Logo
শিরোনাম

তালেবানের হামলায় পাকিস্তানে ১০ পুলিশ নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

পাকিস্তানে একটি তল্লাশি চৌকিতে ১০ জন পুলিশকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান। খবর এএফপির

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জ্যেষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, আফগান সীমান্ত থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় গোলাগুলি চলে। এ সময় ১০ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের দেরা ইসমাইল খান এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জন জঙ্গি পুলিশের ওই তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায়।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশিচৌকি লক্ষ্য করে বেশি হামলা চালানো হয় দেশটিতে।

এদিকে আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আলাদা একটি হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গত মাসে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তাবহরে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়। বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।

ইসলামাবাদের অভিযোগ, এ ধরনের হামলা প্রতিবেশি দেশ আফগানিস্তানের জঙ্গি দলগুলো চালায়। বেশির ভাগ হামলার সঙ্গে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান জড়িত। তবে কাবুলের তালেবান সরকার এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


আরও খবর



একদিনে ১৩১২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১ হাজার ৩১২ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৪২০ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জনে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৩১২ জনের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০৩ জন, ঢাকা বিভাগে ২৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১১৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৬৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪০ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন রোগী রয়েছেন

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন

গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা যান


আরও খবর

১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4




১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮২ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৫ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারা দেশে ৪৬২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬২ হাজার ১৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।

গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে নিজেদের অবস্থানে অনড় বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি। এই ইস্যুতে এরই মধ্যে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার যে দলীয় অবস্থান নিয়েছে, সেটাতেই বহাল রয়েছেন তারা। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। 

বিএনপি বলছে, বিপ্লব বা অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সাংবিধানিক পথেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যৌক্তিক হবে না। দলটি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট বা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এমনটা হলে নির্বাচন আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারে দশটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপও করে সরকার। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি তোলে। গত ২২ অক্টোবর বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও পালন করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ২২ অক্টোবর রাতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে নেতারা অভিমত দেন, অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা ঠিক হবে না। এমনটা হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।

 এতে করে নির্বাচন আরও দীর্ঘায়িত হবে। দলীয় এমন সিদ্ধান্তের আলোকে পরদিন ২৩ অক্টোবর বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি নেতারা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হোক, সেটা কাম্য নয় বিএনপির। বিএনপি চায় না দেশে নতুন করে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হোক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ওইদিন বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ একটা সাংবিধানিক পদ বা একটা প্রতিষ্ঠান, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। এই পদে হঠাৎ করে পদত্যাগের মাধ্যমে শূন্যতা সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রীয় সংকট ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথটা বিলম্বিত, বাধাগ্রস্ত কিংবা কণ্টকাকীর্ণ হয়, তা জাতির কাম্য নয়।

এরপর ২৩ অক্টোবর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতির অপসারণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে এখন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই

বিএনপির এমন অবস্থানে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের দাবি কিছুটা থমকে যায়। এরপর এ ইস্যুতে ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রনেতারা। সেখানে ছাত্রনেতাদের তরফ থেকে বিএনপিকে তাদের অবস্থান জানানো হয়, কেন তারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চান, সেটিও তুলে ধরেন। তবে বিএনপি তাদের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। দলটি তখন জানায়, এ ইস্যুতে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় প্রধান এজেন্ডা ছিল রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যু। জানা গেছে, সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আলোচনা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। এরপর নেতারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রে নতুন করে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতায় পড়ুক- এমন পরিস্থিতি সতর্কভাবে এড়িয়ে চলার অবস্থান প্রকাশ করেন। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ এর স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ

একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে তিনি গোটা জীবন ব্যয় করেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ-এর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ৯ অক্টোবর ২০২৪ সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ তাঁর গোটা জীবন ব্যয় করেছেন। আকন্ঠ বিপ্লব পিয়াসী কমরেড ফরহাদ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি আমলের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৮ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এবং তার প্রিয় পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অবদান সেই বৈষম্য মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে।

নিষিদ্ধ থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পার্টি সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশে আমৃত্যু তিনি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এবং বৈষম্য মুক্ত সমাজ তথা সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিয়ে গেছেন।

কমিউনিস্ট পার্টি ও তার কর্মকান্ড এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংকটে স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে, তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। এবছর আমরা এমন একটি পরিবেশে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলিত হয়েছি যে, অসংখ্য মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো, সব মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ, সবার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা, সব কালাকানুন বাতিল ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

এই আন্দোলনের শক্তি ভারসাম্যের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অনেক কিছুতে ভর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য হলো এক স্বৈরাচারীর বদলে আরেক স্বৈরাচার যেন প্রতিষ্ঠা না হয়। আমাদের পার্টি দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রাম করছে তার অন্যতম স্লোগান হলো, দুঃশাসন হটাও ব্যবস্থা বদলাও এবং এজন্যে নীতিনিষ্ট বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলো। এই গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের উপরে দাঁড়িয়ে এই সংগ্রাম অগ্রসর করে দেশকে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিভিন্ন সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বৈরাচারী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। আবার অনেকে সুযোগ বুঝে মুক্তিযুদ্ধকে পরিত্যাগ করতে নতুন নতুন বক্তব্য হাজির করছে।এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে নীতিনীস্ঠ পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এটা মনে রাখা দরকার যে, দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বের বিভিন্ন অপশক্তি সবসময় তাদের স্বার্থ পূরণ করতে চাইবে। এসব বিষয় সতর্ক থেকে সচেতন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

নেতৃবৃন্দ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া সংস্কারের কার্যক্রম এখনো যাবে না। নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান।

বিকেল সাড়ে চারটায় সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,মিহির ঘোষ, মাহবুবুর আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাসান তারিক চৌধুরী, বিমল মজুমদার, মোতালেব হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা। এছাড়া আজ সকালে ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত মোহাম্মদ ফরহাদ এর কবরস্থানে সিপিবি সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ ফরহাদ এব জন্মস্থান পঞ্চগড়ের বোদা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্মরন সভা আলোচনা সডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় কিশোর গ্যাং এর হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আরমান হোসেন (২২) ও মেহেদী হাসান (২২) নামে দু'জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টারদিকে নওগাঁ শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সারে ৮ টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ জন সদস্যকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। আহত আরমান হোসেন ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ২৫০শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এডমিশনের প্রস্তুতিতে নওগাঁয় অবস্থান করছিলেন তিনি এবং মেহেদী হাসান নওগাঁ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনন্দিন কর্মসূচি শেষে নওগাঁ শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁয় নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীরা। ঐ মুহূর্তে হঠাৎ করেই কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরপর আরমান হোসেনকে অতর্কিত ভাবে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আরমান। তাৎক্ষণিক তাকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। ঐ মুহূর্তে মেহেদী হাসানকে মারপিট করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পড়ে তারা। আহত অবস্থায় আরমান ও মেহেদিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেয় শিক্ষার্থীরা। দু'জনের মধ্যে মেহেদীকে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হলেও অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় আরমানকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহানে মোতায়েন যুক্ত বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর চাঁদাবাজিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমর্থন চেয়ে আসছিলো কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দেশীয় অস্ত্র ও অগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আকস্মিক এ হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। হামলার শিকার ছাত্রনেতা আরমান হোসেন বলেন, কোন কিছু বুঝে উঠবার আগেই ওরা (কিশোর গ্যাং) আমাকে মারপিট শুরু করেছিলো। তারা আমার মাথাসহ পুরো শরীরে আঘাত করেছে। এক পর্যায়ে স্কুলের পেছনে অন্ধকার একটা জায়গায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এতে বাধা দিলে পকেট থেকে ছুরি বের করে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরলেও অভিযুক্তদের গডফাদাররা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকির উপরে রেখেছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা ফজলে রাব্বি বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা মাথায় রেখে হলেও প্রশাসনের উচিত সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়ানো। অন্যায়কে সমর্থন না দেওয়ায় আমাদের সহযোদ্ধা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখলেও থানা পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে থানায় বসে সমঝোতা করতেই ব্যস্ত। যে যতই চেষ্টা করুক, হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারী প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে না পারলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) আব্দুল আজিজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে সান্নিধ্য, হাসান ও আলামিন নামে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর