাবাব হাউজ , রানী বাজার কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামির আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ সেলিমসহ মহানগর জামায়াতে ইসলামি ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ।

এসময় রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামির নেতৃবৃন্দরা বলেন," জামায়াত ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির বিগত ১৫ বছরে অন্য সকল দলের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে প্রতিশোধ যদি নিতে হয় জামাতেরই প্রতিশোধ নেওয়া উচিত সেটা না করে আমরা দেশ গড়ার জন্য কাজ করছি"।

আরো বলেন জামায়াত প্রতিশোধ নিচ্ছে না। প্রতিশোধ নিতেও চায় না। আমাদের পরিকল্পনা কিভাবে দেশটা নতুন করে সাজানো যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে সেই পরিবারগুলোকে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। দেশ গড়তে এখন কোন সহিংসতা চায় না জামায়াত।

এ সময় তারা পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, অধিকাংশ মামলা ও নির্যাতন রাজনৈতিক নেতৃবেৃন্দের আদেশে পুলিশের দারা সংঘটিত হয়েছে। তবে এই সকল মামলা দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তারা।

তারা বলেন, পুলিশ আমাদের নির্যাতন করেছে শুধু দেশের স্বার্থে পুলিশের থানাসহ ক্ষতিগ্রস্থ সকল সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলো আমরা গুছিয়ে দিয়েছি।

আরও খবর



বন্যার্তদের ১০৭০ জন পরিবারের পাশে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দেশের পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যায় জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা।এই সংকটময় পরিস্থিতে মাওলানা  ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(মাভাবিপ্রবি) বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।


বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২৯শে আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাত ১২ টার পর  প্রায় ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ২টি ট্রাক ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী।


রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জানান,আমরা ৪ দলে ভাগ হয়ে ১০৭০ টি পরিবারের জন্য প্যাকেট করা উপহার সামগ্রীর

৪৮০টি ফেনী, ৪০০টি লক্ষীপুর, ১২০টি নোয়াখালী ও ৭০টি কুমিল্লা জেলায় নিয়ে যাবো। একটি বাস ও ট্রাক ফেনী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আরেকটি বাস ও ট্রাক নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।


অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় দেশজুড়ে গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। আর্ত-মানবতার সেবায় আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সামাজিক  সংগঠনসমূহ এগিয়ে এসেছি ।তিনি আরো জানান, আমাদের দেওয়া প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে চাল,ডাল, শুকনা খাবার, শুকনা কাপড়, বাচ্চাদের খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।


ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলামিন ফকির জানান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন, আঞ্চলিক ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক,  কর্মকতা, কর্মচারীসহ আমাদের  যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।


পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বী বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বেশকিছু অঞ্চলে বন্যার পানি পুরোপুরি শুকায়নি। ফলে তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য আমরা শুকনা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ও খেজুর রেখেছি। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও জরুরী ওষুধপত্র দিয়েছি। আশা করি একটা পরিবারের কয়েকদিনের শুকনো খাবারের যে প্রয়োজনীয়তা, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পূরণ হবে।


বিগত ৭ দিন যাবৎ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা-কাপড় ও প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



অবশোষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন শিক্ষার্থী আশিক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক (২৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মারা যান। নিহতের ছোট ভাই আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আশিক উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী সাত মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। 

গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষে মাথায় ঢিল লেগে আহত হন আশিক। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার মারা যান।

আশিকের ছোট ভাই আতিক বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেকের তাগিদে ৪ আগস্ট আমি ও ভাইয়া আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। আওয়ামীলীগের লোকজনের ঢিল ও পিটুনিতে আমিও আহত হয়েছিলাম। ভাইয়া মাথায় আঘাত পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। কিন্তু আঘাতের কারণে তার বমি শুরু হয়। জ্বর আসে। পরে রংপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না। চিকিৎসকরা বলেছেন, আঘাতের কারণে তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল।’

আতিক আরও জানান, আশিকের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। সোমবার সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এর আগে কুড়িগ্রামের তিন জন নিহত হন। তারা সবাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাদের লাশ কুড়িগ্রামে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ আশরাফুল ইসলাম - মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি::


রাজধানী ঢাকা থেকে সিংগাইরের প্রবেশদ্বার হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২-এর প্রথম ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের নামে ২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় ‘শহীদ রফিক সেতু’। উদ্বোধনের পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর টোল আদায় হলেও তা এখনো বন্ধ না হওয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, পরিবহন চালকসহ সিংগাইরের সাধারণ জনগণ।

বৃহস্পতিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ শেষে টোল প্লাজা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা।

শহীদ রফিক সেতুর অন্যায্য টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাসুদূর রহমান আইয়ুবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, মো. রুমি এবং ছাত্র-জনতার মধ্যে মো. আসিফ,জয় ইউনুস, মো. আবীর আহমেদ,মো. মিরাজ,মো. রনি,মো.সাইদুর রহমান প্রমূখ।

কৃষিনির্ভর সিংগাইরকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করতে এই টোল বাধা বলে জানান বক্তারা। কর্তৃপক্ষের কাছে ভাষা শহীদ রফিক সেতুর টোল আদায় স্থায়ী বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, মাত্র ৩০৭ মিটার দৈর্ঘ্যর এই ছোট সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি টাকা। গত ২৪ বছরে এই সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, যা এরকম ১৩টি সেতুর সমান। গত ২৪ বছরে সেতুর রেলিংয়ের ঢালাই খুলে গেছে, সেতুর লোহার সংযোগ পাত ভেঙে গেছে, ঢালাই ভেঙে গর্ত হয়েছে। অথচ টোল নামক অভিশাপ বিদায় নিচ্ছে না।



আরও খবর



রাজশাহীতে শিবির নেতা আবু রায়হান হত্যা মামলায় মেয়র লিটন সহ ১২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

রাজশাহীতে গত ৫/৮/২০২৪ ইং তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আবু রায়হান আলী (২৭) কে গুলি করে হত্যায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ এক হাজার দুই শত পঞ্চাশ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত আবু রায়হান আলীর ভাই রানা ইসলাম (২১) (মামলা নং ১৫, তারিখ ১৯/০৮/২৪)।

বোয়ালিয়া মডেল থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, মামলায় সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ জনকে। মামলায় সিটি মেয়র ছাড়াও আটজন কাউন্সিলরকেও আসামী করা হয়েছে।


নিহত আবু রায়হান আলী রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামের মুসলেম আলীর ছেলে। আবু রায়হান রাজশাহী কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট  ১ টার সময় নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা হল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবু রায়হান। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হলে মেয়র লিটন ও ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে রুবেল, রাজীব, রনিসহ অনেক আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে । তাদের আক্রমণে মারুফ মর্তুজা, ইব্রাহীম আলী, মারুফ আল হাসান, মেহেদী হাসানসহ অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে আবু রায়হান আলী আহতদের চিকিৎসা জন্য উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তখন আসামি জহিরুল হক রুবেল তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আবু রায়হান আলীর মাথায় গুলি করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে আবু রায়হান আলী মারা যান। পরের দিন শুক্রবার তার জানাজা এবং দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

মামলাটি দায়ের করার সময় বাদি রানা ইসলাম ছাড়াও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিমসহ দলটি নেতাকর্মীরা থানায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর