Logo
শিরোনাম

সূফিবাদের প্রয়োজনীয়তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সূফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :   

হাদীসের দ্বারা তাসাইফের কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।একবার রাসূলে করীম (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ইহসান কি?তিনি উত্তরে বলেছিলেনইহসান হল  বিষয় যে,তুমি যখন নামায পড়বে তখন তুমি  মনে করবে যে আল্লাহকে তুমি দেখছ আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই মনে করবে যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেন

হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে যেযে ব্যক্তি নিজেকে চিনল,সে আল্লাহকে চিনল

হাদীসে কুদসীতে আরও এসেছে যেআল্লাহ বলেনযখন আমি আমার কোন বান্দাকে ভালবাসি তখন আমি তার ধ্যান-অনুধ্যানে  কাজে কর্মে নিকটবর্তী হই। আমি তার চোখ হই যা দিয়ে সে দেখে,আমি তার কান হই যা দিয়ে সে শুনতে পায়,আমি তার হাত হই যার সাহায্যে বিভিন্ন জিনিস ধরে।

 

অর্থাৎ,কুরআনে অসঅংখ্য আয়াত  হাদীসের দ্বারা  কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে সূফিবাদ কুরআন-হাদীস হতে নিঃস্বরিত এক ধরনের বাতিনী জ্ঞান।এ ছাড়াও আমরা  বিষয়টি লক্ষ্য করে দেখতে পাই যেনবী করিম (সাঃহেরা গুহায় গভীর ধ্যানে নিমজ্জিত থাকতেন যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি আধ্যাত্মিক জীবন সাধনায় প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতেন। নবী করীম (সাঃএর জীবদ্দশায় আহলে সুফফার কিছু লোক আল্লাহ পাকের ধ্যান সাধনায় এমন সময় ব্যয় করেছেন যার দ্বারা ধারনা করা হয় যে সূফিবাদ কথাটির উৎপত্তি ঘটেছে। অতঃপর খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় হযরত আবূ বকর(রাঃ),উমার(রাঃ),উসমান(রাঃ আলী(রাঃপ্রত্যেকে তারা শাসনকার্য পরিচালনার পাশাপাশি অসংখ্য ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত থাকতেন। সৈয়দ আমীর আলী বলেন,

 

“ আলী(রাঃএর মৃত্যুর সাথে খিলাফত ধংসব হতে থাকে আর দামেস্কে যে বর্বরোচিত অত্যাচার শুরু হতে থাকে সেখান থেকে কিছু মানুষ একান্তে ইবাদত বন্দেগী করতে বাধ্য আর সেখান থেকে অতীন্দ্রয়বাদ স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হতে থাকে

 

কুরআন  হাদীসে সূফিবাদকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে।তা হল ইলমে বাতিনী,ইলমে লাদুন্নী,ইলমে ইলমে তরীকত,ইলমে মারিফত ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়েছে।

 সে সময় হতে হাসান বসরীসহ প্রমুখ তাবিয়ীর মাধ্যমে মরমীবাদ প্রকাশ হতে থাকে।উমাইয়্যা খিলাফত আমলে মানুষের বাহ্যিক চিন্তা-চেতনার এতটা বিকাশ ঘটে নাই যতটা বিকাশ ঘটেছিল আব্বাসীয়দের আমলে।সে সময় সূফিবাদের একটি চূড়ান্তরুপ লাভ করে।সে অর্থাত,হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদ নামে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী মরমীধারার উদ্ভব ঘটে।সে সময় যেসমস্ত কারনে সূফিবাদের উদ্ভব ঘটে তার প্রধান প্রধান কারনসমূহ নিম্নরুপঃ

()খলিফা হারুন-উর-রশিদের ইন্তেকালের পর তার দুই পুত্র আমীন  মামুনের ভিতর যখন মতবিরোধ দেখা দেয় তখন এক বীভীষীকাময় রাজনোইতিক অবস্থা বিরাজমান ছিল।অন্যদিকে ইসমাইলীয়া,বাতিনিয়া  কারামাতিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ ধর্মের নামে অভীষ্ট রাজনীতির প্রচারণা চালাতে থাকে।এমতাবস্থায় কিছু লোকজন রাজনীতি থেকে কিছু মানুষ ইবাদতে ধ্যান-মগ্নে থাকার প্র্যাস পান এববগ এর ভিতর শান্তি তারা খুজে পেয়েছিল।

()আব্বাসীয়দের খিলাফতামালে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের চিন্তা-চেতনার আবির্ভাব ঘটেছিল সেখানে মানুষের ভিতর এক ধরনের সংশায়াত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল আর মুতাযিলাদের সাথে অন্যান্য গোষ্ঠির ভিতর যে দ্বন্দ্বের আবির্ভাব হয়েছিল তা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু লোক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে শান্তি খুজে পাওয়ার প্রয়াস খুজে পেয়েছিল।

()হানাফী,শাফিয়ী,মালিকি  হাম্বলী মাযহাব যে আবেগ বর্জিত পরহেজগারিতা নিয়ে এসেছিল সে অবস্থায় সম্পূর্ণ আবেগধর্মী অবস্থার দিকে এক দল মানুষ ধাবিত হচ্ছিল।

তাহলে আমরা বলতে পারি যে,তাসাইফের উৎপত্তি প্রকৃতপক্ষে বাহিরের কোন চিন্তা-ধারনা থেকে নয় বরং কুরআন-হাদীস  মুসলমানদের নিজস্ব চিন্তা-ধারাকে কেন্দ্র করে হয়েছে।মহানবী(সাঃএর জীবদ্দশায় এর উৎপত্তি ঘটেছিল যা

সূফিবাদের ক্রমবিকাশঃ

প্রকৃতপক্ষে সূফিবাদের আবির্ভাব মুহাম্মদ(সাঃএর সময় হতে শুরু হয়।অতঃপর যাকে সর্বপ্রথম মুসলিম সূফী হিসেবে চিহ্নতি করা হয় সে হল হযরত হাসান বিসরি(.) তার জ্ঞানতত্ত্বের আলোকে সূফী-সাধকগণ সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তার ভিতর মরমী  দার্শনিক চিন্তা-ধারার এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।এছাড়াও সর্বপ্রথম সূফী হিসেবে যার নাম স্বীকৃতি দেওয়া হয় সে হল আবয় হাশিম কূফী।কেউ কেউ আবার জাবির বিন হাইয়্যানকে প্রথম সূফী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।এরপর হিজরীর ২য় শতকে এসে সূফিবাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্বি পেতে থাকে।এ সময়ের উল্লেখযোগ্য সূফীগণ হলেন ইব্রাহীম বিন আদহাম,রাবিয়া বসরী,দাউদ আত-

 

তায়ী  ফুযায়ল বিন হাইয়ায প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।তাদের কার্যকলাপ  বাণী থেকে আস্তে আস্তে কৃচ্ছতা জীবনে উদ্ভব ঘটতে থাকে।

এরপরে সূফিবাদের ক্রমবিকাশে যুন্নুন মিসরীর ভূমিকা ছিল ব্যাপক।তিনি ইসলামী মরমীবাদকে স্তভ হিসেবে স্থাপিত করেছিল।তাই তাকে সূফিবাদের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তিনি হাল  মাকাম সম্পর্কে সূফী-সংক্রান্ত সূত্র প্রদান করেন।অতঃপর যুনায়েদ বাগদাদী যুন্নুন মিসরীর ধারনাকে আরো উন্নতি  সুসংবদ্ব করেন।

কালক্রমে সূফিবাদের ভিতর সর্বেশ্ববাদের ধ্যান-ধারনা যুক্ত হতে থাকে।এ ধরনের মতাবাদের মূল প্রবক্তা ছিলেন বায়জীদ বোস্তামী  মানসুর হাল্লাজ।তবে মানসুর হাল্লাজের বক্তব্য কিছুটা বিতর্কিত ছিল যে জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

অতঃপ্অর ইমামা আল গাযযালী এর সময় থেকে গোড়া সুন্নিবাদী মতবাদ সূফিবাদের ভিতরে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।তিনি গোড়া ইসলাম  সূফিবাদের ভিতর একটি সুন্দর মিল তৈরী করেন।।তার সময় অনেল সূফীর আগমন হয় যার মধ্যে আব্দুল কাদির জিলানী,ফরিদ উদ্দিন আত্তার,আল-কুশাউরী,শিহাবুদ্দিন সোহয়ার্দীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সপ্তম হিজরীতে স্পেনে ইবনুল আরাবী সূফিবাদের ক্রমবিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তিনি সর্বেশ্বরবাদের প্রচলন করেন।তার তার প্রতিষ্ঠিত মতবাদের নাম ছিল “ওয়াহাদুল অজুদ।তার এই মরমী ধারার ক্রমবিকাশে সাহায্য করেছিলেন জালালুদ্দিন রুমি (.)।তার মসনবী শরীফ পৃথিবীর ইতিহাস এক অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে।ইবনুল আরাবীর এই মতবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রুকুনুদ্দিন আলাউদ্দৌলা একটি পৃথক মতবাদ গঠন করেন যা শুহুদিয়া নামে পরিচিত।তার এই সম্প্রদায়কে বাহাউদ্দীন বিশেষভাবে সমর্থন দিয়েছেন এবং হিজরী একাদশ শতাব্দীতে  মতবাদটি ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে রাখে।    পরবর্তীতে সূফী-সাধকদের ভিতর কাশানী,আলজিলি এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।অতঃপর ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক সূফীর আবির্ভাব ঘটে যাদের ভিতর খাজা মইনুদ্দিন চিশতী,বাহাউদ্দিন,শিহাবুদ্দিন,মুজ্জাদিদ আলফে সানীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।বিশেষ করে আলফে সানী সূফিবাদকে ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন করে উজ্জীবিত করেন।তিনি প্রকৃতপক্ষে  শুহুদিয়া সম্প্রদায়কে বিকাশে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।অতঃপর ১৮৩৭ সালে মুহাম্মদ বিন আলী ১৮৩৭ সালে আলজেরিয়াতে একটি পৃথক সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে সূফিবাদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়  ক্রমবিকাশ হতে থাকে।

 

 


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে)।

সোমবার ( ২৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১৪ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




রাজাপুরে ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তি আটক, ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পশ্চিম ফুলহার ও বড় কৈবর্তখালী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হল, উপজেলার পশ্চিম ফুলহার গ্রামের মৃত আয়েন আলী খানের ছেলে দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু (৫৫) ও বড় কৈবর্তখালী গ্রামের হানিফ ঘড়ামীর ছেলে ইসা ঘড়ামী (৪৫)। 


রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে এবং ট্রান্সফর্মারের ১৩ কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। 

আটকৃতদের বিরুদ্ধে রাজাপুর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসূদন রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



আগুনে পুড়লো লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়ায় একটি গ্যারেজে আগুন লেগে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসের আগুন

ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নিসোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বিলাসবহুল বাসে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিটের একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর জানা যাবে


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।

পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




মোরেলগঞ্জে মসজিদে হামলায় ইমাম মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ১৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি বিরোধে একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে হামলা চালিয়ে মসজিদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।  আহতদের উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিকটস্ত ফাঁড়ি পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের  প্রতি দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।  

জানাগেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে দুপুর ১ টার দিকে মসজিদে ৬০/৭০ জন মুসল্লিরা জুমার নামাজের উদ্যোশে মসজিদে এসে খুদবা শুনছিল এ সময় মসজিদের সভাপতি জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান আলী হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন নারী পরুষ সংঘবদ্ধ দল মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপতাড়ি মারপিট শুরু করে। এ সময় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে হামলাকারিরা মসজিদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এতে মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদা

র (৪৮), নাতী রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০)। অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ইস্রাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয় (১৪)সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর ৫ জখমীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে  তারই প্রতিবেশী  হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সাথে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এলাকার ওরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।  

হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ করছে। হিসাব চাইলে তার ভাই এনায়েত হাওলারসহ ৫ জনকে জখম করে।  

মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুদবা পড়াতে ছিলাম। হঠাৎ করে চারদিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। মুসল্লিরা ছুটাছুটি করে চলে গেছেন। আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। পরবর্তীতে ৬ জন মুসল্লিকে নিয়ে নামাজ পড়েছি।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি সতিনি অবহিত নন। ফাঁড়ি পুলিশও আমাকে ঘটনাটি জানাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর