Logo
শিরোনাম

টেপা-বাবলার নেতৃত্বে জাপায় বিদ্রোহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে পদত্যাগ করতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। অন্যথায় দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে অপসারণ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর বনানীতে দলটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা।

লিখিত বক্তব্যে সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সেই বোধোদয়ও তাদের হয়নি। আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারণ চান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জি এম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর তাঁরা তাঁদের পদ থেকে অপসারিত বলে বিবেচিত হবেন। এই পর্যায়ে গঠনতান্ত্রিকভাবে পার্টিতে একজন ভারপ্রাপ্ত বা নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ করে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।

দলের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, এখন একান্ত প্রয়োজনে কিছু রদবদল ছাড়া পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য পদে অধিষ্ঠিত নেতৃবৃন্দ স্বপদে বহাল থাকবেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়নদানে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে।

নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে উল্লেখ করে টেপা বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত চার বছরে তাঁর সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। পাটির প্রার্থীদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের একপ্রকার পথে বসিয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা আজকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমরা প্রয়োজনে বর্ধিত সভা করব। আমরা প্রয়োজনে সাংগঠনিকভাবে নিয়মমাফিক কাউন্সিল আহ্বান করব।

দলের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ নেতাদের প্রসঙ্গে বাবলা বলেন, আমরা শুনেছি তারা টাকা-পয়সা নিয়েছেন। এটা সঠিকভাবে তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব। দলই যদি সঠিক না থাকে, তাহলে আসন পেলাম কি পেলাম না, সেটা প্রশ্ন নয়!


আরও খবর



রাজশাহীতে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ কল্যাণসভা। 

এ সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি জনাব মোঃ আলমগীর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান। 

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মোঃ আশরাফুল আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ রফিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) মো: রাজিবুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) প্রণব কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) মোঃ সোহেল রানা, সহকারী পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) রেজাউল কবীর খান, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) সরদার মোঃ মজনু-সহ সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফগণ।

 এ সভায় পুলিশ সদস্যবৃন্দের বক্তব্য সম্মানিত ডিআইজি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের দাবী পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও খবর

বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খালেদার ১১ মামলায় হাজিরা ৩১ অক্টোবর

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা এখন সময়ের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ডিটিসিএ এর সভাকক্ষে আয়োজিত গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে নির্বাহী পরিচালক মন্তব্য করেন।

সভাপতি আরো বলেন, ঢাকা মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে সভাপতি বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়, এখানে সবারই দায় রয়েছে এবং সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে নানাবিধ সমস্যা চ্যালেঞ্জ এর কথা তুলে ধরেন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে মতামত প্রদান করেন। সভার সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার বলেন, সকল অংশীদারদের পরামর্শ অনুযায়ী অতি দ্রুত বাসের রুট পারমিট চালু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নিয়মিত সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা করা, ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ করা, -টিকিট চালু করা এবং ধীরে ধীরে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে অটোমেশনে রূপান্তর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন সম্পর্কিত সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি সহ বাস মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



১৫ বছর পর পাটগ্রাম জগতবেড় ইউনিয়নে বিএন‌পির কার্যালয় উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পাটগ্রাম প্রতিনিধি: সুশান্ত কুমার দাস

পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ভেড়ভেরির হাটে  বি এন পির দলীয় কার্যালয় স্থাপিত হয়।  

এসময় দলীয় কার্যালয়টি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মাহফুজার রহমান মিলন। উদ্বোধন শেষে উদ্বোদিত কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো মাহফুজার রহমান মিলন, জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মন্টু,জগতবেড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো:সাফিউল ইসলাম, জগতবেড় ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল জলিল, জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ড সম্পাদক আহসান হাবিব রুবেল,জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নং ওয়ার্ড সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ দাস, জগতবেড় ইউনিয়নের ছাত্র দলের সহ সম্পাদক সাঈদ হাসান মাসুদ,জগতবেড় ইউনিয়ন ‌ছাত্র দলের সভাপতি মো; সামিউল ইসলাম লেলিন,সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠান টির সভাপতিত্ব করেন জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ খয়বর হোসেন। 

বক্তব্য রাখেন সকল নেতৃবন্দ। এ সময় জগতবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মাহফুজার রহমান মিলন হুসিয়ারি দেন যদি কোনো আওয়ামিলীগ সন্রাশী বাহিনী কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করেন তাহলে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন যে আগামী দিনে জনগণের মন জয় করতে হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাটগ্রাম ও হাতিবান্দা মাটিও মানুষের নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানকে বিজয়ি করে সংসদে স্থান করে নিতে হবে। পরিশেষে এই নেতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আহ্বান জানান।