Logo
শিরোনাম

তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে, তাই আপনারা প্রভাবটা সেভাবে টের পাচ্ছেন না। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করা হয়েছে টিসিবিকে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘প্রাইজ গিভিং সিরিমনি অব ইআরএফ-প্রাণ ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গত সরকার প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। পাচারের জন্য নিয়ামক হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) একটি। টিসিবির সারাদেশের অফিস ১৬টি, যেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মাত্র ১৪২ জন। এ ১৪২ জনের জন্য বরাদ্দ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দেয় চার হাজার কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে ক্ষতিটা আমাদের হয়েছে তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটা আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শ্বেতপত্রের তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটি দেড় বছরের জাতীয় আয়কে একত্রিত করলে তার সমান হয়।’

শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছেন। এটা অবশ্যই নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য অসম্ভব চিন্তার বিষয়। এ ধরনের সাগর চুরি করতে গিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাম মীরধার সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্যরা, অ্যাওয়ার্ডের বিচারক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে পাঁচজন, অনলাইনে দুইজন এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরি থেকে তিনজন পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম ও সময়ের আলো'র বিজনেস এডিটর আলমগীর হোসেন। এ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের দুই বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন হারুন ও এফএইচএম হুমায়ূন কবির। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন জাগোনিউজ২৪.কম এর চিফ রিপোর্টার ইব্রাহিম হোসেন অভি এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদ হোসেন পাপন এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে একুশে টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হরিপদ সাহা।


আরও খবর



তিন দিন ভোগাতে পারে গ্যাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে আগামী তিন দিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। একইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপও কম থাকবে। ফলে সারাদেশে গ্যাস সংকট আরও বাড়বে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য টার্মিনাল থেকে দিনে ৫৭ থেকে ৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দিনে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সোম থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিবেদন বলছে, দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৭৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে এসেছে ৮৩ কোটি ঘনফুট। এ হিসাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে গ্যাসের সরবরাহ কমতে পারে ২০ কোটি ঘনফুটের বেশি।

জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট নামক এলাকায় অজ্ঞাত ট্রাক চাপায় দুটি মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মোট ৩ জন বন্ধু যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। গত বুধবার দিনগত রাতে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্পটেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছানোর পরও সে সময় প্রথমে নিহতের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে নিহত ৩ বন্ধু যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ। নিহত ৩জন বন্ধু হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে কাউসার আলী (১৯), দক্ষিণ চকবালু গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে কাউসার হোসেন (২০) ও আশরাফ আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন (১৯)। নিহত ৩জন বন্ধু ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। মান্দা উপজেলার বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জানান, নিহত ৩ জন বন্ধু গত বুধবার সন্ধার পর দুটি মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী থেকে নিজ বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলাতে ফেরার পথে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের কেশরহাট এলাকায় পৌছালে সে সময় অজ্ঞাত একটি ট্রাক তাদেরকে চাপাদিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৩ জন বন্ধুর মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পৌছার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। পরে আইনানুগ পক্রিয়া শেষে নিহত ৩ জন বন্ধু যুবকের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসাহয় এবং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলার দক্ষিণ চকবালু গ্রামে কাউসার হোসেন ও সাহাদৎ হোসেন এর এবং বেলা ১১টায় কাউসার আলীর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পূর্ন করা হয়। একই সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জন বন্ধু (যুবকের) মৃত্যুতে তাদের পরিবার, স্বজন ও গ্রামবাসী সহ এলাকাজুড়ে লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে চলতি ডিসেম্বরের মাসের গত ২৮ দিনে বৈধপথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে ; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশে রেকর্ড প‌রিমাণ প্রবাসী আয় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একক মা‌সে এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে (২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর



পেঁয়াজের রফতানি কমিয়েছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের স্থানীয় বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে মসলা পণ্যটির দাম নিম্নমুখী। এ অবস্থায় রফতানি উৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) কমিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার জানান, এর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ছিল ৪০৫ ডলার। এর নিচে কোনো এলসি (ঋণপত্র) গ্রহণ করা হচ্ছিল না। বর্তমানে এমইপি কমিয়ে ৩০৫ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরো মূল্যে এলসি খোলা যাবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নতুন এমইপি ঠিক করে দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। গতকাল মূল্য কার্যকর হয়েছে।

তবে এমইপি কমলেও রফতানি শুল্ক আগের মতোই আছে। তবে মূল্য কমার ফলে শুল্কের পরিমাণও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, রফতানি মূল্য কমায় পেঁয়াজ কিনতে কেজিপ্রতি রুপি দাম কমে গেছে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে আগের চেয়ে চার লাখ টাকা কমে এলসি খোলা যাবে। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি বাড়লে দেশের বাজারেও পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে। এতে পাইকারি খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমে আসবে।

ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং দাম কমতে থাকায় সম্প্রতি দেশটির কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেই ভারত সরকার রফতানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে দেশী নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে দাম কমেছে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতিতে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমানো বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলেও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে 


আরও খবর



চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি বছর দুইবার করে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই বাহিনীর প্রধান বৈঠক করেন। বিএসএফ এবং বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) এর ডিজিদের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ১৯৯৩ সালে দিল্লি ও ঢাকায় দ্বিবার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে।

বাতিল করা বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক হলেও এবার তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনও বৈঠক হয়নি।

নভেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নতুন করে আর কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছিলো। তবে এ মাসেও তা না হওয়ায় ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তাই চলতি বছর বৈঠকটি আর হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর ডিসেম্বরে এর আয়োজন নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট বিষয়। যে বিষয়গুলোর সমাধান করা সম্ভব নয় সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হওয়াটাকে আমরা বড় করে দেখছি না। কেননা, মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫