Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

শুরুতেই মাঠে হোঁচট খেল বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম দফাতেই মাঠে হোঁচট খেল বিএনপি। দীর্ঘদিন পর নেতাকর্মীদের রাজপথে নামিয়েও সফল হতে পারল না দলটি। ভোলায় ছাত্রদলের নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুুর রহিমের মৃত্যু এবং শতাধিক কর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিএনপি। এতে আগামী দিনে রাজপথের যে কোনো আন্দোলনে মাঠে ঠিকে থাকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে খোদ দলটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যেই।

দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলকে পেটানো হয়েছে, ভোলায় গুলি করা হয়েছে। এমন প্রতিরোধের সামনে বিএনপি কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফলে রাজপথে আইন সৃংখলা বাহিনীর বাধা এবং মাঠে সরকারি দলের সরব উপস্থিতির মুখে সাংগঠনিকভাবে ভঙ্গুর বিএনপি কতোটা ঠিকতে পারে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। তবে নেতাকর্মীদের জাগিয়ে তুলতে নতুন কর্মসূচি ও উদ্দিপনামূলক পরার্মশও দিচ্ছেন তারা।

ঢাকায় নূরে আলমের জানাজায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণ-আন্দোলন শুরু করে নুরে আলম এবং রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেব। পরের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায বরিশালের এক প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের জন্য রাস্তায় শেষ খেলা হবে। সরকার যাবে এটা আমি নিশ্চিত। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ক্ষমতার স্খলন কেউ বাঁচাতে পারেনি; আওয়ামী লীগও সেটি থেকে বাঁচতে পারবে না।

এ দিকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, ভোলার ঘটনা সরকার বিরোধীদের জন্য একটি পরিস্কার বার্তা। আগামী দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো আন্দোলন যাতে দানা বাঁধতে না পারে, তার ছোট বার্তা এটি। এদিকে, হটাৎ সরকারের এমন মনোভাবে বিএনপি নেতারাও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরত দল বা বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ে এলে তাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দেওয়ার দুই দিনের মাথায় ভোলার ঘটনা ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।

তবে দলের একটি অংশ মনে করছেন, সরকার দীর্ঘ দিন থেকেই বিএনপিকে রাজপথে নামানোর জন্য চেষ্টা করছে। নির্বাচনের এক বা দেড় বছর আগে সরকার পতন বা অন্য যে কোনো দাবিতে আন্দোলনে নামাতে পারলে বিএনপিকে কাবু করা যাবে। কিন্তু বিএনপি কোনোভাবেই আগামী ডিসেম্ভরের আগে হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতে চায় না। এমন একটি বার্তা সরকারের কাছেও আছে। তাই ভোলায় একটি ইস্যূ তৈরি করে বিএনপিকে জালাও পোাড়াওয়ের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে চায় সরকার। কিন্তু বিএনপি কোনোভাবেই সেই ফাঁদে পা দিবে না।

এ দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোলার ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ গণজমায়েতের টার্গেটও নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে, আজ  ছাত্রদল ঢাকায়, ৭ আগস্ট কৃষকদল ঢাকাসহ সারাদেশে, ৮ আগস্ট যুবদল ঢাকায়, ১০ আগস্ট শ্রমিক দল ঢাকায়, ১১ আগস্ট নারী দল ঢাকায় ও ১২ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দল দেশজুড়ে সমাবেশ করবে।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ও এ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচিতে এ দুই নেতা নিহত হয়। ছাত্রদল ও স্বেচ্চাসেবক দলের এ দুই নেতা নিহত পর বিএনপি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়াও দেখায়। নিহতের ঘটনার পর ভোলায় অর্ধ দিবস হরতাল ও দলের নয়াপল্টন অফিসের সামনে দুই দিন অবস্থান নেয় দলটির নেতা কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সামনে ৬ দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করে বিএনপি। কিন্তু ভোলার ঘটনা সরকার নিজেদের কঠোর হওয়ার বার্তাই দিয়েছে। তাই আগামী দিনে রাজপথের যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ঠিকে থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা।


আরও খবর



মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, শঙ্কামুক্ত নন দগ্ধরাও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন। এছাড়া, এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিং তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাতে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি কখনো কাম্য ছিল না। এই দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৪৬ জন মারা গেছেন। বাকি যে কয়জন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করছি। আমি এখন আবার চিকিৎসকদের নিয়ে বসব। একটি পরিকল্পনা করব কীভাবে কী করা যায়।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে যান।

জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্নে ১০ জন ও দুইজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

 


আরও খবর



দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর



দাম বেড়েছে অধিকাংশ পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আসছে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।

 রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি থেকে শুরু করে মাছের অতিরিক্ত বাড়তি দাম যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা... রমজান এলেই বেড়ে যায় সবকিছুর দাম। আজকে বাজারে সবজির দাম থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তি দেখলাম।

তিনি বলেন, বয়লার মুরগি আগে ২০০ টাকা কেজি ছিল, আজ সেটি বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন বাজার করতে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নিয়মিত হিমশিম খেতে হয়।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাজারে মাছের দরদাম করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন আরেক ক্রেতা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ইদানীং বাজারে মাছের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, আমরা সাধারণ ক্রেতারা দুই-এক ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কিনতে পারি না। মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি।

তিনি বলেন, নিয়মিত পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই এগুলো কিনতে হয়। কিছুদিন ধরে পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনলেও আজ দাম বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। একইভাবে চাষের কই, তেলাপিয়া, রুই ও পাবদা মাছের দামও বেড়েছে। এসব মাছ ছাড়া ভালো মানের অন্য কোনো মাছ আমরা কিনতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। সামনে রমজান মাস, রমজান আসার আগেই বাজারে সব ধরনের মাছের দামই অতিরিক্ত বাড়তি যাচ্ছে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাওয়ার কথা স্বীকার করে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আরও বেশ কিছুদিন যাবত মাছের দাম বাড়তে যাচ্ছে। রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাছ যখন কিনে আনি তখনই আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। এরপর পরিবহন খরচ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে কিছুটা দাম পড়ে। আমরা যখন কোনো মাছ পাইকারি বাজারে কম দামে কিনতে পারি, তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মাছ চাষের‌ খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি। আগামীতেও মাছের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলের শিরোপা বরিশালের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএলের প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো তামিম ইকবাল নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩৯ রান করেছেন তামিম ইকবাল।

এর আগে ২০২২ সালের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় বরিশালের।

টুর্নামেন্টে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। এবার তাদের ছিল হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ। কিন্তু কুমিল্লার সাম্রাজ্য ভেঙে বরিশালের লঞ্চে উঠলো বিপিএল ট্রফি।


আরও খবর



নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। আর খোলাসয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ৮০০ টাকা।

শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, রমজানের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর রবিবার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এই সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারী মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪