Logo
শিরোনাম

তানজিম সাকিবকে শাস্তি দিল আইসিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্বকাপে ধারাবাহিক দারুণ বোলিং করে যাচ্ছেন তানজিম সাকিব সেন্ট ভিনসেন্টে অল্প পুঁজি নিয়ে পাওয়ার প্লেতে এক বিধ্বংসী স্পেলে নেপালি টপঅর্ডার যেভাবে তছনছ করে দিয়েছেন তানজিম, চারদিকে তাঁকে নিয়ে এখন প্রশংসা এই সুসময়ে একটা দুঃসংবাদও পেয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ পেসার, আচরণবিধি ভাঙায় তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছে আইসিসির

নেপালের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেট শিকারের পর রোহিত পাউডেলের সঙ্গে কথার লড়াই হয় তানজিমের বাংলাদেশি পেসার সময় নেপালি অধিনায়ককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন দুজনের মাঝে চলে আসেন আম্পায়ার তানজিমের আক্রমণাত্মক ম্যানার ধাক্কা দেওয়াটা (ফিজিক্যাল কন্ট্যাক্ট) ঠিক খেলোয়াড়সুলভ আচরণ মনে হয়নি আইসিসির ম্যাচ অফিশিয়ালদের আচরণবিধির লেভেল (ধারা .১২) ভাঙায় তাঁকে ডিমেরিট পয়েন্ট ১৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে তিনি শাস্তি মেনে নিয়েছেন
  
সেদিন কী নিয়ে লেগেছিল দুজনের? ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা নেপালি অধিনায়ক রোহিত বলেছিলেন, ‘তানজিদ নতুন বলে সত্যি দারুণ বোলিং করেছেন উইকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল আমাদের মধ্যে আসলে কিছুই হয়নি সে বলছিল, পারলে মারো আমি বলছিলাম, বল করো যাওআর মিক্সড জোনে আসা নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের নায়ক তানজিম বলেন, ‘ওকে বলছিলাম, ইটস নট ইজি ব্রাদার ইটস নট ইজি

আইসিসি যে শাস্তিই দিক, মাঠে তানজিম সাকিবের বোলিং আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রশংসিতই হচ্ছে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন এই বিশ্বকাপে


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মির্জাগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি ও সহোযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় সুবিদখালী সরকারী ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন শিকদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক গাজী রাশেদ শামস এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম খোকন, বিএনপি নেতা মোঃ মনির খন্দকার,গাজী মোঃ আতাউর রহমান, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোঃ নাসির হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ মোকলেছুর রহমান,মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক  মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও মাধবখালী ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী জেসমিন শাকুর প্রমূখ।


আরও খবর



বিশ্বমানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় শেষ হলো মাইজভাণ্ডারে কর্মসূচি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দাতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে... 

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী 

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৮৮তম ৫দিনব্যাপী বার্ষিক খোশরোজ শরীফ সোমবার বাংলা ২৭শে মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের কর্মসূচিতে ছিল, বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাতে মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা ও হেফজখানার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এ বছর হেফজ সমাপ্তকৃত ১১জন হাফেজে কুরআন কে পাগড়ি পরানোর মাধ্যমে দস্তারে ফজিলত ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি বক্তব্যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী বলেন, যুগে যুগে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন নবী-রাসূল এবং আউলিয়ায়ে কেরামগণ। অথচ বর্তমানে অন্যায় অবিচার হঠকারিতা উগ্রবাদিতা অন্যের সম্পদ ভাঙচুর লুটপাট মব জাস্টিসের নামে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করা এসব নিত্যদিনের খবরের কাগজের শিরোনাম হচ্ছে। কোন কোন বিপথগামী ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এসব ফৌজদারী অপরাধ সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এসব বে-ইনসাফি কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শরিয়ত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেয়নি। এমনকি কোনো মসজিদের ইমাম, মুফতি ও সমাজপতিদের ওপর আইন প্রয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেনি। কোনো মানুষ অপরাধ করলে তার বিচার রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই হবে। সব ইসলামী আইনজ্ঞ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে যিনি আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন, তিনি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী শরিয়ত অপরাধের শাস্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দিয়ে শেষ করেনি; এর সঙ্গে সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণিত হওয়ারও শর্ত দিয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তা প্রমাণের আগে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাষ্ট্রও তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখে না। ইসলামী দণ্ডবিধির একটি মূলনীতি হলো, সন্দেহ শাস্তি রহিত করে। ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান অনুসারে, সাধারণ মানুষের জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতএব, প্রচলিত গণপিটুনির কারণ যা-ই হোক না কেন, ইসলামী শরিয়তে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (ক.) আজীবন ইনসাফের আলোকে সমতা ভিত্তিক সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করেছেন। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। খোশরোজ শরীফে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে খোশ রোজ  শরীফের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়  । খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হারুনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হুজুর কেবলার জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী,অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



নতুন করে যুক্ত হতে পারেন ৩৭ লাখ ভোটার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার হালনাগাদে ৩৭ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া প্রায় ১০ লাখের মতো মৃত ভোটারেরও তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তথ্য সংগ্রহের শেষ দিনে এমন তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, রবিবার পর্যন্ত আমরা ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ জন মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর নতুন করে ভোটার হবেন এমন ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৪ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছি। সোমবারের তথ্য এখনো যোগ হয়নি। তাই এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।

গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। গতকাল ছিল তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন।

৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে অভিজাত ধনীদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন বহিরাগমন অনুবিভাগের হিসাবে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী চার মাসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের চার মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশিতে। এ নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীদের ৭০ শতাংশই নতুন নাগরিকত্ব নিয়েছেন ইউরোপের কয়েকটি দেশে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাসে ৯৯ ব্যক্তি তাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন। আর আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশিতে, ২০৭ জনে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের পর প্রথম মাস অর্থাৎ আগস্টে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন ৩৬ জন। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুজনে। পরের দুই মাসে এ সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। অক্টোবরে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন ১১২ জন। আর নভেম্বরে ত্যাগ করেছেন ৫৭ জন বাংলাদেশী।

অভ্যুত্থানের পরের চার মাসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতি জার্মানির নাগরিকত্ব নেয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। যদিও দেশটিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ আছে। এ তালিকায় পরের অবস্থানে আছে জার্মানির প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। গত বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৩২ জন জার্মান নাগরিকত্বের অনুকূলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। এ দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪৫ জন। এছাড়া ১৪ জন চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের, চারজন সিঙ্গাপুরের ও দুজন ভারতের নাগরিকত্বের অনুকূলে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন।

বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হলে দেশে অবস্থান করে বা যে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা হয়, সেখানে থেকেই বাংলাদেশী দূতাবাসের মাধ্যমে এজন্য আবেদন করা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার নাগরিকত্ব পরিত্যাগের বিষয়টি মঞ্জুর করে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বহিরাগমন-২ অধিশাখা) নাসরিন জাহান বলেন, মূলত নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদনগুলো আসে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন গ্রহণ করা হয়। যারা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, তাদের পুরো বিষয়টিই দূতাবাস থেকে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীদের মধ্যে সিংহভাগই অভিজাত ধনী। তাদের মধ্যে বিগত সরকারের আমলের কয়েকজন অলিগার্কও রয়েছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশ থেকে অর্থ পাচারসহ নানা আর্থিক অপরাধের দায়ে শাস্তি এড়াতেও কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে কথিত আছে। আবার দক্ষ কর্মীর ক্যাটাগরিতে বিদেশে অভিবাসন গ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশের শ্রমবাজারে একক নাগরিকত্বের সুবিধা নিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের নজিরও আছে অনেক। আবার নিরাপত্তাহীনতা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাবনতিও অনেকের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিমত রয়েছে।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগকারীদের অন্যতম সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ অলিগার্ক হিসেবে পরিচিত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গাপুরে স্থায়ী নিবাসী (পারমানেন্ট রেসিডেন্ট) হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তবে তার নাগরিকত্ব ছিল বাংলাদেশের। কিছুদিন আগেই তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। দেশটির আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনো সুযোগ নেই। এজন্য গত বছর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন আজিজ খান।

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী অলিগার্কদের আরেকজন এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম মাসুদ, যিনি এস আলম হিসেবেও পরিচিত। গত নভেম্বরে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের আইনজীবীদের পাঠানো একটি চিঠির তথ্য দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশী বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে। বিনিয়োগকারী হিসেবে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে এস আলমের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু আন্তর্জাতিক সালিশি মামলা নয়, প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

তবে এস আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব কবে গ্রহণ করেছেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কেউ সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে তাকে আগে বর্তমান নাগরিকত্ব ত্যাগ করে এর তথ্যপ্রমাণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। এর পরই তিনি দেশটির নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান। সিঙ্গাপুরের আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার সুযোগ না থাকায় ওই ব্যক্তিকে আগে বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনুমোদন নিতে হবে যে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেবেন এবং তিনি আর বাংলাদেশের নাগরিক নন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চদক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আবার বিচার এড়াতেও বিগত সরকারের আমলে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‌তারা কেন নাগরিকত্ব ত্যাগ করছে সেটি তো অনুমান করে বলা যাচ্ছে না। একেকজনের কারণটা একেক রকম হতে পারে হয়তো। তবে মোটা দাগে আমার যেটা মনে হয়, বিগত সরকারের আমলের অলিগার্করা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের অনেকেরই বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনেকেই বিদেশে পালিয়েছেন। ফলে বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যও অনেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারেন। কারণ বাংলাদেশের নাগরিক না হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা বা বিচারের মুখোমুখি করা একটু কঠিন এবং লম্বা প্রক্রিয়া।

অনেকটা একই বক্তব্য অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীরেরও। তিনি বলেন, যখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়, বিশেষ করে সে সময় যদি নিরাপত্তার ইস্যু থাকে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এখনকার সময়ে বিষয়টি প্রায় একই। প্রথমত, যারা নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে, তারা মনে করছে বাংলাদেশে থাকা নিরাপদ না। যেহেতু একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে, সুযোগও আছে, সে সুযোগটা তারা নিচ্ছে। এখন এ সুযোগ অনেকেই নিতে পারবে না। আমরা এ-ও দেখেছি যে অনেকেই বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তারা পারেননি। কিন্তু ব্যবসায়ীসহ অনেকের ক্ষেত্রে সে সুযোগটা আছে। কেননা তাদের পরিবারের অনেকেই বিদেশে থাকে। যেটা আমরা শুনেছি বিভিন্ন সময়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে, সেখানে ব্যাংকে তাদের প্রচুর অর্থ আছে। যেকোনো সময়ের জন্য এমন সুযোগ তারা একটা ট্রাম্প কার্ডের মতো হাতে রাখেন। যাতে যেকোনো সংকটের সময় সেখানে থেকে যেতে পারেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারেন। নাগরিকত্ব ত্যাগ করার আরেকটি কারণ হতে পারে যে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হয়। হয়তো রাজনৈতিক পটপরিবর্তন না ঘটলে তারা থেকেই যেত। তারা যে দেশেই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কিছুই করতে পারবে না। কারণ তারা পুরোপুরি ওই দেশেরই নাগরিক।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশীদের আরো বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। আর কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশী অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান।

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগের পাশাপাশি গ্রহণের ঘটনাও রয়েছে। যদিও সেটি সংখ্যায় খুবই কম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৯৮৮ সালে প্রথম চারজন বিদেশীকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশী। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতি বছরই কিছু না কিছু বিদেশীকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীরা কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলে সেই অপরাধ সংঘটনের পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করলেও তাদের নামে ফৌজদারি মামলা চালাতে কোনো বাধা নেই। তবে যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড নেই, কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধের দায়ে বিচারের জন্য বন্দি প্রত্যর্পণ করা যায় না। কেবল যেসব দেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, সেসব দেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় ওইসব দেশ থেকে বন্দি আনতে পারি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় বিষয়টি জটিল। যদি কেউ দেশে অভিযুক্ত হওয়ার ভয়ে নাগরিকত্ব ত্যাগ করে, তাহলে নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েই কাজটি করবে। বিষয়টি নিয়ে আন্তঃদেশীয় বিবাদ দেখা দিলে তা আইনের জটিল অংশ। এক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল ও দক্ষ কূটনীতিক লাগবে। এমনও হতে পারে, আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েও লড়তে হতে পারে। এটি বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া।

 


আরও খবর



মানসিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সফরসঙ্গী ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকায় তিনি মানসিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসা ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এ মুহূর্তে তিনি তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি, জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয় সেগুলো করানো হচ্ছে। ডাক্তাররা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

বিএনপির এই নেতা জানান, বাসায় খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান ও তিন নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন।

গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। প্রায় ১৭ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর গত ২৪ জানুয়ারি রাতে খালেদা জিয়া ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার বারবার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই সুযোগ দেয়নি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার পথ খুলে যায়। এছাড়া বিভিন্ন মামলা থেকেও তিনি পর্যায়ক্রমে খালাস পাচ্ছেন।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫