Logo
শিরোনাম

থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। জেনেটিক আকারে শিশুরা তাদের বাবা-মার কাছ থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ পেয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করায় শিশুদের শরীরে রক্তের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লোবিন প্রোটিন খুব কম উৎপাদিত হয়। যার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীর অক্সিজেন না পাওয়ায় রোগীকে বারবার রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেট ফুলে যাওয়া (হালকা স্প্লেনোমেগালি), শিশুর দুর্বল শারীরিক বিকাশ, অ্যানোরেক্সিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের হাড়ের পরিবর্তন।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্লোবিনের ত্রুটি থাকে, যা একটি মিউটেশনের কারণে ঘটে ও বি-চেইন উৎপাদনকে হ্রাস করে গুরুতর রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। এটি একটি জেনেটিক রোগ, যা প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে চলে যায়।

যদি বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকে, তবে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজর হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, থ্যালাসেমিয়া মাইনর ৫০ শতাংশ এবং স্বাভাবিক ২৫ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া মেজর শিশুদের চিকিৎসা

চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তসঞ্চালন (পিআরবিসি), আয়রন ক্যালেটিং ওষুধের ব্যবহারসহ কিছু শিশুদের নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় এবং গুরুতর স্প্লেনোমেগালিতে হাইড্রোক্সিউরিয়া ব্যবহৃত হয়। তবে থ্যালাসেমিয়া মাইনরের কোনো চিকিত্‍সার প্রয়োজন হয় না।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের যত্ন

লিউকোসাইট হ্রাসকারী ফিল্টার এবং বিকিরণকারী রক্তের পণ্য (পিআরবিসি) সর্বদা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হয়। অল্প বয়সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজিসহ প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া আয়রন ক্যালেশন ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার, হালকা ব্যায়াম, ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

লিভার, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গে আয়রন ওভারলোড পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বছর গ্রোথ হরমোন এবং টি২ এমআরআই পরীক্ষাসহ সিরাম ফেরিটিন, থাইরয়েড প্রোফাইল, ভিটামিন-ডি এবং ভাইরাল মার্কার, যেমন- এইচআইভি, এইচবিএসএজি, এইচসিভি প্রতি তিন মাস পর পর পরীক্ষা করতে হবে। অবস্থা গুরুতর না হলে পুষ্টিকর খাবার এবং ব্যায়াম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার বয়স ১২০ দিন হয়, কিন্তু এ রোগের কারণে সময়টি ২০ দিনে কমে যায়, যা হিমোগ্লোবিনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যার কারণে রোগী কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত হয়।

 


আরও খবর



অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী বাস সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ২ জন আহত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

রোগী বহণকারী অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী বাস সংঘর্ষে দূর্ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২ জন। মর্মান্তিক এসড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ

সোমবার সন্ধার পূর্বে ঢাকা টু নওগাঁ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গায় এলাকার জোড়া ব্রীজ নামক স্থানে।

নিহত ৩ জন হলেন, পঞ্চগড় এর দেবীগঞ্জ উপজেলার লক্ষীরহাট এলাকার মানিক উদ্দিন এর ছেলে মশিউর রহমান (৩৯), তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান এর স্ত্রী বানু আক্তার (২২) ও একই এলাকার আব্দুল বাতেন (৪১) বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম জানান, বগুড়া থেকে ঢাকাগামী রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে পৌছালে বিপরিদমুখি একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। 

এসংঘর্ষে  গূর্ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দূর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। সংবাদ সংগ্রহকালে আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে,গরীব কৃষকদের ধান কেটে দিল বড়ভিটা কৃষক লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

"কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ,শেখ হাসিনার নির্দেশ"এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার গরীব‌ কৃষকদের ধান কেটে ঘড়ে তুলে দিলেন বড়ভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগ।


০২(মে)মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক,আয়নাল হকের নেতৃত্বে, ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ড শল্লিধরা গ্রামের, কামাখ্যা চন্দ্র রায়,সাদ্দাম হোসেন ও সফিউদ্দিন নামের তিনজন গরীব কৃষকের দেড় বিঘা জমির ধান কেটে ঘড়ে তুলে দিলেন ইউনিয়ন কৃষক লীগ।


বড়ভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি এনামুল হক বলেন,জন নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা ববভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগ ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের গরীব কৃষকদের ধান কেটে ঘড়ে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 


বড়ভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতৃত্বে,গরীব কৃষকদের ধান কেটে ঘড়ে তুলে দেওয়ার এ মহুতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একাত্বতা ঘোষণা করে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, জননেতা আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন। এসময় তিনি বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বান্ধব সরকার।তিনি গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সবসময় আছেন এবং থাকবেন তার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জন নেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী  বানিয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো এই হোক আমাদের সবার প্রতিজ্ঞা।গরীব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বড়ভিটা ইউনিয়ন কৃষক লীগকে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষথেকে অভিনন্দন জানিয়ে সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। 


এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক,হরি প্রসাদ কাঞ্চন, সদস্য সচিব, লুৎফর রহমান লাভলু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার মোহন্ত সহ-আরো অনেকে। 



আরও খবর



নারায়ণগঞ্জের কিশোরীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নিখোঁজের ২ মাস পর জানা গেল নারায়ণগঞ্জের এক কিশোরী ভারতের সেভ হোমে। প্রেমের টানে যুবকের সাথে পালানোর পর কথিত শাশুড়ী তাকে বিক্রি করতে নিয়ে যায় ভারতের এক পতিতালয়ে। আর কিশোরী তা বুঝতে পেরে আশ্রয় নেয় পুলিশের কাছে। ভারতের পুলিশ তাকে উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে পাচারকারী চক্রের সদস্য ফরজানাকে। কিশোরীকে দেশে ফরিয়ে আনতে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছে কিশোরীটির পরিবার।

নারায়ণগঞ্জ নগরের গলাচিপা এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক দম্পতির সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোরী প্রতিবেশী যুবক নাঈমের সঙ্গে প্রেমের টানে ১৪ রমজান ঘর ছাড়ে।  বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ থাকে ওই কিশোরী। পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া নাঈমকে বিয়ে করে তার সঙ্গে আছে। পরবর্তীতে নাঈমের পরিবার নগর থেকে বাসা নিয়ে চলে যায় বন্দরে। কিশোরীর পরিবার রাগে ক্ষোভে কিশোরীর খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দেয়।

কিশোরীর মা সুলতানা বেগম জানান, ঘটনার প্রায় দুই মাসপর ৫ মে ভারতীয় দুতাবাসের মাধ্যমে খবর মিলে ওই কিশোরী ভারতের একটি সেভ হোমে রয়েছে। কিশোরীটি তার বাবা মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুঁতি জানায়। পরে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরের দারস্থ হন।

ঘটনা শুনে অনেকটাই শঙ্কিত স্থানীয়রা। ভারত থেকে ওই কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি গোটা চক্রটিকে চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, খোঁজে খবর নিয়ে জানা গেছে নাঈমের মা ফারজানা ঘরে মুন্সি ডেকে কথিত বিয়ে পড়ান। এর কিছুদিন পর ওই কিশোরীকে চিকিৎসার কথা বলে বাংলাদেশ থেকে জয়পুর সীমান্ত পেড়িয়ে নিয়ে যায় ভারতে। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের একটি পতিতালয়ে ওই কিশোরীকে বিক্রির চেষ্টা করেন। ঘটনা বুঝতে পেরে ওই কিশোরী সেখানকার পুলিশের সাহায্য চায়। পরে সেখানকার পুলিশ তাকে সেভ হোমে রাখে। কিশোরীর দেয়া তথ্যানুযায়ী তার কথিত শাশুড়ী ফারজানাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে সেখানকার দূতাবাস কিশোরীর সঙ্গে তার পরিবারকে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে বিস্তারিত জানায়।

সিটি কাউন্সিলর খোরশেদ জানান,ঘটনা জানার পর কিশোরীর পরিবারকে দিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করানো হয়। কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভারতে অবস্থানরত কিশোরীর এমন ঘটনা শুনে তাকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।   

ভারতে থাকা ওই কিশোরীকে ফিরে আনতে পুলিশও সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল। পাশাপাশি মানব পাচার রোধে স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহবানও জানান তিনি।


আরও খবর



সৌদি যাচ্ছেন বাইডেনের উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি সৌদি নেতাদের পাশাপাশি ভারতীয় ও আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সপ্তাহের শেষে সৌদি আরব সফর করবেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসিতে দেওয়া বক্তৃতায় জ্যাক সুলিভান বলেন, এ সপ্তাহের শেষদিকে আমি সৌদি আরবের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করব।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া সুলিভানের সফরটি এসেছে যখন ২০২২ সালের জুলাইয়ে বাইডেনের সৌদি আরব সফরের পর থেকে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যদিও দুটি দেশ সম্প্রতি সুদানের সংকটসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।

সুলিভান বলেন, আমার প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা বৈঠকের জন্য সৌদি আরবে আসবেন, যাতে আমরা নয়াদিল্লি এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারি, যা ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গত বছর স্বাক্ষরিত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জোরালো হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের কিছু অত্যন্ত বাস্তব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। আমরা মনে করি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এ অঞ্চলে যা দেখেছি তার থেকে এটি ভিন্ন হবে।

মার্কিন কৌশলের বক্তৃতায় সুলিভান বলেছেন, সপ্তাহান্তে আলোচনার সময় ইয়েমেনের সংঘাত একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হবে। অন্তত যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি রোডম্যাপে কাজ করার জন্য তারা সৌদি উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে বাইডেনের শীর্ষ সহযোগী সুলিভান মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন এবং তিনি এ অঞ্চলের প্রতি ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, এ কৌশল পাঁচটি মৌলিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে, এগুলো হচ্ছে অংশীদারিত্ব, প্রতিরোধ, কূটনীতি এবং সংঘাত নিরসন, একীকরণ এবং মূল্যবোধ গড়ে তোলা।


আরও খবর



পর্যবেক্ষণে মিয়ানমার গেল রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেছে। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ২০ জন রোহিঙ্গা এবং পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফের জেটিতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওয়ানা দেন।

প্রতিনিধি দলটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইনের সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু অনুকূলে রয়েছে তা দেখবে। বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে যাচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন টেকনাফের স্থল বন্দর রেস্টহাউসে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন।

২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধি দলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেল।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।

সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত প্রায় ছয় বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বারবার আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সামরিক শাসন ফিরে আসায় প্রত্যাবাসনের আলোচনা অনেকটা এতদিন থমকে ছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সফরের পর আবার নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এবার রোহিঙ্গ প্রতিনিধি দলের সফরে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।

 


আরও খবর