Logo
শিরোনাম

টিকারবিলায় পূজা উদযাপনে সহায়তার আশ্বাস

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আসন্ন দূর্ঘাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মাগুরা টিকারবিলা বাজারে আলোচনা করেন আমলসার ইউনিয়নের কৃষক দলের সদস্য সচিব নিউটন ও ষুবদল নেতা সজীব, সালাম, রাজাসহ অন্যান অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় পূজা উদযাপন করার বিষয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক সহায়তা করার জন্য সবাই একমত প্রকাশ করেন। 



আরও খবর



গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো.মোস্তফাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় আহত মো. মোস্তফা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পত্রে দেখা যায় হাসান মোল্লার নেতৃত্বে বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকার মজিবুর রহমান, আলাউদ্দিন মিয়া, জাহিদ সহ অন্তত ৫-৭ জনে মিলে এ হামলা চালান।

ঘটনাটি শনিবার ৫ এপ্রিল বিকেল ৬ টায় দিকে টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকায় ঘটে। আহত ব্যক্তিকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আহত মোস্তফা ও মজিবুর রহমানের মাঝে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে  বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী মজিবুর রহমান মোস্তফা কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন । মোস্তফা এর   প্রতিবাদ করলে মুজিবুর ও তার দলবল মিলে মো মোস্তফাকে  পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। 

তাছাড়া এদের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় ভারাটিয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা ছিনতাই চাঁদা দাবি করার ও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায়বাসী প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন এই ধরনের  সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে মুক্ত চায়।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন 

তবে বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানান, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায়  লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে গজারিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার করারও দাবি জানান সাংবাদিকরা।


আরও খবর



‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল কমিশনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সরকার গঠিত কমিশন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দেশটির ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সেই কারণে ভিয়েতনামকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে ভারতের মতো ভিয়েতনামের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। তবে এই সংস্থা সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র-এর ওপর মার্কিন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তা জোর দিয়েই বলা চলে।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের নজরদারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করে। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে, ভারত বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে দেশটি।

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তবে নয়া দিল্লি এসব প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগের বিপরীতে তার ভাষ্য, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন ও ভর্তুকি থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও র—এর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

মানবাধিকারকর্মীরা বরাবরই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন। ভারতে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ছড়াছড়ি, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কথা তুলে ধরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সাধারণত বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে সংস্থাটি।


আরও খবর



রাজধানীতে ফিরে এলো ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

সুলতানি আমলে পুরান ঢাকায় একসময় ঈদ মিছিল হতো। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করে এবার ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে, পাশাপাশি আয়োজন করা হবে ঈদ মেলার।

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উদ্‌যাপনের প্রচলন হয় তার বেশ আগে থেকেই। তবে ঘটা করে ঈদ পালনের রীতি শুরু হয় স্বাধীন সুলতানি আমলে।

ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আনন্দ ভাগাভাগি হতো। তবে বঙ্গদেশে ঈদ উদযাপনকে প্রাণবন্ত করে তোলে মোগলরা। মোগলদের সময় ঈদ উদযাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ঈদ মিছিল। রাজধানীতে ঈদের দিন মোগল সম্রাটরা নামাজ পড়তে যেতেন মিছিল করে। মোগলাই জৌলুস প্রকাশিত হতো সেই ঈদ মিছিলে। 

১৬১০ সালে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতী যখন বাংলা সুবার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। নায়েব-নাজিমদের আমলে ঈদ মিছিল বিস্তৃতি লাভ করে ও বর্ণাঢ্য হয়। ব্রিটিশ আমলেও সগৌরবে বহাল ছিল ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য। পাকিস্তান আমলে এটি অব্যাহত থাকলেও এক পর্যায়ে বন্ধও হয়ে যায়।

এরপর গত শতাব্দীর শেষ দশকের শুরুতে চালু হয় ঢাকার ঈদ মিছিল। তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবেদন ধরে রাখতে না পেরে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে পুরান ঢাকার ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য।

গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি এই সরকারের পক্ষ থেকে হারানো ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দিন যত যাচ্ছে ঈদ আয়োজনটি ক্রমে কালেক্টিভ, সামাজিক রূপ থেকে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক উৎসবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা ঈদের দিন অনেকটাই টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।

তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তিনি বলেন, সুলতানি আমল কিংবা মোগল আমলে ঈদের ঐতিহ্য নামাজের পর ঈদ মিছিল, আমরা সেই ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে ঈদের জামাতের পর একটি বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাতের পর ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহি ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ঈদকে আরো বেশি আনন্দময় ও জমকালো করতে থাকছে ঐরাবত হাতি। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসসংবলিত চিত্রকলাও থাকবে। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। অন্যান্য ধর্মামাবলম্বীও আসবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী, খাবার, চটপটি থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন থাকবে। পুরো পরিবার নিয়ে সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা থাকছে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসবে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর



বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি জোগান দেয় ও প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এ ছাড়া দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ এ শিল্প থেকে আসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নতুন শুল্ক দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এ বিপর্যয় ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

বৃহস্পতিবারের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যা এশিয়ার এ স্বল্পোন্নত দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতকে কঠিন সংকটে ফেলতে পারে।

সকালে এ ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শাহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু এত বড় ধাক্কা আসবে তা কল্পনাও করিনি। এটি আমাদের ব্যবসার জন্য ও হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ংকর খবর।

শাহিদুল্লাহ আজিমের প্রতিষ্ঠান উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য পোশাক সরবরাহ করে।

তিনি জানান, এ নতুন শুল্কের কারণে বিদেশি ক্রেতারা বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকতে পারে, যা বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে।

বাংলাদেশের বাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এ শুল্কনীতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) একজন প্রতিনিধি বলেছেন, আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ও তারা বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশকে এখন কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা বাড়ানো। সেই সঙ্গে বিকল্প বাজার খোঁজা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল নিতে হবে। আবার রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নেতারা বলছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় প্রয়োজন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি ও আশা করছি যে আলোচনা এ শুল্ক ইস্যু সমাধানে সহায়ক হবে।

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের প্রধান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকেই মার্কিন ক্রেতারা ভারতকে বিকল্প হিসেবে দেখছিল। এখন নতুন শুল্কের কারণে এ প্রবণতা আরও বাড়বে।

ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ওপর ট্রাম্পের শুল্ক হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের তুলনায় কম।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৩০টি পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে ভারতমুখী হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির মাত্র ৬-৭ শতাংশ আসে ভারত থেকে, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় কম। তবে নতুন পরিস্থিতিতে ভারত এই বাজারে আরও বড় অংশ দখল করতে পারে।


আরও খবর