Logo
শিরোনাম

তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করছে এশিয়াকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে যেভাবে ফোস্কাপড়া তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে, তাতে চলতি ২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা।

এল নিনো ধরনের আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালের শীত শেষ হতে না হতেই তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে, তা বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মত বিশ্বের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।

রোববার ভিয়েতনামের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রার প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদায় আকস্মিক উল্লম্ফন এবং তার জেরে ভিয়েতনামে প্রায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবেশী দেশ লাওসেও এ দিন রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ছিল। দক্ষিণপূর্ব এয়িশার অপর দেশ ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিন তাপমাত্রার সূচক বিপজ্জনক পর্যায়ে থাকায় স্কুলের সময়ঘণ্টা কমাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

তাপপ্রবাহ থেকে থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফিলিপাইনের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়াও। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চালে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। থাই জলবায়ুবিদরা সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সামনের তিন বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে; সরকারের উচিত আসন্ন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

খরার আশঙ্কায় আছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাম ওয়েল উৎপাদনকারী এই দেশটির ভোজ্যতেলের মূল কাঁচামাল পামের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে যাওয়া এল নিনো আবাহাওগত প্যাটার্ন এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রাবাহের জন্য মূলত দায়ী এবং একে আরও অসহনীয় করে তুলছে মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি।

স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ এল নিনো এবং লা নিনার আক্ষরিক বাংলা অর্থছোটো খোকা ও ছোটো খুকী। তবে গত কয়েকশ বছর ধরে এই শব্দ দুটি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। এই চক্রের একটি অংশের নাম এল নিনো অপরটির নাম লা নিনা

কোনো কোনো বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। গড়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর বিশেষ এই ব্যাপারটি ঘটে।

এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়ে।

এল নিনোর প্রভাবে প্রশাসন্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে।

সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। তারপরই আসে লা নিনা। সে সময় এল নিনোর বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জলবায়ু মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা; কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে লা নিনা শেষ হবে, শুরু হবে এল নিনো প্যাটার্ন।

গত প্রায় তিন বছর ধরে খরা চলছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশভুক্ত আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, এল নিনোর প্রভাবে হয়ত চলতি বছরই এই খরার অবসান হবে, কিন্তু একই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে থাকবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।

আর এসব জায়গায় টানা ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কফি, চিনি,পাম তেল ও কোকোয়ার মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর



রাজ-পরী: প্রেম, পরিণয় ও বিচ্ছেদের গল্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ে নববধূ সেজেছিলেন পরীমণি। বর শরিফুল রাজ। এই নবদম্পতিকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করেছিলেন পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। সেদিন এই নির্মাতা নিজেও হয়তো কল্পনা করেননি, তাঁর ছবির বর-বধূ বাস্তবেও গাঁটছড়া বাঁধবেন।


গিয়াসউদ্দিন সেলিম মজা করেই পরীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কী বর পছন্দ হয়েছে?’ জবাবে পরী এক চিলতে মিষ্টি হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মনের কথা। এরপর ক্যামেরার একেকটি ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করতে গিয়ে কখন যে মন-দেওয়া নেওয়া হয়ে গেছে, সেটা রাজ-পরী নিজেরাও বুঝতে পারেননি। ছবির কলাকুশলীরা ঠিকই আন্দাজ করেছিলেন। তাই কানাঘুষাও থেমে ছিল না। কারণ একটাই, প্রেমের খবর গোপন করা কারও জন্য সহজ নয়।


২০২১ সালে শুরু হয়েছিল ‘গুণিন’ ছবির শুটিং। মাঝে কেটে গেছে একটি বছর। ততদিনে রাজ-পরীর প্রেমের খবর অনেকের জানা হয়ে গেছে। অনুরাগীরা তাই অপেক্ষায় ছিলেন পরিণয়ের ঘোষণা শোনার। অবশ্য সেই শুভ সংবাদ শোনার জন্য অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। গুঞ্জনের সমাপ্তি ঘটিয়ে গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে পরিণয় সম্পন্ন হয় দুই তারকার। আগের দিন ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় হলুদসন্ধ্যা। বিয়ের আয়োজনও একেবারে সাদামাটা ছিল না। তাদের বিয়েতে অতিথিও হয়েছিলেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। ছিলেন রাজ-পরীর প্রেমের সূত্রধর নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রেদওয়ান রনিসহ ক্যামেরার পেছনের মানুষগুলো।


এতকিছু যখন হয়ে গেল, তখন হঠাৎ বেরিয়ে এলো আরেক গোপন খবর। ‘গুণিন’-এর শুটিং চলাকালেই বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সেই তারিখটা হলো ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর। বিয়ে একবার হোক বা দু’বার, পাত্র-পাত্রী তো বদলে যাননি– তাহলে আর সমস্যা কোথায়? এ প্রশ্নই ছিল অনেকের। তাই এ নিয়ে আর জলঘোলাও হয়নি। এমনকি বিয়ের বছর পূর্ণ হতে না হতেই পরীর মা হতে খবরেও চমকে যাননি অনুরাগীরা। তাদের কাছে সবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে।


এ পর্যন্ত রাজ-পরীর প্রেমের গল্পটা বহুপঠিত সাদামাটা গল্পের মতোই। কাহিনির বাঁকবদল মূলত বিয়ের কিছুদিন পর। এমনিতেও পরীমণির জীবন কাহিনিতে নাটকীয় ঘটনার কমতি ছিল না কোনোকালেই। কখনও তা হয়ে উঠেছে রোমহর্ষক, নয়তো করুণ রসের। প্রেম কিংবা প্রবঞ্চনার ঘটনাবহুল অধ্যায়ও যোগ হয়েছে সেই কাহিনিতে। তবু পেছনের বিষাদময় সব অধ্যায় ছুড়ে ফেলে নতুন করে পরীর স্বপ্ন বুনন শুরু হয়েছিল পুত্র শামীম মুহাম্মদ রাজ্যের পৃথিবীতে আগমনে। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীকে ঘিরে তাঁর মনে জমতে থাকে সন্দেহের মেঘ। যে কারণে বেশ কয়েকবার রাজ-পরী দু’জনই সরে গেছেন দু’দিকে। সত্যি এটাই, ক’দিন পরপর রাজ-পরী বিচ্ছেদের আভাস, একে অপরকে ছেড়ে থাকার খবরে অনেকটাই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরাও।


এবার আর কোনো আভাস নয়, পরীমণি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছেন। হয়তো তা কার্যকরও হয়ে যাবে শিগগিরই।’ পরীর কথায়, ‘যার সঙ্গে শারীরিক, মানসিক সম্পর্ক নেই, যে একরকম আমাকে ছেড়ে চলেই গেছে, তাঁর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।’ এই যখন খবর, তখন রাজ কথা বললেন ভিন্ন সুরে। বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘পরী ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে নাকি! কই, আমি তো কিছু জানি না। এই প্রথম শুনলাম। মাত্রই ঘুম ভেঙেছে আমার, তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারছি না। তাছাড়া কোনো কিছু ঠিকভাবে জানিও না।’


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন বরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মো.হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)  এর  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের গ্যালারী রুমে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের (চিত্রক-১৬) শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জয় কৃষ্ণ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ উপস্থিত ছিলেন। 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক  প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার যেমন দরকার আছে, ঠিক তেমনিই জীবনে মানুষের মত মানুষ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে । কারণ প্রথাগত বইয়ের সাথে তোমার ভালো সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু বইয়ের বাহিরেও একটা বিশাল জগৎ আছে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর মাধ্যমে সুন্দর করে গুছিয়ে  কথা বলা, সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বিকশিত করা, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপনা করা ইত্যাদি গুন গুলো তোমার মধ্যে সঞ্চারিত হবে। তুমি একজন ভালো ছাত্র হতেই পার, কিন্তু তুমি একজন ভালো এডমিনিস্ট্রেটর নাও হতে পারো এবং তুমি একজন ভালো ছাত্র হতে পারো আবার একজন  ভালো শিক্ষক নাও হতে পারো। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সব সময় সবদিক দিয়েই সেরা। তাই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বাস্তব জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সহায়তা করবে। 

সর্বশেষে তিনি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সফল করার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


আরও খবর



মা-বাবা-বোন মারা গেলেও বেঁচে আছে সেই শিশুটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের সবাই প্রাণ হারালেও বেঁচে গেছে হোসাইন নামে সাত মাসের শিশু।

এদিন রাতে ওই রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান (৩০) ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে ছিল মেয়ে লিমা (৭) ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ করে তারা পড়ে গেলে তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে তুলে দিতে পারলেও লিমাকে তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারও মৃত্যু হয়।

এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় সাত মাসের শিশু হোসাইনের বাবা, মা, বোন ও তাকে বাঁচাতে আসা অনিক নিহত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু হোসাইন। মায়ের কোলে থেকে ছিটকে পড়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় শিশু হোসাইন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় আসেন আমেনা বেগম নামে এক নারী। সেখানে একটি গণমাধ্যমকে শিশু হোসাইনের বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে পড়ে যায় তখন, হোসাইন মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। এ সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে আমার কোলে দেয়। পরে আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই। এরপর তাকে নিয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। রাতে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক জানায়, হোসাইন এখন সুস্থ। পরে আমি জানতে পারি হোসাইনের দাদা ও নানা মিরপুর মডেল থানায় আছে, তখন আমি এখানে আসি।

মিজানের স্বজন ও স্থানীয়দের সূত্র জানায়, মিজানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে। গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মিরপুর এলাকায় ভাসমান দোকানে শরবত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মিজান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঝিলপাড় বস্তিতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




টিজারেই বাজিমাত অক্ষয়ের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : ১৩ নভেম্বর, সালটা ছিল ১৯৮৯। রাণীগঞ্জের কয়লা খনির নিচে আর পাঁচদিনের মতোই কয়লা উত্তোলনে নেমেছিলেন খনি শ্রমিকরা। আচমকাই জলে ভরে গিয়েছিল ৩৫০ ফুট গভীর খনিতে নামার সেই সুরঙ্গটি। আটকে ছিলেন ৬৫ জন শ্রমিক।

সেদিন তাদের সকলেরই প্রাণ যেতে পারত। তবে সকলের ত্রাতা হয়ে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকলকে খনি থেকে উদ্ধার করেন যশবন্ত সিং গিল। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকার্য চালান তিনি। স্টিলের ক্যাপসুলে এক এক করে শ্রমিকদের সেখান থেকে বের করে আনেন তিনি। আর সে কারণেই যশবন্ত সিং গিল ক্যাপসুল গিল নামেও পরিচিত।

এই গল্পকেই পাথেয় করে আসছে অক্ষয় কুমারের সিনেমা। যেখানে যশবন্ত সিং গিলের ভূমিকায় দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। ছবির নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল ক্যাপসুল গিল। পরে নাম বদলে 'মিশন রাণীগঞ্জ : দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান রেসকিউ' রাখা হয়। তবে চলতি ‘ইন্ডিয়া’-'ভারত' নাম বিতর্কের মাঝে ছবির নাম থেকে ইন্ডিয়া শব্দটি বদলে ভারত করেছেন আক্কি ও ছবির নির্মাতারা। ৬ সেপ্টেম্বর এই বদলের কথা জানানোর পর ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির টিজার।

এটি প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় অক্ষয়। জওয়ান ঝড়ের মধ্যেই সমালোচকরা টিজারের প্রশংসা করছেন। নেটিজেনদের আশা, গত কয়েক বছরের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে অক্ষয়ের এ সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই ছবিতে অক্ষয়ের বিপরীতে দেখা যাবে পরিণীতি চোপড়াকে। ছবিতে অক্ষয় ছাড়াও রয়েছেন কুমুদ মিশ্র, পবন মালহোত্রা, রবি কিষাণ, বরুণ বাদোলা, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, রাজেশ শর্মা, শিশির শর্মা, সুধীর পান্ডে, জামিল খান, বচন পাচেরা, বীরেন্দ্র সাক্সেনা সহ আরও অনেকে। ছবি পরিচালনা করেছেন রুস্তম খ্যাত টিনু সুরেশ দেশাই। বাশু ভাগনানি, জ্যাকি ভাগনানি, দীপশিখা দেশমুখ প্রযোজিত এই ছবি আগামী ৬ অক্টোবর মুক্তি পাবে।

প্রসঙ্গত, একসময় যশবন্ত সিং গিল খনি শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সেরা জীবন রক্ষাকারীর পদক পেয়েছিলেন। এছাড়াও পেয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স, প্রাইড অব দ্য নেশন পুরস্কার। ১৯৯৮ সালে বিসিসিএল ধানবাদ রেসকিউ স্টেশন থেকে অবসর নেন যশবন্ত গিল। ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩