Logo
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে  ক্রীড়া ডেস্ক:


আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি আসর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাওয়া বিশ্বকাপের নবম আসর ঘিরে উন্মাদনায় মাতোয়ারা গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। 


তবে বিশ্বকাপের এবারের আসরেই দেখা যাবে ২০ দলের অংশগ্রহণ। যেটি যেকোনো আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণ।


রেকর্ডসংখক ২০ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ গ্রুপে রয়েছে ৫টি করে দল। নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে উত্তর আমেরিকার দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।



আরও খবর



ভালো খেলেও জয়বঞ্চিত মেসির ইন্টার মিয়ামি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির মুখোমুখির হয়। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে দুই দলকেই জয়বঞ্চিত করেছেন উভয় গোলরক্ষক। মেসির ফ্রি-কিক কিংবা বাঁ পায়ের বাঁকানো শটও তাই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। ফলে আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মিয়ামিকে।

এর আগে তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। তখন অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি, আর বিশ্বকাপের পরিসরও ছিল ছোট। সাত দল থেকে অভূতপূর্বভাবে এই প্রথমবার ফিফা ক্লাবের এই মেগা টুর্নামেন্ট ৩২ দলে রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া ইন্টার মিয়ামির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। ফলে এবার মেসির লক্ষ্যটা ছিল সর্বোচ্চ পারফর্ম করা। দল কতদূর যেতে চায় সেই আলাপ তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরুর কথা ছিল মিয়ামি-আহলির এই ম্যাচ। পরে আসরের উদ্বোধনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা বিলম্ব হয়। শুরু থেকেই দুই দল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আল আহলির জন্য। কিন্তু তাদের ফুটবলার মাহমুদ ট্রেজেগুয়েটের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন মিয়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। ম্যাচজুড়ে এমন সব সেভের জন্য তিনি ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অবশ্য আহলির গোলরক্ষক মোহামেদ আল এলশেনাওয়ি-ও বারবার হতাশ করেন মেসিদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আল-আহলির আবু আলি প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু বক্সে ঢুকে তিনি বিলম্বে শট নেন মিয়ামি গোলরক্ষকের হাতে। পরে জানা যায় অফসাইড ছিল সেটি। তিনি মিনিটের মাথায় আবারও মিয়ামির রক্ষণে হানা। তবে ইমাম আশুরের শট ঠেকাতে এগিয়ে এসে এবারও ঢাল বনে যান গোলরক্ষক উস্তারি। তাকে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত আহলি। ১৫ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মিয়ামি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য শটটি মেসি বেশ বাইরে দিয়ে মারেন। এভাবে দুই দলই আক্রমণ শাণালেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল অনেকটাই আহলির কাছে।

৩২ মিনিটে এক ফাঁকা হেডার থেকেও অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মিয়ামিকে বাঁচিয়ে দেন। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই উভয় দল বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। তবে নিজেদের বক্সে আহলি ফুটবলারকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেয় মিয়ামি। স্পট কিকে ট্রেজেগুয়েট মিয়ামি গোলরক্ষককে বিচলিত করতে পারেননি। বরং বল মেরেছেন তার হাতে। সেই স্বস্তি নিয়ে ফেরার পর মিয়ামির ছন্দ ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। মেসিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তারা বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। ৬৪ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য জালের পাশে গিয়ে লাগে।

শেষ পর্যন্ত উভয় দল একের পর এক আক্রমণ শাণায়। গোলের সুযোগ থাকলেও প্রতিবারই দুই গোলরক্ষক দারুণ মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন। শেষদিকে মিয়ামির কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফাফা ফিকোল্ট দারুণ হেডে প্রায় আহলির জালে ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন আহলি গোলরক্ষক। এরপর তিনি আরও দুটি কর্নার থেকে আসা বল আটকান। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দল ডেডলক ভাঙতে পারেনি। ফলে স্কোরলাইন ০-০।


আরও খবর



মেঘনা নদীর বুকে নৌযানের বিচরণ ষোলআনী সৈকত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষা ষোলআনী প্রজেক্ট বর্তমানে ষোলআনী সৈকত (Sholoani Saikat) নামে পরিচিত। এই স্থানটি আগে দৌলতপুর নামে পরিচিত ছিল। নদী ভাঙ্গন রোধ করতে মেঘনা নদীর পাড়ে সিসি ব্লক দিয়ে বাধ নির্মাণের ফলে এই স্থানটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায় এবং তা প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ার কারণে বাইকারদের কাছে এই স্থান অতি অল্প সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

 

প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ষোলআনী সৈকতের মনোরম পরিবেশে মেঘনা নদীর বুকে নৌযানের বিচরণ, অসীম নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানো, অপূর্ব সূর্যাস্তের সৌন্দর্য কিংবা ভরা জোছনার মোহনীয় রূপ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে নৌকা ভাড়া করে মেঘনার বুকে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ষোলআনী সৈকতে যেতে চাইলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে গজারিয়া পরিবহন, দাউদকান্দি অথবা গৌরিপুরগামী বিআরটিসি বাসে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড আসতে হবে। ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে চড়ে প্রথমে রসুলপুর নেমে অন্য এক সিএনজিতে ষোলআনী স্ট্যান্ড পৌঁছে পায়ে হাটা দূরত্বে অবস্থিত ষোলআনী সৈকতে যাওয়া যায়। এছাড়া চাইলে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিয়েও সরাসরি ষোলআনী সৈকত আসা যায়।

গুলিস্তান থেকে ভবেরচর পর্যন্ত গজারিয়া পরিবহনের ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা এবং বিআরটিসি এসি বাসের ভাড়া ১১০ টাকা। ভবেরচর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। রসুলপুর থেকে ষোলআনী পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। আর ভবেরচর হতে ষোলআনী সৈকত পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া ২০০ টাকা।

কোথায় খাবেন

স্থানীয় হোটেলে বিভিন্ন দেশীয় মাছ ও নানা পদের ভর্তা দিয়ে খেতে পারবেন।


আরও খবর



ঈদের দিনেও রায়েরবাগে গরুর হাটের বর্জ্যে নাকাল জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাকিব হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :

ঈদুল আজহার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই রাজধানীর বেশিরভাগ কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা শেষ হলেও, হাট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত দনিয়া অস্থায়ী গরুর হাট এখন যেন এক উন্মুক্ত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। গরুর গোবর, মূত্র, রক্ত ও প্লাস্টিক বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘর থেকে বের হলেই মানুষকে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। বেড়েছে মশার প্রকোপ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, "ঈদের দিনে পরিবার নিয়ে মসজিদে যেতে বের হয়েছি, কিন্তু হাটের পাশে দিয়ে হাঁটতেই অসহনীয় দুর্গন্ধে ফিরে আসতে হয়েছে।"

একই অভিযোগ করেন রায়েরবাগ এলাকার রিকশাচালক ফারুক হোসেন, "ভাই, সকাল থেকে যাত্রী নাই, সবাই হাটের পাশে আসতেই চায় না। গন্ধে রাস্তায় দাঁড়ানো যায় না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং ইজারাদার উভয়ের চরম দায়িত্বহীনতার কারণেই এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একাধিক এলাকায় ঈদের আগেই পরিচ্ছন্নতা টিম কাজ শুরু করলেও দনিয়া, রায়েরবাগের মতো ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকায় এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না আসলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, “কিছু এলাকায় ইজারাদারদের অবহেলার কারণে ময়লা অপসারণে বিলম্ব হচ্ছে।”

পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, গরুর বর্জ্য ও মূত্র থেকে ছড়াতে পারে ব্যাকটেরিয়া, সংক্রামক রোগ ও ডেঙ্গুর মত রোগবাহীর উপদ্রব।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বিলম্ব হলে ঈদের খুশি শেষ পর্যন্ত পরিণত হতে পারে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

এলাকাবাসীর দাবি করেছেন দ্রুততম সময়ে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ, জীবাণুনাশক ছিটানো ওসড়ক ধুয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোরবানির পশুর হাট এক মৌসুমি বাস্তবতা। তবে হাট শেষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা না গেলে তা ঈদের আনন্দের বদলে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দনিয়ার হাটের ঘটনা তার বাস্তব উদাহরণ। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারও আহ্বান জানিয়ে বলবো— পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। লোভ-লাভের প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে এই আশা করছি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এনডিএম-এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের পরিকল্পনা-কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সকল কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই— সরকার কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে অল্প সংস্কার-বেশি সংস্কার এরকম একটি অভিনব শর্তের বেড়াজালে বলা যায় আটকে দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। আমরা প্রতিদিন দেখছি— কোনও না কোনও দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কিন্তু এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ভাষা-আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি, অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে এই সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে রাজপথে ছিলাম, আমাদের অবস্থান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করিনি। তবে আমরা চুপ থাকলেও জনমনে এই সরকারের প্রতি প্রশ্ন উঠছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে এবং জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতার ভিত্তি রচিত হয়েছে। অথচ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছেন, কতজন আহত হয়েছেন, দশ মাসেও কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের তালিকা ও সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি। অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কতজন মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, এই মুহূর্তে যদি গুগলে সার্চ করা যায় তাহলে হতাহত মানুষের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। অথচ এখন যদি কেউ জুলাই-আগস্টের শহীদদের হতাহতদের তথ্য জানতে চান তাহলে কি নির্দিষ্ট সেই তথ্য পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে কিন্তু বিরাট সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দশ মাসেও যদি জুলাইআগস্টের শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত না করতে পারে, তাহলে সেটা সরকারের সক্ষমতা বহন করে কিনা এই প্রশ্নটি রেখে যাচ্ছি। এখানে আরেকটি প্রশ্ন এসে যায়— সরকার কি হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীন নাকি ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? এটি দেশের বহু মানুষের বড় জিজ্ঞাসা।

বর্তমান সরকার জবাবদিহিমূলক নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের সরকার। বর্তমান সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার নয়। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রাধিকার হতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরে সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, এনবিআর সংস্কার নিয়ে তেমন কোনও দ্বিমত নেই। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। নিয়মিত রাজস্ব আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে চলতি বছরের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, এনডিএম কোনও ড্রয়িং রুমে জন্মগ্রহণ করেনি, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনসেবা করাই আমাদের লক্ষ্য। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনেও রাজপথে থেকে ভূমিকা রেখেছে নেতা-কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য পারভেজ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খানসহ বিদেশি অতিথি ও দলটির নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (৪ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনার বিষয়টি রোববার (৮ জুন) প্রকাশ করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫