Logo
শিরোনাম

তামিমের হার্টে ব্লক, পরানো হয়েছে রিং

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে হুট করেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন মোহামেডানের অধিনায়ক। এরপর ঢাকা থেকে তাকে আনতে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বিকেএসপির পাশে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এক পর্যায়ে অবস্থার কিঞ্চিত অবনতি হলে তাকে স্থানান্তর করা হয় লাইফ সাপোর্টে। চিকিৎসকরা জানান, হার্ট অ্যাটাক করেছেন তামিম। তবে তাকে রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

জানা গেছে, এনজিওগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে তামিমের হার্টে একটি ব্লক খুঁজে পায় ডাক্তাররা। তৎক্ষণাৎ তাকে একটি রিং পরানো হয়েছে। এরপর কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে তামিমকে পর্যবেক্ষণে রাখে চিকিৎসকরা। অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলে ঢাকায় নিয়ে আসা হতে পারে বাঁহাতি এই ওপেনারকে।

আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) একটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অবস্থান করছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। মাঠে ফিল্ডিং করার সময়ে অসুস্থতা অনুভব করলে তিনি মাঠ থেকে উঠে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন, এরপর আবারও নামেন ফিল্ডিং করতে। তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা।

এদিকে, তামিমের অসুস্থতার খবরে স্থগিত করা হয়েছে বিসিবির আজকের বোর্ডসভা। দুপুর ১২টায় এ বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।


আরও খবর



মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহত ছাড়াল ৩০০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) পর থেকে একের পর এক কম্পন অনুভূত হয়েছে দেশটিতে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে এই ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মিলছে না ৪ শতাধিক মানুষের।

এরই মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবককে।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মীণাধীন ৩০তলা ভবন ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।


আরও খবর



ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




দেশকে বদলাতে পরিচালনা পদ্ধতি পাল্টাতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশকে বদলাতে চাইলে পরিচালনার পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। একই নিয়মে সবসময় চলা যায় না। এক্ষেত্রে তরুণরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করলে হবে না। সমাজকে বদলানোর জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সম্পদের ভারসাম্য আনতে হবে। একইসঙ্গে পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে। বাংলাদেশ অনেক বড় জায়গা, সেই তুলনায় নিজের পরিধি ছোট। ছোট পরিসরেই কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসায় মুনাফা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু উদ্যোক্তার মনে লোভ চলে আসলে সেই ব্যবসা ধ্বংস হতে বাধ্য।

তরুণদের তিন-শূন্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি পরিষেবা প্রদান করতে চাই, তাহলে আমাদের তিনটি শূন্যের একটি নতুন সভ্যতার দিকে যেতে হবে - শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য বর্জ্য এবং শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কার্বন নির্গমন, বর্জ্য উৎপাদন এবং সম্পদ কেন্দ্রীকরণ পুরানো অর্থনৈতিক মডেলগুলি প্রয়োগ করে বিশ্ব একটি আত্ম-ধ্বংসাত্মক সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রকৃতির সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি না আপনার সম্পদ ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে আপনি সমাজে টিকে থাকতে পারবেন না।

মানুষ অন্য কারও অধীনে কাজ করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি বরং তারা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা মাথায় রাখতে বলেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তরুণদের চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কেবল টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা তাদের শুরুতে বা ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা চালু করার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘তুমি একবারে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই ছোট পরিসরে শুরু করে পরিবর্তনের সূচনা কর।

তরুণদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুরুতে বড় পরিসরে ব্যবসা চালু করা ভুল পথ। বক্তব্যের পর তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের শেষ দেখতে চায় চীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও চীনের পণ্যে স্থগিত না করে উল্টো শুল্ক ২১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন গোপনীয় অস্ত্র আছে, যার ভয়াবহতা সম্পর্কে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর চীন প্রায় ৪৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রপ্তানি করেছে। নতুন শুল্কের কারণে উভয় দেশের শিল্প ক্ষেত্রে তীব্র সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। মার্কিন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত খরচ, কর্মী ছাঁটাই এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, দুই দেশের শুল্ক যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ৮০ শতাংশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। এতে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোপন অস্ত্র আছে। তিনি বলেছেন, এসব অস্ত্রের ভয়াবহতা সম্পর্কে কেউ কখনো ধারণাও করতে পারবে না। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক ক্ষমতার পাশাপাশি আরও শক্তিশালী অস্ত্র আছে। 

বুধবার ওভাল অফিসে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, চীনের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে আপনি আতঙ্কিত কি-না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বের অন্যতম একজন স্মার্ট লোক। তিনি এমন কাজ করবেন না। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র খুবই শক্তিশালী দেশ। এই দেশটির এত ক্ষমতা ও অস্ত্র আছে যে, বিশ্বের কেউ সেই সম্পর্কে ধারণাই করতে পারে না।

এদিকে চীন ও ইউরোপের কাছেও অস্ত্র আছে। সেটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে সয়া বীজ। এই বীজ যে কোনো আকারে পুরো বীজ, পশুখাদ্য বা তেল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি শিল্পের একটি মূল উপাদান। এটি আমেরিকার কৃষি আয়ের অন্যতম বড় উৎস এবং দেশের জিডিপির প্রায় ০.৬ শতাংশের সমান। মার্কিন কৃষি বিভাগ অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সয়া বীজ উৎপাদনকারীর সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি এবং এই শিল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই শিল্পের মূল্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১শ ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বেশি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধারাবাহিক শুল্ক আরোপের জবাবে চীন পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বেইজিং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা এই শুল্ক যুদ্ধের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। চীন অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ জোরপূর্বক ও অনৈতিক এবং তারা এই বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। তীব্র বাকযুদ্ধের পাশাপাশি চীন এখন কৌশলগতভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে আমেরিকার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে এই শুল্কনীতি প্রত্যাহার করা যায়। 

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে তারা বাণিজ্য জোরদার করতে আলোচনায় বসেছে। তবে চীনের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা চীনের সঙ্গে একজোট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক প্রয়োগ স্থগিত করার ঘোষণার পর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। 

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ আমদানি শুল্কের কার্যকরের বিষয়ে ৯০ দিনের জিন্য স্থগিত রাখার ঘোষণার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রেকে আলোচনার সুযোগ দিতে চায়।


আরও খবর



যাত্রী চাপও কম, ট্রেন ছাড়ছে সময় মতো

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ করতে সড়ক রেল ও নৌপথে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির যে চিত্রের সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষ পরিচিত এবার তার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।

ঈদের সময় ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ার সঙ্গে ট্রেনযাত্রীদের কমবেশি পরিচয় থাকলেও এবার ট্রেন বিলম্ব হচ্ছে না। আজ (শনিবার) সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেনের কমলাপুর স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব হয়নি। আবার দিনের বেলায় এই স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদেও উঠতে পারছেন না কেউ। তবে ট্রেনগুলোর প্রতিটি কোচে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে তারা গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।

শনিবার সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে ট্রেন ছাড়ার অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা স্টেশনে চলে আসছেন।

যাত্রীদের অনেকে মনে করছেন এবারের ঈদ যাত্রা এতটাই নির্বিঘ্ন হচ্ছে, যেটা এর আগে বাংলাদেশে কখনো দেখা যায়নি। এ ছাড়া ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা এর আগের চেয়েও অনেক কম। স্টেশন এলাকাতে ভিড়ের সংখ্যাও কম।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রেন ছাড়বে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে। আগের অভিজ্ঞতায় সিটে যেতে না পারার শঙ্কায় এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছি। তবে এসে তেমন ভিড় পেলাম না। ট্রেনে ওঠার কিছু সময় পরে সিটগুলো ভর্তি হওয়ার পর কিছু লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তবে সেটি অন্যান্যবারের তুলনায় নগণ্য।

এদিকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সকাল ৯টা থেকেই। যদিও ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। ট্রেনের যাত্রী রেদোয়ান ইসলাম বলেন, এ বছর ঈদ যাত্রা অনেক সুন্দর হচ্ছে। টিকিট কাটতে অনেকটা বেগ পেতে হলেও ট্রেনে কোনো বিলম্ব নেই, এর থেকে ভালো সংবাদ আর হতে পারে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব করেনি। সকালের দুই তিনটি ট্রেনে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমে এসেছে।


আরও খবর