Logo
শিরোনাম

সুপার ফোর নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতেছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে চোখ রাখতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং আর দ্বিতীয় ম্যাচের বড় জয়, এই দুয়ের কারণে নেট রানরেটের সুবিধা পাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সমীকরণ যাইই হোক, সুপারফোরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় থাকছে না। 

সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এক্ষেত্রে। কারণ খেলাটা হবে তাদেরই হোম গ্রাউন্ড লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আফগানদের হারানোর পর তাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করবে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র‍্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ কোয়ালিফাই না করলে সেক্ষেত্রে যাবে আফগানিস্তান। যেহেতু, বাংলাদেশ এরইমাঝে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাই বি-২ হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত। 

অন্যদিকে গ্রুপ 'এ' থেকে পাকিস্তান খেলবে এ-১ দল হিসেবে। ভারত যাবে এ-২ দল হয়ে। নেপাল যদি অঘটন ঘটিয়েই ফেলে, তবে ভারতের এ-২ স্থানটি দখল করবে তারা।   

সূচি অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এ-১ হিসেবে পাকিস্তান এরইমাঝে ফিরে এসেছে নিজ দেশে। আর গতকালের ম্যাচশেষে বাংলাদেশ থাকছে লাহোরেই।


আরও খবর



পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত প্রকৃতিকন্যা সিলেট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পর্যটনের আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচিত সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত এই অঞ্চলে বিশেষ ছুটি ছাড়াও প্রায় সারা বছর দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। এবারে ঈদে লম্বা ছুটি আর ভারতীয় ভিসা বন্ধের সুযোগে সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা সংশ্লিষ্টদের।

পর্যটক বরণে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিলেট প্রশাসন পর্যটকদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানিয়েছে।

জানা গেছে, এরই মধ্যে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। পর্যটক বরণে স্পটগুলোতে শেষ সময়ের প্রস্ততি চলছে। ভ্রমণ পিপাসুদের নজর কাড়তে শেষ হয়েছে ধোয়ামোছা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।

এবার জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে পর্যটক ভিড় জমবে। প্রকৃতি কন্যা খ্যাত সিলেটের উঁচু-নিচু পাহাড় আর ঢেউ খেলানো চা-বাগান পর্যটকের আকর্ষণের অন্যতম উপলক্ষ্য।

এছাড়াও হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের জন্য অধিকাংশ পর্যটকের পছন্দের গন্তব্য সিলেট।

এই অঞ্চলের অন্যান্য পর্যটন স্পটের মধ্যে রয়েছে, লালাখাল, শ্রীপুর, পান্তুমাই, মায়াবতি ঝর্ণা, জৈন্তিয়া রাজবাড়ী, ডিবির হাওর, লোভাছড়া, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, জকিগঞ্জে তিন নদী সুরমা-কুশিয়ারা-বরাক মোহনা, তাহিরপুরের টেকেরঘাট, শিমুলবাগান, বর্ষার অন্যতম আকর্ষণ টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক।

সিলেট নগরে এছাড়াও দেখার মতো অনেক স্থাপনাও রয়েছে। কিনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনি ঘাটের সিঁড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ, রাজা গৌর গোবিন্দের টিলা, লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগান। শিশুদের বিনোদনের জন্য ওসমানী শিশু উদ্যান ও এম সাইফুর রহমান শিশু পার্কের নগরজুড়ে গড়ে ওঠা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট পার্কসহ বিভিন্ন পার্কে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। স্থানীয়দের পর্যটনের নতুন আকর্ষণ হিসেবে যোগ হয়েছে গোলাপগঞ্জের উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা আনারস বাগান।

এবার ঈদের ছুটি সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগমের আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পূর্বাভাসও দিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বাসসকে জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়া অনেকটা পর্যটকদের অনুকূলে থাকবে। 

ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অগ্রিম বুকিং দিতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এপ্রিলে ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত কেউ কেউ বুকিং দিয়ে রাখছেন।

সিলেট নগরের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার আবু তাহির জানান, এরই মধ্যে সাড়া পাচ্ছেন তারা। এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে বুকিং কনফার্ম করেছেন অনেকে। কেউ কেউ যোগাযোগ করে হোটেলের সুযোগ-সুবিধা ও ভাড়া জেনে নিচ্ছেন। তিনি আশা করছেন, তার হোটেলের কোনো কক্ষ খালি থাকবে না।

সিলেট হোটেল এন্ড গেস্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী জুয়েল বলেন, সবসময়ই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য সিলেট। কক্সবাজারের এবং সিলেটকে বেছে নেন সারাদেশের পর্যটকরা। তবে, বড় একটি অংশ ভারতের কলকাতা কিংবা সেভেন সিস্টার্সের দিকে ঝুঁকে থাকেন। এবার ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকা এবং সরকারি লম্বা ছুটির কারণে এইসব পর্যটক সিলেট কিংবা কক্সবাজারে যাবেন। তাই, অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার সিলেটে পর্যটক বেশি হবে বলে আশা আমাদের।

সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও রেইনবো হোটেল এন্ড গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমার জানামতে এরই মধ্যে বেশির ভাগ হোটেলের ৫০ ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অনুকূল পরিবেশ থাকলে এবার সিলেটে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

আগত পর্যটকদের জন্য কী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে প্রশাসনও উদ্যোগী হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বাসসকে বলেছেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও জাফলংয়ে পর্যটকদের সমাগম বেশি হবে। আগের তুলনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সেখানে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি।

এছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা একযোগে তৎপরতা চালাবেন। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য উপজেলায় পরিবহণ, ঘাট ইজারাদার ও পর্যটন কেন্দ্রের ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়েছে। সে ব্যাপারে তাদেরকে সচেতন করা হয়েছে।

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফয়েজ হাসান ফেরদাউস বলেন, এবার লম্বা ছুটি হওয়াতে অন্য বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক পর্যটক সমাগম হবে। ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এবার চাপ আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে হোটেল-মোটেলগুলো ৬০-৭০ শতাংশ বুক হয়ে গেছে। আশা করছি এবার ভালো ব্যবসা হবে। এতে করোনা পরবর্তী বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে পারবেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, সিলেটে ব্যাপক পর্যটক উপস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। পোশাকধারী ছাড়াও সাদাপোশাকেও তৎপরতা চালাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার জানান, এবার ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রতিটি স্পটে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে জেলা পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটন এলাকাগুলোয় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর সিলেটে পর্যটকদের আগমন ঘটে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

শের মাহবুব মুরাদ আরো বলেন, আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেয় সেজন্য নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকরা যাতে এই এলাকায় নকল পণ্য ও কসমেটিকস কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় রক্ষার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থনে দিনব্যাপি জেলার ঝালকাঠির সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ঝালকাঠির সদরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন সাধারন মানুষ। এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী বলেন, গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

অন্যদিকে নলছিটিতে সকাল ১১ টায় বাসস্ট্যান্ড থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নলছিটি উপজেলা শাখা ও বিকেলে মার্চেন্টস স্কুল সংলগ্ন থেকে হেফাজতে ইসলাম এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এদিকে রাজাপুরে সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে রাজাপুর কামিল মাদরাসার ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ,বিকেল ৫ টায় রাজাপুর মডেল মসজিদ সংলগ্ন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজাপুর উপজেলা শাখা ও বাইপাস সংলগ্ন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এক‌ই সময় রাজাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের  ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে সকাল ১০ ঘটিকায় সর্বস্তরের জনগণ ও বিকেলে ৫ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাঠালিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসব বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসাথে ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং তা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই। 


আরও খবর



একাত্তর উপেক্ষার চেষ্টা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাঁই পাবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রুহিন হোসেন প্রিন্স:

সাতচল্লিশে পাকিস্তান সৃষ্টির পথ প্রত্যাখান করে একাত্তরে বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, যারা একাত্তরকে উপেক্ষা করে সাতচল্লিশকে পুনঃস্থাপন করতে চায়, চব্বিশ আনতে চায়, আমার ধারণা তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।  বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বপ্ন গণতন্ত্র এবং বৈষম্যমুক্তির আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হয়নি। এ সময়ে যারা শাসক ছিল, তারা আমাদের তা উপহার দিতে পারেনি। সুতরাং জনগণ এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ৯০-এ একটি গণঅভ্যুত্থান করতে হলো, ২৪-এ আরেকটি গণঅভ্যুত্থান করতে হয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে সাত মাস পরে এসে দেখছি, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে নানা উগ্র শক্তির আবির্ভাব ছিল, তারা শুরুতেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্যের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আমরা মনে করি, যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। মুক্তিযুদ্ধের ওপর যে আঘাতগুলো এসেছে, সরকার সেগুলো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার যে আকাঙ্ক্ষা আছে, সে প্রচেষ্টায় তারা ভূমিকা রাখবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে লাভ নেই বলে মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন,  ‘দ্রুত একটি নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসবে, আমরা আশা করব তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণ করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার দিকে এগিয়ে যাবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হলেও সেই আলোচনায় না গিয়ে তারা সংবিধান নতুন করে লেখার বিষয়ে কথা বলছে। সংবিধান নতুন করে লেখার নামে ইতিমধ্যে সংস্কার কমিটি আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই কিছু বিষয় সামনে এনেছে, যার অন্যতম হলো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যেন ২৪-কে তুলনা করা হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত চার মূলনীতিকে বাদ দেওয়ার কথা বলছে। প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে। আমি মনে করি, তাদের এই অবস্থান থেকে সরে আসা দরকার। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো বিতর্কিত বিষয়ে যাবে না।মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে কোনো আঘাত এলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াব।


আরও খবর



ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রতিদিনই সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে নানা মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তবে ভূমিকম্পের নির্ভুল সতর্কবার্তা আগাম পাওয়া যায় না। ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্প হওয়ার সময় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ। এই সুবিধা বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম : গুগলের এই সুবিধা পেতে তেমন কোন ঝালেমাও পোহাতে হবে না। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ভূমিকম্প সতর্কতা বা আর্থকোয়েক অ্যালার্ট ফিচারটি চালু করে নিলেই হয়ে যাবে। এর জন্য টাকাও খরচ করতে হবে না।

ভূমিকম্পের সময় স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে ২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে গুগল। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম মূলত ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায়। ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শও দিয়ে থাকে। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম কাজে লাগিয়ে চাইলে ভূমিকম্পের বিস্তারিত তথ্যও জানা সম্ভব। ভূমিকম্প সতর্কতা চালুর জন্য প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ অপশন থেকে ‘আর্থকোয়েক অ্যালার্টস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস টগলটি চালু করতে হবে।

যেভাবে ভূমিকম্প অ্যালার্ট ফিচার চালু করবেন: আপনার ফোনে এই অ্যালার্টটি এরইমধ্যে চালু আছে কিনা তা দেখার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-

Settings > Location > Advanced > Earthquake Alerts.

Earthquake Alerts যদি অফ থাকে তাহলে অন করে দিন।

অ্যালার্ট সিস্টেমটি চালু হলে ফোনে ভূমিকম্পের আপডেট আসতে থাকবে। আর যদি আপনি এই নোটিফিকেশন না চান তাহলে ফিচারটি অফ করেও রাখতে পারেন।

মাই আর্থকোয়েক

মাই আর্থকোয়েক অ্যালার্টস একটি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্প সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম অ্যাপটি এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে।

আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক

ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা জানাতে সক্ষম আরেকটি অ্যাপ হচ্ছে আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক। ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের আগাম সতর্ক দেওয়ার দাবি করলেও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অ্যাপটি মূলত ভূমিকম্পের কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে আশপাশের এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক বার্তা পাঠিয়ে থাকে। এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।


আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতা আল মামুনের উদ্যোগে নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি নেতা ও সবুজ ছায়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি  নেতাকর্মী  অংশগ্রহণ করেন।

ঈদ উপলক্ষে বুধবার রাতে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বার নম্বর ডিগ্রি এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবনের মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। ঈদ পুনর্মিলনীকে প্রাণবন্ত করতে বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়। 


অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আল মামুন বলেন, ঈদ আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার সুযোগ এনে দেয়। এই বন্ধন কাজে লাগিয়ে সংগঠনের ঐক্য বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যাব। আমাদের নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ভাইয়ের  হাতকে শক্তিশালী করবো৷  আগামী নির্বাচনে তাকে যদি আমরা এমপি করতে পারি, তাহলে তিনি মন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং দলকে সুসংগঠিত করতে সহায়তা করে।


আরও খবর