Logo
শিরোনাম

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। যার জেরে সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী, মহাখালী অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে যেমন ওই এলাকার সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে তেমনি সেটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও। বিশেষ করে ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা, শ্যাওড়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দরসহ আশপাশের প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের তীব্র চাপ এবং স্থবিরতা দেখা গেছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা থেকে ফ্লাইওভার হয়ে রেডিসন ব্লু হোটেল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেই গাড়ির তীব্র চাপ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেসব গাড়ি অবরোধের কারণে সামনে যেতে পারছে না সেগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে মিরপুরের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ঘোরানোরও চেষ্টা করছেন। আর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ, উপরে এবং শেষপ্রান্ত পর্যন্ত উভয় পাশের সড়কেই গাড়ি থেমে আছে। কিছু সময় পরপর সামনে কিছুটা ফাঁকা হলে কয়েকটি গাড়ি সামনে এগিয়ে যেতে পারছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে বিমানবন্দর ছাড়িয়ে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত যান চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে।

এ অবস্থায় ব্যাপক বিপাকে ও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজা রেখে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। সড়কে দীর্ঘসময় বাসে বসে থেকে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে।

নুরুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সড়কে বসে আছি। মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি জায়গা থেকে নড়ছে না। এখন পেছনে ফিরে যাব সে সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই হেঁটে পেছনে যাচ্ছি। দেখি কোন পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে উঠতে পারি।

নাঈম হাসান নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসের জন্য বের হয়েছিলাম। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও খিলক্ষেত পার হতে পারিনি। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

জানা গেছে, নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফুদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য গাড়ি ডাইভারশন করে দিচ্ছি। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়িকে রামপুরা রোড এবং প্রগতি সরণি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিতে রাজি হয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রত্যাবর্তনের যোগ্য ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে তারা ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১৮-২০ সালের মধ্যে ছয় ধাপে এ সংক্রান্ত মূল তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল।

এখনো ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও নাম অতিরিক্ত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শোয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান।


আরও খবর



এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত আট থেকে নয় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলনে সরব ছিল দেশ। যৌক্তিক-অযৌক্তিক, যার যা দাবি ছিল তা নিয়েই অস্থির করে তোলা হয়েছিল রাজপথ। এখনো এসবের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

তবে এবার সরাসরি দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

সূত্র জানায়, পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা এক মাস পেছানোসহ দুটি দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

তাদের দাবি দুটি হলো

এক. পরীক্ষা ১ মাস পেছানো

দুই. সব পরীক্ষায় ৩-৪ দিন বন্ধ দেয়া

শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে শুরু হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আর অন্য জেলার শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডে আন্দোলন করবেন।

দাবির যৌক্তিকতা হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছে, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

তারা আরও জানিয়েছে, গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমে একটানা পরীক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে তিন-চার দিন বিরতি দিতে হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রতিবাদে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সড়কে নেমেছে হাজারো মানুষ।

‘৫০৫০১’ নামে পরিচিত এই কর্মসূচির অর্থ হচ্ছে- ‘৫০টি বিক্ষোভ, ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ১টি আন্দোলন’। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিপ্লবী যুদ্ধ শুরুর ২৫০তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিলিয়ে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

বিবিসি লিখেছে, হোয়াইট হাউস ও টেসলা ডিলারদের শোরুমের বাইরে এবং অনেক শহরের প্রাণকেন্দ্রে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেন। ভুল করে এল সালভাদরে পাঠানো আব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান অনেকে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এপ্রিলের শুরুতে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হয়।

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে বলে জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গতকালের কর্মসূচিতে ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারি চাকরিতে ছাঁটাই এবং ব্যয় কমাতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডোজ) নেওয়া উদ্যোগ এবং এল সালভাদরের নাগরিক আব্রেগো গার্সিয়াকে নির্বাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনের অনাগ্রহের বিষয়গুলো রয়েছে এর মধ্যে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




সুনামগঞ্জে ৭০ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, নারী-শিশুসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বৌলাই নদীতে একটি যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবিতে তিনজন শিশু ও দুইজন নারীসহ পাঁচজন মারা গেছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মদনাকান্দি ও হেরারকান্দির মধ্যবর্তী বৌলাই নদীতে নৌকাডুবিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের তাপন চক্রবর্তীর স্ত্রী বিউটি চক্রবর্তী(৪০), নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাতনি গ্রামের নিরদ সরকারের স্ত্রী কল্পনা রানী সরকার(৫০), হাতনি গ্রামের নিরেন সনরকারের মেয়ে হাতনি গ্রামের শিশু জয়িতা সরকার(৬), নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সুজিত সরকারের মেয়ে শিশু গঙ্গাঁ রানী সরকার(৮)। অপর এক নিহত শিশুর নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে আহত ছেলে শিশু (সৌরভ সরকার(৬) তাকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার মধ্যনগর উপজেলা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাটিতে ৭০ জন যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা শহরে আসার পথে বৌলাই নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও পাঁচজন যাত্রী নিহত এবং একজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা সবাই নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। খবর পেয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বেহেলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেবাশীষ মেম্বার জানান, রাতের কারণে নৌকাডুবিতে কতজন নিহত হয়েছেন পুরোপুরি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আপাতত পাঁচজন নিহতের তথ্য জানা গেছে।

জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইল ইসলাম নৌকা ডুবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছি। পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে। অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় সফর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পায়। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

এদিকে সম্প্রতি অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট সহায়তার জন্যই আইএমএফ ঋণ লাগবে। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।

তবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে।


আরও খবর