Logo
শিরোনাম

টেস্টকে বিদায় বলে দিলেন বিরাট কোহলি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান সোমবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ ঘোষণা দেন। গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান এখন থেকে শুধু ওয়ানডে খেলবেন।

টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণায় কোহলি লিখেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার ব্যাগি নীল জার্সি পরেছিলাম আজ থেকে ১৪ বছর আগে। সত্যি বলতে, এই ফরম্যাট আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে, কখনো কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমাকে পরীক্ষা নিয়েছে, গড়েছে আর এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছে— যা সারাজীবন বয়ে বেড়াব।


আরও খবর



জরুরি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনমুখী যেসব জরুরি সংস্কার করা দরকার তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, আবার আপনি সরে গেলেন, আপনি মনে করছেন আপনাকে জনগণ অসীম ক্ষমতাশীল বানিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো পরামর্শ আপনার মানার দরকার নেই। যদি তাই মনে করেন আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ হবে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু উপদেষ্টা আপনার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অনির্বাচিতভাবে যেন এই সরকার থাকতে পারে। আপনার কী উদ্দেশ্য তা অবশ্য আমরা জানি না।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি কোনোদিন নির্বাচনের দাবিতে এই সরকারকে ঘেরাও করতে হয়, তা হবে আমাদের জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্য। আপনি কি (প্রধান উপদেষ্টা) চান এই নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক, এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি সম্মানের সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার এবং বিচার চলমান প্রক্রিয়া, তা চালু থাকবে যারাই সরকারে আসুক না কেন। অনন্তকাল ধরে আপনি বিচার এবং সংস্কারের বাহানা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করবেন না। যাদের পরামর্শে আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন, সেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের আপনার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করুন। আমরা আগেও বলেছিলাম আপনার উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আছে, আমরা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। এখন কিছু বিদেশিদের দোসর আছে। এখন আমরা তাদের অপসারণের কথা বলছি। আর যারা এনজিও মার্কা উপদেষ্টা আছে, যারা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের কথা শোনার প্রয়োজন নেই, তাদেরকে অপসারণ করুন। না হলে সসম্মানে বিদায় নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের আমরা এই জায়গায় দেখতে চাইবো। এখন মানুষ বলছে, আপনার সরকার এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির ২ জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা, তারা আবার এনসিপি সংগঠন করে। যদিও অফিসিয়ালি করেন না, কিন্তু সবাই সবকিছু জানে, ওপেন সিক্রেট। যদি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান তাহলে এনসিপি মার্কা ২ জনকে পদত্যাগ করতে বলুন, যদি পদত্যাগ না করে আপনি বিদায় করুন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেবে, এটা কীভাবে ভাবলেন? তিনি রোহিঙ্গা করিডরের নামে, মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আপনি কথা বলেননি, এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করেননি। অত্যন্ত ‘অ্যারোগ্যান্টলি’ আপনার সেই উপদেষ্টা বলছেন তাতে নাকি কিছু যায় আসে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি করছি- সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয় নিজে পদত্যাগ করবে, না হয় আপনি তাকে বিদায় করবেন। এই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য, আমরা তা হতে দেব না। এই দেশে বন্দর- করিডোর সবকিছু নাকি ইউনূস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে, বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনি কি চুক্তি করে এসেছেন অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর করবেন? আপনার একমাত্র ম্যান্ডেট দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন করা।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।


আরও খবর



বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমবে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়েছে। সংস্থাটির মতে, এ বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।

সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপ্রেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ ও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রায় সব অর্থনীতির জন্যই একটি বড় ‘প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে তাদের মাত্র ৬ মাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপ এবং উদীয়মান ৬টি অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে।

সংস্থাটির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একের পর এক শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্কহার ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দুই অঙ্কে উঠেছে, যা গত প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। চীনসহ অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা জবাব দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ট্রাম্পের অনিয়মিত বাণিজ্যনীতির কারণে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, শুল্ক বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং এখনো অনুমোদন না পাওয়া করছাড় নীতির মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

বিশ্বব্যাংক সরাসরি মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও জানিয়েছে, চলতি ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে এমন এক দুর্বল অবস্থায় নামবে, যা ২০০৮ সালের পর মন্দা ব্যতিরেকে সবচেয়ে দুর্বল। আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ১৯৬০-এর দশকের থেকে কোনো একক দশকে সবচেয়ে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি।


আরও খবর



১২ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দুই সিটির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোরবানির পশুর বর্জ্য দিনের মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের দিন বিকাল থেকে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করব। পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজারের বেশি কর্মী আমরা প্রস্তুত রেখেছি। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয়সংখ্যক গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

শাহজাহান মিয়া বলেন, একই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছে রিকুইজিশন দিয়ে রেখেছি, যদি বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা নেব। যেসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ময়লা কালেকশন করে বাসাবাড়ি থেকে তাদেরও আমরা এ অপসারণের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। কাজেই আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি এক জায়গায় কোরবানি দেয়া যায়; তাহলে আমাদের বর্জ্য কালেকশনে সুবিধা হয়। এছাড়া ইন্ডিভিজুয়ালি কেউ কোরবানি দিলে সেই ময়লাও আমাদের কর্মীরা করতে প্রস্তুত থাকবে। বর্জ্য কালেকশনে আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকবে না।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। এবার পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমিনবাজারে দুটি পরিখা খনন করার কথা জানিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির সময় গবাদিপশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পশুর রক্ত, গোবর, চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়। এসব নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে প্লাস্টিক দূষণ এড়ানো যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে যেমন আমরা নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




যানজটের শহরে ফাঁকা ঢাকার রাস্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। ঢাকার রাস্তায় নেই চিরচেনা ব্যস্ততা, কোলাহল, যানজট। ঈদুল আজহায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাবেন। গতকাল বুধবার থেকেই ঈদের এই লম্বা ছুটিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। আজও অনেকে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুরসহ রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক আজ অনেকটাই ফাঁকা। অন্যান্য কর্মমুখর দিনের তুলনায় আজ জনসাধারণ ও যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে। অন্যদিকে সড়কে যে-সব গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে, সেগুলোতেও রয়েছে যাত্রী সংকট।

এদিকে ফাঁকা রাজধানীর সড়কজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার রিকশার আধিক্য রয়েছে। পাশাপাশি সড়কে সিএনজি ও সামান্য কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।  অন্যদিকে যেসব এলাকায় বাস টার্মিনাল কিংবা গরুর হাট আছে, সেসব এলাকাগুলোতে কিছুটা যানজট ও মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আগারগাঁও এলাকায় কথা হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক কলিম উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন ঢাকায় গাড়ি কম তাই সব ধরনের রাস্তায় রিকশা চালাতে পারছি। কেউ বাধা দিচ্ছে না। ঈদের সময় যাত্রীরা বকশিস হিসেবে ভাড়াও একটু বাড়িয়ে দেয়।  

ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকায় অন্যান্য দিন যেখানে দ্বিগুণ বা তারও বেশি সময় লেগে যেত, এখন সেই পথ পেরোতে সময়ও কম লাগছে। তাই যারা বিভিন্ন কাজে বের হয়েছেন, তারা খুব দ্রুত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন।

একটি পরিবহন কোম্পানির বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অর্ধেক গাড়ি রাজধানীতে চলাচল করেছে। বাকি অর্ধেক গাড়ি রিজার্ভে উত্তরবঙ্গে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।

বাসচালক আব্দুল্লাহ কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদের এমন সময় যাত্রী অনেক কম পাওয়া যায়, তবে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় খুব কম সময়েই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়।

দূরপাল্লার পরিবহন কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে, এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটির ফলে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন ঈদ পালন করতে। তাই গতকাল ও আজ বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। অনেক বাস কোম্পানি যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় নির্ধারিত বাসের পাশাপাশি বাড়তি বাস নামিয়েছেন সড়কে।  

ঈদ কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত ও বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ বলছে, তিন পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেমন- ঈদ পূর্ববর্তী, ঈদের সময় ও ঈদ পরবর্তী।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

নেতারা বলেন, ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।


আরও খবর