Logo
শিরোনাম

তারল্য সংকট ব্যাংক ঋণে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image



বিডি টু ডে  রিপোর্ট:


সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, উচ্চ সুদহার এবং তারল্যসংকটের প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের ঋণ বিতরণে। পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। 


এপ্রিলে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯.৯০ শতাংশ, যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তার আগে মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ শতাংশ। সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের নিচে নেমে এসেছে। 


আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।



একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ঋণ বিতরণ বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরেই এপ্রিলে এসে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আর অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। 


আবার গত বছরের জুলাইয়ের পরই ঋণের সুদহার বেড়েছে অনেক বেশি। জুনের পর সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার পরই তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে জন্য ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদহারকেও বিবেচনায় নিয়ে কম ঋণ নিচ্ছেন। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে ঋণ বন্ধ রেখেছে। 


এজন্য ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কমছে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন; যার কারণে ঋণের প্রবৃদ্ধি হ্রাসে একটা প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.২৮ শতাংশ। এই ঋণ বিতরণের হার কমে মে মাসে দাঁড়ায় ১১.১১ শতাংশ। জুন মাসে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয় ১০.৪০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৮ শতাংশ। 


আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.৬৯ শতাংশ। তবে অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়। পরে নভেম্বরে কমে তা হয় ৯.৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১৩ শতাংশে। 


এরপর আবার কমতে শুরু করে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৯.৯৫ শতাংশ এবং ৯.৯৬ শতাংশে। কিন্তু মার্চে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। 


মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। তার পরের মাস এপ্রিলে আবার কমে তা এক ডিজিটের ঘরে নেমে আসে। এ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৯.৯০ শতাংশ।


আরও খবর



পাকিস্তানি পণ্য নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত ভারতের

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। ঘটনার পর থেকে এরইমধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। বাণিজ্যিক সব চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি একে অন্যের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

এ অবস্থায় অন্য দেশ হয়ে প্রবেশ করা পাকিস্তানি পণ্যের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এক তিল পরিমাণ কোনও পাকিস্তানি পণ্যও যেন ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৩ মে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে তৈরি কোনো পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে আমদানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং সরকারি নীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এই নির্দেশিকার কোনও ব্যতিক্রমের জন্য অবশ্যই ভারত সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান থেকে সরাসরি খুব বেশি পণ্য ভারতে আসে না। তবে ঘুরপথে দুবাই হয়ে কিছু পণ্য ভারতে আসত। বিশেষত, পোশাক, মসলা বা ছোট যন্ত্রাংশের মতো কিছু পণ্য ঘুরপথে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করত; তাও খুব বেশি নয়। ভারতীয় বাণিজ্যমহলের অনেকের মতে, ঘুরপথেও যাতে কোনও পাকিস্তানি পণ্য ভারতে প্রবেশ না করে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই মূলত ভারত এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ক্রমশ অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। ওই সময়ে ফল, সিমেন্ট, পেট্রোপণ্য, আকরিকসহ পাকিস্তান থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল ভারত। বাণিজ্যিকভাবে ভারতের অন্যতম পছন্দের দেশের তালিকা থেকেও পাকিস্তানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে গত কয়েক বছরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। এক বছর আগেও যে পরিসংখ্যান ছিল, তার থেকে ২০ লাখ ডলারেরও কম মূল্যের আমদানি হয়েছিল ওই সময়ে।

এরই মধ্যে গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভারত-পাকিস্তান চাপা বৈরিতা মুহূর্তেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর সামনে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে কদর্য রূপ ধারণ করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

এদিকে পাকিস্তানি পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞাই শুধু নয়, পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। দেশটির ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ শিপিং’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও জাহাজই প্রবেশ করতে পারবে না ভারতীয় বন্দরে। একইভাবে কোনো ভারতীয় জাহাজও যাবে না পাকিস্তানের কোনো বন্দরে।

পহেলগাম হামলার পরদিনই বৈঠকে বসেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। ওই বৈঠকের পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করে মোদি সরকার, যার মধ্যে অন্যতম ছিল অটারী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।

উল্লেখ্য, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দুদেশের মধ্যকার অন্যতম বাণিজ্যপথ ছিল। পরদিন পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে। ওই সময়ে ইসলামাবাদ জানিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমনকি তৃতীয় কোনও দেশ ঘুরেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে কয়লা তৈরির ২৩ চুল্লি গুঁড়িয়ে দিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অপরাধে ২৩টি চুল্লি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চুল্লির ম্যানেজারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নে খেয়াঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, কয়লা তৈরির ২৩টি অবৈধ চুল্লি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চুল্লির ম্যানেজার মো. সেলিম হাওলাদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আঞ্জুমান নেছা, পরিদর্শক মো. আমিনুল হক উপস্থিত ছিল। 


আরও খবর



যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা উদ্বুদ্ধ করবে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন‍্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটি একটি ছোট প্রকল্প। ৩শ ঘর নির্মাণ, কিন্তু এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ করার যে দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করলাম তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।

বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা বাড়ি পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে সে সাহস সবসময় মনের মধ্যে ধারণ করবেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই কাজে যারা নিরলস পরিশ্রম করে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের সদস্যগণ, এলজিইডির প্রকৌশলীগণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ তাদের প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা পালন করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ২৯৮টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দুটি ঘর নির্মাণ করা যায়নি, সেগুলো খুব শিগগিরই নির্মাণ হয়ে যাবে।

গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট ৩শটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনী জেলায় ১১০টি, নোয়াখালী জেলায় ৯০টি, কুমিল্লা জেলায় ৭০টি ও চট্টগ্রাম জেলায় ৩০টি ঘর প্রদান করা হয়।

ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার চারজন উপকারভোগী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।


আরও খবর



দ্রুতই শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় পাবো

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ছিল ফ্যাসিস্ট। তারা বিচার বিভাগ নিয়ে কি করছে না করছে সেটি বিষয় নয়। আমরা উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ।

এসময় তিনি শিশু আছিয়া হত্যার ঘটনায় নিম্ন আদালতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, খুব একটা ব্যত্যয় হবে। মনে হয় আমরা খুব দ্রুত শিশু আছিয়ার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় পাবো।

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে মেজর সিনহা মামলায় দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একইসঙ্গে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মেজর সিনহা হত্যা একটা পাশবিক হত্যা ছিল। এতে আমরা সবাই বিচার চেয়েছি। এটাও বুঝতে হবে কোনো মামলা উচ্চ আদালতে বা হাইকোর্টে থাকে তখন এটা সম্পূর্ণভাবে হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। এটা কার্যতালিকায় কত নম্বরে আসবে, কবে বিচার হবে সেটা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে হাইকোর্ট ঠিক করে। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা রাখার অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, কাউকে দোষী করার আগে ভালো করে জেনে করতে হয়। আপনাদের মতো আমিও আশা করি যাতে এটার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হয়। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।

আওয়ামী লীগের আমলের মতো বিচার বিভাগের ওপর একটা হস্তক্ষেপের কথা আপনারা বলেছেন, আপনাদের কি সেটা নেই সেটা বলতে চাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, উচ্চ আদালতের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। এখন আগের সরকার কি করেছে, তারা তো একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল তাদের তো কোনো নীতি ছিল না। তারা চিফ জাস্টিসকে পর্যন্ত গলা ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা সে সরকার না। উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর আমরা অনেক শ্রদ্ধাশীল।

আছিয়া হত্যা মামলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আছিয়া হত্যা মামলার বিচার কাজ গত বুধবার শুরু হয়েছে। অভিযোগপত্র পেতে একটু দেরি হয়েছে। এটা ছাড়া তো বিচার কাজ শুরু হতে পারে না। আগামী বুধবার হবে ষষ্ঠ কার্যদিবস এবং আগামী রোববার হবে সপ্তম কার্যদিবস। আমি সপ্তম কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম। এটা নিম্ন আদালতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। আমার মনে হয় না খুব একটা ব্যত্যয় হবে। আমার মনে হয় আমরা দ্রুত একটা রায় পাবো।


আরও খবর



মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ডেঙ্গু আক্রান্ত-মৃত্যু দ্বিগুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মৌসুমের আগেই দেশে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মার্চের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্চে ৩৩৬ জন থেকে এপ্রিলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৩ এ। এ সময়ে মৃতের সংখ্যাও হয়েছে দ্বিগুণ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগে থেকে সচেতন না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

চলতি সপ্তহে মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। একজন রোগী স্বজন বলেন, জ্বর-বমি-মাথাব্যথা এরপর মুখ দিয়ে রক্ত গিয়েছে। অনেক সিরিয়াস অবস্থা ছিল। এ কারণে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। জনস্বাস্থ্য বিশষেজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এখনকার তাপমাত্রা ডেঙ্গু মশার প্রজনন এবং ডেঙ্গুর বিস্তার দুটোর জন্যই অনুকূল পরিবেশ। আমাদের দুই সিটি করপোরেশন যদি উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, এবার মশা মারতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর