Logo
শিরোনাম

সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এক আসর বিরতি দিয়ে আবারও এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের এবারের আয়োজক পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। লাহোরের এই পিচে খেলা বেশ কঠিন, সে কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে, কঠিন এই কন্ডিশনেও নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ।

স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন লিটন কুমার দাস। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তবে ইনজুরির কারণে আর খেলা হচ্ছেনা তার। শান্তর বিকল্প হিসেবে তিন নাম্বারে কে খেলবেন, তা নিয়েও আছে আলোচনা।
ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। ফিরছেন লিটন দাস, যে কারণে আবারো নিচে ব্যাট করতে হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। নাঈম শেখ থাকছেন আরেক ওপেনার হিসেবে। তিনে দেখা যেতে পারে তাওহীদ হৃদয়কে। আগের ম্যাচে ভাল না করলেও, তাকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মিডল অর্ডার বিশ্বস্ত নাম সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। চারে সাকিব আর পাঁচে মুশফিক অনেকটাই নিশ্চিত। ছয়ে আফিফ হোসেন এবং সাতে দেখা যেতে পারে মিরাজকে। আটে থাকতে পারেন শামীম পাটোয়ারী।
নয় দশ এবং এগারো এই তিন পজিশনে থাকবেন টাইগার তিন পেসার। যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম। এ ম্যাচে একাদশে জায়গা হবে না মুস্তাফিজুর রহমানের। একটা সময় তাকেই অটোচয়েজ ভাবা হতো, তবে অন্যান্য পেসারদের ভালো করাই সময় বদলাতে শুরু করাই মলিন পারফর্ম করা ফিজ থাকতে হচ্ছে অতিরিক্তের বেঞ্চে।


আরও খবর



ইতালির নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস হলো না

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

৮ ও ৯ জুন ২০২৫ তারিখে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। নাগরিকত্ব আইন এবং শ্রমিক অধিকার সংশোধন বিষয়ক মোট পাঁচটি প্রশ্নে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় গণভোটটি ব্যর্থ হয়। অনেক বিশ্লেষকের মতো আমিও ধারণা করেছিলাম, এমন একটি উদ্যোগ ইতালির সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সফল হওয়া অসম্ভব প্রায়।


গণভোটের প্রেক্ষাপট:


গণভোটে পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে একটি ছিলো সবচেয়ে আলোচিত: বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার সময়সীমা ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হবে কি না।


অন্য চারটি প্রশ্ন ছিলো শ্রম সংক্রান্ত- ২০১৫ সালের “Jobs Act” আইন সংশোধন করা হবে কিনা। 


এগুলো শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ক হলেও, জনসচেতনতা এবং রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব বিষয়গুলোকে দুর্বল করে দেয়।


ভোটার উপস্থিতি:


ইতালির আইন অনুযায়ী, গণভোট কার্যকর হতে হলে- ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু এই ভোটে উপস্থিতি ছিলো মাত্র ২২.৭%। সুতরাং গণভটটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।


এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র ভোট ব্যর্থতার প্রতীক নয়, এটি এক গভীর গণতান্ত্রিক সংকটের প্রতিফলন। রাজনৈতিক উদাসীনতা, মিডিয়ার সীমিত কাভারেজ, ক্ষমতাসীন সরকারের ‘ভোট বর্জন’ কৌশল, সবকিছু মিলে ভোটারদের কাছে এই গণভোটের গুরুত্ব আগেই ফিকে হয়ে গিয়েছিলো।


আমার কাছে এই ব্যর্থতা অপ্রত্যাশিত ছিলো না। ইতালির রাজনীতি ও সমাজ এখনও বহুজাতিক, বহুসাংস্কৃতিক বাস্তবতা গ্রহণে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

বিশেষ করে নাগরিকত্ব নিয়ে জনমনে এক ধরনের "ভয়" বা "রক্ষণশীলতা" কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, সহজে নাগরিকত্ব দিলে “ইতালিয়ান পরিচয়ের” অবমূল্যায়ন হবে। এই মানসিকতা সমাজে গভীরভাবে গেঁথে আছে।


একইভাবে, শ্রম আইন সংস্কারও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পছন্দের বিষয় ছিলো না। তারা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আগ্রহী। গণভোট ব্যর্থ হওয়ায় মূলত মেলোনি সরকারের অবস্থান আরো মজবুত হলো।


ইতালির ২০২৫ সালের গণভোট প্রমাণ করে, শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জনসচেতনতা এবং সমাজের মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া বড় কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। নাগরিকত্ব কিংবা শ্রম অধিকার- উভয়ই মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন।


আরও খবর



শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান নিশ্চিয়ই দেশে ফিরবেন, অবশ্যই দেশে ফিরবেন। শিগগিরই ফিরবেন।’ তবে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের তথ্য জানাননি তিনি।

এ সময় লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের দিনক্ষণও জানান তিনি।

এসময় এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে।

প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখুন এই বিষয়ে আমরা দলগত কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আশা করছি যে, সরকারকে একটা বিবেচনা করতে, কিছুটা বলা যেতে পারে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা বিবেচনা করবেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সময়টা (এপ্রিল) তো ঠিক না। আমি প্রথম দিন বলেছি, টাইম ইজ নট গুড ফর ইলেকশন। এপ্রিল মাস, আপনার রোজার মাস, রোজ শেষ হবে, ঈদ শেষ হবে। এর কয়েক দিন পরে নির্বাচন। আপনি ভাবেন রোজার মাসটায় প্রার্থীদের কী অবস্থা হবে…রাজনৈতিক কর্মীদের কী অবস্থা হবে? আমি নিজেই এখন চিন্তিত যে, প্রত্যেক দিন আমাকে ইফতার পার্টি করতে হবে। ইটস নো জোক। এটা বিরাট ব্যাপার। প্রার্থীদের ব্যয় দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং এই ক্ষেত্রে আমরা চিৎকার করি অর্থ ব্যয় কমাতে হবে, ওই সময় হলে তো ব্যয় বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, ওই সময় প্রচন্ড গরম থাকবে আবহাওয়া, ঝড়-বৃষ্টি আছে। দিনের বেলা আমাদের যে নির্বাচনি কালচার, জনসভা করতে হয়, সেই জনসভায় লোকজন আনাটাই মুশকিল হবে। রোদ্রে মধ্যে কে আসবে? রাত্রিবেলা মিটিং করতে হবে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ সময়ে ডিসেম্বর-নভেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। দুবার বোধহয় হয়েছে ভিন্ন সময়ে, দুই ইলেকশনই ঝামেলা ছিল।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ইতালির ভেনিসে ঈদুল আযহা উদযাপিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

ঈদ উল আজহার পবিত্রতা ও ধর্মীয় আবেগে আজ শুক্রবার (৬ জুন) ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করেছেন মহান ত্যাগের এই দিনটি। 

ইতালির রাজধানী রোম, মিলানো, সিসিলি, ভেনিসসহ নানা শহরে লাখো মুসলিম প্রবাসীর অংশগ্রহণে ঈদের জামায়াত ধর্মীয় সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এক দৃশ্যের অবতারণা করে।

প্রায় লক্ষাধিক মুসলিম অভিবাসীর শহর ভেনিসে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ঈদের নামাজ। মসজিদুল ইত্তিহাদসহ স্থানীয় কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রায় ৩০টি জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি। নামাজে অংশ নেয় নানা বয়সের  মুসলিম অভিবাসীরা। ঈদের নতুন পোশাক পরে, আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে মুসল্লিরা জামায়াতে শরিক হন।


ঈদের খুৎবায় মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিতে হবে পবিত্র ঈদুল আযহার পশু কোরবানির মাধ্যমে।  

তিনি বলেন, কোরবানি কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো- হালাল ইনকাম। হালাল আয় দিয়েই কোরবানি করতে হবে, অন্যথায় তা শুদ্ধ হবে না।

নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষ করে প্রবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ঈদের আনন্দ। প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও কলে দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সংযুক্ত হন অনেকে। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে আবেগঘন মুহূর্ত। ভেনিস বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ সেলিম বলেন, প্রবাসে আমাদের আলাদা একটা সমাজ গড়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের মানুষদের মিস করি প্রতি মুহূর্তে।

শিশু-কিশোরদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ উপহার। শহরের পার্ক, খোলা মাঠ ও রেস্টুরেন্টগুলোয় জমে ওঠে আড্ডা। বিকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভেনিসের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়ান অনেকেই।


বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে রান্না করা হয় ঈদের মজাদার খাবার। সেমাই, পোলাও, বিরিয়ানি, ফিরনি, পায়েস, জর্দার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারদিক। গরুর মাংসের সুগন্ধে ঈদের ঐতিহ্য যেন ছুঁয়ে যায় দেশীয় আবেগকে।

ইতালীয় নাগরিকদের মাঝেও মুসলিমদের এমন রঙিন ও সুশৃঙ্খল ঈদ উদযাপন ভিন্নমাত্রার আগ্রহ ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। তারাও উপভোগ করেন মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা।

তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, শুক্রবার কর্মদিবস হওয়ায় ও স্কুল খোলা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী প্রবাসী ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারেননি। ইতালিতে বসবাসরত প্রায় ৭ লাখ মুসলিমের পক্ষে কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা সরকারের কাছে দুই ঈদে ছুটির দাবি জানিয়ে বলেন, প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালিতে অভিবাসীদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি মানবিক সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। এতে ইতালির মানবিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা হবে। পারস্পরিক ভ্রাতিত্ববোধ ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। মানবাধিকার রক্ষা হবে।

পবিত্র ঈদ উল আজহা মুসলিমদের জন্য শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির এক অনন্য উপলক্ষ। ইউরোপের মাটিতে তা আজ আরও একবার প্রমাণিত হলো ধর্মীয় শ্রদ্ধা, আনন্দ ও একতার মহা মিলনমেলায়।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।

ভেনিস প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, প্রবাসীদের ঈদ আর বাংলাদেশের ঈদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব রয়েছে। প্রবাসীরা প্রবাসে ঈদ করলেও তাদের মন পড়ে থাকে প্রিয় বাংলাদেশে। প্রবাসীরা বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করেই বেঁচে থাকে।


আরও খবর



ফোনাশক্তি, মানসিক-স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে স্মার্টফোন বর্তমান শিশু–কিশোরদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক সব কাজের অন্যতম অনুষঙ্গ। মানুষের জীবনে প্রযুক্তি যেমনি সুফল বয়ে আনছে, তেমনি এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা। অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যবহারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ। মোবাইলের গেম আশক্তিতে নষ্ট হচ্ছে অর্থ বিনষ্ট হচ্ছে লেখাপড়া। বড়দের পাশাপাশি দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনে ব্যয় করছে শিশুরা। সারাদেশের ন্যায় এমন চিত্র শালিখাতেও। শিশুদের মোবাইল অশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকসহ সচেতন মহল। মাঝেমধ্যে ফোন কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস দেওয়া ও বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে এখানে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, গেমে আসক্ত হয়ে পড়াশোনাবিমুখ হচ্ছে শিশু–কিশোরেরা। একই সঙ্গে তাদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব ডিভাইসগুলো। মোবাইলের অপব্যবহারে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও। স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না অনেকে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে তৈরি করছে টিকটক ও রিলস ভিডিও। অনলাইন থেকে পাওয়া অর্থের লোভে অধিকাংশ সময় মোবাইলের পেছনেই ব্যয় করছে কিশোরেরা।

এদিকে ফোন দিয়ে খাবার খাওয়ানো, ও শিশুর কান্না থামানো যেন এখনকার বাবা-মা’র আবশ্যকীয় কাজ। দুবছরের শিশু থেকে পঞ্চাশোর্ধ লোকেদের নিত্যসময়ের সঙ্গী এখন মোবাইল ফোন। শিশুদের মোবাইল অশক্তি দূর করতে শিশুদের পেছনে সময় দেওয়া, শিশুদের ভালো কাজের প্রশংসাপূর্বক পুরস্কৃত করা, শিশুদের সামনে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা, সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত করা, সহনশীলতার সঙ্গে শিশুদের প্রতি সদাচার করা, খেলাধুলা সাথে সম্পৃক্ত করা, শিশুদেরকে অকারণে ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ছয়-সাত ইঞ্চির এই ডিভাইস যেন শিশু–কিশোরদের ধ্যানজ্ঞান। প্রতিদিন রাত জেগে স্মার্টফোনের গেমসে বুঁদ হয়ে থাকে এই শিশু–কিশোরেরা। সামনে বই, খাতা, কলম রাখা থাকলেও কিন্তু তা থেকে তার নজর কিছুতেই সরছে না। অনলাইনের যুগে শিশুদের ঘাড়ে যেন অভিশাপ হয়ে এসেছে স্ক্রিন আসক্তি। স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারেই তাদের রাত-দিন পার হচ্ছে। এমনকি খাবার টেবিলে বসেও চলে ফোন চাপাচাপি। মোবাইল অশক্তি যেন চিন্তার বড় কারণ হয়প দাড়িয়েছে। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের বইয়ের পাতা উল্টে নতুন নতুন অধ্যায় ধরার কথা, সে বয়সে তারা ব্যস্ত গেমসের লেভেল পার হওয়াতেই। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারি আইডিয়াল স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক জানান, স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফোন নিয়ে পড়ে থাকে তাঁদের সন্তান। আবার ফোন কিনে না দিলেও স্কুল যাওয়া বা নাওয়া–খাওয়া বন্ধ করে তারা। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আদায় করছে ফোন। অনেকটা নিরুপায় হয়ে ফোন কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকবৃন্দ।

শ্রী ইন্দ্রনীল গবেষণা ইনিস্টিউটের প্রধান সংগঠক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, ‘দার্শনিক জালাল উদ্দীনের’ একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত যা তাহাই বিষ আর প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে পাশাপাশি সন্তানকে চার দেয়ালের বাইরে মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ড হতে পারে আসক্তির প্রতিষেধক। তা না হলে স্ক্রিনের আলো শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে। শিশু-কিশোরদেরকে কাউন্সিল করে এই মোবাইল আশক্তি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন এই গবেষক।

চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, অতিরিক্ত মুঠোফোন আসক্তির কারণে চোখ ও মস্তিষ্কের নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। কিশোর বয়সে যারা মুঠোফোন আসক্ত হয়, তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা হয়।পাশাপাশি মোবাইল আশক্তিতে মস্তিক থেকে ডেপামিন নিঃসরন হয়। যে কারণে তাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।


আরও খবর

দেশে চালু হলো গুগল পে

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




‎শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সাহসী দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

‎বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারিত হয় গভীর শ্রদ্ধা, আবেগ ও গর্বের সঙ্গে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না—তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার ঘোষক, দক্ষ সংগঠক, দূরদর্শী কূটনীতিক এবং শক্তিশালী প্রশাসক। তাঁর দেশপ্রেম, স্বনির্ভরতার দর্শন, ও উন্নয়ন-কেন্দ্রিক নেতৃত্ব বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তিকে নতুনভাবে নির্মাণ করেছিল।

‎আজ ৩০ মে, তাঁর শাহাদাতবার্ষিকীতে জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে সেই নেতাকে, যিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

‎ স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে আত্মপ্রকাশ

‎১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বর হামলা চালায়, তখন মেজর জিয়াউর রহমান ছিলেন চট্টগ্রামে। ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা  পত্র পাঠ করেন—“আমি মেজর জিয়া বলছি… আমি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে ঘোষণা দিচ্ছি।” 

‎ মেজর জিয়ার সেই ঘোষণাই লাখো মুক্তিযোদ্ধার মনোবল জোগায়।পরবর্তীতে তিনি ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

‎ যুদ্ধাহত দেশকে পুনর্গঠনের নেতৃত্ব

‎স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত, অনুন্নত দেশের সামনে অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক পুনর্গঠন ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে এবং পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের হাল ধরেন।

‎তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিরে পায় এক নতুন রাজনৈতিক দিশা, অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক পরিচিতি।

‎ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন

‎একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বের করে এনে জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতিতে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন। তিনি সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের অধিকার ফিরিয়ে দেন। ১৯৭৮ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি গণভিত্তিক জনসমর্থন অর্জন করেন।

‎তাঁর সময়েই দেশব্যাপী নির্বাচনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজকের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়তে ভূমিকা রাখে।

‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জন্ম

‎১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। দলটির মূল দর্শন ছিল “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ”, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জনগণের আত্মপরিচয়ের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।

‎দলটি স্বল্প সময়েই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়, যার নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হয় বহু বছর।

‎অর্থনৈতিক সংস্কার ও আত্মনির্ভরতা

‎দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জিয়াউর রহমান নেন একাধিক সাহসী পদক্ষেপ। তাঁর সময়কালে,গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপ্লব আসে “সবুজ বিপ্লব” নীতির মাধ্যমে।কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, সার ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়।বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিয়ে তিনি শিল্পায়নে গতি আনেন।ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পল্লী শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়।

‎তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল "নিজেকে সাহায্য করো" (Self-Help) — যা আত্মনির্ভরতার চেতনা জাগিয়ে তোলে সাধারণ মানুষের মাঝে।

‎ উপজেলা ব্যবস্থা চালু: বিকেন্দ্রীকরণের রূপকার

‎দেশজুড়ে প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়াতে তিনি চালু করেন উপজেলা পদ্ধতি—যার ফলে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হয় এবং জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে নতুন অধ্যায় সূচনা করে।

‎উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বাচিত পরিষদ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়ন ছড়িয়ে দেয়।

‎স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা

‎সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়”—এই নীতিতে বিশ্বাসী রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৯ সালে ওআইসি, নিরপেক্ষ আন্দোলন জোট (NAM), ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকে (IDB) যুক্ত হয়। এসব সংস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন হয় সম্মানের ভিত্তিতে। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলায় সে অঞ্চলে প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের সূচনা হয়। তার সময়েই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে।তিনি বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীন ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত জরুরি। 

‎জনসম্পৃক্ততা ও জনপ্রিয়তা

‎জিয়াউর রহমান সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বাস করতেন। তাঁর শাসনামলে তিনি ৬৪ জেলাতেই সফর করেন, মাঠে-ঘাটে গিয়ে মানুষের কথা শোনেন। তিনি বিশ্বাস করতেন “শাসন নয়, সেবা”—এই আদর্শেই প্রশাসনকে গড়তে হবে।

‎তিনি “জাগো, গড়ো, বদলো”—এই স্লোগানে জাতিকে উদ্দীপ্ত করেন।

‎ শহীদ রাষ্ট্রনায়ক: এক করুণ পরিসমাপ্তি

‎১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে অবস্থানকালে একদল বিদ্রোহী সেনাসদস্য সার্কিট হাউসে হামলা চালিয়ে শহীদ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। তাঁর মৃত্যু জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।

‎তাঁর শাহাদাতের পর দেশের বিভিন্ন অংশে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজপথে নেমে আসে।

‎ ঐতিহাসিক মূল্যায়ন ও প্রাসঙ্গিকতা

‎আজও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বগুণ ও দেশপ্রেম রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচিত ও গবেষণার বিষয়। অনেক ইতিহাসবিদ তাঁর সময়কে "উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার যুগ" হিসেবে আখ্যা দেন।


‎তিনি ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ, পরিশ্রমী ও নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক—যার মূল দর্শন ছিল জনগণকে সাথে নিয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫