Logo
শিরোনাম

সুপার ওভার ম্যাচে শেষ হাসি নামিবিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

টি-টৈয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই দুর্দান্ত এক লড়াই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। সমশক্তির ওমান-নামিবিয়া ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে নামিবিয়া। সুপার ওভারে ওমানকে ১১ রানে হারিয়েছে তারা। 

সোমবার (৩ জুন) বার্বাডোজে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নামিবিয়া। প্রথম ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওমান। নামিবিয়ার বোলিং তোপে ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান।



দলের পক্ষে খালিদ কাইল ৩৯ বলে ৩৪ ও জিসান মাকসুদ করেন ২০ বলে ২২ রান। নামিবিয়ার পক্ষে রুবেন ট্রাম্পলম্যান ৪টি ও ডেভিড উইজা নেন ৩টি উইকেট।


১১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল নামিবিয়া। নিকোলাস ৩১ বলে ২৪ ও ফ্রাইলিঙ্ক ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন।


এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ওমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে করতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। ওমানের পক্ষে মেহরান খান নেন ৩টি উইকেট। সমতা থাকায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।


সুপার ওভারে ডেভিড উইজা ও এরাসমুসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। উইজা ৪ বলে ১৩ ও এরাসমুস করেন ২ বলে করেন ৮ রান।


২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান। ফলে ১১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নামিবিয়া।    






আরও খবর



রাজধানীবাসী ৯ বছরে ৩১ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

গত নয় বছরে তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বা ভালো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে রাজধানীর মানুষ। অর্থাৎ বছরের মাত্র এক শতাংশ সময় ঢাকাবাসী বিশুদ্ধ বাতাস পাচ্ছে। অন্যদিকে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় অস্বাস্থ্যকর, চরম অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ বাতাস ফুসফুসে টেনে নিচ্ছে ঢাকাবাসী।

'বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, 'বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা। আমরা বৃদ্ধরা তো কয়েকদিন পর মরেই যাব। কিন্তু আগামী দিনের নাগরিক শিশুদের অবস্থাটা কি হবে? আমাদের বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন।তিনি (অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে) দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে যে ভাষায় কথা বলতেন, এখন কিন্তু তা পারছেন না। এটা বাস্তবতা।'

নুর মোহাম্মদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা দীর্ঘদিন থেকে বলা হচ্ছে। এটা কারা করতে দিচ্ছে না, কেন করতে দিচ্ছে না? সৌরবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাধা আসছে।

বাধা দিচ্ছেন যারা বিদ্যুত (ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা এদেশের সবচেয়ে বড় পুঁজিপতি। যারা পরিবর্তন করতে দিতে চান সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এজন্য বৃহত্তর আন্দোলন দরকার।

সংবাদ সম্মেলনের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রবন্ধে তিনি ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ হতে ২০২৪ সালের বায়ুমানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ও তথ্য‌-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরের তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বায়ু সেবন করতে পেরেছে। এসময় রাজধানীতে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য মানের বাতাস ছিল ৬২৪ দিন যা মোট দিনের ২০ শতাংশ। ২৮ শতাংশ সময়জুড়ে অর্থাৎ, ৮৭৮ দিন রাজধানীর বাতাস ছিল সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর।

গত নয় বছরে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর ও ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাস ছিল রাজধানীতে যা মোট সময়ের ৪৮ শতাংশ। এসময় ঢাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ অর্থাৎ দুর্যোগপূর্ণ বাতাস সেবন করেছে ৯৩ দিন যা মোট দিনের ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ন যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দিনে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তা ভালো বা বিশুদ্ধ বাতাস। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য। সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালেই সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ বিবেচিত।

সংবাদ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি। ২০২১ ও ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় ও দূষিত শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে বায়ু দূষণের কারণে ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) এর গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণে দেশে প্রতিবছর ৫ হাজার ২৫৮ শিশুসহ এক লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের অকালমৃত্যু ঘটে। এক‌ই সঙ্গে তা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, 'জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর শতভাগ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্মল বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে বোঝায় সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, ভূ-তাপীয় শক্তি ও বায়োমাস শক্তির মতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত শক্তি, যা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।'

বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, যানবাহনের ধোঁয়া বা অন্যান্য স্থানীয় উৎস ছাড়াও বায়ুদূষণের একটি বড় উৎস আন্তদেশীয় দূষণ। এই দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশে দূষণের সব উৎস বন্ধ করলেও এটা থেকে মুক্তি নেই। এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বর্তমান পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান যখন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তখন যে গতি ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না কেন- এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির বলেন, 'খাঁটি বাংলায় বললে, আমরা একটা গ্যাঁড়াকলের মধ্যে আছি। আমরা (পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে) দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর রাজপথে একসঙ্গে এই ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। ফলে আমরা বলছি, রিজ‌ওয়ানা আপাকে ব্যর্থ হ‌ওয়া যাবে না। কারণ, উনি আবার যখন (পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে) ফিরে আসবেন তখন আমাদের কথা মানুষ শুনবে না। (মানুষ বলবে) আপনি তো ছিলেন ক্ষমতায়, আপনি তো পারেননি।'

এসময় সংবাদ সম্মেলন থেকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো, ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, বিদ্যমান জ্বালানি নীতিগুলো সংশোধন ও নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিঃসরণমান নির্ধারণ ও এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।


আরও খবর



বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই ভিসা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে ইউএই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।


রবিবার ইউএইর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউএই সরকারের সঙ্গে সিদ্দিকীর সক্রিয় যোগাযোগের প্রশংসা করেন, যার মধ্যে ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত ছিল।


রাষ্ট্রদূত আলহামুদি বিশেষ দূতকে জানান, ইউএই দূতাবাস এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা জনগণের চলাচল ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।


এক বড় অগ্রগতির অংশ হিসেবে, ইউএইর মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

এর ফলে, মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য ইতিমধ্যে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তা প্রহরী পদের জন্য ৫০০টি ভিসা প্রদান করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০টি ভিসা অনুমোদিত হয়ে ইস্যুর অপেক্ষায় রয়েছে।


অপেক্ষা করা হচ্ছে যে ইউএই ধাপে ধাপে আরও ভিসা সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর বিষয়ে নমনীয়তা অব্যাহত থাকবে।


বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এসব অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের খোলামেলা মনোভাব ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ-ইউএই মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (CEPA) বিষয়ক আলোচনা শুরুর জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান, যা ইতিমধ্যে নীতিমালার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এই মাসের শেষ দিকে একটি উচ্চপর্যায়ের ইউএই মন্ত্রিসভা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।


আরও খবর



চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন তাসকিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের বিমান ধরলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করায় তাকে চিকিৎসা করাতে যুক্তরাজ্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

রবিবার রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাসকিন লেখেন, ‘আমি কিছুটা গোড়ালির ব্যথায় ভুগছিলাম, তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমাকে এই সিরিজ (জিম্বাবুয়ে) থেকে বিশ্রাম দিয়েছে এবং একজন গোড়ালি বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাচ্ছে। বিসিবিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব! আমাকে আপনারা দোয়ায় রাখবেন।’

বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তাসকিন আহমেদ। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। একই কারণে চট্টগ্রাম টেস্টেও খেলা হচ্ছে না এই টাইগার পেসারের।

এর আগে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন ২৯ এপ্রিল তাসকিনের জন্য ইংল্যান্ডের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট নেওয়া হয়েছ। ফলে এর আগেই তিনি সেখানে থাকবেন। তাসকিনের সঙ্গে থাকবেন দেবাশীষও।


আরও খবর



নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে একমত ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার ও বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিবের কাছে এসব প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় নতুন সংযোজনসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের নির্ধারিত ছকে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত ছিল নির্বাচন কমিশনের। গত ১৮ মার্চ দ্বিমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়। পরে সরকারের তরফ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয় সরকার। সেখানে সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়। ২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে এনফোর্সিং এজেন্সির সংজ্ঞায় ডিফেন্স সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে তা বাদ দেওয়া হয়।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ যুক্ত করা হলে ভোটে সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে মোতায়েনের পথ প্রশস্ত হবে। ফলে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে কারও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এতে ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হবে।

সূত্র জানায়, সংস্কার কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে ইসি, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের নয়টি বিষয় রয়েছে, যেসব বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের কাছে মতামত চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এগুলো হলোগণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ (সংশোধন), নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক) পর্যবেক্ষণ ও সাংবাদিক নীতিমালা (সংশোধন), রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ (অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী), পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা।

সরকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ইসির মতামতও তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আরপিও সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়টি রয়েছে। এর মাধ্যমে আরপিওর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার, বিজিবি কোস্টগার্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ সংযোজন হবে। সরকারের সায় পেলে এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর আরপিওতে এ সংস্কার আসবে।

ইসি সচিব বলেন, সুনির্দিষ্ট করে সব বলা সম্ভব নয়। ব্যালট পেপারে জলছাপের কথা (সুপারিশ)। এর সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এটা আমরা আশু বাস্তবায়নযোগ্য মনে করি না।


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর