Logo
শিরোনাম

তেতুলিয়া নদীতে ভেসে এসেছে পরিচয়হীন মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

তেতুলিয়া নদীতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত একটি মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রাম থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মৃতদেহটির কোন পরিচয় এখনও মেলেনি। 


স্থানীয় ইউপি সদস্য শুকুর মিয়া জানান, ওই ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রাম সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পাড়ে ওইদিন একটি অর্ধগলিত একটি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। 


এ ব্যাপারে উপজেলার চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘ধারণা করছি ১৫-২০ দিন আগের লাশ এটি। পচে-গলে গেছে। কিছুদিন আগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ এলাকার জেলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজদের কেউ হবে হয়তো। নিখোঁজ জেলে পরিবারের লোকদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত করতে পারলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’   


আরও খবর



আমড়াখালী চেকপোস্টে থেকে সতের হাজার টাকার জাল নোট সহ আটক-২

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার - জেলা প্রতিনিধি যশোর::


যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আমড়াখালি চেকপোস্ট থেকে  ১৭,০০০ (সতের হাজার) টাকার জালনোট সহ আলমগীর ও সাব্বির নামে দুইজন কে আটক করেছে।শনিবার সন্ধ্যায় আমড়াখালি চেকপোস্টের মেইন রোডের উপর থেকে মটরসাইকেল সহ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃত  আলমগীর বেনাপোল পাটবাড়ী গ্রামের আবু বক্কার এর ছেলে ও সাব্বির একই গ্রামের নাসির উদ্দিন এর ছেলে।

যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিসি, পিএসসি জানান, দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ, মাদক, ডলার, রুপি, হুন্ডি ও চোরাচালান মালামাল আটকের নিমিত্তে আমড়াখালী চেকপোস্টে বিজিবি’র বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ ১৮:৩০ ঘটিকায় যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর আমড়াখালী চেকপোস্টের টহল দল কর্তৃক চেকপোস্টের সামনে দিয়ে বেনাপোল হতে শার্শাগামী ০১ টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ব্যাগের মধ্য হতে  ১৭০০০/ (সতের হাজার) টাকার  জালনোটসহ ০২ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশী নাগরিক এবং তারা জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করে। 
এছাড়াও জালনোট ব্যবসায় ব্যবহৃত ০২ টি মোবাইল ও মোটরসাইকেল আটক করা হয়। যার সর্বমোট সিজার মূল্য ১,৯৮,৫০০/- (এক লক্ষ আটানব্বই হাজার পাঁচশত) টাকা। আটককৃত জালনোটসহ আসামীদেরকে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় রাজাপুরের ইউশা আরাফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর (ঝালকাঠি) :

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নের কেওতা ঘিগড়ার বাসিন্দা, বরিশাল জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী আবুল বাশার এর পুত্র এবং জাতিসংঘের ফেলো ইউশা আরাফ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা 'এলসেভিয়ার'-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত গবেষণা জরিপে এই তালিকা প্রকাশিত হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই তালিকায়, প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কোনো শিক্ষার্থী হিসেবে ইউশা আরাফের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। একইসঙ্গে, তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকেও এই সম্মান অর্জনকারী প্রথম শিক্ষার্থী। তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে পিএইচডি শুরু করবেন আগামী নভেম্বর মাসে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সে ইউশা আরাফের নামের পাশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ২,২৭১টি সাইটেশন, যা তার বয়সের জন্য একটি বিরল এবং অসাধারণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। এই সাফল্যের কারণে, মাইক্রোবায়োলজি শাখার ২,০৪,৭৫৯ জন গবেষকের মধ্যে তিনি ৩,৪৮৪তম অবস্থানে রয়েছেন। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের কাতারে এত অল্প বয়সে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করা নিঃসন্দেহে একটি অনন্য অর্জন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ইউশা আরাফ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক দপ্তরে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যেখানে তার বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং অবদান আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

তার এই কৃতিত্বে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সবাই তার অসাধারণ সাফল্যকে অভিনন্দিত করছেন। বাংলাদেশের মোট ২০৫ জন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন, যেখানে ইউশা আরাফের স্থান তার পরিবারের পাশাপাশি গোটা দেশের জন্যও গৌরবের বিষয়।


আরও খবর



শেখ হাসিনার পতন সুচিত হয়েছিল বিএনপির একযুগের ত্যাগে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে দলের সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত  ৮৭৫ জন শহীদ হয়েছেন এদেরমধ্যে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

শুরু থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কাজ করেছে।সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগে দশ দফা যেটা পরে ৩১ দফায় পরিনত হয়েছিল। সেটারই চূড়ান্ত রূপ ছিলো এক দফার আন্দোলন।

শেখ হাসিনা হঠানো আন্দোলনে বিএনপির অবদান খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।। খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামী লীগ তাদের পতনের পেছনে বিএনপি দায়ী করে নানান বক্তব্য দিয়েছিল। তাদের পতন সুচিত হয়েছিল বিএনপির একযুগের ত্যাগে।  স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতারা কারাবরণ করেছে অনেকের নামে শতাধিক মামলা। হাবিবুন নবী সোহেলের নামে রেকর্ড ৪৫১ টি মামলা দেয়া হয়েছে। 

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে গেলো ১৬ বছর নেতাকর্মীদের অকথ্য নির্বাচন করেছে। ব্যবসায়ী যারা বিএনপির রাজনীতি করেন তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় যারা বিএনপিকে সমর্থন করেছেন তাদের ওপরও নির্মম নির্যাতন করেছে। এগুলোই কি যথেষ্ট নয় যে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে বিএনপির ত্যাগ সবচেয়ে বেশি ছিলো?

পত্রিকায় বিএনপির আন্দোলনকে খাটো করে দেখিনোর চেষ্টা হচ্ছে। এখনো দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করা যায়নি কারণ তারা অনেক ভেতরে ঢুকে বসে আছে। দায়িত্বশীল জায়গায় থেকেও অনেকে বিএনপির প্রতি অসম্মান করে বক্তব্য দিয়েছে। পত্রিকায় সংখলঘু নিয়ে আবারও প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে এগুলো চক্রান্তের অংশ মনে করে বিএনপি।  

নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কারের কথা বিএনপি স্পষ্ট করে বলেছে সব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার কাজ এই সরকার চইলেও করতে পারবে না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া। যারা ফায়দা নিতে চায় তারা বিভিন্নভাবে বিএনপিকে খাটো করার জন্য বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সাথে তুলনা করে কার্যত অথচ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী আর বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দল।


আরও খবর



আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দেশব্যাপী সিপিবির সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২ দিনব্যাপী সিপিবির জাতীয় পরিষদের সভা শেষ হয়েছে

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ২ দিনের জাতীয় পরিষদের সভা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যায় রাজধানীর মুক্তিভবন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেষ হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটি সভা ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা চালু, সিন্ডিকেট ভাঙা, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনজীবনের শান্তি বিধান, দুর্নীতি লুটপাট দখলদারিত্ব বন্ধ, পাচারের টাকা, খেলাপি ঋণ উদ্ধার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন সহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার এর আলোচনা শুরু এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দেশব্যাপী সমাবেশ এর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসলাম খান। সভায় বিভিন্ন জেলা ও শ্রেণীপেশার ৮২ জন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংগঠক, কন্ট্রোল কমিশন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, নীতিনিষ্ঠ বামপন্থী-প্রগতিশীল শক্তিই পারে গণ অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম অগ্রসর করতে। এজন্য সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মাঝে যেয়ে সংগঠনের বিস্তার ঘটানো এখনকার প্রধান কর্তব্য। সভায় পতিত স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা সম্পর্কে সজাগ থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আন্দোলন গড়ে তোলার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভা থেকে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার, গণ-অভ্যুত্থানে নিহত-আহতদের তালিকা তৈরি, আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহত-আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা, অবিলম্বে সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করা, পাচারের টাকা ফেরত আনা, খেলাপি ঋণ আদায়, দুর্নীতি-লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংকটের স্থায়ী সমাধান, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মন্দির-মাজার এবং নারীর ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারকে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ, সর্বত্র বিতর্কিতদের অপসারণ করে দক্ষ-যোগ্যদের নিয়োগ প্রদান, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালুসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারসহ পতিত স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার দাবিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জানানো হয়।

সভায় ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে, মানুষের মাঝে গিয়ে প্রতিটি বিষয় সিপিবির বিকল্প প্রস্তাবনা তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ পার্বত্য অঞ্চলে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় নৃশংসহ হত্যাকাণ্ড এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনকভাবে উন্নত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় যথাযথভাবে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় দেশের উপর সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য শক্তির হস্তক্ষেপের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকট ও সম্ভাবনার মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সর্বত্র দৃঢ় ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সারাদেশের পার্টির সদস্য সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান হয়।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি ১৫০০ কোটি টাকা ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে সদর উপজেলায়। জেলায় নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার এক মাস পার হলেও ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। 

স্থানীয়রা জানান, গত ২০ বছরে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখেনি লক্ষ্মীপুরের মানুষ। এক মাস পার হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি সরেনি। রাস্তাঘাট বাড়িঘর হাঁটু পর্যন্ত পানি তলিয়ে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানায়, গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও বন্যা। এতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হন ৫ উপজেলাবাসী। ভেসে যায় ৫০ হাজার পুকুর ও ঘেরের ২৫০ কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে যায় আমনের বীজতলা, আবাদসহ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় আরও জানায়, পানির তোড়ে ২০০ ব্রিজ-কালভার্ট এবং কাঁচা–পাকা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়কের ৩৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অপর দিকে ৯ হাজার ৮৭০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন, ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদিপশুসহ বিভিন্নভাবে জেলায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জেলায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পুঁজিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় তিন লাখ কৃষক। 

জেলার সদর উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের খোকন হোসেন ও মোহাব্বত হোসেন জানান, এক মাস পার হলেও এখনো পানিবন্দী। অর্ধাহারে-অনাহারে খেয়ে–না খেয়ে দিন কাটছে। এরই মধ্যে পানিতে পচে গেছে ঘরের আসবাব। ঘরের ভিটেমাটি ধসে গেছে। কোথাও মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। বন্যার পানিতে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। কবে নাগাদ পানি কমবে সে আশায় দিন কাটছে তাদের। 

সদর উপজেলার বালাইশপুর এলাকার আদর্শ খামারের মালিক ফারুকুর রহমান বলেন, ‘চারটি পুকুর ও ঘেরের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। গবাদিপশুর গোখাদ্য নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার। বন্যায় ক্ষতি ও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এই এলাকায় আমার মতো কয়েক হাজার খামারি নিঃস্ব হয়েছেন।’ 

৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষতির শিকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে কৃষকই ৩ লাখ। এ ছাড়া জেলার ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে মানুষের। কাজ করে যাচ্ছি।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমন আবাদসহ মোট শস্যখেত রয়েছে ৯০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। যার ক্ষয়ক্ষতি ৬৩৩ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’ 

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পাশাপাশি খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দুপারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। সব মিলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬৯ টন চাল ও ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।


আরও খবর